তিনি বলেন, ‘মুজিবনগর আম্রকানন আমাদের জাতিগতভাবে স্মৃতির এবং অত্যন্ত আবেগের একটি জায়গা। এই রাস্তা দিয়ে আমাদের প্রথম সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা এসেছিলেন যা স্মৃতি হয়ে আছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই রাস্তাটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মারক হিসেবে সড়কটি আবারও মানুষের পদচারণায় মুখরিত হবে।’
সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজের স্বীকৃতি চান এলজিআরডিমন্ত্রী
মেহেরপুরের মুজিবনগরে মুজিবনগর-কোলকাতা ঐতিহাসিক স্বাধীনতা সড়ক পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এ সড়ক দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা ভারত থেকে মুজিবনগরে এসে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে স্বাধীনতা সড়কটি আগামী মার্চে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
রাস্তাটি মানসম্মতভাবে উন্নয়ন করতে অচিরেই কাজ শুরু হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতার অনেক স্মৃতি বিজড়িত স্থানকেই তারা সমর্থন করেননি। তেমনিভাবে এটিও অবহেলিত ছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যেমনভাবে সম্মান প্রদর্শন করা হচ্ছে, তেমনিভাবে যুদ্ধকালীন স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোকেও সংরক্ষণ করা হচ্ছে।’
বঙ্গবন্ধুই দেশের সকল উন্নয়ন চিন্তা-চেতনার ভিত্তিপ্রস্তর করেছেন: এলজিআরডি মন্ত্রী
যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের পূর্ব শর্ত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, রাস্তাটি হলে এখান দিয়ে দু’দেশের মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সার্বিক বিষয়ের উন্নয়ন হবে।
পরিদর্শনকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘প্রধামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে মুজিবনগরে এক হাজার কোটি টাকার কাজ হবে এবং এর নকশাও প্রায় চূড়ান্ত। খুব দ্রুত এটি একনেকে তোলা হবে। আশা করা যায় আগামী বছরের প্রথম দিকে কাজ শুরু হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাহিদুজ্জামান, জেলা প্রশাসক ড. মুনছুর আলম খান, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীনসহ অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতারা।
এর আগে ঢাকা থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন হেলিকপ্টারযোগে মুজিবনগরে পৌঁছান। এর পর পর্যটন মোটেলে গার্ড অব অনার শেষে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা।
শুধু কাগজে-কলমে না করে বাস্তবভিত্তিক কাজ করার আহ্বান এলজিআরডিমন্ত্রীর
পরে মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে জেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা সড়ক (মুজিবনগর-কোলকাতা) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়।