সারাদেশ
ফেনীতে ট্রাকচাপায় অটোরিকশাচালক ও যাত্রী নিহত
ফেনীতে ট্রাকের চাপায় ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ও যাত্রী নিহত হয়েছেন।
এরা হলেন— উপজেলার দক্ষিণ চানপুর গ্রামের অটোরিকশাচালক নজরুল ইসলাম ও অটোরিকশার যাত্রী দুধমুখা এলাকার রাজিব।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের বসুরহাট সড়কের শরীফপুরেএ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসচাপায় অটোরিকশার নারী যাত্রী নিহত
স্থানীয়রা জানান, নতুন পোল এলপিজি সিএনজি পাম্পের সামনে একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই নিহত হন অটোরিকশাচালক নজরুল ইসলাম। এছাড়া আহত অবস্থায় অটোরিকশার যাত্রী রাজিবকে দাগনভূঁইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, ‘অটোরিকশা ও ট্রাকটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২৬২ দিন আগে
উত্ত্যক্তের জেরে চিলমারীতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ!
কুড়িগ্রামের চিলমারী ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ সীমান্তে পূর্ব জের এবং ছেলে মেয়ের ছবি তোলা ও উত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে মাইকিং ও ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই এলাকার বাসিন্দারা। শহরের মোড় এলাকায় ঈদে চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতুতে ঘুরতে যাওয়া মা-মেয়েকে উত্ত্যক্তের অভিযোগে মাইকিং করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে কয়েক দফা চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের একজনকে প্রথমে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। চিলমারী থানা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে দুই পক্ষের প্রায় ২ শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী সূত্র জানা যায়, গত শুক্রবার চিলমারী রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া গ্রামের পশির উদ্দিনের মেয়ে ও স্ত্রী দ্বিতীয় তিস্তা সেতুতে ঘুরতে গেলে গাইবান্ধার সুন্ধরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শহরের মোড় এলাকার কয়েকজন যুবক গোপনে ছবি তোলেন এবং উত্যক্ত করার চেষ্টা করেন। পরে মা মেয়ে ওই ঘটনার প্রতিবাদ করার সময় ওই কিশোরেরা তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।
এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত রমনা ইউনিয়নের ডাঙ্গার চর এলাকার সাজু ও মোতালেব মিয়া বিষয়টির প্রতিবাদ করে। এতে শহরের মোড় এলাকার বিজয়, পাভেল, সুমনসহ কয়েকজন মিলে চিলমারী উপজেলার এই দুই যুবকের উপর চড়াও হয় এবং তাদের মারধর করেন।
পরে তারা মারধরের বিষয়টি এলাকায় জানালে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খড়খড়িয়া এলাকার আলমগীর হোসেন (৩৫) তার ভুট্টা খেত দেখতে গেলে শহরের মোড় এলাকার মিস্টারসহ কয়েকজন ব্যক্তি মিলে তাকে মারধর করে। পরে খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। প্রথমে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে।আরও পড়ুন: মাগুরায় সদস্য ফরম বিতরণ নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
ঘটনায় দুই গ্রামের মানুষ মাইকিং করে তাঁদের লোকজনকে ডেকে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় গ্রামের ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম থেকে কুড়িগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সাফায়েত হোসেনের নেতৃত্বে সেনাবাহীনির টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এছাড়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক, চিলমারী থানা পুলিশ, রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিনিধি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রমনা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, গত শুক্রবার দুই থানার মোড় চিলমারী এড়িয়ার একটি পরিবারকে উত্যক্ত করেন সুন্দরগঞ্জ এড়িয়ার শহরের মোড় এলাকার যুবক। এই ঘটনা ছাড়াও পূর্ব জের ধরে দুই এলাকায় মারামারি হবে ঘোষণা দেওয়া হয়। তা জেনেই চিলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহহ এসে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার দুই পক্ষ সংঘর্ষের জন্য অবস্থান নেয় এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়—তা জেনে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। এর পরেই সেনাবাহীনি ঘটনাস্থলে আসে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক বলেন, সেনাবাহিনী, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে এলাকাবাসীকে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। কেউ আইনি সহায়তা চাইলে কিংবা কেউ পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে চাইলে আইনগত প্রক্রিয়া মাধ্যমে বিষয়গুলো দেখা হবে।
২৬২ দিন আগে
নরসিংদীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নরসিংদী শহরে জুনায়েদ হাসান (২৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে শহরের বিনোদন এলাকা নাগরিয়াকান্দীতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় মাসুম মোল্লা নামে আরো একজন আহত হয়েছে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তারা উভয়েই নাগরিয়াকান্দী এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় নাগরিয়াকান্দী এলাকায় তাদের বাড়িসংলগ্ন একটি মাঠে মাসুম ও হায়দার নামের দুই ব্যক্তির দুই কিশোর ছেলে একসঙ্গে খেলছিল। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে মাসুম ও হায়দার ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজেরাও তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় মাসুমের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন হায়দার। এতে আহত হন মাসুম। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাত ৯টার দিকে তাকে নিজ বাড়ি নেওয়া হচ্ছিল। ওই সময় শহরের কাউরিয়া ঈদগাহ এলাকায় আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন হায়দার পক্ষের লোকজন। তারা দেশি অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মাসুমের ওপর আবার হামলা চালান। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়।
হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় মাসুমের পক্ষের লোকজন জুনায়েদ হাসান নামের এক যুবককে ধরে ফেলেন। এ সময় তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে জুনায়েদের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় মাসুমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: ৩ বছরের সন্তানকে ‘কুপিয়ে হত্যা’, মা আটক
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত দুজনকেই বুধবার রাতে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। একজনের শরীর ও অন্য জনের মাথায় কোপানোর আঘাত রয়েছে। দুজনকেই ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২৬২ দিন আগে
নওগাঁয় গাছ কাটা নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় জমির সীমানায় মেহগনি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৮ থেকে ১০ জন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৪ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শরিফুল ইসলাম (৫৫) বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত ওছির আলীর ছেলে এবং আজিজুল হক (৫৫) একই এলাকার মৃত আফসের আলীর ছেলে।
থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম ও লালচানের বুধরিয়া এলাকায় পাশাপাশি জমি রয়েছে। সাইফুল ইসলামের বাবা তাদের জায়গাতে গাছ লাগালে জমিজমা পরিমাপ করে গাছটি লালচানদের সীমানায় পড়ে। গাছ সাইফুল লাগানোর সুবাদে উভয়পক্ষের সম্মতিতে সাইফুল ইসলাম গতকাল বুধবার মেহগনি গাছ কাটলে উভয়পক্ষের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়।
আজ সকালে সাইফুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে লালচান তাঁর অংশ বেড়া দিয়ে ঘিরে নিতে বললে সাইফুল ইসলাম ব্যস্ত আছে জানালে লালচান, কাশেম হাজীসহ ২০ থেকে ২২ জন রামদা, কুড়াল, হাসুয়া দিয়ে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে ঘটনাস্থলেই শরিফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আহত হয় আরও ৮ থেকে ১০ জন।
আহতদের মধ্যে আজিজুল ইসলামসহ ৪ থেকে ৫ জনকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আজিজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় জমির বিরোধে সংঘর্ষ, ৩ ভাই-বোন নিহত
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহতের ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের অভিযান এখনও অব্যাহত আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
২৬২ দিন আগে
সুন্দরবনে ডাকাতদের আস্তানা থেকে অপহৃত ৬ নারীসহ ৩৩ জেলে উদ্ধার
সুন্দরবনে ডাকাত বাহিনীর হাতে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ৬ নারীসহ ৩৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
বুধবার(৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সুন্দরবনের করকরি নদীর মাল্লাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতদের আস্তানা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
এসময় জেলেদের ১৬টি বোট উদ্ধার করা হয়। তবে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করতে পারেনি কোস্টগার্ড।
সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনী মুক্তিপণের দাবিতে নারীসহ ওই ৩৩ জেলেকে অপহরণ করে তাদের আস্তানায় জিম্মি রেখেছি বলে জানায় কোস্টগার্ড।
ডাকাত দলের আস্তানা থেকে উদ্ধারকৃত ৩৩ জনের মধ্যে ছয়জন নারী এবং ২৭ জন পুরুষ রয়েছেন।
অপহৃতরা সুন্দরবনের নদী ও খালে কাঁকড়া এবং মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের সবার বাড়ি খুলনা জেলার কয়রা উপজেলায় বলে কোস্টগার্ড জানায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনী ১৬টি নৌকাসহ ৩৩ জন জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপরহণ করে তাদের গোপন আস্তানায় জিম্মি করে রাখে। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড মোংলা বেইস ও নলিয়ান আউটপোস্টের সদস্যরা বুধবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সুন্দরবনের করকরি নদীর মাল্লাখালী এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়। কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল ফাঁকা গুলি ছুড়ে দ্রুত তারা বনের গহীনে পালিয়ে যায়। পরে ডাকাত দলের আস্তানা থেকে ১৬টি বোটসহ ৩৩ জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ওই ৩৩ জনের মধ্যে ছয়জন নারী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ: ৩ পুলিশ সদস্যসহ আটক ৪
এতে আরও জানানো হয়, ছয় নারীসহ ৩৩ জন জেলে ১৬টি বোট নিয়ে বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা থেকে কাঁকড়া এবং মাছ ধরার জন্য সুন্দরবনে প্রবেশ করেন। এর পর সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনী মুক্তিপণের দাবিতে ৩৩ জনকে অপহরণ করে তাদের আস্তানায় জিম্মি রাখে এবং মুক্তিপণ হিসেবে প্রত্যেকের কাছে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা দাবি করে।
উদ্ধার ৩৩ জনকে কোস্টগার্ডের কয়রা স্টেশনে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় খাবার দিয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
২৬৩ দিন আগে
বেনাপোল থেকে ফেরত এলো বাংলাদেশের ৪ পণ্যবাহী ট্রাক
বাংলাদেশকে দেওয়া দীর্ঘদিনের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করায় বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে চারটি বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক ফেরত পাঠিয়েছে ভারত।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পণ্যবাহী ওই ট্রাকগুলো বেনাপোল থেকে ঢাকায় ফিরে আসে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। এতে বুধবার থেকে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সময় ও খরচ সাশ্রয়ী বাণিজ্য করার প্রচলিত এই পথ বন্ধ হয়ে যায়।
ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দর থেকে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিএসভি এয়ার অ্যান্ড সি লিমিটেডের ৪ টি ট্রাক ফিরে এসেছে।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়াডিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করতে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় একটি চিঠি ইস্যু করেছে কাস্টমসে। এই চিঠির আলোকেই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার পণ্য বেনাপোল থেকে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল ভারত
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান, ‘ভারত সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত দুই দেশের বাণিজ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি করবে। আমরা আশা রাখছি ভারত সরকার তাদের এই সিদ্ধান্ত পরিহার করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রাখবেন।’
বেনাপোলের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় বেনাপোল থেকে চারটি রপ্তানি পণ্যবোঝাই ট্রাক ফেরত গেছে। এতে রপ্তানি বাণিজ্য বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর রাশেদুল সজিব নাজির জানান, ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় পেট্রাপোল কাস্টমস থার্ডকান্ট্রির পণ্যে কার্পাস ইস্যু করেনি। এতে সেসব পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে ঢুকতে পারছে না। তবে ভারতের অভ্যন্তরে রপ্তানির উদ্দেশ্যে আসা অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে।
২৬৩ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় বিকাশ প্রতারক চক্রের দুই যুবক আটক
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে দুই মাসে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে নগদ ২৫ হাজার টাকা ও পাঁচটি মোবাইলসহ তাদের আটক করা হয়।
আটক যুবকরো হলেন— দক্ষিণ চাঁদপুরের তাকবির ইসলাম রিয়াদ (৩০) ও নাটোরের স্বপন আলী হৃদয় (২৫)।
আরও পড়ুন: অভিনব কায়দায় বিকাশ থেকে অর্ধলাখ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা জানান, রিয়াদ বিভিন্ন বিকাশ এজেন্ট থেকে ‘ক্যাশ আউট’ করতেন এবং টাকার বড় অংশ পাঠিয়ে দিতেন স্বপনের কাছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, এ চক্রটি দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণা চালিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান।
২৬৩ দিন আগে
মেঘনা উপকূলীয় চরাঞ্চলবাসীদের জন্য ভাসমান হাসপাতাল উদ্বোধন
চাঁদপুরে মূল জনপদ থেকে বিচ্ছিন্ন মেঘনা নদীবেষ্টিত বেশ কয়েকটি দুর্গম চর। চরবাসীর কাছে স্বাস্থ্যসেবা ছিল সোনার হরিণ।
অনেকটা স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত ছিলেন তারা। তাদের জন্য নতুন করে আশার আলো ছড়িয়েছে বাদশা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের নামে ভ্রাম্যমাণ ভাসমান হাসপাতাল। এটি পরিচালনা করছে ফ্রেন্ডশিপ নামে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। যেখানে মিলছে সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিমপাড়ের চরে প্রধান অতিথি হিসেবে এই ভাসমান হাসপাতাল উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা সচিব মো. সাইদুর রহমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবার ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের
চরের মানুষদের জন্য হাতের নাগালে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই বাদশা এই ভ্রাম্যমাণ ভাসমান হাসপাতালের উদ্দেশ্য। প্রাথমিক চিকিৎসা, রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে অস্ত্রোপচার সবকিছুই মিলছে একেবারে বিনামূল্যে। হাতের নাগালে এমন উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে ভরসার জায়গা পেয়েছে চরবাসী।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাইদুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, নদীবেষ্টিত দুর্গম চরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যায় না। এ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই বাদশা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের নামে ভ্রাম্যমাণ ভাসমান হাসপাতাল কার্যক্রম শুরু হয়।
বিলকিস বেগম নামের এক রোগী হাসপাতাল সম্পর্কে বলেন, এর আগে ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে উত্তাল মেঘনা পেরিয়ে জেলা শহর কিংবা রোগের ধরন দেখে ছুটতে হতো রাজধানী পর্যন্ত। তাও যাদের আর্থিক সামর্থ্য ছিল শুধুই তারা চিকিৎসা নিতো। এখানে ভাসমান হাসপাতাল হওয়ায় খুব উপকার পেয়েছি। বিনামূল্যে চক্ষু অপারেশন করেছি।
ফ্রেন্ডশীপ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা রুনা খান ইউএনবিকে জানান, প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ রোগী এই ভাসমান হাসপাতালে চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ পাচ্ছে। সাতজন চিকিৎসকসহ ৩২ সদস্যের ভ্রাম্যমাণ ভাসমান হাসপাতালটিতে কার্যক্রম চলছে। হাইমচর উপজেলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩২ লাখ মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কাজ করবে এই প্রকল্প।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার মো. আবু জাফর, কিং আব্দুল্লাহ হিউম্যানিটিরিয়ান ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সোলায়মান আব্দুল আজিজ, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিবসহ সৌদি সরকারের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।
২৬৩ দিন আগে
ঝিনাইদহে বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে জখম করল প্রতিপক্ষ
ঝিনাইদহে বিএনপি কর্মী রিপন মোল্লাকে (৪০) চার হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে নৃশংসভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলা রাজাপুর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহতের মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭ থেকে ৮ জনের নামে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আহত রিপন সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার ছেলে।
আহতের স্ত্রী ইসমতারা জানান, গ্রামে বিএনপির গ্রুপ পরিবর্তন নিয়ে বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আমার স্বামী রিপনকে বাড়ি থেকে ডেকে সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আবুল কাসেম বাদশার ছেলে হুমায়ন, মৃত রস্তম বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল করিম, মৃত শাহাজাহানের ছেলে মিঠুন ও বাড়িবাথান গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে হারুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায়।
তিনি বলেন, এ সময় তার শরীর ক্ষত-বিক্ষতসহ হাত-পা শরীর থেকে প্রায় বিছিন্ন হয়ে গেছে। তাকে মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ জানান, অপরাধ যেই করুন না কেন। কাউকে ছাড় নয়। যদি বিএনপির কেউ এঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আল-মামুন জানান, চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭ থেকে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের পুলিশ ধরতে সক্ষম হবে।
২৬৩ দিন আগে
তামাবিল দিয়ে ১৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিলো ভারত
ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতীয় বিএসএফ ও বাংলাদেশের বিজিবি'র উপস্থিতিতে তাদের ফেরত পাঠায় ভারত।
ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন— জামালপুরের বক্সিগঞ্জ থানার মো. উমর ফারুখ (২৬), কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর থানার মো. হুমায়ুন কবির (২৬), শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার মো. রাসেল মিয়া (২০), ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার মো. সুজন মোল্লা (৩৬), নরসিংদীর শিবপুর থানার মো. ইউসুফ মিয়া (২৩), রাজশাহীর গোদাগঞ্জ থানার মো. সাহেব আলী (২৩), একই এলাকার মো. মিজানুর রহমান (২৬), মো. সোহেল রানা (২৫), মো. আবু বক্কর (২৩), মো. আব্দুল করিম (৪৫), নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানার মো. শামীম (৩৭), একই এলাকার মো. হাবিবুল্লাহ (৩৪), মো. নাজির আহমেদ (৪০), ময়মনসিংহের মুক্তাগাছি থানার মো. বিপ্লব মিয়া (২২)।
তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময় সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে ১৪ বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ আটক করে। তাদের আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠায়।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় ২৩ অপহৃত বাংলাদেশি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ওয়েস্ট গারো হিলস জেলার তুরা কারাগারে ১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কারাভোগ শেষ হওয়ায় বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিজিবি-বিএসএফর উপস্থিতিতে তাদের বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের নিকট হস্তান্তর করে। দীর্ঘ কয়েক মাস জেল খেটে তারা আজ (বুধবার) দেশে ফেরত আসেন।
তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম মিয়া বলেন, ‘দুই দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং বিএসএফ ও বিজিবির মাধ্যমে নারীসহ ১৪ বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে পাঠানোর পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।’
২৬৩ দিন আগে