রাজাকে কিনেছেন বাদশা! কাকতালীয়ভাবেই বাদশা এখন রাজার মালিক। রাজা-বাদশার গল্প শুনে একটু অবাক হচ্ছেন তো? আসলে এই রাজা একটি ষাঁড়ের নাম। রাজার মতো চলাফেরা তার। তাইতো মালিক আদর করে তার নাম রেখেছেন রাজা । আর ক্রয়সূত্রে বাদশাই এখন রাজার মালিক। রাজার দাম পাঁচ লাখ হাঁকলেও বাদশা এটি চার লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনেছেন।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের বারাজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকিয়া সুলতানা জুঁই তিন বছর ধরে ষাঁড়টি পালন করে আসছিলেন। গত কোরবানির ঈদে রাজার দাম উঠেছিল তিন লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
প্রতিবছর ঈদুল আজহা আসলেই দৈহিক আকৃতি ও দামের কারণে কিছু কিছু গরু আলোচনায় আসে। এদের আকর্ষণীয় নামও দেয়া হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দৈহিক আকৃতির কারণে এবারের আলোচিত ষাঁড় হলো রাজা। এর উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ ফুট। ওজন ২৩ মণ। ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি কালো রঙের।
আরও পড়ুন: চাঁদা না দেয়ায় ফেনীতে গরু ব্যবসায়ীকে গুলি করে ‘হত্যা’
রাজার আগের মালিক জাকিয়া সুলতানা জুঁই জানান, ষাঁড়টি বড় করার ক্ষেত্রে তিনি স্বাভাবিকভাবে খড়, বুট ও ছোলার ভুসি, গম, চিটাগুড়, ভেজানো চাল, খৈল, নেপিয়ার ঘাসসহ প্রাকৃতিক খাবারই দিয়েছেন। মোটাতাজা করতে বিশেষ কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করেননি। করোনার সময় না হলে ষাঁড়টির দাম আরও বেশি হতো বলে মনে করেন জাকিয়া।
গরু ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া জানান, ঢাকার এক মহাজনের সঙ্গে কথা বলে তিনি এটি কিনেছেন। গাড়ি পেলে ষাঁড়টি ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ড্রাগন ফল চাষে ‘আবু তালেবের’ সাফল্য
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, তিনি এ ষাঁড়টির ব্যাপারে জানেন। অফিস থেকে ষাঁড়টির সার্বিক খোঁজ-খবর রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি ষাঁড়টির মালিককেও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। করোনা না থাকলে ষাঁড়টির মূল্য আরও বেশি হত।