রাজনীতি
মত প্রকাশ ও তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা থাকবে: আরাফাত
নবনিযুক্ত তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না এবং বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
একাডেমিক, সমাজকর্মী ও রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত আরাফাত বলেন, 'মত প্রকাশ ও তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা থাকবে।’
আরও পড়ুন: পূর্ণমন্ত্রী হচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ ও উপমন্ত্রী মহিবুল
টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা সাম্প্রদায়িক মানসিকতা নিয়ে রাজনীতি করে তারা নিজেদের জন্য গণতন্ত্র চায়, কিন্তু তারা অন্যদের গণতান্ত্রিক অধিকারে দিতে চায় না।
তিনি বলেন, মৌলবাদী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলো নিজেদের জন্য মত প্রকাশের স্বাধীনতা চায়, কিন্তু অন্যদের সেই স্বাধীনতা দিতে চায় না, যা সমাজে গণতন্ত্রের অগ্রগতির জন্য একটি গুরুতর সমস্যা তৈরি করে। আরাফাত বলেন, ‘মৌলবাদ ও ধর্মান্ধতা গণতন্ত্রবিরোধী।’
তিনি বলেন, প্রথমে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতা পরিত্যাগ করতে হবে, তারপর গণতন্ত্রের সন্ধান করতে হবে।
আরও পড়ুন: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হলেন আরাফাত
আরাফাত একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসন থেকে দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন। গত বছরের ১৭ জুলাই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে বিজয়ী হয়ে একাদশ জাতীয় সংসদে প্রবেশ করেন তিনি। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য।
তিনি অনেক বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক যোগাযোগ ও বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
মোহাম্মদ এ আরাফাত একাডেমিক, সামাজিক-আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্কুল অব বিজনেসের শিক্ষক। তার একাডেমিক আগ্রহসহ ছোটখাট ব্যবসা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মূলধন, সংযোগ ইত্যাদির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী
তিনি ঢাকাভিত্তিক অলাভজনক সামাজিক সংগঠন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। ফাউন্ডেশনটি উদ্যোক্তা উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক প্রচারণামূলক কাজ করেছে।
টেক্সাস এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটি, প্রাইরি ভিউ এবং ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যাডভান্সড বিজনেস ডিগ্রি অর্জন করেছেন আরাফাত।
ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তিনি জনপ্রিয় মুখ।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভায় ২৫ মন্ত্রী, ১১ প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি
৭১৬ দিন আগে
সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
নতুন সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘এই তিন চ্যালেঞ্জ সামনে রয়েছে। এই তিন খাতে বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা এত সহজ নয়।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই এটি: ওবায়দুল কাদের
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন বলেন, 'এই সংকট কাটিয়ে আমরা আজ একটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী প্রভাবের কারণে।’
আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের পথে কখনো ফুল আসেনি। জন্ম থেকেই আমাদের কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব। সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দলের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র রক্ষায় আবারও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ওবায়দুল কাদের
৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
৭১৬ দিন আগে
৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ দখল করেছে আ. লীগ: মঈন খান
আওয়ামী লীগ সরকার ৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ দখল করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, 'এই সরকার ভুয়া ও প্রহসনের নির্বাচন করে তার ইচ্ছানুযায়ী সংসদ দখল করেছে। এখন সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি।’
ড. মঈন দাবি করেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের জয়-পরাজয় সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পূর্বনির্ধারিত ছিল।’
তিনি বলেন, ‘এটা এখন আর শুধু বিএনপির বক্তব্য নয়, এটি এখন সব প্রমাণসহ বিশ্বের সামনে উন্মোচিত হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) নয়া পল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন হয়েছে সরকার বনাম সরকার: তৈমূর
তিনি বলেন, সবচেয়ে হতাশাজনক ও লজ্জাজনক বিষয় হচ্ছে সরকার প্রকাশ্য দিবালোকে ভোট ডাকাতিতে লিপ্ত হয়েছে। ‘তারা আলোচনার মাধ্যমে খোলাখুলিভাবে আসন ভাগ করে নিয়েছে এবং (নির্বাচনের আগে) কে কোন আসনে নির্বাচিত হবে প্রকাশ্যে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন বলেন, এই সরকার কতটা অর্থহীন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর আজ সকাল ১০টা ৪২ মিনিটের দিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে কয়েকজন নেতা-কর্মী কার্যালয়ের কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে দলের মহাসমাবেশ ভণ্ডুল হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করে বিএনপি কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৭৫ দিন পর খোলা হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়
ড. মঈন বলেন, গত ২৮ অক্টোবর দেশের সর্ববৃহৎ দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখল করে নেয় সরকার। তিনি বলেন, 'আমরা আজ (বৃহস্পতিবার) অফিস পুনরায় খুলেছি এবং জনগণের পক্ষে কথা বলতে এসেছি, কারণ আমরা জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করি।’
বিএনপি একটি উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের দল অতীতের মতো জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা রাস্তায় আছি এবং আন্দোলন করে যাব। বিএনপি শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করে না, কারণ আমাদের মূল লক্ষ্য জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সুতরাং, আমরা আন্দোলন করছি এবং আমরা জনগণের ভোটাধিকার, জনগণের অর্থনৈতিক সমতার অধিকার এবং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার করব। আমরা বাংলাদেশে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করব যেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ ও বিশ্ববাসীর কাছে এটা প্রমাণিত, এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, ‘এই সরকার যা বিশ্বাস করে তা হলো একদলীয় বাকশাল শাসন।’
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এম শাহজাহান, জয়নুল আবেদীন, নেতাই রায় চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অনিয়ম, ভোট কারচুপি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের ব্যালটে সিল মারার ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: পাঁচ মাস পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
৭১৭ দিন আগে
পাঁচ মাস পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বাসায় ফিরলেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বিকাল ৫টায় হাসপাতাল ত্যাগ করেন এবং প্রায় এক ঘণ্টা পর গুলশানের বাসায় পৌঁছান।
এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানান।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ায় তাকে বাসায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জাহিদ বলেন, মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাসভবনে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবে এবং এ বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ৯ আগস্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে নানা শারীরিক জটিলতায় সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
গত ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পেট ও বুকে পানি বৃদ্ধি এবং লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগার ইন্ট্রাহেপাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শন্ট (টিআইপিএস পদ্ধতি) নামে পরিচিত হেপাটিক পদ্ধতি সম্পন্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের হামিদ রব, ক্রিস্টোস জর্জিয়াডেস ও জেমস পি এ হ্যামিল্টন গত ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশে এসে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে টিআইপিএস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন।
টিআইপিএস এমন একটি পদ্ধতি যা পোর্টাল শিরাগুলোকে নিম্ন চাপযুক্ত রক্তনালীগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করতে একটি স্টেন্ট (টিউব) সন্নিবেশ করে। এটি রোগাক্রান্ত লিভারের মাধ্যমে প্রবাহিত রক্তের চাপ উপশম করে এবং রক্তপাত ও তরল ব্যাকআপ বন্ধ করতে সহায়তা করতে পারে। একটি টিআইপিএস পোর্টাল শিরার (পোর্টাল হাইপারটেনশন নামে পরিচিত) উচ্চ রক্তচাপকে উপশম করে যা প্রায়শই লিভার সিরোসিসের সেটিংয়ে ঘটে।
২০২১ সালের নভেম্বরে লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন চিকিৎসকরা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবারও বিভিন্ন সময় সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছিল, কিন্তু আইনমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির মামলায় সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়। এরপর থেকে তাকে কারাগারের বাইরে রাখতে একাধিকবার সময় বাড়ানো হয়েছে।
৭১৭ দিন আগে
৭৫ দিন পর খোলা হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়।
সকাল ১০টা ৪২ মিনিটের দিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে কয়েকজন নেতা-কর্মী কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট খুলে দেন।
তারা দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নামে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
আরও পড়ুন: জনগণ বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক প্রত্যাখ্যান করেছে: তথ্যমন্ত্রী
রিজভী বলেন, ‘তালা ভেঙে আমরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেছি। ২৮ অক্টোবর সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নৃশংস অভিযানের মাধ্যমে সমাবেশ বানচাল করা হয়েছিল… পরে পুলিশ অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়।’
আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন বিষয়য়ে বিকাল ৩টায় দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সংবাদ সম্মেলনের জন্য তারা এখন অফিস পরিষ্কার করবেন।
আরও পড়ুন: দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: রিজভী
৭১৮ দিন আগে
নির্বাচন হয়েছে সরকার বনাম সরকার: তৈমূর
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, নির্বাচন হয়েছে সরকার বনাম সরকারের। দেশ একদলীয় শাসনের দিকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা সাজানো নির্বাচনে আর যাবো না। আমাদের সকল প্রার্থীরা ঢাকায় আসবে। তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেব।
আরও পড়ুন: অদৃশ্য শক্তির মতো আইভীর মাথার ওপর আমার হাত আছে: তৈমূর
বুধবার(১০ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ প্রদান শেষে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের জন্য দেশে সুষ্ঠু রাজনীতি সম্ভব না। আগামী প্রজন্মও পারবে না। তৃতীয় প্রজন্ম হয়ত পারবে। সরকার ভাবে ক্ষমতা ছাড়লে আমাকে জেলে যেতে হবে। সেকারণেই ওরা নির্বাচন কুক্ষিগত করে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের কোন ক্ষমতা নেই। প্রশাসনও সরকারের আজ্ঞাবহ। সিইসির সচিবের বক্তব্য শুনেছেন, সে বলেছে ডিসিদের কাছে মেসেজ চলে গেছে। সে অনুযায়ী রেজাল্ট হবে। আমরা সবসময় রাজপথে ছিলাম। বাকি জীবনও আমাকে রাজপথেই থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: আমৃত্যু নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করবো: আইভী
তৈমূর বলেন, যখন চোখের সামনে দেখলাম এই ব্যারিস্টার সুমনও বলেছে সরকার বনাম সরকার নির্বাচন। এটা তাদের মুখেরই কথা। রূপগঞ্জের দুটি সন্ত্রাসী বাহিনী শমসের ডাকাত ও রীতা মেম্বার। আমরা বারবার নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে বলে এসেছি। আমাদের কাছে ডকুমেন্টস আছে।
আমরা বলেছি- এরকম সিরিজ মামলার আসামিদের আইনের আওতায় আনা হোক। কিন্তু আমরা কোন প্রতিকার পাইনি। নির্বাচনের দিন চনপাড়ায় রেজাল্ট ঘোষণার পর সমশের বাহিনী ও রিতা বাহিনী আমার কর্মীদের বাড়িঘর লুটপাট করে। আমি আজ এই পরিবারটিকে নিয়ে এসপি অফিসে এসেছি।
আরও পড়ুন: সবার নজর নারায়ণগঞ্জে
যেহেতু তারা আমার নির্বাচন করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসপি সাহেব আশ্বস্ত করেছেন যে তারা নির্বিঘ্নে চনপাড়ায় বসবাস করতে পারবে। তিনি ওসিকে ফোনে নির্দেশনাও দিয়েছেন।
৭১৮ দিন আগে
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এখন কেউ বাধা দিতে পারবে না: শেখ হাসিনা
গত ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসায় এখন থেকে কেউ দেশের অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'যেহেতু আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসেছে, তাই বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রগতিকে আর কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদেশি বন্ধুদের অভিনন্দন
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে এই নির্বাচন বন্ধ করতে চেয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও তার সমমনা দলগুলো যখন নির্বাচনে যোগ দেয় তখন একটি বিশেষ দল নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করার পরও এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।’
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে না।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণই আপনাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব: দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, 'কেউ বলতে পারবে না যে, এই নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। নির্বাচন অত্যন্ত স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোট কারচুপি হয়েছে এমন কিছু বলার ক্ষমতা কারও নেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার কখনই নির্বাচন কমিশনে হস্তক্ষেপ করেনি, বরং সহায়তা করেছে।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসিকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিশন পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে এখন আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।
আরও পড়ুন: একটানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের শক্তি একটি বড় শক্তি, যা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।
সমালোচকদের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, সামরিক স্বৈরশাসকরা যখন ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় এসেছিল তখন তারা নীরব ছিল। ‘কিন্তু এখন যখন আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি, তখন তারা আমাদের গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
'আমরা গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি;’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, দারিদ্র্যের হার কমেছে এবং মাথাপিছু আয় বেড়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার দলকে ভোট দেওয়ায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সরকার তাদের প্রচারণায় বাধা দেয়নি।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে এবং শত প্রতিবন্ধকতা ও ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে এই নির্বাচন গ্রহণ করেছে...... গ্রামাঞ্চলেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণ একটি ঐতিহাসিক দলিল।
তিনি বলেন, 'জাতির পিতা তার ভাষণে ভবিষ্যতে স্বাধীন বাংলাদেশ কীভাবে চলবে সে বিষয়ে সব দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের অভিনন্দন
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
গত ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের কারাগারে ২৯০ দিন বন্দি থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভা গঠনে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
৭১৮ দিন আগে
জনগণের কল্যাণই আপনাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব: দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেছেন, তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত জনগণের কল্যাণ করা।
তিনি বলেন, ‘তাই প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। আপনাদের (সংসদ সদস্যদের) নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের এলাকায় সুষম উন্নয়ন করা হবে।’
আরও পড়ুন: একটানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা
বুধবার(১০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের (এএলপিপি) প্রথম সভার বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরপরই বক্তব্য দেন। দুপুর ১২টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী চলে।
আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে গণতন্ত্র ও জনগণ বিজয়ী হয়েছে।’
তবে সংসদে বিরোধী দল কে হবেন সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি বলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান জয়।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার আহ্বান
জয় সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শিরীন শারমিন চৌধুরীকে সংসদের স্পিকার, মতিয়া চৌধুরীকে সংসদ উপনেতা এবং নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনকে সংসদের চিফ হুইপ মনোনীত করা হয়েছে।
৭১৮ দিন আগে
সংসদে বিরোধী দলে থাকতে চায় জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, তিনি বিরোধী দলে আছেন এবং থাকতে চান।
তিনি বলেন, ‘সংসদে আসার অনুভূতি সবসময়ই ভালো। সেই অর্থে আবার সংসদে আসতে পারাটা আনন্দের বিষয়।’
আরও পড়ুন: সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
বুধবার (১০ জানুয়ারি) এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই জিএম কাদের নবনির্বাচিত সংসদে বিরোধী দল নিয়ে এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না নিয়মটা । কিন্তু আমরা বিরোধী দলে ছিলাম এবং বিরোধী দলে থাকতে চাই। আমরা জনকল্যাণমুখী এবং আমরা জনগণের জন্য যা ভালো তাই করতে চাই।’
নেতৃত্বের ব্যর্থতার অভিযোগে দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো পূর্বপরিকল্পিত বিষয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টিকে ভোট দিন: জিএম কাদের
তিনি বলেন, ‘কিছু লোক আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। যা করা হয়েছে তা সবার সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়েছে।’
এবার দল কম আসন পাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব সময় পরিস্থিতি একই থাকে না।
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন সঠিক নির্বাচন ছিল না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা ভালো ছিল। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে এবং ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
জিএম কাদের আরও বলেন, এই নির্বাচন আসলে তার দলের জনপ্রিয়তা বা জনগণের কাছে তার ভিত্তির প্রতিফলন ঘটায়নি।
জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন, যেখানে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ২৩টি আসন।
৭১৮ দিন আগে
একটানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতি ক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় সংসদ নেতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। ফলে একটানা চতুর্থবারের মতো তিনি সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের শপথ শেষে অনুষ্ঠিত দলের সংসদীয় সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার নাম প্রস্তাব করেন এবং নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন ওই প্রস্তাবের সমর্থন জানান। পরে সর্বসম্মতিকরণে তা গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
সংসদ নেতা নির্বাচনের পাশাপাশি বৈঠকে সংসদ উপনেতাও নির্বাচিত করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরীকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা নির্বাচিত করা হয।
এদিকে সংশোধিত দলের সভায় বর্তমান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারও স্পিকার হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে আবারও নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া বর্তমান নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চিফ হুইপ হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। লিটন চৌধুরী আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাজিলের অভিনন্দন
৭১৯ দিন আগে