দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় অস্থির হয়ে উঠেছে বাজার। আবার বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দুই দিন ধরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়নি। এতে কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা।
বৃহস্পতিবার ছিল নবীর (সা.) জন্মদিন। এ দিবস উপলক্ষে ছিল সরকারি ছুটি। আর অন্যদিকে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে দুই দিন ধরে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে সরকার: কৃষি মন্ত্রণালয়
তবে শনিবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে পুনরায় বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়েছে। বিকালে বন্দরের মোকামে সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম কমতে পারে।
এদিকে বুধবার আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বন্দরের পাইকারি মোকামে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বন্ধের কারণে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে যায়।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন জানান, ভারতে বন্যা ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে এমনিতেই বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে। আবার ছুটি থাকায় গত দুই দিন ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ ছিল। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগ নিয়ে দাম বাড়িয়েছে। শনিবার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। বিকালের পর দাম কমে আসবে।
আরেক আমদানিকারক রবিউল ইসলাম জানান, শনিবার থেকে কেজিতে ৪-৫ টাকা কমে আগের দামে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায় বিক্রি হবে। ধীরে ধীরে আরও দাম কমবে।
বন্দরের কাস্টমস কার্যালয়ের তথ্যমতে, ছুটির দিন ব্যতীত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৩০-৪০টি ভারতীয় ট্রাকে প্রায় ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার বেশি