ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে প্রথমবারের মতো দেশীয় রান্নার ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং সেটিকে ছড়িয়ে দিতে উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের আয়োজনে সেরা রাঁধুনি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পায়েস রান্না করে সেরা রাধুঁনির খেতাব জিতে নিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলা চত্বরে প্রতিযোগিতায় রুটি ও মাংসভুনা করে সারমিন আকতার দ্বিতীয় এবং মাংসের আচার রান্না করে লাইলী বেগম তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।
আরও পড়ুন: মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া: বাঙালি রান্নার সুবাস ছড়িয়ে তৃতীয় কিশোয়ার
প্রতিযোগিতায় উপজেলার ১৭ জন রাঁধুনি অংশ নেন।
তারা দেশীয় উপাদানে তৈরি পায়েস, ক্ষীর, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, রুটি, মুরগি ও খাসির মাংস, ভর্তা, শুটকি ও সিদলসহ বিভিন্ন তরকারি ও খাবার রান্না করে বিচারকদের পরিবেশন করেন।
বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ'লীগ সহ সভাপতি সেলিনা জাহান লিটা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন শেফালি বেগম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যনের সহধর্মিণী আনোয়ারীন আভা, পৌর মেয়রের সহধর্মিণী মিসেস বেগম সুলেখা খানম, সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, রাণীশংকৈল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুহুল আমীন।
আরও পড়ুন: ডিপিএস এসটিএসের আয়োজনে রান্নার প্রতিযোগিতা ‘শেফ মিনিস্টার’
বিজয়ীদের পুরস্কার ও সনদ দেয়া হয়। বাকি প্রতিযোগীদের দেয়া হয় সান্তনা পুরস্কার।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইন্দ্রজিত সাহা, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী ও তার পত্নী নিলুফা শিরিন সুমী, সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বেলালউদ্দিন, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা তথ্য কর্মকর্তা হালিমা আকতার, উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার মিজানুর রহমান ও সহকারী শিক্ষিকা মেহবুবা আক্তার স্নিগ্ধা।
আরও পড়ুন: রন্ধন পাঠশালা: ঢাকায় কোথায় রান্না শেখার কোর্স করতে পারবেন?