রাজনীতি
নাশকতা কিংবা সন্ত্রাসের কারণে নির্বাচন বন্ধ থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নাশকতা কিংবা সন্ত্রাসের কারণে নির্বাচন বন্ধ থাকবে না, সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বড়দিন ও থার্টি-ফাস্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সব দল সম্পৃক্ত করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করছি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির সমালোচনা করে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, যে দল নাশকতার কথা বলছে, এটা তাদেরই প্র্যাকটিস। তারা সুনিশ্চিত নির্বাচনে পরাজয় জেনেই ভিন্ন পন্থায় নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য একটা অগণতান্ত্রিক উপায় শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি নির্বাচনের বাইরে আমাদের আর কোনো কিছু নেই, যার মাধ্যমে তারা (বিএনপি) ক্ষমতা বদলাতে পারে। ক্ষমতায় আসতে হলে তাদের নির্বাচনে আসবে হবে, এটাই হলো সহজ পথ।
আরও পড়ুন: বিএনপিতে যারা তারেকের নেতৃত্ব মানছেন না, নির্বাচনে আসতে তারা নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ফখরুলের জামিন নামঞ্জুরে সরকারের কোনো প্রভাব নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৭৫৪ দিন আগে
১০ ডিসেম্বর আ. লীগের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ইসি: ওবায়দুল কাদের
নির্বাচন কমিশন (ইসি) বাইরে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ায় ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশ হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইসির কাছে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে মহাসমাবেশের অনুমতি চেয়েছিলাম, কিন্তু ইসি তা গ্রহণ করেনি। আমরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে চাই না বলে সেখানে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি।’
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর এসব কথা জানান ওবায়দুল কাদের।
এসময় তিনি জানান, আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ একটি ইনডোর কর্মসূচি পালন করবে।
আ.লীগের এই নেতা আরও বলেন, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন বর্জন, অবরোধ ও হরতাল ডাকা গণতান্ত্রিক আচরণ নয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নয় আওয়ামী লীগ: কাদের
নির্বাচন সংক্রান্ত সংঘাত-বিশৃঙ্খলায় ব্যবস্থা নেওয়া ইসির দায়িত্ব: কাদের
নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কোথাও থামবে না: কাদের
৭৫৫ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচন: মাশরাফির আয় গতবারের চেয়ে অর্ধেকের বেশি কমেছে
নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজার বার্ষিক আয় ও গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ গতবারের (২০১৮ সালের নির্বাচন) চেয়ে অর্ধেকের বেশি কমেছে।
তবে স্থাবর সম্পত্তি, ব্যবহৃত গাড়ি ও আসবাব যা ছিল সেগুলো অপরিবর্তিত আছে।
বাংলাদেশ জাতীয় ওয়ানডে ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়কের একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচনী হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
মাশরাফি বছরে আয় ২০১৮ সালের হলফনামায় দেখানো হয় ১ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ৭০০ টাকা। এবার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ৮৮ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৮ টাকা।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: মোমেন, ইমরানের সম্পদ বেড়েছে, কমেছে নাহিদের
এর মধ্যে শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় বছরে ১৪ লাখ ১ হাজার ৯৯৩ টাকা, সম্মানী ও ভাতা থেকে ২৩ লাখ ৩ হাজার ২০ টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আয় ৫১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৫ টাকা। স্ত্রীর নামে নেই কোনো অস্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তি। গচ্ছিত আছে ৫০ তোলা স্বর্ণ।
গতবারের চেয়ে এবার নগদ অর্থ প্রায় ৪৩ লাখ টাকা বেড়েছে। গতবার নগদ অর্থ দেখানো হয় ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এবার দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ ৫৪ হাজার ৪০২ টাকা।
গতবার তার বাহন ও বাড়ির আসবাব হিসেবে যা যা দেখানো হয়, এবারও তাই দেখানো হয়েছে। তার বাহন হিসেবে আছে একটি প্রাইভেটকার, দু’টি মাইক্রো ও একটি জিপ (মূল্য ১ কোটি ৭৫ হাজার ৭ হাজার টাকা)।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচন: ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল, ১৯৮৫টি গৃহীত
বাসার আসবাব আছে ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার। স্থাবর সম্পদ হিসেবে গতবার হলফনামায় যা ছিল এবারও তাই দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে আছে নিজ নামে ৩ একর ৬১ শতাংশ জমি (অর্জনকালীন সময়ে এর মূল্য ৩৭ লাখ টাকা)। ঢাকার পূর্বাচলে একটি প্লট (অর্জনকালীন সময়ে এর মূল্য ৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা)। মিরপুরে একটি ৬ তলা ও একতলা ফ্ল্যাট বাড়ি (এ দু’টির মূল্য ৪৭ লাখ ৫০ হাজার ও ১ কোটি ৮ লাখ টাকা)।
হলফনামা অনুযায়ী, ২০১৮ সালে অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত ছিল ৬ কোটি ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ৫১ টাকা। এবার ব্যাংক, বন্ড, ঋণপত্র, পোস্টাল, সেভিংস, সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে গচ্ছিত দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৪ হাজার ২২৯ টাকা।
এর মধ্যে তিনটি ব্যাংকে গচ্ছিত আছে ১ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮৬০ টাকা এবং বন্ড, ঋণপত্রে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ২ কোটি ৪৫ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬৯ টাকা। এদিকে সিটি ব্যাংক থেকে লোন (হোম লোন) নেওয়া আছে ৮৯ লাখ ৭ হাজার ৭৭৫ টাকা।
আরও পড়ুন: মনোনয়ন ফরম বিক্রিতে আ. লীগের আয় ৪ দিনে ১৬.৮১ কোটি টাকা
৭৫৫ দিন আগে
৭ জানুয়ারির নির্বাচন: ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল, ১৯৮৫টি গৃহীত
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দেশের ৩০০টি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মোট ১৯৮৫টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ এবং ৭৩১টি বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারাদেশে দাখিলকৃত ২৭১৬টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে মোট ১৯৮৫টি গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৭৩১টি বাতিল করা হয়েছে।’
গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
ইসি সচিবালয়ের উপসচিব মাহবুবর রহমান বলেন, ৭৩১টি মনোনয়নপত্রের অধিকাংশই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়েছে- স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে অমিল, ঋণ ও ইউটিলিটি বিলের খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব।
আরও পড়ুন: নওগাঁর ৬ আসনে ৩৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ, বাতিল ২২ জন
মনোনয়নপত্র প্রত্যাখ্যান বা গ্রহণের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার থেকে সংক্ষুব্ধ প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণের জন্য শহরের নির্বাচন ভবনে ১০টি বুথ স্থাপন করেছে।
৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আপিল গ্রহণ করা হবে।
আপিলগুলো ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিষ্পত্তি করা হবে। ইসি দিনে প্রায় ১০০টি আপিল শুনবে এবং নিষ্পত্তি করবে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং রিটার্নিং অফিসাররা ১৮ ডিসেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বিতরণ করবেন।
প্রার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত (ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘন্টা আগে) নির্বাচনী প্রচারে যেতে পারবেন। যা কোনো বিরতি ছাড়াই ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৪৭ জন ইউএনও বদলির অনুমোদন ইসির
খুলনার ৬ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ
৭৫৫ দিন আগে
নওগাঁর ৬ আসনে ৩৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ, বাতিল ২২ জন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁর ছয়টি আসনে যাচাই বাছাই শেষে ৩৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রিটার্নিং কর্মকর্তা নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. গোলাম মওলা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও মনোনয়নপত্রে ত্রুটি, ভোটারদের সই জালিয়াতি, ভুল তথ্য প্রদান, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা ও মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করায় বাতিল করা হয়েছে ২২ জনের মনোনয়ন।
আরও পড়ুন: খুলনায় তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে-
নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসনে নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খালেকুজ্জামান তোতা ও সোহরাব হোসেনের পক্ষে সংসদীয় এলাকার এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সম্বলিত সমর্থনসূচক তালিকায় ত্রুটিযুক্ত স্বাক্ষর ও মামলার তথ্য গোপন রাখায় তাদের মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়।
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ অন্য চার প্রার্থীর মনোনয়ন ফরমে ত্রুটি না পাওয়ায় তাদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া ছয় প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ঋণ খেলাপি হওয়া, মামলার তথ্য গোপন রাখা ও সংসদীয় এলাকার এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় ত্রুটিযুক্ত স্বাক্ষরসহ বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
মনোনয়ন ফরম বাতিল হওয়া ওই ছয় প্রার্থী হলেন-
নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আইয়ুব হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক এইচএম আখতারুল আলম, নজিপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজল চন্দ্র দাস, ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আজিজার রহমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেজবাহুল আলম।
নওগ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহীদুজ্জামান সরকারসহ তিনজনের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর ও বদলগাছী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক আমলা সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীসহ ছয়জনের মনোনয়ন ফরম বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে কৌতুক অভিনেতা শামীনুর রহমান ওরফে চিকন আলী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ডিএম মাহবুব-উল মান্নাফসহ পাঁচজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া অপর তিন প্রার্থী হলেন-
বিএনএমের প্রার্থী জাবেদ আলী, এনপিপির প্রার্থী স্বপন কুমার দাস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজ হোসেন।
নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে চারজনের মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মনোনয়ন ফরমে কোনো ত্রুটি না থাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক এসএম ব্রুহানী সুলতান মামুদসহ (গামা) সাতজনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া চার প্রার্থী হলেন-
বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী কামাল পারভেজ, স্বতন্ত্র প্রার্থী আফজাল হোসেন, আব্দুস সামাদ ও জিয়াউল হক।
নওগাঁ-৫ (নওগাঁ সদর) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া সাতজন প্রার্থীর মধ্যে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকা ও আয়কর সম্পদ বিবরণীর তথ্য না দেওয়াসহ ত্রুটিযুক্ত মনোনয়ন ফরমের কারণে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী খন্দকার আমিনুর রহমানের (ফবেল) মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল (জন), স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক ও নওগাঁ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণসহ ছয়জনের মনোনয়ন ফরম বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নওগাঁ-৬ (রাণীনগর ও আত্রাই) আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে চার প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম বাতিল ও আটজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদ ইসলাম (বিপ্লব), এম এ রতন ও শাহজালাল হোসেনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংসদীয় এলাকার এক ভোটারের সম্মতিসূচক স্বাক্ষর তালিকায় অসঙ্গতিসহ বিভিন্ন ত্রুটি থাকায় তাদের মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়।
এছাড়া ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী খন্দকার ইন্তেখাব আলম হলফনামায় স্বাক্ষর না করায় তার মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়।
এছাড়া মনোনয়ন ফরমে কোনো ত্রুটি না পাওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক (সুমন) ও নওশের আলী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবু বেলাল হোসেনসহ আটজনের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্যে এর আগে নওগাঁর ছয়টি আসন থেকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্রসহ অন্যন্যা দলের মোট ৫৫জন মনোনয়নপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে স্বতন্ত্র ৩১ জন এবং অন্যান্য দলের ২৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
দিনাজপুরের ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল
৭৫৫ দিন আগে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৪৭ জন ইউএনও বদলির অনুমোদন ইসির
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সে নির্দেশনার আলোকে ৪৭ জন ইউওনকে বদলির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনুমোদন চাইলে তা দিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কমিশন ৪৭ জন ইউএনওকে বদলির সুপারিশ এলে তা অনুমোদন দিয়েছে। আর ২০ জনের চিঠি এসেছে। মোট ২৫০ জনের বেশি ইউএনও বদলি হবে।
এ ছাড়া, ৩২০ জনের মতো ওসি বদলি করা হবে।
আরও পড়ুন: ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ‘শিগগিরই’ ওসিদের বদলি শুরু করবে ডিএমপি
গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুই মন্ত্রণালয়কে সব থানার ওসি ও ইউএনওকে বদলির নির্দেশ দিয়ে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়।
এক্ষেত্রে, যেসব থানার ওসির কার্যকাল ছয় মাস হয়েছে এবং যেসব ইউএনওর কার্যকাল এক বছর হয়েছে তাদের তালিকা আগে পাঠাতে বলা হয়।
এবারের সংসদ নির্বাচনে ২৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে ২ হাজার ৭১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রবিবার)।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ
ময়মনসিংহের ডিসিকে প্রত্যাহার, সুনামগঞ্জের ডিসিকে বদলির নির্দেশ ইসির
৭৫৫ দিন আগে
খুলনার ৬ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ
খুলনায় আরও ছয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনার তিনটি আসনের ২০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
তিনি জানান, এই তিন আসনে ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ এবং একজনের অপেক্ষামাণ।
খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, খুলনার ছয়টি আসনের মধ্যে সোমবার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার
তিনি আরও জানান, এ তিনটি আসনে ২০ প্রার্থীর মধ্যে ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আর একজনের মনোনয়নপত্র অপেক্ষমাণ। ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি জানান, খুলবার ছয়টি আসনে জমা দেওয়া ৫৩ জনের মনোনয়নপত্র দুই দিন যাচাই-বাছাই শেষে ২৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে। ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আর একজনের ফলাফল অপেক্ষমাণ।
তিনি আরও জানান, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
এর আগে রবিবার (৩ ডিসেম্বর) (খুলনা- ৪, ৫ ও ৬) তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। ফলে দুই দিনের যাচাই-বাছাইয়ে খুলনার ছয়টি আসনে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলো।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে খুলনা-১ আসনের তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় জাকের পার্টির মো. আজিজুর রহমান; সমর্থনকারীদের জাল সই এবং প্রার্থী হিসেবে ঘোষণাপত্রে সই না করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত কুমার রায় এবং নিজ আসনের মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের পূর্ণাঙ্গ তালিকা না দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আবেদ আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
খুলনা-২ আসনে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হিদায়েতুল্লাহর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আর গণতন্ত্রী পার্টির মো. মতিয়ার রহমানের মনোনয়নপত্রটি অপেক্ষমাণ।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে খুলনা-৩ আসনের দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে সমর্থনকারীদের জাল সই থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইজার আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান
জাতীয় নির্বাচন: মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ
৭৫৫ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নয় আওয়ামী লীগ: কাদের
আওয়ামী লীগ আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নয় বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত ও বানচালের চেষ্টা করবে ভোটাররা তাদের প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, কোনো প্রকার নাশকতা করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়া যাবে না। এমনকি বিদেশি বন্ধুরাও বুঝতে পেরেছে যে বাংলাদেশে এখন নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।
বিএনপির নির্বাচন বয়কট প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেদের সিদ্ধান্তে নির্বাচন বর্জন করছে। ‘কেন আমরা তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করব? আওয়ামী লীগ সংবিধান মেনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, যাদের মনোনয়ন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে তারা আপিল না করলে আওয়ামী লীগ পক্ষপাতিত্ব করবে না।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সংক্রান্ত সংঘাত-বিশৃঙ্খলায় ব্যবস্থা নেওয়া ইসির দায়িত্ব: কাদের
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আরেকটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বদ্ধপরিকর।
জোটের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সামর্থ্য আছে এমন ব্যক্তিদের মনোনয়ন দিতে আওয়ামী লীগের কোনো সমস্যা নেই।
কাদের আরও বলেন, ‘আমরা যদি শুধু আমাদের মিত্র হওয়ার কারণে অযোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেই, তা হবে গণতন্ত্রের প্রতি অবিচার।’
দলের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বিএনপির পাল্টা কর্মসূচি নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ‘সেদিন আমরা মানবাধিকার দিবস পালন করব এবং এটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তাই আগামী ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে র্যালি আয়োজনের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
এর আগে ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বড় ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরীর (দীপু) নামাজে জানাজায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কোথাও থামবে না: কাদের
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই আমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি: কাদের
৭৫৬ দিন আগে
বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা বিএনপির
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য ইসির তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে আগামী বুধবার সকাল থেকে সারাদেশে ফের ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ ঘোষণা করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
৩১ অক্টোবর থেকে এটি হবে বিরোধী দলগুলোর দশম দফা অবরোধ কর্মসূচি।
এছাড়াও, ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দলটি গুম ও ভুয়া মামলার শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সারাদেশের সব মহানগর ও জেলা শহরে মানববন্ধন করবে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন।
বুধবার সকাল ৬টায় অবরোধ শুরু হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ: সারা দেশে ১৫৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
রিজভী বলেন, অবরোধের উদ্দেশ্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজন করা এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সব নেতা-কর্মীদের মুক্তিদান।
তিনি বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে, তারাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।
আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টায় বিরোধী দলের চলমান অবরোধ কর্মসূচি শেষ হওয়ার প্রায় ৯ ঘণ্টা আগে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
অবরোধ সফল করায় দেশবাসী ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান রিজভী।
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলো নবম দফা অবরোধ পালন করেছে।
তারা ২৯ অক্টোবর থেকে তিন দফায় দেশব্যাপী ভোর-সন্ধ্যা হরতালও পালন করেছে।
আরও পড়ুন: ঢিলেঢালাভাবে চলছে সর্বশেষ অবরোধ
নবম দফার অবরোধ: ১৬২ প্লাটুন বিজিবি, ৪৩৫ র্যাবের টহল দল মোতায়েন
৭৫৬ দিন আগে
রাজবাড়ীতে ৭ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
রাজবাড়ী-১ আসনে সদ্য পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক বিশ্বাসসহ চার স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং রাজবাড়ী-২ আসনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী নূরে আলম সিদ্দিকী হকসহ তিনজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার আবু কায়সার খান মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন।
এ সময় রাজবাড়ী-১ (রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ) আসনে স্বতন্ত্র চারজন প্রার্থীর মধ্যে সদ্য পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক বিশ্বাস, সাবেক মুলঘর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুসুল্লি, স্বপন কুমার সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আকবর আলী মর্জির ছেলে আশিশ আকবর সুবিরের মনোনয়নপত্রে ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
অপরদিকে, রাজবাড়ী-২ (পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী) স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
এ তালিকায় প্রভাবশালী প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হকের মনোনয়নপত্রে ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল ও ঋণ খেলাপি থাকায় তৃণমূল বিএনপির এসএম ফজলুল হক ও মুক্তিজোটের প্রার্থী মো. আব্দুল মালেক মণ্ডলের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আবু কায়সার খান বলেন, যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল করা প্রার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বরাবর আপিল করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁর ৬ আসনে ৩৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ, বাতিল ২২ জন
মানিকগঞ্জে জাতীয় পার্টির সব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
ময়মনসিংহে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
৭৫৬ দিন আগে