বাংলাদেশ
আমরা আমাদের দরজা বন্ধ রাখতে পারি না: ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে তার সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বলেছেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ তার দরজা বন্ধ রাখতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘ভারতকে আমরা ট্রানজিট দিলাম কেন- এটা নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। আমরা আগেই ট্রানজিট দিয়েছি।এতে ক্ষতিটা কি হচ্ছে। বরং আমরা রাস্তার ভাড়া পাচ্ছি। সুবিধা পাচ্ছে আমাদের দেশের মানুষ। অনেকে অর্থ উপার্জনও করছে। আমরা আমাদের দরজা বন্ধ রাখতে পারি না।’
বুধবার (৩ জুলাই) চলতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের (তৃতীয় অধিবেশন) সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তার সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে সমালোচকদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলো তার সফর নিয়ে অনেক কথা বলে চলেছে।
বাংলাদেশকে ট্রান্স-এশিয়া হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত থেকে নেপাল ও ভুটানে (পণ্য পরিবহনের জন্য) ট্রানজিট (সুবিধা) পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: ২০৩৫ সালের মধ্যে হাইড্রোজেন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় বাংলাদেশ: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ভারতের আসাম থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে পার্বতীপুর ডিপোতে জ্বালানি নিয়ে আসে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি কিনতে পারছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাইপলাইনের মাধ্যমে নাটোরে জ্বালানি আনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ও এইচএম এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার শাসনামলে কীভাবে দেশের স্বার্থ উপেক্ষিত হয়েছিল তা তিনি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ভারতীয় পণ্যের জন্য বাংলাদেশের বাজার উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন।
জিয়া ও এরশাদ ছিটমহল ও তিন বিঘা করিডোর সমস্যা সমাধানে কিছুই করেননি এবং খালেদা জিয়া নব্বইয়ের দশকে ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানি চুক্তির বিষয়টি উত্থাপন করতে ভুলে গিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রির ব্যাপারে তিনি আপত্তি জানিয়েছিলেন, বরং খালেদা জিয়া তাতে রাজি হয়েছিলেন এবং এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ফলে ওই নির্বাচনে তার দল আওয়ামী লীগ বেশি শতাংশ ভোট পেলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গ্যাস বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় আমরা সরকার গঠন করতে পারিনি। তাহলে দেশ কে বিক্রি করল? খালেদা জিয়া, এইচএম এরশাদ ও জিয়াউর রহমানই এটা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ তা করছে না।’
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সব সংসদ সদস্যের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে এডিবিকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৫৪৩ দিন আগে
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
মালয়েশিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই ) কুয়ালালামপুরের সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে অবস্থিত আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেডের অফিসে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
বিশেষ অতিথি তার বক্তব্যে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় অনেকে এনআইডি করতে পারেননি। এনআইডি না থাকায় তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিদের কথা বিবেচনা করে মালয়েশিয়ায় এনআইডি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে ।
তিনি বলেন, বিশ্বের ৪০টি দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম পরিচালনা করার পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের। এর ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়ায় এনআইডি কার্যক্রম শুরু হলো।
সভাপতির বক্তব্যে হাইকমিশনার শামীম আহসান বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে বিশ্বের বুকে জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এনআইডি সে মর্যাদার পরিচয় বহন করে।
মতবিনিময় সভায় ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর, এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি, সামাজিক -সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, প্রবাসী সাংবাদিক, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রতিনিধিদল এবং হাইকমিশন ও এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
৫৪৩ দিন আগে
বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিতে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে হলে অনতিবিলম্বে সরকারের পাশাপাশি আমাদের সবাইকে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হয়, তাই প্রতিদিনই পরিবেশ দিবস বিবেচনা করে বছরব্যাপী চালাতে হবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যাতে স্মার্ট নাগরিক গড়তে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
বুধবার (৩ জুলাই) পরিবেশ অধিদপ্তরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। দেশের পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। একটি সবুজ, সুন্দর ও সুস্থ পৃথিবী আমাদের সকলের প্রাপ্য।
পুরস্কার বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে পরিবেশের সুরক্ষায় এগিয়ে আসি এবং আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ পৃথিবী নিশ্চিত করি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
বক্তব্য দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ছিদ্দিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ী এবং পরিবেশ মেলার শ্রেষ্ঠ স্টলের প্রতিনিধিদের পুরস্কার, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ, জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের আশা
পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে কানাডার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
৫৪৩ দিন আগে
‘সুনীল অর্থনীতিতে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা পিছিয়ে’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সুনীল অর্থনীতিতে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা অনেকটা পিছিয়ে আছি।
তিনি বলেন, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা ‘শূন্য’ ছিল। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদির অভাবের মধ্যেও বঙ্গবন্ধু ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সে অ্যাক্ট বা অন্যসব ক্ষেত্রে দেশ এগোতে পারেনি। শেখ হাসিনা মায়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সেটেলড করেন।
আরও পড়ুন: ৯ প্রকল্পে জাইকার সহায়তা ১১৩৪৪ কোটি টাকা, শুরু হচ্ছে আরও ৪ প্রকল্প: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বুধবার (৩ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব মহাসাগর দিবস’ উপলক্ষে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ‘বায়োডাইভারসিটি এন্ড মেরিন রিসোর্সেস’ শিরোনামে ব্রেকআউট সেশনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুনীল অর্থনীতির খসড়া অনুমোদন করে দিয়েছেন। আমরা সুনীল অর্থনীতি নিয়ে কাজ করব। সুনীল অর্থনীতিকে বাংলাদেশের মূল অর্থনীতিতে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে গবেষণায় সাপোর্ট দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গবেষকদের জন্য দেশ এগিয়ে যেতে পারছে। আমরা ইকোসিস্টেম, পরিবেশ সম্পর্কে কথা বলছি। কিন্তু পরিবেশবান্ধব সোনালি আঁশ পাটকে রক্ষা করতে পারিনি।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নৌসংস্থায় 'সি' ক্যাটাগরিতে আমরা সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। এর মূল কাজ সমুদ্র পরিবহন পরিবেশ সম্মত এবং ফ্রেন্ডলি হওয়া। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি মানবিক দেশ। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সমুদ্রে অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। এটাকে কাজে লাগিয়ে সুনীল অর্থনীতিতে এগিয়ে নিতে পারি- তাহলে সার্থকতা খুঁজে পাব।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) ড. মো. এমদাদ উল্লাহ মিয়া, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ফিলিপাইনের সহকারী অধ্যাপক জন ভার্ডিন, চীনের অধ্যাপক উইডং ইউ, থাইল্যান্ডের অধ্যাপক সুরিয়ান টুংকিজিয়ানুকিজ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুর রহমান।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি নিয়ে বিএনপির বক্তৃতাই বড় কৌতুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ, জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের আশা
৫৪৩ দিন আগে
শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ৪ কেজি স্বর্ণ জব্দ
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সালাম এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট থেকে প্রায় সাড়ে চার কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
বুধবার (৩ জুলাই) সাড়ে ৫টার দিকে সেগুলো আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিমানবন্দরে প্রবাসী আটক, সোয়া কেজি স্বর্ণ জব্দ
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল সহকারী পরিচালক প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাস্কাট থেকে আসা সালাম এয়ার এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে সেই ফ্লাইটের বিমানের সিটের ওপরে লাগেজ রাখার কেবিনে কালো স্কসটেপ মোড়ানো দুটি ভারী বস্তু পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এতে ৩৮টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার ওজন ৪ কেজি ৪২০ গ্রাম। এর আনুমানিক বাজারমূল্য ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, জব্দ স্বর্ণগুলো কাস্টম হাউস, ঢাকার মূল্যবান শুল্ক গুদামে জমা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাহ আমানত বিমানবন্দরে ১ কেজি স্বর্ণ জব্দ
৫৪৩ দিন আগে
দুর্নীতি নিয়ে বিএনপির বক্তৃতাই বড় কৌতুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দুর্নীতি নিয়ে বিএনপির বক্তৃতাই সবচেয়ে বড় কৌতুক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশ-সৌদি আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে 'পলিটিক্যাল কনসালটেশন' শেষে রিয়াদ থেকে বুধবার দুপুরে দেশে ফিরে বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস একাডেমি জার্নাল প্রকাশনা ও ডিজিটাল লাইব্রেরি উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
আরও পড়ুন: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
এ সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান নিয়ে বিএনপির মন্তব্য বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উভয়েই দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। বিএনপির শাসনামলে দেশ দুর্নীতিতে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সুতরাং তাদের মুখে দুর্নীতি নিয়ে বক্তৃতা বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান নিয়ে কথা বলা -এটিই সবচেয়ে বড় কৌতুক।’
সৌদি বিনিয়োগ ও শ্রমশক্তি রপ্তানি
সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক ও বিনিয়োগ নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সঙ্গে শ্রমশক্তি রপ্তানির সম্পর্ক বহু আগেই উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, বিনিয়োগসহ বহুমাত্রিক রূপ নিয়েছে। দেশে সৌদি বিনিয়োগ আছে এবং তারা আরও বিনিয়োগ করতে চায়। সৌদি আরব বাংলাদেশে ১ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, চট্টগ্রাম বন্দরে তাদের বিনিয়োগ আছে, বে-টার্মিনালেও তারা বিনিয়োগ করতে চায়, পাশাপাশি অনাবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশিদের জন্য উন্মুক্ত অফশোর ব্যাংকিংসহ আমাদের এখানে ফিন্যান্সিয়াল উইন্ডো যেগুলো রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রেও তাদের বিনিয়োগের বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সৌদি আরবকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং তারা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের মিরের সরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনও করেছে।’
মন্ত্রী এ সময় শ্রমশক্তি রপ্তানির তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন।
তিনি জানান, ‘সৌদি আরবে এখন প্রায় ৩১ লাখ ৩৭ হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। করোনার সময় লাখ লাখ কর্মী ফেরত এসেছিলেন। কিন্তু গত তিন বছরে আবার প্রায় ১৭ লাখ বাংলাদেশি সৌদিতে গেছেন। সৌদি আরব এক্ষেত্রে খুব সহায়ক ছিল। এই শ্রমজীবীদের সঙ্গে দুই দেশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যাতে প্রতারণা না করতে পারে, সেজন্য আমাদের উভয়পক্ষের প্রস্তাব ও সম্মতিতে যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে সেখানে বাংলাদেশিদের নিজেদের নামে ব্যবসা রেজিস্ট্রেশন না থাকায় তারা রেমিটেন্স পাঠাতে পারে না। সেই অসুবিধা দূর করতে আমরা বাংলাদেশিদের ব্যবসা রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি, তারা এটা বিবেচনায় নিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর
আগামী ৮ থেকে ১১ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দেশের কূটনীতির মূলমন্ত্র 'সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়' উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনারা জানেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের কথাও হয়েছে। চীন আমাদের বড় উন্নয়ন অংশীদার। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সফরটিও আমাদের উন্নয়নকে বেগবান করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এর আগে ফরেন সার্ভিস একাডেমি জার্নাল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পরে তিনি একাডেমির ডিজিটাল লাইব্রেরি উদ্বোধন করেন। এ সময় একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামসের সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, বিনিয়োগের সম্ভাবনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের এফসিডিও'র ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
৫৪৩ দিন আগে
পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ, জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের আশা
কারিগরি সহায়তা, অর্থায়ন ও নীতি নির্দেশনার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (দক্ষিণ-মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া) ইংমিং ইয়াং।
জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে বুধবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এডিবির এই কর্মকর্তা এ আশ্বাস দেন।
এসময় তারা টেকসই পরিবেশ, জলবায়ু সহনশীলতা, বাতাস ও সামুদ্রিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ, কার্বন নির্গমন নিয়ন্ত্রণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সুনীল অর্থনীতির ওপর আলোকপাত করে এডিবি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে চলমান ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
উভয় পক্ষই এই অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশের দূষণের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অব্যাহত সহযোগিতার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা ও টেকসই উন্নয়ন গড়ে তুলতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এক্ষেত্রে এডিবির সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে না পারলে উন্নয়নশীল দেশগুলো পিছিয়ে পড়বে: এডিবি প্রেসিডেন্ট
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছি তা বিশাল এবং বহুমুখী। আমাদের লক্ষ্য পূরণে বলিষ্ঠ আর্থিক ব্যবস্থা, উন্নত প্রযুক্তি ও সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ প্রয়োজন। এডিবির সঙ্গে এই সহযোগিতা আমাদের উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সংস্থান ও বিশেষজ্ঞ সরবরাহে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।’
বাংলাদেশ ও এডিবির মধ্যে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্বের স্বপ্ন দেখেছেন সাবের। তিনি বলেন, 'একসঙ্গে আমরা উদ্ভাবনী সমাধানগুলো খুঁজে বের করতে পারি, আমাদের অভিযোজিত ক্ষমতা বাড়াতে পারি। আমাদের উন্নয়নের গতিপথ সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উভয়ই নিশ্চিত করতে পারি।’
তিনি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী বলেন, 'আমরা আপনাদের সমর্থনকে মূল্য দেই এবং একটি টেকসই ও সহনশীল বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সহযোগিতা গভীর করার প্রত্যাশা করছি।’
মন্ত্রী এডিবির সহায়তার প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষ্যে এডিবি ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের বিষয়টি তুলে ধরা হয় বৈঠকে।
আরও পড়ুন: ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে এডিবিকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৫৪৩ দিন আগে
৯ প্রকল্পে জাইকার সহায়তা ১১৩৪৪ কোটি টাকা, শুরু হচ্ছে আরও ৪ প্রকল্প: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাইকার সহায়তায় ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে৷ প্রকল্পগুলোতে সর্বমোট বরাদ্দ ৩৮ হাজার ৮০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা৷’
তিনি বলেন, ‘যার আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ১১ হাজার ৩৪৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা৷ এছাড়া চলমান অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগের ২২৭টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে৷
বুধবার (৩ জুলাই) বিকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হারা শোহেইয়ের সঙ্গে বৈঠককালে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য তুলে ধরেন তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) বাংলাদেশের অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। জাইকার সহায়তায় বিদ্যমান প্রকল্পগুলোর পাশাপাশি আরও ৪টি প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে।’
প্রকল্পগুলো হল, উপজেলা প্রশাসন এবং উন্নয়ন প্রকল্প-২ (ইউজিডিপি-২), প্রস্তাবিত দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পানি সরবরাহ প্রকল্প, চট্টগ্রাম ওয়াসার অধীন চট্টগ্রাম পয়োনিষ্কাসন প্রকল্প ক্যাচমেন্ট-২ ও ৪ এবং হাওর বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবিকা উন্নয়ন প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়)। প্রস্তাবিত ৪টি প্রকল্পে জাইকার সহায়তার পরিমাণ ২০ হাজার ৫৭৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা হতে পারে৷
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে জাইকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে। স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্থানীয় সড়ক যোগাযোগসহ বিভিন্ন প্রকল্পে জাইকা সহায়তা করছে৷ আশা করছি, এই বৈঠকের মাধ্যমে এই সহায়তা আরও বাড়বে।’
এই সময় জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হারা শোহেই বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে জাইকার যেসব প্রকল্প চলমান, তার উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে, নতুন কিছু প্রকল্পের ব্যাপারেও আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ অর্থনীতিতে অনেক এগিয়েছে, আশা করছি এই ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে চূড়ান্তভাবে বের হয়ে আসবে।’
উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আকতার হোসেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ, জাইকার সাউথ এশিয়া বিভাগের উপমহাপরিচালক সাকুডু শুনসুকে, জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তুমোহিদেসহ জাইকা ও স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকতারা।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের গতির সঙ্গে পরিবেশ দূষণ রোধ জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
৫৪৩ দিন আগে
দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে কাজ নিষ্পন্ন করতে হবে: ফারুক খান
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা গ্রহণ করে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সংস্থার সেবা সমূহ জনগণের কাছে সহজে পৌঁছে দিতে হবে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে কাজ নিষ্পন্ন করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
বুধবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকারের কর্ম সম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অধীন দপ্তর/সংস্থার ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পে দক্ষতা বেড়েছে: ফারুক খান
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, গতিশীলতা বৃদ্ধি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি দপ্তর/সংস্থা চুক্তিতে উল্লেখিত কাজ গুণগত মান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকারের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করব প্রতিটি দপ্তর এই প্রতিশ্রুতি পালনে আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে কাজ করবে।’
ফারুক খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে সারা বছর এই চুক্তিতে উল্লেখিত কাজ কতটা সম্পাদিত হলো তা কঠোরভাবে মনিটর করা হবে। সময়ে সময়ে অগ্রগতি পর্যালোচনা সাপেক্ষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে তাগিদ দেওয়া হবে। যারা সঠিকভাবে ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা এবং বাংলাদেশ সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্ই করেন।
আরও পড়ুন: দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন ও এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি: ফারুক খান
এসআরএফবির সভাপতি ফারুক খান, সম্পাদক আফরিন জাহান
৫৪৩ দিন আগে
ডিএসসিসি ঢাকাবাসীর আস্থার আশ্রয়স্থল: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘ডিএসসিসি ঢাকাবাসীর আস্থার আশ্রয়স্থল।’
নগর ভবন প্রাঙ্গণে বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে নগর ভবন অভ্যর্থনা ও তথ্যকেন্দ্র উদ্বোধনকালে ডিএসসিসি মেয়র এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকাবাসীকে দ্রুততর সময়ে সুষ্ঠুভাবে আরও বেশি সেবা দিতেই নগর ভবন প্রাঙ্গণে ‘অভ্যর্থনা ও তথ্যকেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের পরে পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামের বিরুদ্ধে অভিযান: ডিএসসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, ‘এখানে ঢাকাবাসী সরাসরি এসে জানতে পারবে যে- তার কাজের জন্য কোন জায়গায়, কোন দপ্তরে বা কোন কর্মকর্তার কাছে যেতে হবে, কী করতে হবে। এতে করে জনগণ তার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পেয়ে যাবে এবং সুন্দরভাবে তার কাজ সম্পন্ন করে ফিরে যেতে পারবে। সুতরাং সেবাগুলো যেন আরও সুষ্ঠভাবে নিশ্চিত হয় ও ঢাকাবাসীর দোরগোড়ায় যেন পৌঁছানো যায়, সে জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।’
এই তথ্যকেন্দ্রের সেবা অবারিত রাখতে সিটি করপোরেশন সজাগ থাকবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমাদের প্রশাসনিক সংস্কার যেমন চলমান রয়েছে তেমনি আমরা বিভিন্ন বিভাগে জনবল বৃদ্ধি করেছি। ফলে আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। বর্তমানে কোনো কাজের জন্য আমরা প্রকল্পের ওপর নির্ভর করি না। সব কাজই নিয়মিত সূচি অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করা হয়। এছাড়াও সেবার উৎকর্ষতা বাড়ানের পাশাপাশি সেবার মান যেন প্রতিনিয়ত বাড়ে, সেসব বিষয়ের ওপর আমরা নজর দিয়েছি। সুতরাং এই তথ্যকেন্দ্রের সেবা স্থায়ীভাবেই চালু থাকবে। এখান থেকে ঢাকাবাসী সহজে তাদের সেবা পাবে।’
উপস্থিত ছিলেন, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক হায়দর আলী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: জনঘনত্ব ও ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করলে সুফল পাওয়া যাবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুরক্ষায় এডিসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই: ডিএসসিসি মেয়র
৫৪৩ দিন আগে