‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও’- রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বুয়েট শিক্ষার্থী লামিসা তার বাবা পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (সদর) নাসিরুল ইসলাম শামীমকে কল দিয়ে শেষ বারের মতো এই অনুরোধ করেছিলেন।
শুক্রবার (১ মার্চ) লামিসার চাচা রফিকুল ইসলাম সুমন লামিসার এ আকুতির কথা জানান গণমাধ্যমকর্মীদের।
চাচা রফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বইমেলা ঘুরে বান্ধবীদের সঙ্গে বিরিয়ানি খেতে যান লামিসা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন হিমাগারে আগুন
সেখানে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলে লামিসা তার বাবাকে ফোন করে বলেন- ‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও।’
এরপর আর কোনো কথা হয়নি লামিসার সঙ্গে। একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও লামিসার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, ছোট বেলা থেকেই খুবই শান্ত প্রকৃতির মেয়ে লামিসা। ওর মা আফরিনা মাহমুদ মিতু ২০১৮ সালে মারা যান।
চাচা বলেন, ‘বড় বোন হিসেবে সবার খেয়াল রাখত লামিসা। তার এভাবে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে থেকে এসএসসি ও হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে লামিসা বুয়েটে ভর্তি হন। তিনি মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
লামিসা দুই বোনের মধ্যে বড়। ছোট বোন রাইসা এ বছর ভিকারুননিসা কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
ঢাকার অফিসার্স ক্লাবে দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন নাসিরুল ইসলাম।
এদিকে লামিসার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে বইছে শোকের মাতম। শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে তার লাশ শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলীর বাড়িতে আনা হয়।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের ভবনে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি