রাজনীতি
সংস্কারের পথে বাধা দেওয়া কোনো দলের রাজনৈতিক সদিচ্ছা হতে পারে না: জামায়াত আমির
সংস্কারের পথে বাঁধা দেওয়া কোনো দলের রাজনৈতিক সদিচ্ছা হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘কোনো ফ্যাসিবাদ বাংলার জমিনে থাকতে পারবে না। লড়াই করেছি অধিকারের জন্য—যা এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ সুষ্ঠু নির্বাচন। সেই নির্বাচনের জন্য কিছু জরুরি ও মৌলিক সংস্কারের কথা আমরা পরিষ্কার বলেছি। ‘সংস্কার কমিশনকে সহযোগিতা করার জন্য আমরা সবাইকে অনুরোধ করব,’ বলেন ডা. শফিকুর।
শনিবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় ফেনী শহরের কিং অব কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, মৌলিক সংস্কার শেষ হলে যার যার রাজনীতি সকলে করতে পারবে। দুর্গন্ধযুক্ত অতীতের প্রথা পরিষ্কারের আগে আবারও যদি নির্বাচন হয় সেটি হবে নির্বাচনকে গণহত্যা করার শামিল।
২৪-এর শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদের সঙ্গে আমরা বেঈমানি করব না, কাউকে বেঈমানি করতে দেওয়া হবে না। এ সন্তানদের পবিত্র রক্তের মূল্য, তাদের কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমরা প্রস্তুত।
পড়ুন: যেকোনো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: ডা. শফিক
তিনি বলেন, আমরা বলেছি আগামী নির্বাচনে কোনো ধরনের প্রশাসনিক ট্যু-শব্দ শুনতে চাই না। তাই যদি হবে—এতো এতো মানুষ জীবন দিয়েছে কেন?
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে ডা. শফিকুর বলেন, আমরা ন্যায় ও জনগণের অধিকারের পক্ষে আছি। যতক্ষণ পর্যন্ত না ফ্যাসিবাদের চিহ্ন শেষ না হবে—ততক্ষণে লড়াই অব্যাহত থাকবে। প্রত্যেকের জায়গা থেকে দেশপ্রেম অন্তরে লালন করে, আল্লাহর প্রতি ঈমান এনে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি এটিএম মা’ছুম প্রমুখ। এ সময় জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুরে একই স্থানে রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের আমির। এ সময় ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিজম তৈরির পথ বন্ধ করতে হলে পিআর পদ্ধতিকে বেছে নিতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজন এবং পরবর্তী নির্বাচনগুলোও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আয়োজনের ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি।
পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আদায় করে ছাড়ব: রংপুরে ডা. শফিকুর রহমান
১৭৬ দিন আগে
জামায়াত ‘ঘোলা পানিতে’ মাছ শিকারের চেষ্টা করছে: অভিযোগ রিজভীর
জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’ করার চেষ্টা করার অভিযোগ তুলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘যে দল স্বৈরাচারী সরকারের অধীনে ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, তারা এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।’
শনিবার (৫ জুলাই) ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব মাঠে এক ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। দলের ঘোষিত মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিট এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, বিশ্ব ইতিহাসের নানা পর্বে জনগণ আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমেই নিজেদের অধিকার আদায় করেছে। একটি নির্বাচিত সংসদ ও জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক প্রতিনিধি থাকা রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য।
‘কিন্তু আপনি এমন নির্বাচনকে সমর্থন না দিয়ে রাজনৈতিক বুলি আউড়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন। আপনি নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, কিন্তু আমরা আপনার অতীত জানি। এক সময় আপনি স্বৈরাচারের অধীনে কোনো দ্বিধা ছাড়াই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, শেখ হাসিনার পথ অনুসরণ করে,’ বলেন বিএনপির এই নেতা।
এর আগে শুক্রবার জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান রংপুরে এক সমাবেশে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান বাস্তবতায় একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অসম্ভব। বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য আগে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে, আর সে জন্য প্রয়োজন মৌলিক সংস্কার।’
রিজভী বলেন, জামায়াত আমির এমনভাবে কথা বলেছেন যেন তিনি পরিবেশকর্মী, যিনি নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। ‘হঠাৎ করে আপনি পরিবেশবাদী হয়ে গেলেন! যদি আপনি পরিবেশ নিয়ে এতই উদ্বিগ্ন হন, তবে বৈশ্বিক পরিবেশ সংকটের বিপর্যয়ের দিকেই মনোযোগ দিন।’
তিনি বলেন, দেশের মানুষের রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার ফিরিয়ে আনতে এখন একটি নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।
‘এই কারণেই অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি—উপযুক্ত সংস্কার সম্পন্ন করে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করুন এবং সেটা যেন একটি যথাযথ সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন হয়,’ বলেন রিজভী।
১৭৬ দিন আগে
আইন প্রয়োগকারীদের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা রাখতে হবে: নজরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, প্রতিটি আইনে এমন কঠোর বিধান থাকতে হবে, যাতে আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করলে বা আইন লঙ্ঘন করলে, তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা যায়।
তিনি বলেন, ‘আমার মতে, প্রতিটি আইনে একটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত—যারা আইন প্রয়োগের দায়িত্বে রয়েছেন, তারা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে আইন প্রয়োগে ভুল করেন বা অন্যায়ভাবে আইন লঙ্ঘন করে জনগণকে নিপীড়ন করেন, তাহলে তাদের জন্য শাস্তির বিধান থাকতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য শনিবার (৫ জুলাই) ঢাকায় নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ ২০২৫’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি হয় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে।
তিনি বলেন, ‘যখন প্রভাবশালী অবস্থানে থাকা ব্যক্তিরা আইন ভঙ্গ করেন বা জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হন, তখন তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে ও শাস্তি নিশ্চিত করতে আইনি প্রক্রিয়া থাকা আবশ্যক।’
নজরুল বলেন, ‘শুধু কাগজে আইন লেখা বা ভাষাকে সুন্দর করলেই হয় না। যারা আইন প্রয়োগ করবেন, তারা যদি সেই আইনকে ব্যবহার করে জনগণকে দমন করেন, আর তাদের বিচার করার কোনো উপায় না থাকে, তাহলে সেই আইনের কোনো বাস্তব মূল্য থাকে না।’
বিএনপি এই নেতা সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কিছু পরিবর্তন আনা হলেও এই আইন এখনো জনগণের প্রয়োজন পূরণে ব্যর্থ।
তিনি দেশের শ্রম আইন বাস্তবায়নের দুর্বলতা নিয়েও সমালোচনা করেন। নজরুল বলেন, ২০০৬ সালে শ্রম আইন ও শ্রম আদালত আইন একীভূত করার আগে দেশে অনেক শ্রম আইন ছিল। ‘আপনি যদি আইনটি পড়েন, তাহলে মনে হবে এটি একটি চমৎকার আইন। কিন্তু আপনি যদি এর বাস্তবায়ন দেখেন, তা অত্যন্ত হতাশাজনক।’
তিনি বলেন, ‘আইনে স্পষ্টভাবে বলা আছে, প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র দিতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ শ্রমিক এখনো নিয়োগপত্র পান না। তাদের চাকরির শর্তও স্পষ্ট নয়। তাদের বার্ধক্যভাতা নেই, ছুটি নেই, এবং আইনে যেসব সুবিধা লেখা আছে, তার কিছুই তারা পান না।’
নজরুল ইসলাম বলেন, কৃষিশ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা আছে, কিন্তু তা বাস্তবায়নের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। যারা কম মজুরি দেয়, তাদের শাস্তির ব্যবস্থাও কার্যকর নয়।
তিনি বলেন, দেশে অনেক আইন অস্পষ্ট, আর এই অস্পষ্টতা অনেক সময় কর্তৃপক্ষ বা আইন প্রয়োগকারীরা জনসাধারণকে হয়রানির জন্য কাজে লাগান।
নজরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে নারী, যুবক, শিশু ও শ্রমিকদের জন্য অনেক আইন আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই এসব আইন সম্পর্কে জানেন না। যাদের জন্য এই আইনগুলো প্রণয়ন করা হয়েছে, তারাই তা বোঝেন না বা এর সুফল পান না।’
তিনি সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও পেশাজীবী প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান যেন তারা জনগণের মধ্যে আইনি সচেতনতা সৃষ্টি করেন, জনগণকে তাদের অধিকার বোঝান, বিদ্যমান আইনের ত্রুটিগুলো ব্যাখ্যা করেন এবং সেই ত্রুটিগুলো সংশোধনের কাজে জনগণকে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করেন।
নজরুল জোর দিয়ে বলেন, জনগণ যেন আইনে থাকা অধিকারগুলো ভোগ করতে পারেন এবং যেসব অধিকার থেকে তারা এখনও বঞ্চিত, তা অর্জনের জন্য লড়াই করতে পারেন—এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়নি: আইন মন্ত্রণালয়
১৭৬ দিন আগে
যেকোনো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: ডা. শফিক
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘নতুন পুরাতন বুঝি না, নির্বাচন নিয়ে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আগামীতে যেকোনো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
শনিবার (৫ জালাই) সকাল সোয়া ৭টার দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। যে শহিদদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশে স্বাধীনতা এসেছে। সে রক্তের সঙ্গে কাউকে বেইমানি করতে দেব না। আমরা শহিদদের রক্তের মূল্য দিতে চাই।’
‘যেনতেন নির্বাচন আমরা চাই না। নতুন পুরাতন বুঝি না, নির্বাচন নিয়ে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আগামীতে যেকোনো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ইদানীং বেশকিছু রাজননৈতিক দলের দখল ও লুটপাট লক্ষ করছি। ওইসব দলগুলোকে বলতে চাই— নিজেদের সামলান, নয়তো জনগণই আপনাদের সামলাবে।’
ফেনীতে রুকন সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে এদিন কুমিল্লায় পৃথক চারটি পথসভায় অংশগ্রহণ করেন জামায়াত আমির।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আদায় করে ছাড়ব: রংপুরে ডা. শফিকুর রহমান
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরী আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে মহানগরীর সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমানের পরিচালনা পথসভায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মোহাম্মদ মাসুম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ আমীর মোহাম্মদ শাজাহান অ্যাডভোকেট, উত্তর জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল মতিন, মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন, অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মু. মাহফুজুর রহমান, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা-৮ বরুড়া আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক শফিকুল আলম হেলাল, মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মু. কামারুজ্জামান সোহেল, কাউন্সিলর মোশাররফ হোসাইন ও নাছির আহম্মেদ মোল্লা প্রমুখ।
১৭৭ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করতে পারেনি: শিবির সভাপতি
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ না হলেও তারা জুলাই অভুত্থ্যানকে ধারণ (ওন) করতে পারেনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তাদের উদাসীনতা, অযোগ্যতা ও দুর্বলতার কারণে তারা বিপ্লবকে ধারণ করতে পারেনি।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকালে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জেলা ও মহানগর জামায়াতের জনসভায় বিশেষ বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, আপনারা স্বাভাবিক কোনো প্রক্রিয়াতে ক্ষমতায় অধিষ্ঠ হননি। আপনারা আমাদের দেশে শত শত ছাত্র জনতার রক্তের ওপর ভর ক্ষমতায় অধিষ্ঠ হয়েছেন। এজন্য আপনাদের বিপ্লবী চেতনা ধারণ করে আবু সাঈদ-মুগ্ধদের খুনিদের বিচার সম্পন্ন করতে হবে। ক্ষমতাসীন দল ও প্রধান দল। কারা এদেশকে চালাবে। তাই নিজেদের ক্ষমতাসীন দল ও প্রধান দল হিসেবে পরিচয় দেওয়া থেকে বিরত ধাকুন।
পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আদায় করে ছাড়ব: রংপুরে ডা. শফিকুর রহমান
তিনি বলেন, আমরা কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় পাই না। আমরা শুধুমাত্র আল্লাহকে ভয় করি। আমরা শহীদ আবু সাঈদের দলের মানুষ। আমরা এই হাত দিয়ে অসংখ্য শহীদদের কবরে শায়িত করেছি। এই হাতে অনেক শহীদের রক্ত এখনও লেগে আছে। তাই আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বরং এদেশের ছাত্র সমাজের, যুবসমাজের সাইকোলজি বোঝার চেষ্টা করবেন। এই ছাত্র সমাজের সাইকোলজি বুঝে রাজনীতি করবেন। আগামীতে এদেশ শাসন করবে তারাই—যাদের মধ্যে দেশ প্রেম আছে।
তিনি আরও বলেন, রংপুর অঞ্চল সাহসিকতার অঞ্চল। জুলাই গণঅভুত্থ্যানে আবু সাঈদ ও তাহিরের মতো ২২ জন জীবন দিয়েছেন। তাই রংপুরকে অবহেলা না করে, সুষম বণ্টনের মাধ্যমে রংপুরের উন্নয়ন করতে হবে। দীর্ঘদিনের চাওয়া রংপুরের তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনা করে রংপুরকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এই প্রত্যাশা করছি।
১৭৭ দিন আগে
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আদায় করে ছাড়ব: রংপুরে ডা. শফিকুর রহমান
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কতগুলো মৌলিক সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। আমরা সেই সংস্কারগুলোর কথা বলেছি। আমরা সংস্কারগুলো আদায় করে ছাড়ব। সুষ্ঠু নির্বাচনও ইনশাআল্লাহ আদায় করে ছাড়ব।’
শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জামায়াতের এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সব খুনির বিচার, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচনসহ ৪ দফা দাবিতে রংপুর মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘কেউ যদি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলের নির্বাচনের স্বপ্ন দেখে থাকেন, আমরা মহান আল্লাহর সাহায্যে সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করব। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রশাসনিক ক্যু করতে দেওয়া হবে না।ভোটকেন্দ্রে কোনো মাস্তানতন্ত্র চলতে দেওয়া হবে না, কালো টাকার কোনো খেলা সহ্য করা হবে না।’ মৌলিক সংস্কার ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই দেশে মব কালচার চলছে। কিন্তু এসব সহিংসতায় জামায়াতের কোনো কর্মী জড়িত নয়। ১৯৭২ সাল থেকেই এই পরিস্থিতি চলছে। জামায়াত সবসময় মব রাজনীতির বিরুদ্ধে।’
পড়ুন: মৌলিক সংস্কার ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়: জামায়াত আমির
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে ডা. শফিকুর বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্য আগে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, আর সেই পরিবেশ তৈরির জন্যই আমরা মৌলিক সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।’
যারা সহিংসতায় জড়িত তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত নিজেদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে আনা, এরপর রাষ্ট্রের দায়িত্ব পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা বহু ধরনের ষড়যন্ত্রের কথা শুনতে পাচ্ছি, বহু ধরনের কথা ময়দানে শুনতে পাচ্ছি। বহু ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আলামত বুঝতে পারছি। আমরা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেই- এই শেখ হাসিনা, তার হাতে সকল বাহিনী ছিল। দোর্দণ্ড প্রতাপ ছিল, জায়গায় জায়গায় নিজের লোক বসিয়েছিল। মান্তানদের দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিল। কিন্তু যখন জনগণের জাগরণ, জনগণের বিস্ফোরণ হয়েছে, তখন তাকে কেউ রক্ষা করতে পারেনি।
জামায়াতপ্রধান বলেন, যেই জনগণ এতো মূল্য দিয়ে একটা পরিবর্তন এনেছে, সেই জনগণ আরেকটা ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে দেবে না ইনশাআল্লাহ।
জামায়াতের আমির বলেন, আমরা কথা দিচ্ছি ফ্যাসিবাদবিরোধী এই লড়াই ততদিন চলবে, যতদিন দেশে ফ্যাসিবাদের সামান্য চিহ্নও থাকবে। ফ্যাসিবাদেকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত আমাদের লড়াই কেউ থামাতে পারবে না।
পড়ুন: জুলাই বিপ্লবের সুফল পেতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের
জনসভার প্রধান বক্তা এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি আজ মুক্তভাবে কথা বলতে পারছি। কিছুদিন আগেও আমি কারাগারে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আল্লাহ যে আমাকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে জনতার মঞ্চে নিয়ে আসবে, এটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানত না। আজকে আমি ফাঁসির মঞ্চ থেকে লাখো জনতার মঞ্চে হাজির হয়েছি। সবই আল্লাহর মেহেরবানি, রহমত। যে গলায় আমার রশি পরানোর কথা ছিল, সেই গলায় ফুলের মালা পরানো হলো। আল্লাহ আমাকে মুক্ত করেছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডিত হয়ে ফাঁসি কার্যকরের অপেক্ষায় ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম। তবে ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
জনসভায় বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য দেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, ঢাকা দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, শহিদ আবু সাঈদের বাবা ও বড়ভাই রমজান আলীসহ জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগরের আমির এটিএম আজম খান।
জনসভা থেকে আগামী নির্বাচনে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে জামায়াতের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম।
১৭৭ দিন আগে
৩ আগস্ট শহীদ মিনারে এনসিপির ইশতেহার ঘোষণা: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, আগামী ৩ আগস্ট জাতীয় শহীদ মিনারে দলীয় ইশতেহার ও জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে।
১ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার কর্মসূচি’র অংশ হিসেবে শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকাল সোয়া ৩টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তায় এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গত বছর ৩ আগস্ট ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমরা মুক্তির ঘোষণা দিয়েছিলাম। এবারের ৩ আগস্টে আমরা যে ইশতেহার দিব, সেই ইশতেহারে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সনদ ও মুক্তির রূপরেখা থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ৫৪ বছরে আপনারা বহু দল দেখেছেন, বহু রাজনীতিবিদ দেখেছেন। ১৬ বছরে বহু রাজনীতি দেখেছেন, কিন্তু আপনাদের মুক্তি দিয়েছিল এই ছাত্র-তরুণরা। এই ছাত্র-তরুণদের উপর ভরসা রাখুন। স্বৈরাচারের ও ফ্যাসিবাদের এই যে রাষ্ট্র কাঠামো—সেটা আমরা পরিবর্তন করব। নতুন করে কাউকে স্বৈরাচার হতে দেব না। এটা আপনাদের কাছে আমাদের অঙ্গীকার।’
তিনি আরও বলেন, নতুন দেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা গত বছর জুলাই গণ অভ্যুত্থান করেছিলাম। স্বৈরাচারী হাসিনার পতন হয়েছিল। সেই অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল।
তিনি জুলাই পদযাত্রায় ছাত্র জনতাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যতবার ছাত্রজনতা এগিয়ে এসেছে ততবার দেশ বেঁচে গিয়েছে। আমরা এখন লড়াই করছি দেশ গঠনের, নতুন বাংলাদেশ গঠনের। যেখানে আর বৈষম্য থাকবে না, যেখানে আর ফ্যাসিবাদ থাকবে না। যেখানে অন্যায় চাঁদাবাজ থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এনসিপির উপর ভরসা রাখুন, আমরা স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ব। যেখানে নতুন করে আর কাউকে স্বৈরাচার হতে দেব না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা.তাসনিম জারা ও ঠাকুরগাঁও জেলার প্রধান সমন্বয়ক গোলাম মুর্তজা সেলিমসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
১৭৭ দিন আগে
এনসিপি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য লড়াই করছে: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন—কৃষক-শ্রমিক ও ছাত্র-জনতার একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, ইনসাফ ও মর্যাদার বাংলাদেশ, সেই বাংলাদেশের জন্য লড়াই করছে।
দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ডে শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে জেলা শহরের আর্টগ্যালারি মডেল মসজিদে নামাজ শেষে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানি, জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল। সে সময় হাজার হাজার শিক্ষার্থী রাজপথে নেমে এসেছিল। তারা আহত ও শহীদ হয়েছেন। আমরা তাদের স্মরণ করছি ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এখনো হয়নি। আগের সিস্টেম রয়ে গেছে। ফলে সেই সিস্টেমকে বিলোপ করে নতুন দেশ গঠনের লক্ষ্যেই এই নতুন পার্টি ও আমাদের কর্মসূচি। এনসিপির কার্যক্রম সারা দেশে চলছে। আপনারা আমাদের হাতকে শক্তিশালী করবেন। তরুণ এবং বিকল্প নেতৃত্বকে বেছে নেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র, মৌলিক সংস্কার, গণহত্যার বিচার, মৌলিক সংস্কার ও নতুন সংবিধানের জন্য আমরা লড়াই করছি। অবশ্যই জুলাই ঘোষণাপত্র জুলাই-আগস্টের মধ্যে দিতে হবে বলে জোর দেন তিনি।’
আরও পড়ুন: মৌলিক সংস্কার ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়: জামায়াত আমির
বিএসএফের সীমান্ত হত্যা ও পুশ-ইনের বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে নাহিদ বলেন, ‘এটা হাসিনার বাংলাদেশ নয়, এটা গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ। বাংলাদেশপন্থিদের হাতেই বাংলাদেশ চলবে। ফলে, যেকোনো মূল্যে আমরা সীমান্ত হত্যা বন্ধ করব।’
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে ঠাকুরগাঁওসহ যে অবহেলিত জেলাগুলো রয়েছে এইসব জেলাতে কোনো আঞ্চলিক বৈষম্য থাকবে না, অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না। উন্নয়ন বলতে শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক হবে না। যেদিন এই অবহেলিত জেলাগুলোতে উন্নয়ন হবে। সেদিনই আমাদের কাছে উন্নয়ন গ্রহণযোগ্য হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, ড. আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাছের খান, আবু সাঈদ লিওন ও ঠাকুরগাঁও জেলার প্রধান সমন্বয়ক গোলাম মুর্তজা সেলিমসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
১৭৭ দিন আগে
দলের যেকোনো পদধারীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ বিএনপি: রিজভী
বিএনপি অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বজায় রেখেছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি সতর্ক করে বলেন, বিএনপির কোনো সদস্যও যদি অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকে— তবে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘যে কেউ যেকোনো ধরণের অবৈধ, অনৈতিক বা সহিংস কার্যকলাপে জড়িত থাকে—তবে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। যেকোনো ঘটনা ঘটার পর আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করতে এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করি না। কাল ক্ষেপণ না করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, দলের ভেতরে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যাতে আর কেউ সহিংস আচরণ করার সাহস না করে। ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে আমরা যখনই অভিযোগ পেয়েছি, তখনই আমরা এই ধরণের সমস্ত ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি বলেন, দলের নামে কী ঘটছে এবং কী করা হচ্ছে, তা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিয়মিতই পর্যবেক্ষণ করছেন।
আরও পড়ুন: মৌলিক সংস্কার ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়: জামায়াত আমির
রিজভী বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং অন্যায় কাজে লিপ্ত থাকার জন্য আমরা বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের চার থেকে পাঁচ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
তিনি বলেন, দল এবং এর সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলেই তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছেন। ‘এক্ষেত্রে, বিএনপি এবং এর নেতৃত্ব আপসহীন। তারেক রহমান জিরো টলারেন্স নীতিতে এটি করছেন।’
রিজভী বলেন, যে কেউ অপরাধ করলে—সে দলের নেতা হোক বা সদস্য—তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। ‘দলের মধ্যে কেউ যাতে কোনো সন্ত্রাসী বা বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত না হয়—তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি দলের স্থায়ী অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে রিজভী বলেন, বিএনপি গত ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য ক্রমাগত সংগ্রাম করে আসছে। ‘গণতন্ত্রকে কবর দেওয়া শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে বিএনপি তার আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। তীব্র দমন-পীড়ন সত্ত্বেও আমাদের দল কখনও তা থেকে পিছু হটেনি।’
অবিলম্বে, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘কেবলমাত্র একটি সত্যিকারের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই বিএনপির জনপ্রিয়তা প্রকাশ করবে।’
১৭৭ দিন আগে
মৌলিক সংস্কার ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়: জামায়াত আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মৌলিক সংস্কার ছাড়া দেশে ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়। শুক্রবার (৪ জুলাই) রংপুরে জনসভায় যোগদানের আগে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমান বন্দরে নেমে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,‘দীর্ঘদিন ধরেই দেশে মব কালচার চলছে। কিন্তু এসব সহিংসতায় জামায়াতের কোনো কর্মী জড়িত নয়। ১৯৭২ সাল থেকেই এই পরিস্থিতি চলছে। জামায়াত সবসময় মব রাজনীতির বিরুদ্ধে।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে ডা. শফিকুর বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্য আগে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, আর সেই পরিবেশ তৈরির জন্যই আমরা মৌলিক সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।’
যারা সহিংসতায় জড়িত, তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত নিজেদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে আনা, এরপর রাষ্ট্রের দায়িত্ব পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।’
রংপুরে প্রায় ১৭ বছর পর জামায়াতের কোনো বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে উপস্থিত হয় হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক। মাঠ ছাড়িয়ে লোকসমাগম ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের সড়কজুড়ে। ‘আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই’ এই স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে জনসভাস্থল।
দলটির ডাকে সাড়া দিয়ে রংপুরসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সরব উপস্থিতিত হয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রংপুরের ৩৩টি আসনে দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জনসভা থেকে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।
পড়ুন: তরুণ ও প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান
প্রার্থীরা হলেন রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী এবং লালমনিরহাট জেলার সবগুলো আসনের।
সমাবেশে অংশ নিতে সকাল থেকেই রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত কর্মী-সমর্থক রিকশা, অটোরিকশা, ট্রাকে করে শহরে জড়ো হন।
জনসভা ঘিরে শহরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় নেতাদের মতে, রংপুর অঞ্চলের ৩৩টি আসনে জামায়াতের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতেই এ আয়োজন।
‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সব খুনির বিচার’, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন’সহ ৪ দফা দাবিতে রংপুর মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।
জামায়াত নেতারা বলছেন, এই জনসভার মাধ্যমে তারা ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’র চেতনায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে চান এবং জনগণের কাঙ্ক্ষিত একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে বৃহত্তর আন্দোলনের সূচনা করাই তাদের লক্ষ্য।
জনসভায় ৩৩ জন প্রার্থীকে পরিচওয় করিয়ে দেওয়া হয়।
পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে মহাদুর্যোগ দেখা দেবে: গোলাম পরওয়ার
১৭৭ দিন আগে