সারাদেশ
কাজের জন্য কক্সবাজার গিয়ে নিখোঁজ ৬
কাজের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার গিয়ে পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার একই গ্রামের পাঁচ তরুণসহ ছয়জন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কারও কোনো সন্ধান পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা।
নিখোঁজরা হলেন— জকিগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর খলাছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম লোহারমহল গ্রামের মৃত লুকুছ মিয়ার ছেলে রশিদ আহমদ (২০), ফারুক আহমদের ছেলে মারুফ আহমদ (১৮), আজির উদ্দিনের ছেলে শাহিন আহমদ (২১), মৃত দুরাই মিয়ার ছেলে এমাদ উদ্দিন (২২), সফর উদ্দিনের ছেলে খালেদ হাসান (১৯) ও মৃত সরবদির ছেলে আব্দুল জলিল (৫৫)।
তারা সবাই উপজেলার ৪ নম্বর খলাছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম লোহার মহল গ্রামের বাসিন্দা।
নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা জানায়, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে সিলেট থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তারা। পরদিন ১৬ এপ্রিল (বুধবার) সকালে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে পৌঁছা পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও এরপর থেকে তাদের সকলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে পুলিশ বলছে, মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাকিং করে ছয়জনের অবস্থান কক্সবাজার দেখাচ্ছে। পুলিশ এনিয়ে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে জাহাজ থেকে পড়ে নাবিক নিখোঁজ
নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সফর উদ্দিন।
নিখোঁজ এমাদ উদ্দিনের চাচাতো ভাই আব্দুল বাছিত দুলাল বলেন, ‘কক্সবাজার পৌঁছার পর জানিয়েছিল পৌঁছেছে। এরপর থেকে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজন কক্সবাজারে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে থানায় জিডি করবেন। জকিগঞ্জ থানায় অভিযোগ নিচ্ছে না।’
নিখোঁজ রশিদ আহমদের ভাই আব্দুল বাছিত বলেন, ‘৪ থেকে ৫ বছর ধরে রশিদ চট্টগ্রামে কাজ করে। বিভিন্ন সময়ে বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল। কক্সবাজার এই প্রথম গিয়েছে। ওইখানে এক ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতো। ওইদিনও ওই ঠিকাদারের কাছে তারা যায়। এরপর থেকেই তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ। যদি তারা স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে থাকতো বা কেউ জিম্মি করত, তাহলে তো টাকা পয়সা চাইতো, এরকম কিছুই না। আমাদের ধারণা তাদের ওইখানে যে লোক নিয়েছে, ওই লোকই কিছু করেছে।’
তবে ঠিকাদারের নাম ঠিকানা কোনো কিছু জানাতে পারেননি নিখোঁজ রশিদের ভাই বাছিত।
নিখোঁজ খালেদ হাসানের বাবা ও ইউপি সদস্য সফর উদ্দিন বলেন, ‘তারা প্রায় সময়ে কাজের জন্য চট্টগ্রাম ৫ থেকে ৬ মাস থাকে। ঈদে বা ওয়াজের সময় বাড়িতে আসে। আবার সেখানে গিয়ে কাজ করত। মঙ্গলবারের পর থেকে আর কোনো যোগাযোগ নেই। গতকাল সারারাত থানায় ছিলাম।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের ড্রেনে নিখোঁজ শিশুর লাশ চাকতাই খাল থেকে উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘ঠিকাদারের মোবাইল বন্ধ। তবে ঠিকাদারের নাম রশিদ ও তার সঙ্গে একজনের নাম বাবুল বলে জানিয়েছেন থানার ওসি। যে জায়গা থেকে তারা নিখোঁজ হয়েছেন সেখানে অভিযোগ দেওয়ার জন্য পুলিশ জানিয়েছে। আমাদের এলাকার আরও লোকজন সেখানে রয়েছেন তারাও তাদের মতো করে খোঁজাখুঁজি করছেন।’
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘নিখোঁজ ছয়জনই দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে কাজ করেন। এখন হঠাৎ করে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করতে পারছেন না। আমরা গত ১৮ এপ্রিল বিষয়টি অবগত হয়েছি। এরপর থেকে কাজ করছি। মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তাদের অবস্থান কক্সবাজার দেখাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কারও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।’
২৫১ দিন আগে
মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বাবার মুরগির খামার পুড়িয়ে দিল ছেলে
নরসিংদীর মনোহরদীতে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় রাগ করে বাবার মুরগির খামার পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের লেবুতলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মুরগির খামার পুড়িয়ে দেওয়া জুনায়েদ (১৬) ওই এলাকার সৈয়দ মো. কামালের ছেলে।
পারিবাররে সদস্যরা জানান, কিছুদিন ধরে জুনায়েদ তার বাবাকে নতুন মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। সামর্থ্য না থাকায় কিনে দিতে রাজি হয়নি তার বাবা। যার কারণে বাবার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে বিকালে প্রথম দফায় মুরগির খামারে আগুন দেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলে। এর পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফাঁকা বাড়িতে দ্বিতীয় দফায় আবার ঘরে আগুন দেয়। এ সময় স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও মুরগির খামারের শেড, রান্না ঘর এবং বসত ঘরের কিছু অংশ পুড়ে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মধ্যরাতের আগুনে পুড়ল ১১ দোকান, আহত ১০
এ বিষয়ে জুনায়েদের বাবা কামাল বলেন, ‘আমার একটি মোটরসাইকেল আছে। প্রায়ই সে চালাত। তার পরেও নতুন কিনে দিতে চাপ দিচ্ছিল। সামর্থ্য না থাকার কারণে গাড়ি কিনে দিতে আমি অস্বীকার করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আগুন দেয় সে। ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার বলেন, ‘মোটরসাইকেল কিনে দিতে ছেলে বাবাকে চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু বাবা অপারগতা প্রকাশ করায় ছেলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েও ছেলেকে পাওয়া যায়নি, সে পালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
২৫১ দিন আগে
ডাস্টবিনে কুড়িয়ে পাওয়া শিশু পেল মায়ের কোল
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি ডাস্টবিনে কুড়িয়ে পাওয়া শিশু ‘নায়লা’ এখন মায়ের কোলে। দীর্ঘ ৮১ দিন বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে শিশুটিকে এক নিঃসন্তান ব্যবসায়ী দম্পতির কাছে দত্তক দেওয়া হয়েছে।
ডা. মুজিব নিউবর্ন ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা ও সেবার পর সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে এ দত্তক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসাইন।
রবিবার(২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতালে শিশুটির দত্তক হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. মজিবুর রহমান মুজিব, নবজাতক হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদা সুলতানা আসমা এবং সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: মৃত শিশুর জন্মহারে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশ
ডা. মজিবুর রহমান জানান, চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর চৌরাস্তার একটি ডাস্টবিন থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতালের চেয়ারম্যান মাহমুদা সুলতানা আসমা নবজাতকটির সুচিকিৎসার দায়িত্ব নেন।
ডা. মুজিব নিউবর্ন ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে সেখানে সার্বিক সেবায় নবজাতকটি সুস্থ হয়ে ওঠে।
তিনি বলেন, নবজাতকরা নিষ্পাপ। এভাবে তাদের পরিত্যাগ করা অত্যন্ত দুঃখজনক। যদি কোনো মা সন্তানের দেখভালে অক্ষম হন, তবে তিনি চাইলে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। পরিচয় গোপন রেখে আমরা শিশুটিকে গ্রহণ করব।
২৫১ দিন আগে
খুলনায় আ.লীগের ২৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
খুলনা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ৪টি স্থানে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের ২৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মহানগরীর পাশাপাশি খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও অভিযান চলছে।
রবিবারের (২০ এপ্রিল) অভিযানে এই ২৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া এন্ড সিপি) মো. আহসান হাবীব। অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে সোমবারও (২১ এপ্রিল) পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খুলনার জিরোপয়েন্ট এলাকা মিছিলের ঘটনায় ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেনকে আটক করে হরিণটানা থানা পুলিশ এবং ফুলতলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ফুলতলা থানা পুলিশ। একই দিনে শিরোমনিতে মিছিলের প্রস্তুতিকালে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী জাকারিয়া রিপনকে আটক করা হয়।
এছাড়া সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ নুর ইসলাম, ১৭ নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ আসিফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান , ১৬নং ওয়ার্ড গাবতলা ইউনিট আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আবুজার অনিক, যুবলীগের সদস্য মোঃ রকিবুল ইসলাম , ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ মেহেদী হাসান এবং যুবলীগ সদস্য রুহুল আমিনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
সোনাডাঙ্গা থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) আব্দুল হাই বলেন, রবিবার বিকালে ঝটিকা মিছিলের চেষ্টাকালে নগরীর বয়রা মহিলা কলেজের সামনে থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী মো. ওয়ালিদ হাসান ইমনকে আটক করে পুলিশ। একই দিনে সন্ধ্যার পর সোনাডাঙ্গা মডেল থানা এলাকার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়।
খুলনা সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) নান্নু মন্ডল বলেন, সদর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আ. রশিদের হাওলাদারের ছেলে মহারাজ হাওলাদার (৫৭), মোজাম্মেল মীরের ছেলে মো. মিলন মীর (৪২) এবং টুটপাড়া মেইন রোড এলাকার মোহাম্মদ হানেফের ছেলে মো. ফরিদ আহম্মেদ (৬৩)কে আটক করা হয়েছে।
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ খায়রুল বাসার জানান, সকালে হরিণটানা থানা এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের হয়। এলাকার সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিকেলে ডুমুরিয়া আওয়ামীলীগ নেতা কাজি আলমগীরকে জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, খালিশপুর থানায় এলাকায় আওয়ামীলীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় ৪ জনকে আটক করা হয়।
২৫২ দিন আগে
সুন্দরবনের ‘বনদস্যু’ করিম বাহিনীর ২ সদস্য আটক, উদ্ধার দুই জেলে
অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সুন্দরবনের ‘বনদস্যু’ করিম শরীফ বাহিনীর ২ সহযোগীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এছাড়া দস্যুদের জিম্মি থেকে দুই জেলেকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) রাতে কোস্টগার্ডের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন— খুলনার দাকোপ থানার বাসিন্দা মো. শাজাহান মোল্লা (৪৮) এবং বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার বাসিন্দা মো. সুমন হাওলাদার (৩০)।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন— খুলনার পাইকগাছা থানার বাসিন্দা আজিজুল শেখ (৫৫) এবং আলম গাজী (৩৭)।
সিয়াম-উল-হক বলেন, শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান চালিয়ে খুলনার দাকোপ উপজেলাধীন সুন্দরবন সংলগ্ন কামারখোলা এলাকা থেকে শাজাহান মোল্লাকে আটক করে পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং এক রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
এরপর রবিবার (২০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সুন্দরবন সংলগ্ন নলিয়ান ঠাকুরবাড়ি খেয়া ঘাট এলাকা থেকে করিম শরীফ বাহিনীর আরেক সহযোগী সুমন হাওলাদারকে আটক করা হয়।
শাহাজান ও সুমন দীর্ঘদিন ধরে বনদস্যু করিম শরীফের সঙ্গে ডাকাতি ও ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহ করে আসছিলেন বলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে বলে উল্লেখ করেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে করিম বাহিনীর ২ সহযোগী আটক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
অন্যদিকে কোস্টগার্ডের সাঁড়াশী অভিযানে আজ (সোমবার) ভোর ৫টার দিকে সুন্দরবনের আড়শিবসা নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে ২ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া জেলেরা গত ৮ এপ্রিল থেকে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর কাছে জিম্মি ছিলেন বলে জানান সিয়াম-উল-হক।
কোষ্টগার্ড গণমাধ্যম আরও কর্মকর্তা জানান, উদ্ধার হওয়া অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাকোপ থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। উদ্ধার হওয়া জেলেদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী টহল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে, এতে এসব অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে কোস্টগার্ডের এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
২৫২ দিন আগে
বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন এসএসসি পরীক্ষার্থী
দিনাজপুরের বিরামপুরে বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে পিকআপের ধাক্কায় মো. হাসান আলী নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের বিরামপুরের দোয়েল মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে হাসানের বন্ধু নাঈম হোসেনও আহত হয়েছে। এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক।
নিহত হাসান হোসেন (১৬) পৌর শহরের থানা পাড়া এলাকার মিলন হোসেনের ছেলে। আহত নাঈম একই এলাকার নিয়ামত হক ভোলার ছেলে। নিহত হাসান এবার বিরামপুরের আমানুল্লাহ স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন।
আরও পড়ুন: চোরাই মোটরসাইকেল-দেশীয় অস্ত্রসহ রাজধানীতে ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
স্থানীয়রা জানায়, রবিবার সকাল ১১টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে দুই বন্ধু বিরামপুর শহরে ঘুরতে যায়। এ সময় গোবিন্দগঞ্জ থেকে একটি মালবাহী পিকআপভ্যান উপজেলার দোয়েল মোড় এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এ সময় হাসান আলী ছিটকে রাস্তায় পড়ে পিকআপের চাকার চাকায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. তাহাজুল ইসলাম জানান, হাসানকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মাথায়, বুকে ও কোমরে গুরুতর আঘাতেই হাসানের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছেন তিনি।
ওসি মমতাজুল হক জানান, সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসান নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সড়ক পরিবহন আইনে এ ঘটনায় মামলা করা হবে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৫২ দিন আগে
সিরাজগঞ্জে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে কৃষকের আত্মহত্যা
ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে হাসেন ওরফে পলান নামে এক কৃষক বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে পলানের নিজ বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ।
মৃত হাসেন ওরফে পলান (৪০) ওই উপজেলার চর নবিপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত হাশমত আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে খুন করে স্বামীর আত্মহত্যা
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছলাম আলী জানান, বিভিন্ন এনজিও ও মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ছোটখাট ব্যবসা করতেন হাসেন। এ ঋণের টাকা আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে পাওনাদাররা তাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। টাকা পরিশোধ করতে না পেরে শেষমেষ শনিবার রাতে নিজ বাড়িতে বিষপানে আত্মহত্যা করেন তিনি।
ওসি আছলাম আলী আরও জানান, রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরের দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
২৫২ দিন আগে
চাঁদপুরে ভিমরুলের কামড়ে স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রী আইসিইউতে
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ভিমরুলের কামড়ে মো. সালামত মিয়াজী (৫৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে মতলব উত্তর উপজেলার ঘাসিরচরের ঘোষ বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতেই ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সালামত মিয়াজী মারা যান।
সালামত মিয়াজির বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলার বড় দুর্গাপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে। সালামত মিয়াজি ‘আলোর সন্ধ্যানে বহুমুখী সমবায় সমিতি’ নামে একটি সংগঠনের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে সালামত মিয়াজি তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। সেখানে যাওয়ার পথে ঘোষ বাড়ি সংলগ্ন স্থানে তাকে ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে হঠাৎ অনেকগুলো ভিমরুল এসে কামড়ায়। এতে তারা আহত হন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ঢাকার বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ভিমরুলের কামড় কতটা ভয়ংকর? সাবধানতা ও করণীয়
পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যান সালামত মিয়াজী। তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার এখনো আইসিইউতে আছেন। সালামত মিয়াজির মেয়ে শাওনি আক্তার জানান, তার মায়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মানিক মিয়া ইউএনবিকে জানান, ‘ভিমরুলের কামড়ে একজন সমবায়কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি হৃদয়বিদারক। চোখের সামনে এমন মৃত্যু খুবই কষ্টের।’
তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে জানান মানিক মিয়া।
২৫২ দিন আগে
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জের প্রতিবাদে সুজনের মানববন্ধন
সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে দ্রুত হাসপাতালের কার্যক্রম চালু, প্রয়োজনীয় ক্লিনিক্যাল ক্লাস (হাতে-কলমে শিক্ষা) নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধকালে শিক্ষার্থীদের ওপর সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জের ঘটনার প্রতিবাদে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের আয়োজনে সুনামগঞ্জ শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মেডিকেল কলেজে নিয়মিত ক্লাস চালুসহ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জের মদনপুরে অবস্থিত সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পর্যাপ্ত ক্লিনিক্যাল ক্লাস নিশ্চিত এবং এর হাসপাতাল কার্যক্রম দ্রুত চালুসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলাকালে সেনাবাহিনীর শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের সব দাবি বাস্তবায়নে সরকারের নিকট আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: ধর্ষকদের শাস্তি ও নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন
সুজন সহ-সভাপতি শাহিনা চৌধুরী রুবির সভাপতিত্বে ও সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ফজলুল করিম সাঈদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি এ কে এম আবু নাছার, সুনামগঞ্জ জেলা হাওর বাচাঁও আন্দোলনের সভাপতি ইয়াকুব বখত বহলুল, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. মনির উদ্দিন, সাংবাদিক পঙ্কজ কান্তি দে, সাংবাদিক অ্যাডভোকেট মহসিন রেজা মানিক, হাওর বাচাঁও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. ওবায়দুল হক মিলন, জেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক শেখ এমদাদুল, সাংবাদিক দিলাল আহমেদ, সুজন সদর উপজেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ শিক্ষার্থী বাকি বিল্লাহ, এস এম মারুফ হোসেন প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ সিরাজুল ইসলাম পলাশ, সাংবাদিক আমিনুল হক, হেলিনা আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান মাইদুল হক মামুন, প্রভাষক শাহিনুল ইসলাম, মানিক উল্লাহ, দেশ টিভির সাংবাদিক কর্ণবাবু দাস।
২৫২ দিন আগে
মাজারে প্রশাসনের মাদকবিরোধী অভিযান, রুখে দিলেন ভক্তরা
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ঘোড়াশাহ বাবার মাজারে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনায় গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত ও লাঞ্ছিত হয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মাজারের ভক্ত-অনুসারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। অবস্থা বেগতিক দেখে শেষ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা না করেই সেখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হন তারা।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার সাতবাড়ীয়া বিত্তিপাড়া এলাকায় অবস্থিত ওই মাজারে ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভেড়ামারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনায় ঘোড়াশাহ বাবার মাজারে যান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আভিযানিক দলে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা অভিযান শুরু করতে গেলে সেখানে বাধা দেন মাজারে উপস্থিত ভক্ত-অনুসারীরা। এ সময় তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেন ও আভিযানিক দলের সদস্যদের লাঞ্ছিত করেন। পরে তোপের মুখে পড়ে অভিযান পরিচালনা না করেই তারা ফিরে যেতে বাধ্য হন।
আরও পড়ুন: ৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি চবির অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থী
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসনের লোকজন দেখেই উষ্মা প্রকাশ করেন জটাধারী লাল পোশাকের কিছু উচ্ছৃঙ্খল ভক্ত-আশেকান। কাজ শুরুর আগেই তারা আক্রমণাত্মক আচরণ শুরু করেন। বাধার মুখে শেষ পর্যন্ত অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় প্রশাসনের লোকজন সেখানে থেকে ফিরে আসেন।’
ফিরে আসার সময়ও তাদের ধাওয়া করা হয় বলে জানান ইউএনও।
অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে মাজারের লোকজন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। যে কারণে অভিযান পরিচালনা করতে না পেরে আমরা ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছি। কারা এই উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন, তদন্ত সাপেক্ষে তা বলা যাবে। আপাতত এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
২৫২ দিন আগে