আরও পড়ুন: বিজিবিকে ‘ত্রিমাত্রিক বাহিনী’ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
বিজিবির ডাংগাপাড়া বিশেষ ক্যাম্পে শনিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস হাসান টিটু এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দুপুরে হিলি থেকে একটি অটোরিকশা যাত্রী ছাড়াই বিরামপুরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় গাড়িটি বড়চড়া চেকপোস্টে এসে পৌঁছালে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যদের সন্দেহ হলে তারা চালককে থামার সংকেত দেন এবং অটোরিকশায় তল্লাশি চলানো হয়।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসের ভোরে বাংলাদেশির প্রাণ গেল বিএসএফের গুলিতে
এক পর্যায়ে সুযোগ বুঝে অটোরিকশার চালক পালিয়ে যায়। পরে চালকের আসনের নিচ থেকে ৮০টি প্লাস্টিকের কৌটায় ৪০ হাজার পিস এয়ার রাইফেলের গুলি ও পিস্তলের দুটি স্যান্ড উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিটি কৌটায় ৫০০ পিস করে গুলি ছিল।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস বলেন, ‘দেশে পৌর নির্বাচন চলছে। হয়ত নির্বাচনকে সামনে রেখে দুষ্কৃতিকারীরা এগুলো পাচার করে আনতে পারে। উদ্ধার করা গুলি জার্মানির তৈরি। যার আনুমানিক মূল্য ৮১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন: দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আরও সক্রিয় হতে হবে: বিজিবিকে প্রধানমন্ত্রী
সার্বিক পরিস্থিতি:
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত জানুয়ারি মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ৮০ কোটি ৭৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।
জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ১৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৭২ হাজার ৭৮২ বোতল ফেনসিডিল, ৩০ হাজার ৮১২ বোতল বিদেশি মদ, দুই হাজার ৩৬১ ক্যান বিয়ার, এক হাজার ৫১২ কেজি গাঁজা, চার কেজি ২২৫ গ্রাম হেরোইন, তিন হাজার ৪৯৪টি উত্তেজক ইনজেকশন, পাঁচ হাজার ৮৬২টি ইস্কাফ সিরাপ, সাত হাজার ৪৯টি অ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং দুই লাখ ৯৩ হাজার ৮৩৪টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার
জব্দ হওয়া অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে এক কেজি ২৮৩ গ্রাম স্বর্ণ, দুই কেজি ৬৩৫ গ্রাম রুপা, ৩৭ হাজার ৭৯৭টি কসমেটিকস সামগ্রী, পাঁচ হাজার ৩৫৬টি শাড়ি, এক হাজার নয়টি থ্রিপিস/শার্টপিস, এক হাজার ৭৪১টি তৈরি পোশাক, চার হাজার ৮৮২ ঘনফুট কাঠ, এক হাজার ৮৬৮ কেজি চা পাতা, তিন হাজার কেজি কয়লা, পাঁচটি ট্রাক/কাভার্ডভ্যান, ছয়টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, পাঁচটি পিকআপ, ১৭টি সিএনজি/ইঞ্জিনচালিত অটোরিকশা এবং ৭৬টি মোটরসাইকেল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুটি পিস্তল, একটি রিভলবার, ছয়টি বন্দুক এবং ৪৩ রাউন্ড গুলি।
আরও পড়ুন: বিএসএফের ধাওয়ায় নদীতে ঝাঁপ, ১১ দিন পর লাশ উদ্ধার
এছাড়াও সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকপাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৩১ চোরাচালানিকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৯২ বাংলাদেশি ও নয় ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।