রাজনীতি
সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে বিএনপিই বেকায়দায়: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশিদের পদলেহন এবং দেশবিরোধী সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি ও তার মিত্ররাই বেকায়দায় পড়ে গেছে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র মালিক সমিতি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ'লীগের সতর্কতায় বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিফল: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমাদের দেশে রাজনীতির ক্ষেত্রে যেটা চ্যালেঞ্জ, সেটি হচ্ছে বিরোধীদল বিএনপির সাংঘর্ষিক রাজনীতি এবং তার মিত্রদের দেশবিরোধী অপতৎপরতা। দেশবিরোধী অপতৎপরতা করতে গিয়ে বিদেশিদের পদলেহন এবং বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়া হচ্ছে। এগুলো করে তারা সরকারকে বেকাদায় ফেলতে চায়।
কিন্তু সরকারকে বেকাদায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি নিজেই বেকাদায় পড়ে গেছে।
কারণ ১০ ডিসেম্বর তারা ভেবেছিল নয়াপল্টনের সামনে একটি সমাবেশ করতে পারবে, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারবে। সেটি তারা করতে পারেনি। ১০ ডিসেম্বরের পর বিএনপি বুঝতে পেরেছে তাদের শক্তি এবং সামর্থ্য কতটুকু।
এরপরও বিএনপি এ বছরও চেষ্টা করবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য।
তিনি বলেন, তবে আমরা তাদের সর্বোচ্চ অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা দেখেছি ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে। সেগুলো মোকাবিলা করা হয়েছে। সুতরাং তারা কী করতে চায় বা কী করতে পারে, সেটি নিয়ে আমাদের ধারণা আছে। আর তা মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা দুটিই আছে। এছাড়া সেটি আমাদের জন্য কঠিন কোনো কাজ নয়।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিএনপি দুটি হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটি হচ্ছে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার গোঁ ধরা। সেই গোঁ ধরে তাদের রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। আরেকটি হচ্ছে তাদের সংসদ সদস্যদের বাধ্য করে পদত্যাগ করানো, এটাতেও তাদের ক্ষতি হয়েছে।
এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত কেন নেয়া হলো সেই প্রশ্নই এখন বিএনপির অভ্যন্তরে ঘুরপাক খাচ্ছে। খন্দকার মোশাররফ সাহেবরা সেই হঠকারী সিদ্ধান্তের জবাব দিতে পারেন না তো, সে জন্য কর্মীদের কাছে উঁচু গলায় কথা বলে কর্মীদের আশ্বস্ত করতে চান, অন্য কোনো কিছু নয়।
সংশ্লিষ্টদের আবেদন পেলে বছরে ১০টি হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানি
এর আগে সিনেমা হল মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র অঙ্গনের সবার আবেদন পেলে বছরে ১০টি ভারতীয় হিন্দি সিনেমা আমদানি ও প্রদর্শন সম্ভব।
তিনি বলেন, যদি চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি এবং প্রযোজক সমিতি-এই চারটা সমিতি লিখিত আবেদন দেয় তাহলে আমরা বিষয়টা নিয়ে উদ্যোগ নেবো।
সবাই লিখিত দিতে হবে। কারণ অতীতে দেখা গেছে বেশির ভাগ সমিতি চাচ্ছে কিন্তু শিল্পী সমিতি চায় না।
আরও পড়ুন: বিএনপির ডাকা গণমিছিল গাঁধার ডিম পাড়ার মতো হবে: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, যে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল, সেই চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
তার মধ্যে অন্যতম বড় পদক্ষেপ হচ্ছে এক হাজার কোটি টাকার স্বল্প সুদে ঋণ তহবিল। সেটির জন্য ৫০ এর অধিক দরখাস্ত পড়েছে। আমরা আশা করছি সেগুলো তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি হবে এবং আর দরখাস্তকারী উৎসাহী আছেন।
মানুষের রুচির পরিবর্তনের কারণে শুধু দেশে নয়, সিনেমার শহর মুম্বাইতেও সিঙ্গেল স্পেস অনেকগুলো সিনেমা হল বন্ধ হয়েছে, কলকাতাতেও তাই, কিন্তু সিনেপ্লেক্স দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে ব্যাংকের যে পুণ:অর্থায়নযোগ্য ঋণ তহবিল মার্কেটের মধ্যে সিনেপ্লেক্স করলে তার জন্যও প্রযোজ্য। আলাদাভাবে শুধু সিনেপ্লেক্স করার বাধ্যবাধকতা নেই।
মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে পাঁচ শতাংশ সুদে আর মেট্রোপলিটন শহরের বাইরে সাড়ে চার শতাংশ সুদে এই ঋণ পাবেন এক বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ যেখানে সাধারণ ঋণের সুদ ৯ শতাংশ।
'বিএনপির ভুল ইসলামী আন্দোলন করেনি'
এ দিন সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলের জাতীয় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এ সময় বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপিকে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দিলেও তারা পল্টনের রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশের জন্য গোঁ ধরে থেকে শেষ পর্যন্ত গোলাপবাগে গেছে।
ইসলামী আন্দোলনও বায়তুল মুকাররমের সামনে সমাবেশ করতে চাইতে পারতো।
নামাজের সুবিধা হতো। কিন্তু রাস্তা বন্ধ হয়ে জনগণের ভোগান্তি হতো। তারা সেটা করেননি, বিএনপির মতো ভুল করেননি। এজন্য তাদের ধন্যবাদ।
সম্মেলনের সভাপতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ'র মুহতারাম আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) এবং রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান দেশে ইসলামের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপগুলোকে যুগান্তকারী হিসেবে বর্ণনা করেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস এবং নেতৃবৃন্দের মধ্যে ইউনুস রুবেল, শরফুদ্দীন এলাহী, সহিদুর রহমান, তাপস দাশ গুপ্ত, ঈশা খান, সম্রাট শাহ ও ফারুক আহমেদ সভায় যোগ দেন।
অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র, সোশ্যাল ও নিউ মিডিয়া) ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাপের মতো খোলস বদলায় বিএনপি জোট: তথ্যমন্ত্রী
রংপুর আওয়ামী লীগের গণসংস্কার চলছে
রংপুর জেলা ও আওয়ামী লীগের মহানগর কমিটি ভেঙে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
গত ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি নির্বাচনে ভয়ঙ্কর পরাজয় ও পারফরম্যান্সের পর বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থী জামানত হারিয়ে চতুর্থ অবস্থানে চলে যান।
রবিবার (১ জানুয়ারি) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলীয় সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ: কাদের
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রংপুর মহানগর ও রংপুর জেলা শাখার বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে দিয়েছেন এবং সংগঠনের সংবিধানে তাকে অর্পিত ক্ষমতাবলে একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছেন।
ড. দেলোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল কাশেমকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
একেএম সায়াদত হোসেন বকুলকে আহ্বায়ক ও অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবলুকে যুগ্ম আহ্বায়ক রংপুর আওয়ামী লীগের জেলা শাখার জন্য আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় প্রধান শিক্ষককে আওয়ামী লীগ নেতার চড়-থাপ্পড়!
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে: ফখরুল
২০২৩ হবে দেশপ্রেমিক মানুষের সাফল্যের বছর
২০২৩ সাল হবে দেশপ্রেমিক মানুষের সাফল্যের বছর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেছিলেন, আমাদের লক্ষ্য সাফল্য অর্জন করা। আমরা আশা করি ২০২৩ সাল হবে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক মানুষের জন্য সাফল্যের বছর।
আরও পড়ুন: ৩০ মাসের বিল বকেয়া, বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের বাসার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়ার বছরও হবে বলে জানান তিনি।
রবিবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর থেকে জাতি যা অর্জন করেছে তাতে ছাত্ররা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, জনগণ আশা করছে, শিক্ষার্থীরাও এখন দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও গণমুখী সরকার প্রধান ভূমিকা পালন করবে।
আমরা আশা করি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণ করবে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অন্যায়ের প্রতিবাদের চেতনাকে কখনো দমিয়ে রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন: গয়েশ্বরের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ
১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
সরকার পতনের ১০ দফা বাস্তবায়ন করাই নতুন বছরে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, আগামী দিনে আমাদের চ্যালেঞ্জ ১০ দফা বাস্তবায়ন। আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়া।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ গ্রেপ্তার হওয়া দলের সব নেতাকর্মীকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে হবে।
‘আর এটা করতে হলে যত শিগগিরই সম্ভব এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। অতএব, আগামী দিনে আমাদের যে টার্গেট এই ১০ দফা বাস্তবায়ন এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানাচ্ছি, বলেন তিনি।
রবিবার ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
আরও পড়ুন: সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
এর আগে ১০ ডিসেম্বর দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালসহ ১০ দফা দাবির সনদ ঘোষণা করে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ এ সমাবেশে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র এখন ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ একটি সংকটময় সময় পার করছে।
তিনি বলেন, গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে দেশবাসী।
এছাড়া সরকার প্রতিষ্ঠা হলেই আমরা আমাদের দলের ২৭ দফার ভিত্তিতে দেশ গড়ব। অন্ধকার কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ।
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল দেশের জনগণ, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করে ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
সরকারের দমন-পীড়নমূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন ও গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
বিএনপি নেতা জানান, আপনারা (সরকার) বিভিন্ন দমনমূলক কর্মকাণ্ড করেও আমাদের আন্দোলনকে দমাতে পারেননি। জনগণ ইতোমধ্যে রাজপথে নেমেছে এবং এবার আপনাকে রেহাই দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব নির্বাচনে সালাউদ্দিন রেজা ও দেবদুলাল সভাপতি-সা. সম্পাদক নির্বাচিত
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে (২০২২-২৩) সভাপতি পদে সালাউদ্দিন মো. রেজা ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর রাত ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওমর কায়সার।
সভাপতি পদে দৈনিক ইত্তেফাকের ব্যুরো প্রধান সালাউদ্দিন মো. রেজা, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে চ্যানেল আইয়ের ব্যুরো প্রধান ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী ও সহ সভাপতি পদে এটিএন বাংলার মনজুর কাদের মনজু, সাধারণ সম্পাদক পদে দৈনিক পূর্বদেশের সহকারী সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: ভোলা প্রেসক্লাব নির্বাচন: সভাপতি হাবিবুর ও সম্পাদক অমিতাভ অপু
যুগ্ম সম্পাদক পদে দৈনিক যুগান্তরের ব্যুরো প্রধান শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার,অর্থ সম্পাদক পদে ফটোসাংবাদিক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দৈনিক সমকালের সহ সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার,ক্রীড়া সম্পাদক পদে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট সোহেল সরওয়ার, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে দৈনিক সমকালের প্রতিবেদক কুতু্ব উদ্দিন, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট আল রাহমান প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বিজয়ী খোরশেদুল আলম শামীম নির্বাচিত হন।
এছাড়াও, চারটি সদস্য পদে সিনিয়র সাংবাদিক জসীম চৌধুরী সবুজ, দৈনিক জনকন্ঠের উপসম্পাদক মোয়াজ্জেমুল হক, আইয়ূব আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলম নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিপুল ভোটে জয়
ফরিদপুরে এক পৌরসভা ও তিন ইউপি নির্বাচনে নৌকার পরাজয়
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব মারা গেছেন
সিনিয়র আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন ৮৪ বছর বয়সে মারা গেছেন।
শনিবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সাইরুল কবির খান জানান, রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে হাসপাতালে মাহবুব মারা যান।
বুধবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে সেখানে ভর্তি হওয়ার একদিন পর বিএনপি নেতাকে এভারকেয়ারে ভেন্টিলেটরে রাখা হয় বলে জানান শায়রুল।
খন্দকার মাহবুব বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সহ-সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবীও ছিলেন তিনি।
অভিমানে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন ৫ বারের সাংসদ সাত্তার
জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের পর এবার দলে গুরুত্ব না পাওয়ায় অভিমানে বিএনপির পদও ছাড়লেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া।তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তাঁর ছেলে মাঈনুল হাসান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
১ ফেব্রুয়ারি এই শূন্য আসনে উপনির্বাচন হবে।
আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
একবার টেকনোক্র্যাট হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ১৯৭৯ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপির টিকেটে দুইবার এমপি নির্বাচিত হন।
২০০১ সালের নির্বাচনে জোটকে আসনটি ছেড়ে দিলে টেকনোক্রেট কোটায় তিনি তিন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
জীবনের বেশির ভাগ সময় রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা উকিল সাত্তার এখন বয়সের ভারে ন্যুজ্ব।
এ ব্যাপারে তার ছেলে বলেন, দল বর্তমানে উনাকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। দলীয় গুরুত্বপূর্ণ কোন সিদ্ধান্ত নিতে উনাকে ডাকছেন না। কিছু জিজ্ঞেস করছেন না। দলের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে উনার আর প্রয়োজন নেই।
তাই তিনি নিরিবিলি থাকাটাই শ্রেয় মনে করেছেন। এছাড়া তিনি পরিবারসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে পরামর্শ করেই দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তুষার বলেন, বাবা আসন্ন উপনির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন কিনা এই বিষয়ে আমরা ভাবছি না।
এদিকে প্রবীণ এই নেতা দল থেকে পদত্যাগের গুঞ্জন উঠেছে তিনি আওয়ামীলীগের যোগদান করে আসন্ন সরাইল-আশুগঞ্জ উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী পাঁচ বারের সাবেক সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইয়া নিঃসন্দেহে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি ও ভাল মানুষ।
তবে তিনি আওয়ামীলীগে যোগদান করে সরাইল-আশুগঞ্জ উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না বিষয়টি আমার জানা নেই।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইয়ার পদত্যাগের বিষয়ে দলীয়ভাবে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।
তিনি আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিবেন কি না তাও আমি জানিনা।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপিসহ ৩২টি দলের বিশাল শোডাউন সম্মিলিত আন্দোলনে রূপ নেয়
আ'লীগের সতর্কতায় বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিফল: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের সতর্কতায় বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিফল হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে গণমিছিলের নামে বিএনপি-জামায়াত ঢাকা শহরে একটা বড় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল।
কিন্তু পুরো শহর জুড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, এরপরও বিএনপির প্রধান সহযোগী জামায়াতে ইসলামী পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ বাহিনীর ধৈর্য্যের কারণে তারা সেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোই দায়ী: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরনগরীর দেওয়ানজী পুকুরপাড়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন।
'ঢাকায় শুক্রবার বিএনপির গণমিছিল কর্মসুচি থেকে পুলিশের ওপর জামায়াত-শিবিরের হামলার ঘটনা কেন হলো এবং পুলিশের কি প্রস্তুতি ছিল'-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে ১০ ডিসেম্বর বিএনপি বুঝতে পেরেছে তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। দশ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে বলে তারা সেখানে বড়জোর ৫০-৬০ হাজার মানুষ জমায়েত করতে পেরেছে। এরপর থেকেই বিএনপি আসলে হতাশ।
এছাড়া তাদের রাজনীতি পুরোটাই ষড়যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। সেই কারণেই তারা একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, 'বিএনপি বিদেশিদের পদলেহন করার নীতি অবলম্বন করেছে। সেটি করেও কোনও লাভ হয়নি। তারা যেভাবে মনে করেছিল বিভিন্ন রাষ্ট্র বা দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাদের পক্ষে নানা ধরনের কথা বলবেন, আপনারাও দেখতে পারছেন, সেটি হয় নাই।'
ড. হাছান বলেন, 'তাদের (বিএনপি) রাজনীতিটা একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে- দেশে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। দেশের জনগণ সেটা কোনোভাবেই হতে দেবে না। বিশৃঙ্খলা তৈরি করার উদ্দেশ্যেই তারা নানা ধরনের কর্মসূচি দিয়েছে।
সেই কর্মসূচিতে তাদের কর্মীদের যেভাবে আশা করেছিল সেভাবে হয়নি। তাদের রাজনীতি সেই একই জায়গায় আছে। গত ১০ ডিসেম্বরও তারা গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এখনও সুযোগ পেলে একই কাজ করবে। তারা সেখান থেকে সরে আসতে পারেনি। তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।'
বিএনপিকে মোকাবিলার প্রশ্নে তিনি বলেন, '২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপির নাশকতা মোকাবিলা করেছি। বিএনপি কি করতে চায়, কতটুকু করতে পারে আমরা জানি। সেটা মোকাবিলা করার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কি করতে হবে সেটাও আমরা জানি। সুতরাং বিএনপি সেই পুরনো পরিস্থিতি আর কখনো সৃষ্টি করতে পারবে না।'
আরও পড়ুন: সাপের মতো খোলস বদলায় বিএনপি জোট: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির ডাকা গণমিছিল গাঁধার ডিম পাড়ার মতো হবে: তথ্যমন্ত্রী
বিশ্বের কোথায়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্বের কোথায়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। সুতরাং সেই দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ বাঁচানোই আমাদের প্রধান এজেন্ডা।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফেনীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য অতি বাম, অতি ডান মিলে-মিশে একাট্টা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ভালো আছি।
আরও পড়ুন: আ. লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকায় আমরা ধৈর্যহারা হইনি। পথ হারাইনি।
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপির মাঠে সংঘাত করে লাভ নেই। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
এছাড়া সরকার শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে। নির্বাচনে সরকারের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনও সুযোগ নেই। বিএনপি-জামায়াতের সরকার পতনের স্বপ্ন সফল হবে না। এছাড়া আমরা বিশ্বাস করি তারা নির্বাচনে আসবে, সব নিবন্ধিত দলকে আমরা স্বাগত জানাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ার সম্পর্কে বলেছি। সম্পদকে সম্ভাবনার রূপ দিতে কাজ করছি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব সংকটকালে জ্বালানি, ডলার, রিজার্ভ নিয়ে আমরা ভাবছি। পাকিস্তানে রিজার্ভ ৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
সে তুলনায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি সংকটেও দিশেহারা হইনি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছি।
এসময় তিনি রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, আমরা অশান্তি ও সংঘাত চাইনা। কাউকে উস্কানি দিতে চাইনা। বিএনপিসহ ৩৩ দলের গণমিছিল কর্মসূচি হয়েছে। ওই ৩৩ দল ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, নিধিরাম সর্দার অবস্থার দল।
এছাড়া নিবন্ধিত সকল দলকে আমি নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য স্বাগত জানাই।
কুটনৈতিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, জেনেভা কনভেনশনের আলোকে কুটনৈতিকরা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাতে পারেন না। আমরাতো কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাই না।
এছাড়া আমাদের দেশের বিষযে বলার আগে নিজেদের দিকে তাকানো উচিত।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, রংপুরের কথাটা আলাদা, সেখানে এরশাদ সাহেবের প্রভাব আছে। তাদের প্রার্থীও প্রভাবশালী। আমরা একজন নারীকে মনোনয়ন দিয়েছি। দলের অনেকে তার জন্য ভালোভাবে কাজ করেনি। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের প্রার্থী কম ভোট পেয়েছে। শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। আমরা বলবো গণতন্ত্রের বিপ্লব হয়েছে। সুষ্ঠু ভোট হয়েছে।
এছাড়া রংপুরের বিষয় এনে জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যতবাণী করা যাবে না। হারজিত থাকবে। এটা ভোটের প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে রিকশায় উঠলেই ২০ টাকা লাগে। তাহলে মোট্রেলের বাড়া বেশি হলো কিভাবে। আমাদের কিছু বলার আগে নিজের চেহারা আয়নায় দেখুন। আপনাদের আজিজ কমিশন এক কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল। সেটি কেউ ভুলেনি।
তিনি জামায়াতের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জামায়াত সহিংসতা করলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বসে থাকবেনা। তারা সমুচিত জবাব দেবে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওবায়দুল কাদের হেলিকপ্টার যোগে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজে অবতরণ করেন।
এ সময় ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে ওবায়দুল কাদেরকে অভিনন্দন জানান।
এ সময় জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট হাফেজ আহাম্মদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো সক্রিয়: ওবায়দুল কাদের
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেনো বিএনপির অপছন্দ: ওবায়দুল কাদের
সাপের মতো খোলস বদলায় বিএনপি জোট: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'সাপ যেমন কিছুদিন পর পর চামড়া-খোলস বদলায়, বিএনপির জোটও কিছু দিন পর পর খোলস বদলায়। কোন সময় বিশ দল হয়, বারো দল হয়, এখন বলছে তেত্রিশ দল।'
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের পক্ষ থেকে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন 'তেত্রিশ দলের মধ্যে ত্রিশটাকে খুঁজে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ আছে কারণ কয়েকটি হাতে গোনা দল ছাড়া বাকিগুলো আসলে সাইনবোর্ড সর্বস্ব দল'
এসময় বিশৃঙ্খলা করলে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপির আজকের যে গণমিছিল, এতে মানুষ আতঙ্কিত। তাদের এই গণমিছিলের কর্মসূচিতে ঢাকা শহরের মানুষ আতঙ্কিত।'
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'সরকারি দল হিসেবে আমাদের দলের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা। দেশে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা-স্থিতিশীলতা কেউ বিনষ্ট করতে না পারে, সেজন্য আমরা মাঠে আছি। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায় এবং তার মিত্ররাও, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করব।'
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে সমগ্র বিশ্ব আজ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ভরসার প্রতীক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও জনগণের ভোটে ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় আসবে।’