রাজনীতি
আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের সংকটকালে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জামায়াতের নেতারা বিদেশ থেকে দেশে এসে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আধিপাত্যবাদের দোসর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের নেতাদের বেগম পাড়া কিংবা পিসি পাড়া নাই। জামায়াতের কোনো নেতা কখনোই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি —যাবেও না। যারা দেশ ও জনগণকে ভালোবাসে না তারাই বিদেশে নিজেদের দ্বিতীয় ঠিকানা গড়ে তুলেছেন। তারা নিজেদের স্বার্থে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।’
জামায়াতের এমন অবস্থানের কারণে শীর্ষ নেতাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিচারিক হত্যা করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন জামায়াতপ্রধান।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে দলটির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিগত ৫৪ বছরে জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের একজন নাগরিকের প্রতিও অবিচার করেনি, জুলুম করেনি। জামায়াতের কোনো নেতাকর্মী চাঁদাবাজি কিংবা সন্ত্রাসী করেনি, করবেও না। জামায়াত দল নিয়ন্ত্রণ করেছে, দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। যারা দলই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না—তারা দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সার্বিক পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।
ইসলামকে পৃথিবীর একমাত্র অসাম্প্রদায়িক ধর্ম উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি, ধর্ষক, খুনি, লুটেরাদের ভয়ের কারণ আছে—এজন্য তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে। যারা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে তাদের মা-বোন যদি প্রয়োজনে বাজারে যেতে পারে, হাসপাতালে যেতে পারে, প্রয়োজনীয় মৌলিক সব কাজ করতে পারে—তাহলে কেন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে নারীদের চলাফেরায় বাঁধা সৃষ্টি হবে এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সকল ধর্মের নারী-পুরুষ সকলেই রাষ্ট্রের কাছে সমান। রাষ্ট্র ধর্মের কিংবা লিঙ্গের বৈষম্য করতে পারে না। ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সকলের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ইসলাম ও দেশপ্রেমিক সকলকে সঙ্গে নিয়ে পথ চলতে চায় জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের রাজনীতি হবে কেবলই মানুষ ও মানবতার কল্যাণে।
পড়ুন: নির্বাচনের আগে শীর্ষ অপরাধীদের শাস্তি দেখতে চাই: ডা. শফিকুর
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জেনারেল মাওলানা এটিএম মা'ছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগীয় সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ড. আব্দুল মান্নান ও মো. শামছুর রহমান।
পড়ুন: নির্বাচন দেরিতে হোক আমরা সেটা চাই না: ডা. শফিকুর রহমান
১৫৬ দিন আগে
নির্বাচনের আগে শীর্ষ অপরাধীদের শাস্তি দেখতে চাই: ডা. শফিকুর
আগামী নির্বাচনের আগে কিছু মৌলিক সংস্কার ও অপরাধীদের বিচার দৃশ্যমান জামায়াতে ইসলামী আশা করে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী আশা করে আগামী বছরের প্রথমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর আগে কিছু মৌলিক সংস্কার ও অপরাধীদের বিচার দৃশ্যমান হতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকালে সিলেট নগরীর বালুচরে শিল্পকলা একাডেমিতে মহানগর জামায়াতের আয়োজনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনে মানুষ তার পছন্দের দল বা ব্যক্তিকে ভোট দিতে পারেননি। সেরকম নির্বাচন হলে তা জাতির জন্য দুঃখের ও বেদনার কারণ হবে। নির্বাচনের আগে অন্তত দুই-চারজন শীর্ষ অপরাধীদের শাস্তি দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, আগামীতে যেই সরকারে আসুক তাকে অপরাধীদের শাস্তি বা বিচারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। তা না হলে যুবকরা আবার রাস্তায় নেমে আসবে। তারা এখন পথ চিনে ফেলেছে।
জামায়াতের আমির বলেন, একটা যুদ্ধ হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে, দেশবাসীকে নিয়ে আরেকটা যুদ্ধ হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং এই যুদ্ধেও বাংলাদেশের মানুষের জয় হবে।
পড়ুন: নির্বাচন দেরিতে হোক আমরা সেটা চাই না: ডা. শফিকুর রহমান
তিনি বলেন, আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছি আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী। আহতদের পাশেও থাকার চেষ্টা করেছি সাধ্যমতো। ইনশাল্লাহ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব আমরা পেলে অবশ্য শহীদ পরিবার এবং আহতদের যথাযত সম্মান দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ইতিহাস যাতে বিকৃত না হয় সেজন্য আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের তথ্য লিপিবদ্ধ করা শুরু করেছি।
তিনি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, যে দল তার কর্মীদের চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করতে পারে না, তাদের কাছে দেশ নিরাপদ নয়। তিনি বলেন, সরকারি অব্যবস্থাপনা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে চা শিল্প রুগ্ণ শিল্পে পরিণত হয়েছে। দেশের সব জায়গায় সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি চলছে।
শফিকুর রহমান বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক তরুণ তরুণীকে দেশ গড়ার কাজে গড়ে তুলব।
কোনো দেশ আমাদের প্রভু নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের অধিকার রক্ষায় বৈরীতা নয় সমমর্যাদার ভিত্তিতে কাজ করব।
পড়ুন: দেশ যেভাবে চলছে জনগণ সন্তুষ্ট নয়, ক্ষুব্ধ: ডা. শফিকুর রহমান
সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
সভায় আরও বক্তব্য দেন, জামায়াতের সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, হবিগঞ্জ জেলা আমির মখলিছুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, মাওলানা লুৎফর রহমান হুমায়দী, জামিল আহমদ রাজু, শামীম আহমদ, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি শাহজাহান আলী ও নায়েবে আমির নুরুল ইসলাম বাবুল।
সভায় শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধারা বক্তব্য রেখেছেন।
১৫৭ দিন আগে
বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন স্বৈরাচার হাসিনা: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বিচারপতি খায়রুল হক দেশের বিচারব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ইঙ্গিতে মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেল খাটিয়েছেন। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করায় ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান রিজভী।
তিনি বলেন, বিএনপির কোটি কোটি সমর্থক রয়েছেন। এ বছর আমরা এক কোটি সদস্য সংগ্রহ এবং নবায়ন করব।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজার এম সাইফুর রহমান অডিটোরিয়াম জেলা বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পড়ুন: উত্তরায় যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৫ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, সমবেদনা জানালেন ফখরুল
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, বিগত দিনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দিনের পর দিন, মাসের পর মাস জুলুম, নির্যাতন ও অত্যাচার করেছেন। সেই মামলায় আমি ও আমাদের নেতা কর্মীরা জেল খেটেছি।
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূনের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ সাবেক এমপি রশিদুজ্জান মিল্লাত। এছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপি সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, সিলেট বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম টিম লিডার সৈয়দ আশরাফুল মজিদ খোকন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম নাসের রহমান প্রমুখ।
পড়ুন: খায়রুলের গ্রেপ্তারে মির্জা ফখরুলের শুকরিয়া, চান দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, বকশী মিছবাহ উর রহমান, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুজিবুর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ রাজনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল ইসলাম সেলুনসহ জেলার ৭ উপজেলা এবং ৫টি পৌরসভার সিনিয়র নেতারা।
১৫৭ দিন আগে
মাইলস্টোনের ঘটনাকে পুঁজি করে আ. লীগ পুনর্গঠিত হচ্ছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
মাইলস্টোনের ঘটনাকে পুঁজি করে আওয়ামী লীগ আবার পুনর্গঠিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এসসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম মাইলস্টোনের ঘটনাকে পুঁজি করে আওয়ামী লীগ আবার পুনর্গঠিত হচ্ছে।’
হাসনাত বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান করব, বাংলাদেশের স্বার্থে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে জুলাই পদযাত্রা পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টায় জেলা শহরের রেলগেইট এলাকা থেকে পদযাত্রা শুরু করেন এনসিপি নেতারা।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, অতীতের শাসকরা আমাদের একটি ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দিয়ে গেছে। আপনি রাস্তায় বের হন, বাসে চাপা পড়ে মরবেন। আপনি হাসপাতালে যান, চিকিৎসার অভাবে মারা যাবেন। বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাবেন, লঞ্চ দুর্ঘটনায় মারা যাবেন। বাংলাদেশে একটি স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তার অবস্থা আমাদের দিয়ে যায়নি। এই রাষ্ট্রের কাছে, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই।
আরও পড়ুন: হাসিনা অধ্যায় শেষ, আ. লীগ কখনো ফিরবে না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
তিনি আরও বলেন, আমরা চেয়েছিলাম একটি পুনর্গঠিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে আমাদের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন ইংরেজিতে অনার্স, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বাংলায় অনার্স। যারা দক্ষ এবং যোগ্য মানুষ ছিল—তাদের সরকারে বসিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে দেখিয়ে দেওয়া উচিত ছিল স্বাস্থ্যব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়-আমরা দেখেছি একটা ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, একটা অযোগ্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে দিয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পরিচালনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে কি কোনো ডাক্তার ছিল না?
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেনন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ মাহদি প্রমুখ।
এছাড়াও পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
১৫৭ দিন আগে
উত্তরায় যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৫ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, সমবেদনা জানালেন ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাম্প্রতিক যুদ্ধ বিমান দুর্ঘটনায় যেসব পরিবার তাদের সন্তানদের হারিয়েছে, তাদের মধ্যে পাঁচটি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
ফখরুল কিছু বিএনপি নেতার সঙ্গে প্রথমে উত্তরার দিয়াবাড়ির তারারটেক এলাকায় যান এবং বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষার্থী উমায়ের নূর আশিক, বোরহান উদ্দিন ব্যাপ্পি এবং মাহিত হাসান আরিয়ানের পারিবারিক কবরস্থানে বেলা ১১টার দিকে ফাতেহা পাঠ করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
পরে তিনি শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়ে সান্ত্বনা ও সহানুভূতির কথা বলেন। আশিক, ব্যাপ্পি এবং আরিয়ান একই পরিবারের সদস্য এবং চাচাতো ভাই ছিলেন।
তারা তিনজনই উত্তরার দিয়াবাড়ির তারারটেক মসজিদ এলাকায় একসঙ্গে বড় হয়েছেন। এরপর ফখরুল কাছাকাছি নয়ারনগর এলাকায় যান এবং আরও দুই শিক্ষার্থী জুনায়েদ ও শরিয়ারের কবরেও ফাতেহা পাঠ করেন।
তিনি ওই দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন এবং তাদের সান্ত্বনা জানিয়ে বলেন, ‘এটি একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা, শুধু আপনাদের জন্য নয়, পুরো জাতির জন্য। আমরা এই দুঃখের সময়ে আপনাদের পাশে আছি।’
তিনি বলেন, পুরো জাতির মতো বিএনপিও এই গভীর শোকে শোকাহত।
আরও পড়ুন: খায়রুলের গ্রেপ্তারে মির্জা ফখরুলের শুকরিয়া, চান দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
ফখরুল জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে শোকাহত পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করে দলীয়ভাবে গভীর সমবেদনা জানাতে এবং এই কঠিন সময়ে তাদের পাশে থাকার বার্তা পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেছেন।
দুঃখ প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, ‘যখনই আমরা কোনো দুর্ঘটনায় শিশুদের মৃত্যুর কথা শুনি, সেটা আমাদের গভীরভাবে আহত করে। শিশুদের ভবিষ্যৎ— পরিবার ও জাতির ভবিষ্যৎ।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি শিশুকে হারানোর বেদনা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সান্ত্বনার ভাষা আমাদের নেই। তবে এই শোকের সময় আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
বিএনপির ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিটের সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর এবং বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য সৈয়দুল কবির খানসহ আরও অনেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
১৫৭ দিন আগে
খায়রুলের গ্রেপ্তারে মির্জা ফখরুলের শুকরিয়া, চান দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, দায়িত্বে থাকাকালীন এই বিচারপতি জাতির অপূরণীয় ক্ষতি করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, ভবিষ্যতে যেন কেউ রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে উচ্চপদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার না করে, সে জন্য খায়রুল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘খায়রুল হক বাংলাদেশের বড় শত্রুদের একজন। তিনি দায়িত্বে থেকে দেশের বড় ক্ষতি করেছেন। আজ তিনি গ্রেপ্তার হওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধান বিচারপতির পদে থেকে তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করেছেন, কিন্তু তিনি সেখানে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন।
খায়রুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে যে রায় দিয়েছেন, সেটির মাধ্যমে তিনি একইসঙ্গে জনগণ ও রাষ্ট্রকে প্রতারিত করেছেন বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যে সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনেক পার্থক্য ছিল। আমরা মনে করি, তার দেওয়া সংক্ষিপ্ত রায়টি রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিরোধী। আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ যে, তারা দেরিতে হলেও খায়রুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে রায় পরবর্তী রাজনৈতিক সংকটের জন্য খায়রুল শতভাগ দায়ী।’’
পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে সরকার সঠিক পথেই এগোচ্ছে: ফখরুল
তাকে কী ধরনের শাস্তি দেয়া উচিত—এই প্রশ্নে ফখরুল বলেন, সেটি নির্ধারণের তিনি কেউ নন।
‘আমরা চাই, এসব বিষয়ে যথাযথ তদন্ত হোক এবং আইনি বিধান অনুযায়ী বিচার হোক। তবে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার, যাতে ভবিষ্যতে কেউ ওই পদে থেকে রাষ্ট্রের ক্ষতি করার সাহস না পায়,’ বলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থা জনগণের সবচেয়ে আস্থা জায়গা। কিন্তু খায়রুল হক তার রাজনৈতিক মানসিকতার কারণে সেই আস্থা ধ্বংস করেছেন, যা দেশের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে।এ দিন সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে নিজ বাসভবন থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালে খায়রুল হক শপথ নেন। পরের বছর ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
২০১৩ সালে তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা একই পদে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক এই প্রধান বিচারপতিকে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
১৫৭ দিন আগে
হবিগঞ্জে শহিদ মিনারে সমাবেশের অনুমতি মেলেনি, ক্ষুব্ধ এনসিপি নেতারা
হবিগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) সমাবেশের অনুমতি দেননি জেলা প্রশাসক ড. মো. ফরিদুর রহমান। এ কারণে তাকে আওয়ামী লীগের দোসর বলে অভিযোগ করেছেন হবিগঞ্জের এনসিপি নেতারা।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে শহরের শ্মশানঘাটস্থ হবিগঞ্জ সদর উপজেলা এনসিপির কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন শেষে এ অভিযোগ করেন পদযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আবু হেনা মোস্তাফা কামাল।
তিনি বলেন, নিমতলা শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে কয়েকদিন আগে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়। তবে বুধবার বিকালে ডেকে নিয়ে রাজনৈতিক প্রোগ্রাম হওয়ার কারণে শহিদ মিনারে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন: এনসিপির নেতৃত্বে সরকার গঠনে দেশে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে: নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী
মোস্তাফা কামাল অভিযোগ করে বলেন, ‘জেলা প্রশাসক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর হলেও বর্তমানে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আঁতাত করে চলছেন। তার আচরণে আমরা বিস্মিত হইনি।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, বৃহস্পতিবারের (২৪ জুলাই) পদযাত্রা শহরের নিমতলা (শহিদ মিনার) থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনুমতি না পাওয়ায় পৌরসভা মাঠ থেকে শুরু হয়ে টাউন হলে এসে শেষ হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— এনসিপি হবিগঞ্জ জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী নাহিদ উদ্দিন তারেক, যুগ্ম সমন্বয়কারী মাহবুবর বারী চৌধুরী মুবিন, বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব এড. ফখরউদ্দিন জাকি, আব্দুল বাছিত তরফদার মিঠু, এ কে এম নাছিম ও মীর দুলাল।
১৫৮ দিন আগে
জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মধ্যরাতে হাসপাতালে খালেদা জিয়া
জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাকে নিজ বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি জানান, চিকিৎসা বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী গতকাল রাত রাত ১টা ৪৮ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। সেখানে প্রায় ৩৫ মিনিট অবস্থানকালে তার কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়।
শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন হাসপাতালে প্রায় ৩৫ মিনিট অবস্থান করেন এবং সেখানে কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে রাত ২টা ৫২ মিনিটে তাকে নিজ বাসায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, তার জন্য অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত চিকিৎসা বোর্ডের দেওয়া পরামর্শে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঐক্য ধরে রেখে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আহ্বান খালেদা জিয়ার
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা বোর্ডের জরুরি ভিত্তিতে শারীরিক অবস্থা মূল্যায়নের প্রয়োজন হওয়ায় তাকে কিছু পরীক্ষা করাতে নেওয়া হয়েছিল।’
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন।
লন্ডনে চার মাসের উন্নত চিকিৎসা শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরার পর থেকে তিনি নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডে এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরাও রয়েছেন।
লন্ডনে অবস্থানকালে তিনি লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধায়নে বিশেষায়িত চিকিৎসা নেন।
১৫৮ দিন আগে
এনসিপির নেতৃত্বে সরকার গঠনে দেশে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে: নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বে সরকার গঠনে দেশে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী। তিনি বলেছেন, দেশের আলেমসমাজ থেকে শুরু করে নারীসমাজ—সবাই এনসিপির নেতৃত্বে আস্থা রাখছে এবং ঐক্যবদ্ব হয়েছে।
দেশব্যাপী জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে বুধবার (২৩ জুলাই) বিকালে শাহরাস্তির দোয়া ভাঙায় অনুষ্ঠিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘দেশে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এখানে আলেমসমাজ থেকে শুরু করে নারীসমাজ—সবাই এনসিপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ এনসিপির নেতৃত্বে যখন সরকার গঠন হবে, তখন সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে। আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজাব। যেকোনো দল, ব্যক্তি ও গোষ্ঠী আমাদের বাধা দিয়ে আটকাতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: পতিত ফ্যাসিস্টের মতোই দেশ চালাচ্ছে সরকার: এনসিপি
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘মাইলস্টোনের বিমান দুর্ঘটনা এটি রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড। রাষ্ট্র যদি আমরা সংস্কার করতে না পারি, এর থেকে বড় হত্যাযজ্ঞ মোকাবিলা করতে হবে। তাই এখনই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা রাষ্ট্রীয় সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’
উপজেলা এনসিপির সমন্বয়ক আমানউল্লাহ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শেখ রহমত উল্লাহ, এমরান হোসেন, হাসান মজুমদার প্রমুখ। পথসভা শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দেন। তার আগে হাজীগঞ্জ বিশ্বরোডে শহিদ আজাদ চত্বরের উদ্বোধন করেন এনসিপি নেতারা।
১৫৮ দিন আগে
নির্বাচন দেরিতে হোক আমরা সেটা চাই না: ডা. শফিকুর রহমান
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী নির্বাচন দেরিতে হোক আমরা সেটা চাইনা। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ। বিগত দিনের মতো যেনতেন কোন নির্বাচন জামায়াতে ইসলামী মানবে না।
তিনি বলেন, ‘বিগত দিনের মতো যেনতেন কোনো নির্বাচন জামায়াতে ইসলামী মানবে না। আমরা আর কাউকে আখের গোছাতে দেবো না। জনগণের সম্পদে কাউকে হাত দিতে দেওয়া হবে না।’
বুধবার (২৩ জুলাই) বিকালে সিলেটের বিয়ানী বাজার উপজেলা ও পৌর জামায়াত আয়োজিত জনশক্তি ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, আমরা বিভেদের বাংলাদেশ চাই না। মানবিক ও সাম্যের বাংলাদেশ চাই। সেই বাংলাদেশ গড়তে দেশবাসীর ভালবাসা চাই, সহযোগিতা চাই। তাদের পাশে চাই।
পড়ুন: দেশ যেভাবে চলছে জনগণ সন্তুষ্ট নয়, ক্ষুব্ধ: ডা. শফিকুর রহমান
তিনি বলেন, আমরা কথা দিচ্ছি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে যুবকদের দেশ গড়ার কারিগর বানাবো। দক্ষ মানবশক্তি তৈরি করব।
তিনি বলেন, ‘জনগণকে ঠকিয়ে কোন রাষ্ট্রনায়ক সফল হতে পারেনি। অন্যায়, জুলুম ও দুর্নীতি করলে চৌদ্দগুষ্টিসহ পালাতে হয়।’
জামায়াতপ্রধান বলেন, অনেক নির্যাতন-নিপীড়নের পরও আমরা ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে ঐক্যের ডাক দিয়েছিলাম। কারণ আমরা দেশে স্থিতিশীলতা চাই। ‘আমরা ভিন্ন ধর্মের লোকদের নিরাপত্তা দিয়েছি, এখনো দিচ্ছি। অথচ বিগত সরকারের সময়ে ভিন্নধর্মের লোকজন সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত হয়েছে,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গত ৫২ বছরেও জনগণের দিকে কেউ ভালো করে ফিরে থাকায়নি। নিজেদের আখের গোছানো, আর দলের শক্তি বৃদ্ধিতে মনোযোগী ছিলেন তারা। আগামীতে সেইদিন যাতে না আসে—সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ফয়জুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আবুল কাশেম ও পৌর আমীর কাজী জমির হোসাইনের পরিচালনায় সুধী সমাবেশে বিশেষ অথিতির বক্তব্য দেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবীবুর রহমান, মহানগর আমির ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনাকে ঘিরে ‘আ. লীগের ষড়যন্ত্রকারীদের’ প্রতিরোধের হুঁশিয়ারি জামায়াতের
১৫৮ দিন আগে