জনগণ একতরফাভাবে রবিবারের ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে উল্লেখ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বৈধ ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
তাদের দাবি আদায়ে জনসমর্থন আদায়ে মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিনের গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বর্জনের আহ্বান সফল হওয়ায় ভোটারদের অভিনন্দন বিএনপির
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, 'দেশের জনগণ একতরফা ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে গতকালের (রবিবারের) নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানানো ৬৩ দলের পক্ষ থেকে আমরা দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাই।’
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি সত্ত্বেও সরকার ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, '৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ ও কোনো নির্বাচন হয়নি। যা ঘটেছে তা ভোট ডাকাতি ও ভোট কারচুপি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, তাদের দল জনগণের ভোটে নির্বাচিত এবং তাদের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।'তার জন্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন, যা গতকাল (রবিবার) হয়নি। তাই জনগণ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। সবাই বলছেন যে ভোটার উপস্থিতি (ইসি) দেখিয়েছে তা ভুয়া।’
তিনি বলেন, ‘তাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে থাকা বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক অবিলম্বে ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বাতিল, শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের ওপর জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধার করতে হবে। একই সঙ্গে সব জোরপূর্বক গুম, হত্যা ও ভুতুড়ে মামলা বন্ধ করতে হবে এবং জনগণকে তার দমনমূলক শাসন থেকে রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এগুলো এখন জনগণের দাবি। আমরা জনগণকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই যে, তারা বিভিন্ন চাপ ও প্রলোভনের মুখে স্বার্থ ত্যাগ করেছেন এবং বিপুল সংখ্যক ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের অশুভ প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছেন।’