রাজনীতি
‘রাজ্জাকের বক্তব্য বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার-জেলে রাখার সরকারের পরিকল্পনার বহিঃপ্রকাশ’
রাজ্জাকের বক্তব্য বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার ও জেলে রাখার সরকারের পরিকল্পনার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, কারাবন্দী বিএনপি নেতাদের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা আব্দুর রাজ্জাক যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে বোঝা যায়, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ এবং বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার করে জেলে রাখার মতো রাজনৈতিক সহিংসতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূর্বপরিকল্পিত।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব অভিযোগ করেন।
এসময় তিনি বলেন, বিচার বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আসন ভাগাভাগির নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে বিএনপির ২০ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে সত্য প্রকাশ করেছেন।’
রিজভী বলেন, ‘মন্ত্রী আরও দাবি করেছেন, বিএনপিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করা হবে এবং তাদের সব নেতাকে রাতারাতি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু বিএনপি তাতে রাজি হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীর এই স্বীকারোক্তি প্রমাণ করেছে বিএনপির ২৮ অক্টোবরের জনসভা বানচাল করার পর পুলিশের সহিংসতা, হত্যা, মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তার ও বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের বাড়িতে চলমান অভিযান এবং গ্রেপ্তার বাণিজ্য শেখ হাসিনার পরিকল্পিত।’
বিএনপির জেষ্ঠ এই নেতা বলেন, রাজ্জাক অবশেষে স্বীকার করেছেন দেশের আইন, আদালত, বিচার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রযন্ত্র সবই আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে।
আরও পড়ুন: শুধু সরকারপন্থী দলগুলোই 'পাতানো' নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে: বিএনপি
তিনি বলেন, বিচার বিভাগ ও আওয়ামী লীগ একই সত্তায় পরিণত হয়েছে। দেশে আলাদা কোনো সত্তা নেই, কোনো আইন নেই... সবকিছু শেখ হাসিনার নির্দেশেই চলছে।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও দেড় লাখ মামলা হয়েছে। ‘সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের কারাগারে হত্যা করে বিচার বিভাগের অস্তিত্ব ধ্বংস করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ আইন অনুযায়ী চলছে না, শেখ হাসিনার নির্দেশে গণভবনের নির্দেশ অনুযায়ী চলছে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের জেল-জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। আব্দুর রাজ্জাক তার বক্তব্যের মাধ্যমে তা প্রমাণ করেছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিচার বিভাগ, জনগণের বিচারের শেষ আশ্রয়স্থল, আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতাদের বিচার বিভাগে নিয়োগের পর থেকে কার্যত আওয়ামী লীগের একটি ইউনিটে পরিণত হয়েছে। ‘স্বাধীন বিচার বিভাগ ও আইনের শাসনের আওয়ামী মডেলের বিষয়টি কৃষিমন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট।’
তিনি দাবি করেন, বিনা বাধায় ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ২০ হাজারেরও বেশি ‘নিরপরাধ’ বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে, তাদের জামিনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনার বর্তমান ‘স্বৈরাচারী’ সরকারের প্রশংসা করার জন্য সাংবাদিক ও ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরকে কটাক্ষ করেন রিজভী।
ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে (এফএসএ) এক সেমিনারে বক্তৃতায় এম জে আকবর হাসিনার প্রশংসা করে বলেন, তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় মুক্তিদাতা, কারণ তিনি স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছেন।
রিজভী বলেন, ‘যারা তার সম্পর্কে জানতেন তারা তার বক্তৃতা শুনে হতবাক হয়েছিলেন...এম জে আকবর অন্ধ ব্যক্তির মতো স্বৈরাচারের প্রশংসা গেয়েছেন। এম জে আকবরের মতো একজন বিচক্ষণ সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ ১৮ কোটি বাংলাদেশির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে একজন স্বৈরশাসকের পক্ষে কথা বলতে পারেন কী করে?’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ জানতে চায় জনসমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনা ভারতের কী স্বার্থ রক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ একতরফা আসন ভাগাভাগির নির্বাচন করছে: খোকন
বিএনপিকে বিজয় দিবসের সমাবেশের অনুমতি দিতে গড়িমসি করছে পুলিশ: রিজভী
৭৪১ দিন আগে
লক্ষ্মীপুরে ৪টি আসনের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের চারটি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে প্রার্থীদের মধ্যে এই প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
জেলা রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে জেলার চারটি আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, তৃণমূল বিএনপি ও স্বতন্ত্রসহ বিভিন্ন দলের সর্বমোট ২৮ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে বাবার দেওয়া আগুনে পুড়ে ঘুমন্ত ২ সন্তানের মৃত্যু!
প্রার্থীরা হলেন-
লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন: আ.লীগের ড. আনোয়ার হোসেন খান নৌকা, জাতীয় পার্টির মাহামুদুর রহমান লাঙ্গল, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিয়াজ মাখলুম ফারুকী মোমবাতি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোশাররফ হোসেন আম, স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ গোফরান কেটলি, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন ঈগল প্রতীক পেয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদর আংশিক) আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আইনজীবী নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন নৌকা, জাতীয় পার্টির বোরহান উদ্দিন আহমেদ লাঙ্গল, জাসদের মো. আমীর হোসেন মশাল, তৃণমূল বিএনপির আব্দুল্লাহ্ আল মাসুদ সোনালী আঁশ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির জহির হোসেন একতারা, বাংলাদেশ কংগ্রেস জোটের মো. মনসুর রহমান ডাব, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. মোরশেদ আলম চেয়ার, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. শরিফুল ইসলাম মোমবাতি, মুক্তিজোটের মো. ইমাম উদ্দিন সুমন ছড়ি, স্বতন্ত্র প্রার্থী চৌধুরী রুবিনা ইয়াছমিন লুবনা তরমুজ ও মো. ফরহাদ মিয়া হাত ঘড়ি প্রতীক পেয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-৩ সদর আসন: আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু নৌকা, ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার ট্রাক, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ রাকিব হোসেন লাঙ্গল, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির মাহাবুবুল করিম টিপু হাতুড়ি, তৃণমূল বিএনপির মো. নাইম হাসান সোনালি আঁশ ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির আবদুর রহিম কাঁঠাল প্রতীক পেয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর): জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ এর মোশাররফ হোসেন নৌকা, এ আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আবদুল্লা আল মামুন ঈগল, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ইস্কান্দার মির্জা শামীম ট্রাক, সাবেক এমপি মামুনের স্ত্রী মাহমুদা বেগম তবলা, সুপ্রিম পার্টির মো. সোলাইমান একতারা প্রতীক পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দাদা-নাতির মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা: ২ আসামির যাবজ্জীবন
৭৪১ দিন আগে
সুনামগঞ্জে কে কোন প্রতীক পেলেন
সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও মধ্যনগর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রনজিত চন্দ্র সরকার নৌকা প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন কেটলি প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সদস্য মো. সেলিম আহমদ ঈগল প্রতীক, বাংলাদেশ কগ্রেসের নবাব সালেহ আহমদ ডাব প্রতীক, জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল মন্নান তালুকদার লাঙ্গল প্রতীক, তৃণমূল বিএনপির মো. আশরাফ আলী সোনালি আশঁ প্রতীক, গণফ্রন্টের মো. জাহানুর রশিদ মাছ প্রতীক, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মো. হারিছ মিয়া একতারা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে লড়বেন।
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নৌকা প্রতীক, মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান এমপি ড. জয়া সেন গুপ্তা কাঁচি প্রতীকে এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সচিব মো. মিজানুর রহমান ঈগল প্রতীক নিয়ে ভোটে অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের ডিসিকে প্রত্যাহার, সুনামগঞ্জের ডিসিকে বদলির নির্দেশ ইসির
সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত বর্তমান এমপি এম. এ মান্নান নৌকা প্রতীক এবং তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ শাহীনুর পাশা চৌধুরী সোনালি আশঁ প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
এছাড়া জাতীয় পার্টির তৌফিক আলী লাঙ্গল প্রতীক ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির তালুকদার মো. মকবুল হোসেন কাঠাল প্রতীক নিয়ে লড়বেন।
সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সাদিক নৌকা প্রতীক এবং জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে লড়বেন।
এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত মো. এনামুল কবির ইমন প্রতীক ঈগল ও মো. মোবারক হোসেন প্রতীক কাচি এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোহাম্মদ দিলোয়ার আম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন।
সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মহিবুর রহমান মানিক নৌকা প্রতীক ও দলের মনোনয়ন বঞ্চিত শামিম আহমদ চৌধুরী ঈগল প্রতীক নিয়ে ভোটের লড়াই করবেন।
এছাড়া, গণফোরামের আইয়ুব করম আলী উদীয়মান সূর্য প্রতীক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপির) আজিজুল হক আম প্রতীক, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)র আবু সালেহ একতারা প্রতীক, জাতীয় পার্টির (জেপি) আইনজীবী মনির উদ্দিন বাইসাইকেল প্রতীক, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) মো. আশরাফ হোসেন টেলিভিশন প্রতীক, জাতীয় পার্টির মো. নাজমুল হুদা লাঙ্গল প্রতীক এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাজী আব্দুল জলিল গামছা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ওসিদের পর ইউএনওদের বদলি চেয়েছে ইসি
সুনামগঞ্জে গ্রেপ্তার ৩২ শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর
৭৪১ দিন আগে
মাগুরার ২টি আসনে প্রতীক পেলেন ১০ প্রার্থী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরার দুইটি আসনে ১০জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।
সোমবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে প্রতীক বরাদ্দ করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং অফিসার মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ।
১০ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিক বরাদ্দের কাগজ হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ঘর দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ: আটক ১
মাগুরা জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং অফিসার মোহম্মদ আবু নাসের বেগ সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রতিক বরাদ্ধ করেন।
এসময় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাসহ মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাকিব আল হাসান, মাগুরা-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. বীরেন শিকদারসহ অন্য প্রাথী ও তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মাগুরায় জাতীয় সংসদের দুটি নির্বাচনী আসনে পাঁচজন করে ১০ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মাগুরা-১ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে সিরাজুস সায়েফিন সাইফ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকে কাজী রেজাউল হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) টেলিভিশন প্রতীকে কে এম মোতাসিম বিল্লাহ, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আশ প্রতীকে সঞ্জয় রায় রনি নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করছেন।
মাগুরা-২ আসনে চুড়ান্ত প্রার্থীরা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ড. বীরেন শিকদার, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মুরাদ হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকে কাজী রেজাউল হোসেন, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকে আখিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) একতারা প্রতীকে মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করছেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় গরু চুরির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
মাগুরায় আ. লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২
৭৪১ দিন আগে
নওগাঁর ৬টি আসনে ২৮ জন প্রার্থীর অনুকুলে প্রতীক বরাদ্দ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার গোলাম মওলা প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেন।
নওগাঁর ছয়টি আসনে বিভিন্ন দলের মনোনীত ১৮ জন এবং স্বতন্ত্র ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলার দেওয়া তথ্য মোতাবেক আসনভিত্তিক প্রার্থীরা যেসব প্রতীক পেয়েছেন তারা হলেন-
আরও পড়ুন: নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে ভূমি অফিস সহকারীর মৃত্যু : অভিযোগ পরিবারের
নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর-পোরশা-সাপাহার) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির মো. আকবর আলী কালু ‘লাঙ্গল’ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খালেকুজ্জামান ‘ট্রাক’ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাজেদ আলী ‘ঈগল’।
নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট): আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদুজ্জামান সরকার এমপি ‘নৌকা’ এবং জাতীয় পার্টির আইনজীবী তোফাজ্জল হোসেন ‘লাঙ্গল’।
নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছি) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মাসুদ রানা ‘লাঙ্গল’, তৃনমুল বিএনপি’র প্রার্থী মো. সোহেল কবির চৌধুরী ‘সোনালী আঁশ’ স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজা আকরাম চৌধুরী ‘ঈগল’ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ছলিম উদ্দিন তরফদার ‘ট্রাক’।
নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রার্থী মো. নাহিদ মোর্শেদ আইনজীবী ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আলতাফ হোসেন ‘লাঙ্গল, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. আব্দুর রহমান ‘ডাব’ স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ ‘ট্রাক’ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রাং ‘ঈগল’।
নওগঁ-৫ (নওগাঁ সদর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন জলিল (জন) ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো ইফতারুল ইসলাম বকুল ‘লাঙ্গল’, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রার্থী এস এম আজাদ হোসেন মুরাদ ‘মশাল’ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষান ‘ট্রাক’।
নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রানীনগর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আবু বেলাল হোসেন (জুয়েল) ‘লাঙ্গল’, তৃনমুল বিএনপির প্রার্থী মো. পি কে আব্দুর রব ‘সোনালী আঁশ’, বাংলাদেশ কংগ্রেস-এর প্রার্থী সরদার মো. আব্দুস সাত্তার ‘ডাব’, ন্যাশনাল পিপলস পাটি (এনপিপি) প্রার্থী খন্দকার ইন্তেখাব আলম ‘আম’ স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুল ‘ঈগল’, স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক সুমন ‘ট্রাক’ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নওশের আলী ‘কাঁচি’।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নওগাঁয় ২ প্রার্থীকে শোকজ
নওগাঁর ৬ আসনে ৩৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ, বাতিল ২২ জন
৭৪১ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩টি আসনে ১৬ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনে ১৬ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন।
এসময় প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ২০ প্রার্থীর অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল নৌকা (আ.লীগ), আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী কেটলি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ট্রাক, আফজাল হোসেন লাঙ্গল (জাতীয় পার্টি) লাঙ্গল, নুরুল ইসলাম জেন্টু (বিএনএফ) টেলিভিশন, নবাব মো. শামসুল হুদা (ইসলামিক ফ্রন্ট) মোমবাতি ও আব্দুল হালিম (এনপিপি) পেয়েছেন আম প্রতীক।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে মু. জিয়াউর রহমান- নৌকা (আ.লীগ), আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস- ঈগল পাখি, আজিজুর রহমান (বিএনএফ) টেলিভিশন, আব্দুর রশীদ (জাতীয় পার্টি) লাঙ্গল ও আব্দুল্লাহ আল মামুন
এছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেস ডাব প্রতীক পেয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আব্দুল ওদুদ নৌকা (আ.লীগ), মাওলানা আব্দুল মতিন (বিএনএম) নোঙর, কামরুজ্জামান খান (বিএনএফ) টেলিভিশন ও নাহিদ আহমেদ (এনপিপি) পেয়েছেন আম প্রতীক।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ২৬ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে 'ট্রাক' পেলেন অভিনেত্রী মাহি
৭৪১ দিন আগে
কুড়িগ্রামে ২৬ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
কুড়িগ্রামে চারটি সংসদীয় আসনে ২৬ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসন সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন।
এসময় পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল মোত্তাকিম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিলহাজ উদ্দিনসহ প্রার্থী, সমর্থক ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, বিএসএফের বিরুদ্ধে মামলা
এবার জেলার চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে দুইজন, জাতীয় পার্টি থেকে চারজন অংশ নিয়েছে।
এরমধ্যে কুড়িগ্রাম-১ ও কুড়িগ্রাম-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দুইজন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
এছাড়াও জাকের পার্টির তিনজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেও কুড়িগ্রাম-১ আসন থেকে আব্দুল হাই নামে একজন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন।
এর বাইরে পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে চারজনই আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে তারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে অবস্থান করছেন।
এর বাইরে বিভিন্ন দল থেকে ১৫ জন প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দকালে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাছুম ইকবাল ও মজিবর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতীক দাবি করায় লটারির মাধ্যমে মজিবর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতীক পান।
অপরদিকে মাছুম ইকবাল কাচি প্রতীক নেন।
প্রতীক বরাদ্দকালে দুইজন অনুপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে একজন কুড়িগ্রাম-৩ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী মো. সাফিউর রহমান ও কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী মো. আতিকুর রহমান খান অনুপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, নির্বাচন কমিশনের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সব প্রার্থী যাতে নির্বাচনে সমান অধিকার পান সে ব্যাপারে আইন শৃংখলা বাহিনী তৎপর থাকবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কমে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বাণিজ্যিকভাবে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি হচ্ছে মুড়ির মোয়া
৭৪১ দিন আগে
নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে 'ট্রাক' পেলেন অভিনেত্রী মাহি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ এ প্রতীক বরাদ্দ দেন।
প্রতীক পাওয়ার পর মাহি বলেন, ‘আমি নিজেই ট্রাককে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে বেছে নিয়েছি।’
প্রচারের প্রথম দিন সম্পর্কে মাহি জানান, তিনি আজ সাংগঠনিক কাজ করবেন। সন্ধ্যায় তিনি তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা এলাকায় নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করবেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এখান থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে চাই।’
সোমবার সকাল ১০টা থেকে ৩৮ জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া শুরু করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করলেন মাহি
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিসহ ৪ জনের মনোনয়ন বাতিল
রাজনীতির মাঠে সরব মাহি
৭৪১ দিন আগে
সবাই বিএনপিকে অংশ নেওয়ার কথা বললেও তারা ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সবাই মনে করে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে অনেক ভালো হতো, কিন্তু নির্বাচন কমিশন (ইসি) বারবার আহ্বান জানালেও সাড়া দেয়নি দলটি।
তিনি বলেন, ‘এটা সত্য যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। বিএনপি অংশ নিলে অনেক ভালো হতো। আপনারা জানেন, আমরা শুরু থেকেই তাদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আসছি। আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম।’
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, টোকিও ও দূতাবাসের কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল নিয়ে জাপান আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে পুনঃতফসিল হতে পারে: সিইসি
তিনি ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা আমাদের নির্বাচনকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চায়। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
হাবিবুল আউয়াল জানান, আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে তারা জাপানের রাষ্ট্রদূতকে জানান।
তিনি বলেন, দাতা দেশগুলো আগামী নির্বাচনের দিকে চোখ রাখছে।
সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি: সিইসি
নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন করতে প্রস্তুত: সাহাবুদ্দিনকে সিইসি
৭৪১ দিন আগে
আমি যা বলেছি, কোনো ভুল বলিনি: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপি নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে নিজের অবস্থান জানালেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘আমি যা বলেছি কোনো ভুল বলিনি। বক্তব্য একদম ঠিক আছে। অনেক কথার মধ্যে বিষয়টি এসেছে।’
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কৃষি গবেষণায় জি২০'র বিনিয়োগ প্রয়োজন: কৃষিমন্ত্রী
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে সহিংসতা আটকাতে পরিকল্পিতভাবেই বিএনপি নেতাদের কারাগার রাখা হয়েছিল। তবে নির্বাচনে এলে ছাড় দেওয়ার প্রস্তাবেও রাজী হয়নি বিএনপি নেতা-কর্মীরা।’
আব্দুর রাজ্জাকের এ বক্তব্য ‘সঠিক নয়’দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বক্তব্য আওয়ামী লীগ কিংবা সরকারের নয়, এটি তার নিজস্ব বক্তব্য।
তিনি বলেন, ‘আমি এটাই বলতে চেয়েছি- আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ সব সময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চেতনার আলোকে পরিচালিত হয়। আমরা সব সময় চেয়েছি এই নির্বাচনে সব দল অংশ নিক। বহুবার আমি বলেছি বিএনপি অবশ্যই একটি বড় রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনে আমরা আনতে চাই কিন্তু সংবিধানের বাইরে আমাদের যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমার কথার সারমর্ম ছিল, প্রধানমন্ত্রী ও আমরা সব সময় চেয়েছি, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক। সেটা বলতে গিয়ে বলেছি আমরা কতদূর পর্যন্ত, নির্বাচন কমিশনার কথা বলেছি, ইয়ের কথা বলেছি। ওই উইল লেফট নো স্টোন আনট্র্যাক, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিএনপি আসবে না।'
আরও পড়ুন: নেতৃত্ব অন্যের হাতে চলে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচন চায় না তারেক: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চেয়েছে আগামী নির্বাচনের সব রাজনৈতিক দল অংশ নিক। বিএনপি একটি বড় দল এটা আমরা সব সময় বলি। কিন্তু বিএনপি সব সময় নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার নানা রকম ফন্দি করেছে। আমরা কী দেখেছি, ১৩ সালে, ১৪ সালে ও ১৫ সালে?’
‘আমার বক্তব্য হলো- এই যে আওয়ামী লীগ আন্তরিকভাবে চেয়েছে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক। এই কথাটা বলতে গিয়ে আমি সেদিন কিছু কথাবার্তা বলেছি।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটাও বলেছি, বিএনপি চায় নির্বাচন বানচাল হোক। তারেক জিয়ার নামে মামলা রয়েছে, তার শাস্তি হয়েছে, সে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তার মা (খালেদা জিয়া) অসুস্থ, তারও শাস্তি হয়েছে। তারা নির্বাচনে আসতে চায় না।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগের বক্তব্য হলো- সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনোক্রমে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। পৃথিবীর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। কাজেই আওয়ামী লীগের তো কোনো বিকল্প নেই, এই কথা আমি বলেছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপির শান্তিপ্রিয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতির মধ্যে থেকে বিএনপি বলতে পারতো কীভাবে নির্বাচনকে সবার কাছে সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা যায়? সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থনও আমরা নিতে পারতাম, আরও বেশি পর্যবেক্ষক আসত বিদেশ থেকে। এখন ওসিদের বদলি করছে, এভাবে এসপিদের ট্রান্সফার করা যেত, ডিসিদের করা যেত। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা যা করা দরকার সংবিধান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও এই সরকারকে রেখে সেটা আওয়ামী লীগ সবসময় করতে চেয়েছে। কিন্তু বিএনপি সেটা বিশ্বাস করে না। তারা গেছে আন্দোলনে।’
‘কীভাবে তারা রেললাইন কেটেছে! দেশে কি কোনো মুক্তিযুদ্ধ চলছে? দেশে কি যুদ্ধাবস্থা? এগুলো তো যুদ্ধের সময় করে। এগুলো বন্ধ করতে হলে মানুষকে তো গ্রেপ্তার করতে হবে। বিএনপি নেতাদের হুকুম ছাড়া কোনো কর্মী কি বাসে আগুন দেবে? তার জেল জুলুমের ভয় আছে না। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের দায়িত্ব হলো মানুষের জান মালের নিরাপত্তা দেওয়া। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
বিএনপি নির্বাচনে এলে সহিংসতা ও আগুন সন্ত্রাস করার প্রয়োজন হতো না জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নির্বাচন কমিশন বারবার বলেছে বিএনপি নির্বাচনে এলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হবে। ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কি জেলে রেখে নির্বাচন হবে?
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সেটা একটা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে জামিনের ব্যবস্থা করা হতো। একটা ফর্মালিটিজ করে আইনের মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হতো। নির্বাচন কমিশনে তো আইনের লোক অনেক আছে।’
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি রাজি হয় নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। এই কথাটিই আমি বলেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আলাপ-আলোচনা করে অনেক কিছুই করা যায়। খুনের আসামিরও তো জামিন হয়। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর ফাঁসি হবে, কোথায় গেল মামলা, একদিনেই তো উনি জামিন পেয়েছেন। নিশ্চয়ই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলে ফরমালিটিস করেছে।’
বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না। কিছু ভোটার কম হলেও উল্লেখযোগ্য ভোটার ভোট দিতে আসবে বলেও মনে করেন আব্দুর রাজ্জাক।
আপনার দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আপনার বক্তব্য ব্যক্তিগত- এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এটাতো দলের বক্তব্য না, অবশ্যই আমি ব্যক্তিগতভাবে দিয়েছি যেটা অনুভব করি। আমার দলও চায় সব দল নির্বাচন অংশ নিক।’
নির্বাচনে এলে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জামিন আর নির্বাচনে না এলে হবে না এটা কি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না- জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে অর্থনীতি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এটা আপনাকে মানতে হবে। শুধু আইনের কথা বললেই হবে বাস্তবতাকে...। আমি এক হাজার উদাহরণ দেব।’
আরও পড়ুন: দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: কৃষিমন্ত্রী
৭৪১ দিন আগে