বাংলাদেশ
৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডে মাল্টিপারপাস শেড ‘হল ৪৬’ উদ্বোধন করেছেন সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ঢাকা সেনানিবাসস্থ ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের নতুন মাল্টিপারপাস শেড ‘হল ৪৬’ এর উদ্বোধন করেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) উদ্বোধন হওয়া মাল্টিপারপাস শেডটি জাতীয় ও সেনাবাহিনী পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ যেকোনো দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হবে।
হলটির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফ, সেনা সদরের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের কর্মকর্তা, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
৫৬৪ দিন আগে
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপি বাস্তবায়ন হার প্রায় শতভাগের প্রত্যাশা
২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১২ জুন পর্যন্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন হার শতকরা ৯৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। ৩০ জুন পর্যন্ত এ হার শতকরা ৯৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ইতিহাসে প্রায় শতভাগ এডিপি বাস্তবায়নের এই হার এই প্রথম।
বুধবার (১২ জুন) রাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে স্মার্ট প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় আরও জানানো হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ডাক অধিদপ্তর, বিটিসিএল, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলোর ১২টি প্রকল্পের প্রকল্প প্রায় শতভাগ বাস্তবায়ননের এই সফলতা অর্জিত হয়।
বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে জনগণের প্রয়োজনীয়তা, প্রকল্পের রিটার্ন কী হবে এবং যথার্থতা কী এই ৩টি বিষয় কঠোরভাবে মেনে প্রকল্প গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে সততা, দক্ষতা ও জবাবদিহি অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: বিটিসিএলের সম্পদের লাভজনক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে: পলক
এর আগে তিনি গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এডিপি বৈঠকে চলতি অর্থবছরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এডিপি বাস্তবায়ন হার শতভাগ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তার এ নির্দেশ যথাযথভাবে বাস্তবায়নে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অভিযাত্রা আমরা শুরু করেছি।’
তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ ৪টি মূল স্তম্ভ ইতোমধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয় তুলে ধরেছেন। স্তম্ভগুলো হচ্ছে- স্মার্ট নাগরিক তৈরি করা, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এই ৪টি স্তম্ভ শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে আগামী ৫ বছরে এই মন্ত্রণালয় কী করবে তা ৩টি ধাপে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। আমরা ৩টি খাতকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিচ্ছি। সেটি হচ্ছে আমাদের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা, বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।’
সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসি, ডাক অধিদপ্তর, বিটিসিএল, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর,সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, টেলিটকসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা প্রধানগণ এবং বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৩ বছরেই সফল ইউনিকর্ন স্টার্টআপ নগদ: প্রতিমন্ত্রী পলক
৫৬৪ দিন আগে
শিশুশ্রম বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বিশ্বজুড়ে দেশটির কূটনীতিকরা উচ্চ শ্রম মান নিশ্চিত করতে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে শ্রমিকদের কণ্ঠস্বর পৌঁছাতে এবং জোরপূর্বক শ্রম ও সংগঠিত হওয়ার অধিকার অস্বীকারসহ অন্যায্য শ্রম অনুশীলনের বিরুদ্ধে নিয়ম প্রয়োগ করতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা করে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্য এই পদক্ষেপগুলো শিশুশ্রমের সবচেয়ে খারাপ অবস্থাগুলো দূর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
বুধবার বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসে যুক্তরাষ্ট্র পুনর্ব্যক্ত করেছে, শিশুদের অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ বা অপরাধমূলক শোষণের শিকার করা উচিৎ নয়।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের ১১ শতাংশ শিশু এমন কাজে জড়িত যা তাদের স্বাস্থ্য ও বিকাশের জন্য বিপজ্জনক, তাদের শিক্ষায় হস্তক্ষেপ করে, অনেক বেশি ঘণ্টা বা খুব ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের
মিলার বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী শিশুশ্রম নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র বদ্ধপরিকর। বিশ্বজুড়ে মার্কিন দূতাবাসগুলো শিশুশ্রমের সবচেয়ে খারাপ অবস্থাগুলো এবং শিশুশ্রম বা জোরপূর্বক শ্রম থেকে উৎপাদিত পণ্যগুলোর তালিকা প্রস্তুত করতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে অন্যান্য দেশও এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে সহায়তা করে।’
তিনি বলেন, শিশুশ্রমের সবচেয়ে খারাপ অবস্থার অবসান ঘটাতে প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের ক্ষমতায়নের জন্য বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে শান্তিরক্ষীরা যাতে শান্তি ও নিরাপত্তা এগিয়ে নিতে পারে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ব্লিঙ্কেন
এর মধ্যে রয়েছেএই লড়াইয়ে সমস্ত মূল অংশীদার সরকার, শ্রমিক, নিয়োগকর্তা ও শ্রম সংগঠনগুলোর সঙ্গে জড়িত হওয়া। বিশ্বব্যাপী শ্রমিক ক্ষমতায়ন, অধিকার এবং উচ্চ শ্রম মানদণ্ডের অগ্রগতির বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের স্মারকলিপি দেশে ও বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও প্রচারের জন্য মার্কিন নীতিকে শক্তিশালী করে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘আসুন আমাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী কাজ করি: শিশুশ্রম বন্ধ করি!’
এ বছর বিশ্ব দিবসটি ‘ওরস্ট ফর্মস অব চিলড্রেন লেবার কনভেনশন’ গ্রহণের ২৫ বছর পূর্তি উদযাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
এটি শিশুশ্রম সম্পর্কিত দুটি মৌলিক কনভেনশনের বাস্তবায়ন উন্নত করার জন্য সব অংশীজনদের স্মরণ করিয়ে দেওয়ার একটি সুযোগও উপস্থাপন করে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র: পরিবেশমন্ত্রী
৫৬৪ দিন আগে
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা
আসন্ন ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বুধবার (১২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অধিবেশনে কোরবানির পশুর প্রাপ্যতা ও পরিবহন, বাজার ব্যবস্থাপনা, অনলাইন মনিটরিং এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ বেশ কয়েকটি মূল বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
ঈদুল আজহায় মূল পদক্ষেপসমূহ
কোরবানির পশু : এ বছর কোরবানির পশুর পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। উদ্বৃত্তের কারণে ন্যায্যমূল্যে পশু পাওয়া যাবে বলে সভায় জোর দেওয়া হয়। ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ এই প্রাণিগুলোর প্রাপ্যতা এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি কৃত্রিম ঘাটতি রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বাজার ও পরিবহন: অননুমোদিত অস্থায়ী পশুর হাট স্থাপন ঠেকাতে স্থানীয় সরকার পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করছে। প্রতারণা রোধে ক্রেতা, বিক্রেতা ও পরিবহন যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকসহ ১৪ আসামি পলাতক: প্রধানমন্ত্রী
ঈদ যাত্রা: জালিয়াতি ও হয়রানি রোধসহ রেলের টিকিট সংক্রান্ত বিষয়গুলো সমাধানের জন্য মুখ্য সচিব রেলসচিবকে নির্দেশ দেন। যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নিয়ে সড়ক-মহাসড়কে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভ্রমণের চাপ কমাতে এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএর মতো ব্যবসায়ীদের শ্রমিকদের ছুটি দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ওভারলোডিং রোধ এবং জাহাজের ফিটনেস নিশ্চিত করতে নৌযানগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদকে অবশ্যই কোরবানির পশু জবাই ও বর্জ্য নিষ্পত্তির নির্দেশনা কার্যকর করতে হবে।
কাঁচা চামড়া ব্যবস্থাপনা: কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া ভালোভাবে সরবরাহ ও চাহিদা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঈদের পর কমপক্ষে ১০ দিন ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে না বলেও শর্ত দেওয়া হয়েছে।
পশুর হাট, পরিবহন ও সার্বিক উৎসব নির্বিঘ্ন করতে ঈদুল আজহাকে সবার জন্য নিরাপদ ও আনন্দময় করার লক্ষ্যে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব নেতাদের জোটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে চায় গ্লোবাল ফান্ড
৫৬৪ দিন আগে
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ সফল: আইজিপি
পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে পুলিশ সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
বুধবার (১২ জুন) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ত্রৈমাসিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
পুলিশকে আত্মতুষ্টিতে না ভুগতে এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে আরও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে যেতে আহ্বান জানান আইজিপি।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সন্ত্রাসীদের সম্ভাব্য হুমকির বিরুদ্ধে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
পুলিশ প্রধান বলেন, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার মাধ্যমেই জনগণের আস্থা অর্জন করেছে পুলিশ বাহিনী।
পুলিশ কর্মকর্তাদের এই ইতিবাচক অবস্থান বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় ফৌজদারি মামলায় সাজার হার বাড়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন আইজিপি।
সম্মেলনে ২০২৪ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের জাতীয় অপরাধ পরিসংখ্যানের একটি সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. আতিকুল ইসলাম।
সম্মেলনে আরও ছিলেন- অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
৫৬৪ দিন আগে
নড়াইলে অপহরণ-হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
নড়াইলে হত্যা ও অপহরণ মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে এক লাখ করে টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১২ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলমাচ হোসেন মৃধা এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল এলকার মৃত আবুল খায়ের মোল্যার ছেলে আনারুল মোল্যা,মরিচপাশা এলকার মৃত মোক্তার সর্দারের ছেলে জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া ও আড়পাড়া এলাকার মো. আবু বকর শিকদারের ছেলে নাজমুল শিকদার।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়,২০১৮ সালের ২৩ জুন সকাল ৭টায় লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের আব্দুস সালাম মোল্যার ছেলে পলাশ মোল্যাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান পার্শ্ববর্তী গ্রামের আনারুল মোল্যা,জিনারুল ইসলাম এবং মো.নাজমুল শিকদার। তারা ৪০ হাজার টাকায় ইজিবাইক কিনে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে পলাশ মোল্যাকে অপহরণ করে। পরে ২৬ জুন মাগুরা জেলার সদর থানার ধানখোলা গ্রামের জাহাঙ্গীরের পাটক্ষেত থেকে অজ্ঞাত হিসেবে তার লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: যশোরে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
পরে ৮ জুলাই পলাশ মোল্যার পরিবার লাশ শনাক্ত করে।
এ ঘটনায় নিহত পলাশের ভাই আহাদ আলী বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করে।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এমদাদুল ইসলাম বলেন,অপহরণ ও হত্যা মামলায় আনারুল মোল্যা,নাজমুল শিকদার ও তারা মিয়াকে ৩০২ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
৫৬৪ দিন আগে
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ১০ ক্যাটাগরিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ওমান
ওমান সালতানাত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ১০টি ক্যাটাগরির ওপর থেকে সাময়িক ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলে ঘোষণা করেছে ঢাকায় ওমানের দূতাবাস।
দূতাবাসের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিষেধাজ্ঞামুক্ত ভিসাগুলো হলো- অফিসিয়াল ভিসা, পারিবারিক ভিসা, জিসিসি দেশগুলোতে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিজিটর ভিসা এবং প্রকৌশলী, ডাক্তার, নার্স, শিক্ষক, হিসাবরক্ষক, বিনিয়োগকারী ও উচ্চ আয়ের পর্যটকদের ভিসা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের ওমানের ভিসা স্থগিতের সিদ্ধান্তটি কোনোভাবেই রাজনৈতিক নয়: ওমান দূতাবাস
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে রয়্যাল ওমানি পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে এই ক্যাটাগরিগুলোর ভিসার সব আবেদন ও নথিপত্র জমা নেওয়া এবং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে স্থানীয় দূতাবাস।
এছাড়াও দূতাবাস আশ্বাস দিয়েছে, ওয়ার্ক ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে ওমান ও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ দুই পক্ষই কাজ করছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ওমানের সামগ্রিক অভিবাসন নীতি পর্যালোচনা করতে দাপ্তরিক উদ্দেশ্য ছাড়া সব ভিসা বিভাগের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল রয়্যাল ওমানি পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি নাগরিকদের সব ধরনের ভিসা প্রদান স্থগিত করেছে ওমান
৫৬৪ দিন আগে
বিশ্ব নেতাদের জোটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে চায় গ্লোবাল ফান্ড
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্লোবাল ফান্ডের শীর্ষ জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় গ্লোবাল ফান্ড ও স্টপ টিবি পার্টনারশিপ।
বুধবার (১২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান গ্লোবাল ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক পিটার স্যান্ডস এবং স্টপ টিবি পার্টনারশিপের নির্বাহী পরিচালক ড. লুসিকা দিতিউ।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা তাদের জোটের নেতাদের তালিকায় রয়েছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, এই দুটি সংস্থা মূলত বাংলাদেশে যক্ষ্মা, এইচআইভি ও ম্যালেরিয়া এবং এর অর্থায়ন নিয়ে কাজ করে।
তিনি আরও বলেন,‘তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক সম্প্রসারণ ও গভীর করতে চান।’
প্রেস সচিব নাইমুল বলেন, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্ব নেতাদের যোগাযোগ ও নেটওয়ার্ককে তাদের তহবিল সংগ্রহের জন্য কাজে লাগাতে চান।
নাইমুল বলেন, দুই নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, যক্ষ্মা, এইচআইভি ও ম্যালেরিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর গভীর জ্ঞান বিস্ময়কর।
তিনি উল্লেখ করেন, পার্বত্য এলাকা ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকায় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং বাংলাদেশের এইচআইভি পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এসব অর্জন তুলে ধরবেন।’
আগামী দিনে তাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান তারা।
তারা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘আপনি এলে বাংলাদেশের সাফল্যগুলো বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা হবে। আর এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দাবি আরও জোরদার হবে।’
তারা উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যেই এই সাফল্য অর্জন করেছে। যদি আরও সহায়তা পায় তবে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে আরও সফল হবে বাংলাদেশ এবং এর মাধ্যমে এই রোগগুলো নির্মূল হবে।আরও পড়ুন: প্রতিটি গ্রামকে নাগরিক সুবিধার আওতায় আনা হবে: প্রধানমন্ত্রী
গ্লোবাল ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক পিটার স্যান্ডস এবং স্টপ টিবি পার্টনারশিপের নির্বাহী পরিচালক ড. লুসিকা দিতিউ দাবি করেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যায়।
নাঈমুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংখ্যার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের তা খতিয়ে দেখতে বলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের তথ্য অনুযায়ী দেশে প্রতি বছর ২৬ থেকে ২৭ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যান।
নাইমুল খান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যক্ষ্মায় মৃত্যুর সংখ্যা বের করতে একটি জরিপের নির্দেশ দিয়েছেন।’
এক্ষেত্রে গ্লোবাল ফান্ড বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
তারা যক্ষ্মা দ্রুত শনাক্ত করতে এআই সংযোজিত হাই-টেক এক্স-রে মেশিনের মাধ্যমে দেশে ভ্রাম্যমাণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাহী পরিচালকরা দেশের এইচআইভি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, 'এইচআইভি সম্পর্কিত বিষয়গুলো মোকাবিলায় আমাদের প্রচেষ্টা বন্ধ করা উচিত হবে না, যদিও বাংলাদেশ এই ইস্যুতে খুব ভালো কাজ করছে। এতে যেন আত্মতুষ্টি তৈরি না হয়, যা দুঃসংবাদ বয়ে আনতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সচেতনতামূলক কর্মসূচি আরও জোরালোভাবে অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে বাংলাদেশের অর্জন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং দেশকে আরও ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারি।
আরও পড়ুন: জিসিএ লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, যক্ষ্মার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে অপুষ্টি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, তারা এই সাফল্যকে ধরে রাখতে আগ্রহী এবং বাংলাদেশের জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করতে প্রস্তুত।
কমিউনিটি ক্লিনিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কার্যক্রম এবং এটি কীভাবে সহায়তা করছে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন।
সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন
এইচআইভি, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়াকে পরাজিত করতে এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যকর, নিরাপদ ও সমতাভিত্তিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে গ্লোবাল ফান্ড বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে।
তারা মারাত্মক সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই এবং অন্যায়কে রুখে দিতে সহায়তা দেওয়াসহ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০০টিরও বেশি দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং মহামারি মোকাবিলার প্রস্তুতির গ্রহণের জন্য বছরে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ সংগ্রহ ও বিনিয়োগ করে।
২০২২ সালে এইচআইভি, টিবি এবং ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ, কোভিড-১৯ রেসপন্স মেকানিজম (সি১৯ আরএম) কার্যক্রমকে সমর্থন এবং স্বাস্থ্যের জন্য সিস্টেমগুলোকে শক্তিশালী করতে রেকর্ড ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিতরণ করেছে গ্লোবাল ফান্ড।
তারা বিশ্ব নেতা, সম্প্রদায়, নাগরিক সমাজ, স্বাস্থ্যকর্মী এবং বেসরকারি খাতকে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে এমন সমাধান খুঁজে বের করতে এবং বিশ্বব্যাপী তাদের তুলে ধরতে একত্রিত করে।
স্টপ টিবি পার্টনারশিপ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেস (ইউএনওপিএস) -এর সহযোগিতায় পরিচালিত।
এটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পার্টনারশিপ ১ হাজার ৬০০ অংশীদার সংস্থাকে একত্রিত করে।
আরও পড়ুন: গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকসহ ১৪ আসামি পলাতক: প্রধানমন্ত্রী
৫৬৪ দিন আগে
শিক্ষা প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে ইউএনডিপি
পার্বত্য চট্টগ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।
বুধবার (১২ জুন) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
পাশাপাশি ইউএনডিপি শিক্ষা প্রশাসনের গতিশীলতা ও পরিচালন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শিক্ষাক্ষেত্রে এক্সেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) মাধ্যমে চলমান কার্যক্রমসমূহ আরও বেগবান করতেও কাজ করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নিযুক্ত ইউএনডিপিয়ের অ্যাসিসট্যান্ট রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ সর্দার এম আসাদুজ্জামান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপিয়ের স্ট্রাটেজিক কমিউনিকেশনস অ্যান্ড আউটরিচ অফিসার কিরতিজাই পেহরি প্রমূখ।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীলতা জোরদারে ইউএনডিপির সঙ্গে ফ্রান্সের ১.২ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি
জ্বালানি খাতে সবুজ রূপান্তর সংলাপে ইউএনডিপির শুভ্চ্ছোদূত
৫৬৪ দিন আগে
বেনজীর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও জমি-ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও জমি ও ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে বুধবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীরের ব্যাপক দুর্নীতির জবাবদিহিতা দাবি করেছে টিআইবি
মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম সম্পত্তি জব্দের আবেদন করেন।
এসব সম্পত্তি ও ফ্ল্যাটের মধ্যে আছে, রূপগঞ্জে ২৪ কাঠা জমি, উত্তরায় তিন কাঠা জমি, বাড্ডায় দুটি ফ্ল্যাট, বান্দরবান জেলায় ২৫ একর জমি, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিসান মীর্জার নামে আদাবরের ছয়টি ফ্ল্যাট, গুলশানে বাবার কাছ থেকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি মূলে পাওয়া ছয় তলা ভবন, সিটিজেন টিভির শেয়ার ও টাইগার অ্যাপারেলসের শেয়ার।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে, স্ত্রী জিসান মীর্জা ও কন্যাদের নামে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের মালিকানাধীন ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। তা করতে পারলে মামলার অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, অভিযোগ দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।
তাই, অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের, তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল এরপর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে তথা সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে স্থাবর সম্পত্তিসমূহ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তি ফ্রিজ করা একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে গত ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ৬২১ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমির মালিক বেনজীরের স্ত্রী জিসান মীর্জা। তার নামে প্রায় ৫২১ বিঘা জমির খোঁজ পেয়েছে দুদক। বাকি ১০০ বিঘার মতো জমি রয়েছে বেনজীর, তার তিন মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর, তাহসিন রাইশা বিনতে বেনজীর ও জারা জেরিন বিনতে বেনজীর এবং স্বজন আবু সাঈদ মো. খালেদের নামে।
বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিসান মীর্জার নামে মাদারীপুরের সাতপাড় ডুমুরিয়া মৌজায় ২৭৬ বিঘা জমি পাওয়া গেছে। ২০২১ ও ২০২২ সালের বিভিন্ন সময় ১১৩টি দলিলে এসব জমি কেনা হয়। দলিলমূল্য দেখানো হয় মোট ১০ কোটি ২২ লাখ টাকা। ৮৩টি দলিলে ৩৪৫ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। যার দলিলমূল্য দেখানো হয়েছিল ১৬ কোটি ১৫ টাকার কিছু বেশি। এছাড়া, বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে গুলশানে যে চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত, তার মধ্যে তিনটি তার স্ত্রীর নামে এবং একটি ছোট মেয়ের নামে। দুটি ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ৩৫৩ বর্গফুট, দাম ৫৬ লাখ টাকা করে। বাকি দুই ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ২৪৩ বর্গফুট করে, দাম সাড়ে ৫৩ লাখ টাকা করে। চারটি ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে একই দিনে।
আরও পড়ুন: বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানের সম্পদ দেখভালে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিল আদালত
আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে, ক্ষমতায় রাখতে সব প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন বেনজীর: ফখরুল
৫৬৪ দিন আগে