বাংলাদেশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের জ্যেষ্ঠ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে সফররত জাপানের জ্যেষ্ঠ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওনো কেইচি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্তরঙ্গ সহযোগী হিসেবে জাপানের ব্যাপক ভূমিকার প্রশংসা করেন। গত মে মাসে দু'দেশের মধ্যে ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট বিষয়ে প্রথম রাউন্ড আলোচনার ফলাফলকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ২০২৬ সালে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উত্তরণের পরও জাপানের অগ্রাধিকার ভিত্তিক বিভিন্ন সুবিধা চালু রাখার প্রক্রিয়ার ওপরও জোর দেন ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জাপানের বিশেষ দূত
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় দেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে জাপানের ভূমিকা বৃদ্ধি এবং চট্টগ্রামের মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানালে জাপানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাপান সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে: জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা
৫৫২ দিন আগে
বাংলাদেশের জন্য ওপেক তহবিলের সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান অর্থমন্ত্রীর
'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণে সহায়তা বাড়াতে ওপেক তহবিলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বেসরকারি খাত পরিচালনার জন্য ওপেক তহবিলের ২৫তম বার্ষিকী সভায় যোগ দিতে বর্তমানে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে সফর করছে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে ওপেক তহবিলের প্রেসিডেন্ট ড. আব্দুলহামিদ আলখলিফার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অর্থমন্ত্রী।
এ সময় তাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বৈঠকে অর্থমন্ত্রী ৩২টি প্রকল্পে ৬৯৩.৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য ওপেক ফান্ডকে ধন্যবাদ জানান।
কোভিডের দুঃসময়ে বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা দিয়ে সহায়তা করার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান।
এছাড়াও বাংলাদেশের বেসরকারি খাতকে সহায়তায় ওপেক তহবিলের উদ্যোগের কথাও স্বীকার করেন মাহমুদ আলী। 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণে আরও সহায়তা দেওয়ার জন্য এই তহবিলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জবাবে ওপেক তহবিলের প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নে তিনি চমৎকৃত।
বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে তিনি আশ্বাস দেন, ওপেক তহবিল নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের জন্য উন্নয়ন সহায়তা বাড়াবে।
এ সময় অর্থমন্ত্রী দেওয়া একটি ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টের ধারণা গ্রহণ করেন ড. আবদুলহামিদ। এ সময় তিনি জানান, বৃহত্তর সহযোগিতার জন্য ওপেক ৩-৫ বছরের জন্য ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট সই করবে।
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আরও ছিলেন- অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান, অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ।
৫৫২ দিন আগে
কম শিক্ষার্থী থাকা বিদ্যালয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: প্রাথমিক শিক্ষা সচিব
কম শিক্ষার্থী থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি প্রায় ১৫০টির কাছাকাছি বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১০ থেকে ৫০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে।’
এ বিদ্যালয়গুলো পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের সঙ্গে চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব।
আরও পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি চালুর জন্য প্রস্তুত আরও ১৫৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়: প্রাথমিক শিক্ষা সচিব
তিনি বলেন, ‘আমরা হুট করে সকল স্কুল বন্ধ করে দেব না।’
সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদান ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কথা বলেন।
কম শিক্ষার্থী থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয় একীভূত করার বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘এটা একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। ইন-জেনারাইলজড সিদ্ধান্ত না। আমাদের ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। আমাদের টার্গেট হলো ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় এলিমেন্টারি স্কুল করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ট্রেন্ডটা দেখছি। বিগত ১০ বছর বা ২০ বছর কোনো স্কুলে ১০ জন বা ২০ জন শিক্ষার্থী থাকে তাহলে আমরা শুধুমাত্র ওই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে স্কুল একীভূত করে দেব না।'
আরও পড়ুন: মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে ৯ম গ্রেড ও শতভাগ পদোন্নতি দাবি এটিইওদের
উদাহরণ দিয়ে সচিব বলেন, ‘রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়খলিয়া ইউনিয়নে একটি স্কুলে ১০ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ১৫ বছর ধরে স্কুলটি চলছে। কিন্তু তার আশেপাশে ৭ থেকে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো স্কুল নাই। সুতরাং ওই স্কুলটি আমরা একীভূত করব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবার বরিশালে রাস্তার এপারে একটি স্কুল আছে, বিপরীতে বা পার্শ্ববর্তী স্কুল আছে। এ স্কুলে ধরেন কয়েকজন শিক্ষার্থী আবার অর্ধ কিলোমিটারের মধ্যে ২০০- এর কাছাকাছি শিক্ষার্থী। ওই স্কুলটা আমরা একীভূত করে দেব।'
ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, ‘এটা একইধরনের (ইন-জেনারেলাইজড) সিদ্ধান্ত হবে না। চাহিদা ও স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনা করে সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেব।'
আরও পড়ুন: জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পালিত হবে ১২ মার্চ
সিটিজেন সেবা মডিউলে থাকবে সব তথ্য
সচিব বলেন, ‘আমরা ইন্টিগ্রেটেড প্রাইমারি এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফর্মেশন সিস্টেম চালু করেছি। এটা আমাদের এক থেকে দেড় বছরের সাধনার ফল। এটাকে বলছি ওয়ান স্মার্ট প্ল্যাটফর্ম অল ডিজিটাল সার্ভিস।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিদ্ধান্তের আওতায় একটি মডিউল সংযোজন করেছি। সেটি হচ্ছে, সিটিজেন সেবা মডিউল। যে সব তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ ও প্রচারযোগ্য সেসব তথ্য-উপাত্ত এখানে পাবেন।’
সচিব বলেন, ‘আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে এটা সম্পন্ন (কমপ্লিট) হবে। সেখানে জরাজীর্ণ ভবন থেকে শুরু করে সব ধরনের তথ্য থাকবে।’
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বই ছাপানোর পরিকল্পনা
জুলাইয়ে ঢাকার ১০টি নতুন স্কুল ভবন উদ্বোধন
এই মুহূর্তে সারাদেশে ৮১ শতাংশ স্কুলে নতুন ভবন হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘এখনো আমাদের ২০ শতাংশের মতো জরাজীর্ণ ভবন রয়েছে। ঢাকা শহরের কথা আমরা বলতে পারব। ঢাকা শহরে ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বতন্ত্র স্থাপত্য শৈলীতে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি আগামী জুলাই মাসে ঢাকার ১০টি স্কুল প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করাব। ইতোমধ্যে দুই শতাধিক বিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান আমরা অনুমোদন করেছি। ৫০টি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলমান আছে। আগামী আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যে ঢাকা শহরের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় দৃষ্টিনন্দন বিদ্যালয়ে পরিণত হবে।’
সচিব আরও বলেন, ‘এটাকে আমরা পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করছি, যদি সরকারের অনুমোদন পাই, আমরা সামনের দিকে যাব। জড়াজীর্ণ ভবনগুলো ভেঙে নতুন নির্মাণ আমাদের অগ্রাধিকার।’
আরও পড়ুন: নতুন বইয়ের আনন্দে শিশুরা আলোকিত বাংলাদেশ গড়বে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
৫৫২ দিন আগে
পদ্মা সেতুতে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা টোল আদায় করা হয়েছে: কাদের
পদ্মা সেতুতে ১ কোটি ২৭ লাখ যানবাহন থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা টোল আদায় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সেতু ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, এর মধ্যে ৬টি কিস্তিতে অর্থ বিভাগকে ৯৪৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৭ জুন সপ্তম ও অষ্টম কিস্তিতে ৩১৪ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থ বিভাগকে দেওয়া হবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণে দেড় হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু প্রমাণ করে আ. লীগ কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী: কাদের
৫৫২ দিন আগে
চীনের স্বপ্ন ও সোনার বাংলা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত: লিউ জিয়ানচাও
বাংলাদেশে সফররত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও আগামী জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরের তাৎপর্য তুলে ধরেছেন। পারস্পরিক স্বার্থে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রসমূহে সম্পৃক্ততা সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) ঢাকায় চীনের দূতাবাসে এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সফররত চীনের মন্ত্রী এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, 'আমি নিশ্চিত, এই সফরে আমাদের সম্পর্ক আবার উন্নত হবে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) অসামান্য অবদানের জন্য আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ।’
মন্ত্রী জিয়ানচাও বলেন, আজ চীন ও বাংলাদেশ আরও ও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব ও বন্ধুত্বের জন্য নতুন ভিত্তি তৈরি করছে, কারণ উভয় দেশ দ্রুতই উন্নতি করছে। একই সঙ্গে উভয় সরকারই জনগণের জন্য আধুনিকীকরণ যাত্রায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ঐতিহাসিক গভীরতা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ওপর জোর দিয়ে বলেন, প্রতিবেশী কূটনীতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক সবসময়ই চীনের অন্যতম অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়, যা দুই নেতার দিকনির্দেশনায় ক্রমাগত অগ্রগতি অর্জন করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় মুক্তি ও স্বাধীনতার লড়াইয়ের সময় দুই দেশের জনগণের মধ্যে দৃঢ় বন্ধুত্ব ও বিশ্বাস গড়ে উঠেছে। এই বন্ধুত্বের শুরুটা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
আরও পড়ুন: জিডিসির সমাপনী অধিবেশনে ডিজিটাল রূপান্তরে বিমসটেকের সহযোগিতার আহ্বান ঢাকার
রাজধানীর রেনেসাঁ হোটেলে 'লুকিং টুয়ার্ডস দ্য ফিউচার অব চায়না-বাংলাদেশ রিলেশনস: এ কনভারসেশন উইথ দ্য সিপিসি ডেলিগেশন: শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করে ঢাকাস্থ চীনের দূতাবাস।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা এবং ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ ও মিডিয়া কমিউনিটির প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গিনির্ভর আলোচনায় অংশ নেন এবং অন্যান্য বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন এমন বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, এই অনুষ্ঠান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উদযাপনের চেয়েও বেশি কিছু; গভীর সংযোগ গড়ে তোলা এবং পারস্পরিক বৃদ্ধির পথগুলো অন্বেষণ করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। তিনি বলেন, 'চীন ও বাংলাদেশ সৌহার্দ্যের একটি ধারাবাহিকতা বজায় রাখে যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে লালিত হচ্ছে।’
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, 'আমাদের সম্পর্ক উন্নয়নের অবস্থা আমাদের যৌথ প্রচেষ্টা এবং আমাদের জনগণের সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষার ফল। এই সংলাপ আমাদের অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেল হিসাবে কাজ করে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
উদ্বোধনী বক্তব্যে লিউ জিয়ানচাও বাংলাদেশ সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, 'এখানে আসার আগে থেকেই আমি এই সফর নিয়ে সত্যিই রোমাঞ্চিত ছিলাম। শুধু তাই নয় যে আমি কখনো বাংলাদেশে আসিনি, বরং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমি এই মহান দেশটির অর্থনৈতিক বিস্ময়ের কথা শুনে আসছি। গত দুই-তিন দিন ধরে আমি ঘুরে বেড়িয়েছি, স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি, চীনের চুক্তিবদ্ধ বা সমর্থিত পদ্মা সেতু ও বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর প্রকল্প পরিদর্শন করেছি।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
তিনি বলেন, 'আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, চীন-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব ও বন্ধুত্ব অত্যন্ত দৃঢ় রয়েছে। আগামী বছর আমরা ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছি, যা আমাদের দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্কের অর্ধ-শতাব্দী।’
তিনি আরও বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে উভয় দেশ ধারাবাহিকভাবে একে অপরকে সম্মান, বিশ্বাস ও সমর্থন দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, 'আমাদের সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে সমতা, পারস্পরিক সুবিধা ও শ্রদ্ধা এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। চীনের স্বপ্ন এবং সোনার বাংলা একে অপরের সঙ্গে একাত্ম এবং একে অপরের সাফল্যকে কাজে লাগাতে পারে।’
তিনি ২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করেন। সেসময় এই সম্পর্ক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বে উন্নীত হয়েছিল। তিনি গত আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রেসিডেন্ট শি এবং প্রধানমন্ত্রী হাসিনার মধ্যে বৈঠকের কথাও তুলে ধরেন। সেসময় বৈঠকে তারা কৌশলগত যোগাযোগ জোরদার, উচ্চমানের বেল্ট রোড ইনিশিয়েটিভ প্রচার এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের বিনিময় এবং বহুপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছিলেন।
লিউ জিয়ানচাও বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার বাস্তব সুফল তুলে ধরেন। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ ১৪টি বড় অবকাঠামো প্রকল্প ব্যবহার করা হয়েছে বা দ্রুত অগ্রগতি হয়েছে। এই প্রকল্পগুলো আমাদের দুই দেশের জনগণের জন্য প্রকৃত সুবিধা প্রদান করেছে এবং আমাদের ভবিষ্যত সহযোগিতার জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি হিসাবে কাজ করেছে।’
তিনি ভিশন-২০৪১ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চীনের প্রস্তুতির কথা ব্যক্ত করে অবকাঠামো, ডিজিটাল অর্থনীতি, ক্লিন এনার্জি, জলবায়ু প্রতিক্রিয়া এবং শিল্প উন্নয়নে ব্যাপক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরে চীনের কূটনৈতিক নীতির রূপরেখা তুলে ধরেন মন্ত্রী।
লিউ জিয়ানচাও ব্যাখ্যা করে বলেন, 'অন্য দেশের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লেনদেন করার ক্ষেত্রে আমরা তিনটি প্রধান নীতি সমুন্নত রাখি। প্রথমত, আমরা কখনই মতাদর্শগত সীমা নির্ধারণ করি না এবং সে কারণেই সারা বিশ্বে আমাদের বন্ধু রয়েছে। দ্বিতীয়ত, অন্য দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তারা ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক। তৃতীয়ত, আমরা মতপার্থক্য দূর করা, একে অপরকে সম্মান করা এবং একে অপরের কাছ থেকে শেখার সময় সাধারণ ভিত্তি খোঁজার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি উল্লেখ করেন, চীন পারস্পরিক বোঝাপড়া, বিশ্বাস ও বন্ধুত্ব বৃদ্ধি করে বাংলাদেশের অনেক রাজনৈতিক দলের নেতাদের চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ এমপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফর নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘চীন প্রতিটি উন্নয়নশীল দেশের রোল মডেল এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিপিসির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে এবং এটিই বিশ্বের একমাত্র রাজনৈতিক দল যার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ সমঝোতা স্মারক সই করেছে।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ইতালির পররাষ্ট্রসচিবের সৌজন্য সাক্ষাৎ
৫৫২ দিন আগে
অষ্টম শ্রেণি চালুর জন্য প্রস্তুত আরও ১৫৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়: প্রাথমিক শিক্ষা সচিব
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার জন্য দেশের আরও ১৫৪ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেছেন, আগামী তিন বছরে আরও এক হাজার বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার অবকাঠামো আছে।
সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদান ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৫ জুন) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কথা বলেন।
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘সিদ্ধান্তহীনতা কাটিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করার বিষয়ে আবারও তৎপর সরকার।’
মৌলিক শিক্ষা অধিকার: প্রাথমিক থেকে নিম্ন-মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণে কাজ করবে দুই মন্ত্রণালয়
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি চালুর অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে বলা আছে যে, প্রাথমিক শিক্ষা হবে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। এটি পর্যায়ক্রমে হবে। এটি আসলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের ব্যাপার।’
তিনি বলেন, ‘এখানে পলিসি মেকিংয়ে (নীতি নির্ধারণ) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের সিদ্ধান্তে আমরা ৬৯৫ স্কুলে অষ্টম শ্রেণি চালু করেছি। আমরা ৭০০-এর বেশি স্কুলে চালু করেছিলাম। তবে একসময় সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগার কারণে নতুন স্কুলগুলো অন্তর্ভুক্ত করিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয় সভায় আবারও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ধারাবাহিকভাবে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত ও শতভাগ অবৈতনিক করা।’
‘আমরা হিসেব করে দেখেছি, ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫ হাজারের কাছাকাছি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করতে পারি। এছাড়া মাধ্যমিকে ২৩ হাজারের কছাকাছি নিম্ন মাধ্যমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে, সেগুলো যদি তারা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক করতে পারে, তাহলে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’
ফরিদ আহাম্মদ আরও বলেন, ‘এটা করতে হলে তিনটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে- অবকাঠামো, শিক্ষক নিয়োগ ও পদ সৃজন এবং তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। কারণ আমরা আমাদের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেই পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত।’
সচিব বলেন, ‘আমরা মাঠ পর্যায় থেকে যে তথ্য উপাত্ত পেয়েছি, তাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে এই মুহূর্তে আরও ১৫৪ স্কুলে অষ্টম শ্রেণি চালু করতে পারি। পাশাপাশি আগামী তিন বছরে আরও এক হাজার স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার মতো অবকাঠামো আছে। এটি একটি ধারাবাহিক ও নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়া।’
কবে নাগাদ সব স্কুলে পুরোপুরি অষ্টম শ্রেণি চালু হবে হবে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এর সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত। অবকাঠামো, শিক্ষক নিয়োগ ও পদ সৃজন এবং তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়গুলো রয়েছে। এই কাজগুলো আমরা শুরু করেছি। আগামী তিন বছরের একটা টার্গেট নিয়ে কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, “আমরা ‘স্মার্ট প্রাইমারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম-৫’ এর দিকে যাচ্ছি। সেখানেও এ বিষয়টিকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি যাতে অবকাঠামো সুবিধা বৃদ্ধি, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক-কর্মচারীর পদ সৃষ্টি ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে। পিডিপি-৫ এর কাজ শুরু হলে এই কাজ আরও ত্বরান্বিত হবে।’
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ছে
ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ মাসের জন্য স্থগিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম: হাইকোর্ট
৫৫২ দিন আগে
সুনীল অর্থনীতি এগিয়ে নিতে সরকার বদ্ধপরিকর: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সরকার আরও বেশি বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এবং এদেশকে স্মার্ট ও উন্নত করে তুলতে হাইড্রোগ্রাফি, সমুদ্র বিজ্ঞান এবং সুনীল অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বদ্ধপরিকর।’
মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু মিলিটারি মিউজিয়ামে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আয়োজিত ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে দিনব্যাপী সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, পানি বিশেষজ্ঞ ও ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটরস অধ্যাপক ড. আইন নিশাত এবং ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফি কমিটির চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আনোয়ার হোসেন বক্তৃতা দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গোপসাগরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাংলাদেশের একচ্ছত্র সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত হয়েছে। সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি সুবিশাল অর্থনৈতিক এলাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সুনীল অর্থনীতি বিকাশের লক্ষ্যে যেসব বহুমুখী উদ্যোগ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, তার অবারিত সুফল ভোগ করবে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। আর এ লক্ষ্যে সব প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং কারিগরি বিষয়ে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভিসকে সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।’
‘বিশ্বের উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আধুনিক হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ জাহাজ এবং স্মার্ট সরঞ্জাম সংযোজন করে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সুনীল অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের শাসনামলে পায়রা সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো মেগা প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল পাওয়ার প্ল্যান্ট, নতুন এলএনজি টার্মিনাল, অফশোর রিনিউয়েবল এনার্জি প্রকল্প, সমুদ্র তলদেশের তেল ও গ্যাস সাপ্লাই পাইপলাইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সেমিনার আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশের মেরিটাইম সেক্টরের অংশীজন এবং নীতি নির্ধারকদের মধ্যে সমন্বয় আরও সুদৃঢ় হবে। সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং সমুদ্রকে নিরাপদ ও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে দেশের সমুদ্র ব্যবহারকারী সব সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
সেমিনারের মূল প্রতিপাদ্য ছিল, হাইড্রোগ্রাফিক ইনফরমেশন- এনহ্যান্সিং সেফটি, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড সাস্টেইন্যাবিলিটি ইন মেরিন অ্যাক্টিভিটিস।
৫৫২ দিন আগে
তিস্তা প্রকল্পে সবচেয়ে লাভজনক প্রস্তাবটিই গ্রহণ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের জন্য কোনটি সবচেয়ে লাভজনক হবে তা বিবেচনা করে তিস্তা মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের অর্থায়ন প্রস্তাব গ্রহণ করবে সরকার।
তিনি বলেন, ‘আমরা তিস্তা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এতে অর্থায়নের জন্য চীন ও ভারত পৃথক প্রস্তাব দিয়েছে। অবশ্যই সেই প্রস্তাব গ্রহণ করতে হবে, যা আমাদের দেশের জনগণের জন্য আরও লাভজনক হবে।’
সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুন) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ভারতে দল-মত নির্বিশেষে সবার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক আছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীন এরইমধ্যে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে এবং ভারতও একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করবে।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা সেটিই বেছে নেব যা আমাদের জন্য সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও লাভজনক।’
ভারত তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'যেহেতু ভারতের সঙ্গে আমাদের তিস্তার পানির দাবি দীর্ঘদিনের, তাই ভারত আমাদের তিস্তা প্রকল্প করলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
ভারত তাদের টেকনিক্যাল টিম পাঠাবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় দল এবং বাংলাদেশ যৌথভাবে এটি মূল্যায়ন করবে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে তার বিষয় নিয়ে বিতর্কের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
এর আগে গত ২১ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর এই প্রথম কোনো সরকার প্রধানের ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর হলো।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং কাজী জাফরউল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।
আরও পড়ুন: ভারত সফর সংক্ষিপ্ত, কিন্তু অত্যন্ত ফলপ্রসূ: সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
৫৫২ দিন আগে
ভারতে দল-মত নির্বিশেষে সবার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক আছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতের দল-মত নির্বিশেষে সবার সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সম্প্রতি ভারত সফরের ফলাফল নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ভারতে দল-মত নির্বিশেষে সকলের সঙ্গে আমার একটা সুসম্পর্ক আছে।’
ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে ইউএনবির নাহার খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশেষ করে সোনিয়া গান্ধী ও তাদের সন্তান এবং ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে তার বিষয় নিয়ে বিতর্কের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘প্রণববাবু ও তার সন্তানদের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক বন্ধন রয়েছে। ইন্দিরা গান্ধীর পরিবার এবং আমাদের পরিবারের মধ্যে একটি পারিবারিক বন্ধনও রয়েছে, যা রাজনীতি ও সব কিছুর ঊর্ধ্বে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুন নয়া দিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী।
লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর এই প্রথম কোনো সরকার প্রধানের ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর অনুষ্ঠিত হলো।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং কাজী জাফরউল্লাহ মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: ভারত সফর সংক্ষিপ্ত, কিন্তু অত্যন্ত ফলপ্রসু: সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
৫৫২ দিন আগে
ড. ইউনূসকে তার বিষয় নিয়ে বিতর্কের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তার বিষয়ে বিতর্কের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এতে ঈর্ষান্বিত হওয়ার কিছু নেই। তিনি মাঠে এসে আমার সঙ্গে বিতর্ক করতে পারেন, যেমনটি যুক্তরাষ্ট্রে হয়ে থাকে।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার ভারত সফরের ফলাফল নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ইউনূস তার কাছ থেকে বেশিরভাগ আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা গ্রহণ করেছিলেন। এটা ঠিক যে আমরা তাকে উপরে তুলেছি।’
আরও পড়ুন: ভারত সফর সংক্ষিপ্ত, কিন্তু অত্যন্ত ফলপ্রসু: সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রিত্ব একটি সাময়িক বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা কারো প্রতি ঈর্ষা বোধ করে না। শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে। অন্তত এই অবস্থানে কেউ আসতে পারবে না। আমিতো এটি নিয়ে গর্বিত বোধ করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় দেশের স্বার্থ রক্ষা করি। আমি কখনও দেশ বা দেশের স্বার্থ (কারও কাছে) বিক্রি করি না।’
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি মাথা উঁচু করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং দেশের মানুষের জন্য সর্বদা কাজ করে যাচ্ছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুন নয়া দিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী।
লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর এই প্রথম কোনো সরকার প্রধানের ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর অনুষ্ঠিত হলো।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
৫৫২ দিন আগে