রাজনীতি
শাম্মী, শামীম ও সাদিক আবদুল্লাহ’র প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা ইসির
আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী বরিশাল-৪ আসনে শাম্মী আহমেদ, ফরিদপুর-৩ আসনে শামীম হক, কক্সবাজার-১ আসনে সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) নগরীর নির্বাচন ভবনে তাদের প্রার্থিতা নিয়ে আপিলের শুনানি করে এ ঘোষণা দেয়।
চার প্রার্থীর মধ্যে শাম্মী আহমেদ, শামীম হক ও সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে এবং সালাহউদ্দিন আহমেদের প্রার্থিতা ঋণ খেলাপির কারণে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
তবে, বরিশাল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ এবং ফরিদপুর-৩ আসনে ব্যবসায়ী এ কে আজাদের আগামী জানুয়ারি-৭-এর আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই। কারণ কমিশন শুক্রবার তাদের প্রার্থীতার বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছে।
বরিশাল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার কারণে শাম্মী আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
শাম্মী রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে দুটি আপিল জমা দিয়েছেন- একটি তার মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে এবং আরেকটি পঙ্কজ দেবনাথের মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে।
শাম্মী তার আবেদনে অভিযোগ করেছেন, পঙ্কজ দেবনাথ তার মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন।
ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী একে আজাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
কিন্তু প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে দুই প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে কমিশনে আবেদন করেন।
শামীম হক তার আবেদনে অভিযোগ করেছেন, এ কে আজাদ তার মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন।
অন্যদিকে এ কে আজাদ অভিযোগ করেছেন, শামীম হকের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।
শুক্রবার কমিশন এ কে আজাদের দায়ের করা আবেদনটি গ্রহণ করে এবং শুনানি শেষে শামীম হকের করা আপিল বাতিল করে।
বরিশাল-৫ আসনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের টিকিট পেতে ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীম রিটার্নিং অফিসারের সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়নপত্র গ্রহণকে চ্যালেঞ্জ করে কমিশনে আপিল জমা দেন।
জাহিদ ফারুক তার আপিলে অভিযোগ করেন, সাদিক আবদুল্লাহর দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।
ঋণ খেলাপির অভিযোগে কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে তিনি কমিশনে আবেদন করেন। কিন্তু কমিশন তার আপিল শুনানি করে খারিজ করে দেয়।
গত ১০ ডিসেম্বর থেকে সংক্ষুব্ধ প্রার্থীদের করা আপিলের শুনানি ও নিষ্পত্তির কাজ শুক্রবার শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রার্থিতা নিয়ে ইসির সিদ্ধান্তে কেউ ক্ষুব্ধ হলে তাকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মোট ৫৬১ জন প্রার্থী ইসিতে আপিল করেছেন।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারাদেশের ৩০০টি আসনে ৭৪৭ জন স্বতন্ত্রসহ মোট ২ হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
কিন্তু রিটার্নিং অফিসাররা ১৯৮৫ জনের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন এবং ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তবে বিএনপি এবং আরও কিছু দল এই নির্বাচন যা বর্জন করছে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি (সকাল ৮টা) অর্থাৎ, ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।
৭৪৪ দিন আগে
শনিবার নয়াপল্টনে বিজয় দিবসের সমাবেশ করবে বিএনপি
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) অন্যান্য কর্মসূচির পাশাপাশি শোভাযাত্রা বের করবে বিএনপি।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, শনিবার দুপুর ১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করবেন তারা।
তিনি বলেন, বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি ইউনিটের আয়োজিত সমাবেশটি মগবাজারে গিয়ে শেষ হবে।
সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
বিজয় সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বেইলি রোডে ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়ে চিঠি জমা দেন।
এছাড়া সকালে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করবে বলে জানান রিজভী।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মীরা সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
পরে বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন তারা।
বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভাও করবে বিএনপি।
দলটির বিভিন্ন ইউনিট ও সহযোগী সংগঠনও সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।
৭৪৪ দিন আগে
জাতিসংঘের বিবৃতি বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্ভয়ে ভোটদানে জাতিসংঘের আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাই এবং এটি বিএনপি-জামায়াত, যারা নির্বাচনকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে গেছে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটির (ডিআরইউ) নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক বিবৃতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংস্থা ও দেশ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি ভালো স্টেটমেন্ট। আমরা স্বাগত জানাই। কারা ভোট দানে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে, ভোট প্রতিহত করার চেষ্টা করছে, আপনারা জানেন। বিএনপি-জামায়াত ঘোষণা দিয়েছে তারা ভোট প্রতিহত করবে। ভোটকেন্দ্রে যাতে মানুষ না যায়, এজন্য তারা ভীতিসঞ্চার করছে, গাড়ি-ঘোড়া পোড়াচ্ছে, রেললাইন খুলে ফেলছে। আমি মনে করি এই বিবৃতি তাদের বিরুদ্ধে গেছে। কারণ এই বিবৃতি যারা ভোট প্রতিহত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী জ্বালাও-পোড়াও চালিয়েই যাচ্ছে, এটি প্রশাসনের ব্যার্থতা কি না- প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ওরা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করেছিল, সেটি এখন পারছে না। এটিকে শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনা আমাদের দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে সরকার ও প্রশাসন কাজ করছে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির আলোচনার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আলোচনা চলছে। যে কারো সঙ্গেই স্ট্র্যাটেজিক অ্যালায়েন্স হতে পারে।
এর আগে ডিআরইউর নবনির্বাচিতদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বলেন, ডিআরইউ সংগঠনটি চমৎকারভাবে কাজ করছে। আমি অনেক আগে থেকে তাদের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত, ভবিষ্যতেও থাকব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গঠিত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আজ সাংবাদিকদের জন্য একটি ভরসাস্থল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী সংগঠনগুলোর সাংবাদিকদের গ্রুপ ইনস্যুরেন্স করার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, এতে করে কেউ অসুস্থ হলে এবং মৃত্যুবরণ করলে টাকা পাবে। এ সুবিধা দেশে কম।
ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভর নেতৃত্বে নবনির্বাচিত নির্বাহী পরিষদ সদস্যরা এ সময় মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান (মিজান রহমান), সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারীবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদা ডলি, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা), ক্রীড়া সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কল্যাণ সম্পাদক মো. তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ শিপন, মুহিববুল্লাহ মুহিব ও মো. শরীফুল ইসলাম এ সাক্ষাতে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: রেললাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো- এ কোন রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
৭৪৪ দিন আগে
আওয়ামী লীগ একতরফা আসন ভাগাভাগির নির্বাচন করছে: খোকন
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেছেন, জনসমর্থন না থাকায় সরকার আসন ভাগাভাগির একতরফা নির্বাচন করছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না কেন? কারণ তাদের জনসমর্থন নেই। তারা ১৫ বছরে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করেছে, এখন একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করছে।’
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) এক আলোচনা সভায় এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, ভোটের আগে আসন বণ্টন করে সরকার কীভাবে একতরফা নির্বাচনের পথে হাঁটছে, গণমাধ্যমে সেসব খবর প্রচার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল কতটা দেউলিয়া হয়েছে যে আসন ভাগাভাগির মতো নির্বাচনের নীলনকশা নিয়ে এগোতে হচ্ছে।’
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদের একটি অংশ ‘ভোট, দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষা করুন’- শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
খোকন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আসন ভাগাভাগির নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগকে মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে। ‘তারা আসন ভাগাভাগি করে ভোটের নামে একটি খেলা খেলবে এবং শেষ পর্যন্ত তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করবে...এসব করে কোনো লাভ হবে না, কারণ সরকার এভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যে কৌশলই অবলম্বন করুক না কেন, দেশের জনগণের আন্দোলনের মুখে তাকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এটি শুধু বিএনপি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের আন্দোলন নয়। কারণ এটি ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।’
তিনি দাবি করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সর্বাত্মক চেষ্টা চালালেও ভোট নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই।
খোকন বলেন, সরকারের পতন এড়াতে পারবে না। কারণ বিশ্বের কোনো স্বৈরশাসক জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেনি, শেখ হাসিনাও টিকতে পারবেন না।’
৭৪৪ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কোনো শরিকের জয়ের নিশ্চয়তা দেবে না: কাদের
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কোনো শরিকের জয়ের নিশ্চয়তা দেবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আসন বণ্টনের বিষয় আসেনি: জাপার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কাদের
তিনি বলেন, জোটের জন্য সাতটির বেশি আসন ছাড়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের পূর্ণ প্রচেষ্টা চালাবেন। দেশে একটি ভালো নির্বাচন হবে এবং কোনো পক্ষপাতিত্ব থাকবে না।
কিন্তু বিএনপি এই নির্বাচন বানচালের জন্য অস্ত্র সংগ্রহ করছে বলেও মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই: কাদের
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন নয়: কাদের
৭৪৪ দিন আগে
আ. লীগ প্রার্থী শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল খারিজ
বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদের রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে তার আপিল শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) খারিজ করে দেওয়ায় আসন্ন নির্বাচনের দৌড়ে ছিটকে পড়েছেন তিনি।
তবে শাম্মী আহমেদের আরেকটি আবেদন কমিশন খারিজ করে দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রাজধানীর নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে শাম্মী আহমেদের করা দু’টি আবেদন খারিজ করে দেয় ইসি।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দু’টি পিটিশন দাখিল করেন। একটি তার মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে এবং অন্যটি পঙ্কজ দেবনাথের মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন: এখন পর্যন্ত প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২৫৫ জন
শাম্মী তার পিটিশনে অভিযোগ করেছেন, পঙ্কজ দেবনাথ তার মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন।
এর আগে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগে শাম্মীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
১০ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিলের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ প্রার্থীদের করা আপিল শুনানি ও নিষ্পত্তি শুরু করে ইসি।
আরও পড়ুন: মাহি বি, হিরো আলমসহ ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন
ফরিদপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আজাদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি
৭৪৫ দিন আগে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৬৩৬ পুলিশ সদস্যের বদলি অনুমোদন
সারাদেশে বাংলাদেশ পুলিশের ৬৩৬ সদস্যকে বদলির জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার(১৪ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন( ইসি)।
বদলি হওয়া কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট, সাব-ইন্সপেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর, কনস্টেবল ও নায়েক।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: আরও ৬১ প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করল ইসি
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পর্যায়ক্রমে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বদলির নির্দেশ দেয় ইসি।
ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী জননিরাপত্তা বিভাগ প্রথম ধাপে ৩৩৮ জন ওসিকে বদলির প্রস্তাব ইসিতে পাঠায় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহে আরও ২০৫ জন ইউএনওকে বদলির জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব পাঠায়।
বাংলাদেশে ৬৫১টি থানা ও ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন: এখন পর্যন্ত প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২৫৫ জন
৭৪৫ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা হিরো আলমের
বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে হিরো আলম বলেছেন, নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ১৭ ডিসেম্বর নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেব। তবে কি কারণে তা এখনই বলছি না। ওইদিনই জানাব।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) তার ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এ ঘোষণা দেন হিরো আলম।
তবে তার সঙ্গে ফোনে যোগযোগ করে পাওয়া যায়নি।
গত ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যথাযথভাবে পূরণ না করার কারণ দেখিয়ে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন বগুড়া রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।
সেদিন সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আশরাফুল হোসেন আলম দলীয় প্রার্থী হয়েও প্রার্থীতা আবেদন পত্রে দলের নাম উল্লেখ করেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এক শতাংশ ভোটার তালিকাও জমা দেননি। দলীয় ফরমের মূল কপি জমা না দিয়ে ফটোকপি জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া হলফনামায় তিনি তার সই দেননি এবং সম্পদ বিবরণী ফরমও জমা দেননি। এসব কারণে আশরাফুল হোসেন আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলো।’
আরও পড়ুন: মাহি বি, হিরো আলমসহ ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন
প্রার্থিতা ফিরে পেতে হিরো আলম গত ৬ ডিসেম্বর ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গিয়ে আপিল করেন। সেই আপিলের শুনানিতে ইতোমধ্যে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
ওই আসনে বর্তমান এমপি জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন ছাড়াও বৈধ প্রার্থী রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি ও সাবেক বিএনপি নেতা ডা. জিয়াউল হক মোল্লা, আওয়ামী লীগ প্রার্থী হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, জাতীয় পার্টির (জাপা) মোস্তফা কামাল ফারুকসহ আরও কয়েকজন প্রার্থী।
এর আগে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছিল রিটার্নিং অফিসার।
পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফেরত না পেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে প্রার্থীতা ফিরে পান হিরো আলম।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বগুড়া-৪ আসনে একতারা প্রতীকে ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাসদের প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে হেরে যান তিনি। তবে বগুড়া সদরে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: একাধিক ত্রুটির কারণে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল
রিজভীর বিরুদ্ধে হিরো আলমের ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
৭৪৫ দিন আগে
৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন: এখন পর্যন্ত প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২৫৫ জন
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের প্রায় ৫০০টি আপিল নিষ্পত্তি করায় গত পাঁচ দিনে মোট ২৫৫ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন এবং প্রার্থিতা হারিয়েছেন আরও ৪ জন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন গত ৫ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিলের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের আপিল শুনানি ও নিষ্পত্তি শুরু করে।
ইসি প্রায় ২৬০টি আপিল গ্রহণ করেছে, ২১৩টি আপিল খারিজ করে দিয়েছে এবং ২০টি আপিলের বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে।
২৬০টি আবেদন গ্রহণের মধ্য দিয়ে ২৫৫ জন প্রার্থী ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ছাড়পত্র পেয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা সত্ত্বেও প্রার্থিতা হারিয়েছেন চারজন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: আরও ৬১ প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করল ইসি
তবে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন আবেদন দুটি গ্রহণ করেছে।
রবিবার ৫৬টি, সোমবার ৫১টি, মঙ্গলবার ৬১টি, বুধবার ৪৮টি এবং বৃহস্পতিবার ৪৪টি আপিল গ্রহণ করে কমিশন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে ১০০টি আপিলের শুনানিতে ৫২টি আবেদন নাকচ করে চারটি আপিল স্থগিত রাখে ইসি।
শুক্রবার আপিল শুনানি শেষ করবে কমিশন। এর মধ্যে ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান ওমর, বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ, ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের পুনঃতফসিল চেয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের রিট আবেদন
প্রার্থিতা নিয়ে ইসির সিদ্ধান্তেও কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন ৫৬১ জন প্রার্থী।
তাদের অধিকাংশই মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে এবং কমপক্ষে ৩০ জন মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে স্বতন্ত্র ৭৪৭ জনসহ মোট ২ হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তারা গত ১-৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় ১ হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন এবং ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
৭৩১টি মনোনয়নপত্রের বেশিরভাগই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়েছিল - স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের সইয়ের অসামঞ্জস্যতা, ঋণ ও ইউটিলিটি বিল খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রার্থীরা ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি (সকাল ৮টা) পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন। ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।
নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, যা প্রধান দল বিএনপিসহ কয়েকটি দল বর্জন করছে।
আরও পড়ুন: মাহি বি, হিরো আলমসহ ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন
৭৪৫ দিন আগে
বিএনপিকে বিজয় দিবসের সমাবেশের অনুমতি দিতে গড়িমসি করছে পুলিশ: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ‘পুলিশ তাদের দলকে বিজয় দিবসের সমাবেশের অনুমতি দিতে গড়িমসি করছে।’
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর)ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বক্তৃতাকালে তিনি আরও অভিযোগ করেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিএনপিকে পুলিশ বাধা সৃষ্টি করেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (পুলিশ) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপিকে বিজয় সমাবেশের অনুমতি দিতে কৌশল অবলম্বন করে ১৯৭০ সালের হানাদার বাহিনীর মতো ভূমিকা পালন করছে।’
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপনে রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বেইলি রোডে ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়ে চিঠি জমা দেন।
রিজভী আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমাদের নেতারা নয়াপল্টনে যেতে পারবেন না।
তিনি দাবি করেন, বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারর্সনের কার্যালয়ে কোনো অনুমতি ছাড়াই পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রতিটি কক্ষে তল্লাশি চালায়।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কার্যালয়ে রাখা পুষ্পস্তবক ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে গেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেউ অফিসে এলে গ্রেপ্তারের হুমকিও দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু তারা (সরকার) বলছে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।
রিজভী বলেন, গুলশান থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বিএনপি চেয়ারপার্সনেরর কার্যালয়ে প্রবেশ করে পুষ্পস্তবকটি বের করে প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলে। ‘আমরা কোন দেশে বাস করছি? আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী সম্রাজ্ঞী হিসেবে আছেন এবং তারা যাকে খুশি গ্রেপ্তার করতে পারে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে জেলে রাখতে পারে।’
তিনি বলেন, সরকার তার পুতুল রাষ্ট্রযন্ত্রের মদদে নিজস্ব ও ডামি প্রার্থী দিয়ে উদ্ভট নির্বাচন করতে যাচ্ছে।
তিনি দেশের ভোটারদের একতরফা নির্বাচন বর্জন এবং তা প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
৭৪৫ দিন আগে