ব্যবসা
উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির
সূচকের উত্থান দিয়ে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে পয়েন্ট বেড়েছে তিনটি সূচকেই। দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট। অন্য দুই সূচক ব্লুচিপ কোম্পানির ডিএস-৩০ ১ পয়েন্ট এবং শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।লেনদেনের শুরুতেই বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বেড়েছে। প্রথম ঘণ্টায় দাম বেড়েছে ২৩৫টি কোম্পানির, কমেছে ৪৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।দিনের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি টাকা। ৩ লাখ ৯১ হাজার ৯৪টি শেয়ার মোট ৬ কোটি ১২ লাখ বার বেচাকেনা হয়ে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১১৭ কোটি টাকা।এদিকে লেনদেনের শুরুতেই তিন কোম্পানিকে এ ক্যাটাগরি থেকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছে ডিএসই। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং সি-পার্ল বিচ রিসোর্ট ক্যাটাগরি হারিয়ে অবস্থান করছে জেডে।ডিএসই এসব কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের ঋণ সুবিধা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ব্রোকারেজ হাউস এবং মার্চেন্ট কোম্পানিগুলোকে।দিনের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থানের ধারা বজায় রেখেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। সিএসইএক্স সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়েছে। প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি টাকা।
৩৪৮ দিন আগে
ভারত থেকে দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে এলো চালের প্রথম চালান
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানির প্রথম চালান বাংলাদেশে এসেছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ২ হাজার ৪৫০ টন চাল রেলবন্দরের ইয়ার্ডে পৌঁছায়। চালগুলো ভারতের বন্দর দিয়ে ৪২ ওয়াগনে করে বাংলাদেশে আসে।
এ সময় ভারতের রেলের পরিচালক সাগতম বালাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দর্শনা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু।
আরও পড়ুৃন: ভারত থেকে চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে আরও একটি জাহাজ
তিনি বলেন, ঢাকার পুরানা পল্টনের মেসার্স মজুমদার অ্যাগ্রোটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এ চাল আমদানি করেছে। প্রতি টন চালের মূল্য ৪৯০ ডলার। কলকাতার ৭/১ লর্ড সিনহা রোডের সৌভিক এক্সপোর্ট লিমিটেড এ চাল রপ্তানি করেছে।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল হাসান জানান, কাস্টমস পরীক্ষণ ও শুল্কায়নের পর এ চাল ঈশ্বরদী ও সিরাজগঞ্জে বুকিং হবে। সেখান থেকে ট্রাকযোগে আমদানিকারক চাল পরিবহন করবেন।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে বাংলাদেশ সরকার এক লাখ ৫৯ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে। দর্শনা বন্দর দিয়ে এ চালের প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করল।
৩৪৮ দিন আগে
ঢাকা-চট্টগ্রাম দুই পুঁজিবাজারেই সূচকের পতন
ঢাকা-চট্টগ্রাম পুঁজিবাজারে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সোমবারের (১৩ জানুয়ারি) লেনদেন।দিনের শুরুতেই সূচক কমতে থাকে পুঁজিবাজারে। প্রথম ঘণ্টার পর সূচক কিছুটা বাড়লেও লেনদেনে শেষে কমেছে তিনটি সূচকও। এরমধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএস কমেছে ৪ পয়েন্ট।বাছাইকৃত শেয়ার ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে দশমিক ৯৪ পয়েন্ট এবং শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস কমেছে দশমিক ৬১ পয়েন্ট। গত দুই দিনে ডিএসই সূচক হারিয়েছে ৪২ পয়েন্ট।সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে পুঁজিবাজারে। সোমবার পুঁজিবাজারে লেনদেন শেয়ার এবং বন্ড লেনদেন হয়েছে ৩৯৭ কোটি টাকা, যা গতদিনের থেকে ২৬ কোটি টাকা বেশি।লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানিরই দাম ছিল নিম্নমুখী। লেনদেনে দাম কমেছে ২৪৭টি কোম্পানির এবং বেড়েছে ৯১টি কোম্পানির। দাম অপরিবর্তিত ছিল ৬২টি কোম্পানির।একই অবস্থা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই)। সিএসই'র সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৮ পয়েন্ট। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১১৮টির, বেড়েছে ৫০টির এবং অপরিবর্তীত আছে ৩০টির।সোমবার চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে মোট ৫৪ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার এবং বন্ড লেনদেন হয়েছে।
৩৪৯ দিন আগে
পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু পতন দিয়ে
ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শুরু হয়েছে পতন দিয়ে। লেনদেনের শুরুর ঘণ্টায়ই পয়েন্ট কমেছে তিনটি সূচকেরই।সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরুর পর থেকেই সূচক কমতে থাকে। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএসই-৩০ কমেছে ২ পয়েন্ট।পতনের ধারা অব্যাহত আছে শরীয়াভিত্তিক শেয়ারের সূচকে। ডিএসইএসের সূচক কমেছে দশমিক ১৩ পয়েন্ট।শুরুর ঘণ্টায় বাজারে লেনদেন হয়েছে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দাম কমেছে ১৫৪টি এবং দাম বেড়েছে ১২২টি শেয়ারের। দাম অপরিবর্তিত আছে ৮০টি শেয়ারের।দামের দিক থেকে ভালো অবস্থানে আছে অটোমোবাইল, পেপার মিলস, ফেব্রিকস এবং প্রকৌশল কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিনের শুরুতে শীর্ষ ২০ ব্যাংক খাতের শেয়ারের সংখ্যা মাত্র ৩টি।এদিকে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজার সূচক হারিয়েছে ৩৮ পয়েন্ট। দুই দিনের পতনে বর্তমানে প্রধান সূচক কমে হয়েছে ৫ হাজার ১৫৫ পয়েন্ট।পতনের ধারা অব্যাহত আছে চট্টগ্রামের শেয়ার বাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় নিম্নমুখী প্রধান সূচক। লেনদেনের শুরুতেই দাম কমেছে ৪১টি এবং বেড়েছে ২৭টি কোম্পানির শেয়ারের। প্রথম ঘন্টায় লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি টাকার শেয়ার এবং বন্ডের।
৩৫০ দিন আগে
‘শুল্ক ও করহার বাড়ানো অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী’
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি সংকটময় মুহূর্ত ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যার মূল কারণ হলো— সীমিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানি খরচ বৃদ্ধি, উচ্চ জ্বালানি ব্যয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণ প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতাসহ উচ্চ সুদহার।
তাছাড়া বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অর্থনীতির বিদ্যমান এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধিসহ বেশকিছু পণ্যের করহার বৃদ্ধি এবং শিল্পে গ্যাসের মূল্য দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর উদ্যোগ ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতর জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তিনি।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দেশের সমসাময়িক অর্থনীতির বিভিন্ন দিক উপস্থাপনকালে এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতির ১১টি বিষয়বস্তুর ওপর বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি ২০২৫ সালে ডিসিসিআইর কর্মপরিকল্পনার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই সভাপতি।
এ সময় তিনি জানান, বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানি খরচ বৃদ্ধি, উচ্চ জ্বালানি ব্যয় ও নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণ প্রাপ্তিতে বাধা ও সুদের উচ্চ হার, উচ্চ শুল্কহার, ভ্যাটহার বৃদ্ধি ও সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির মতো কারণে দেশের বেসরকারি খাত এমনিতেই বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। এ বছর ঢাকা চেম্বার তাই সুদের হার কমানো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার ওপর অধিক হারে গুরুত্বারোপ করবে।
আরও পড়ুন: এসি, মোটরসাইকেল ও ফ্রিজ শিল্পে দ্বিগুণ করের বোঝা
সাংবাদিকদের প্রশ্নত্তোরকালে তাসকীন আহমেদ বলেন, সিএসএমই খাতে ঋণ প্রাপ্তি হলেও তা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নয়, এটি বাড়াতে হবে এবং এ খাতের উদ্যোক্তারা যেন সহজ শর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণ পায় তা নিশ্চিতকরণের কোন বিকল্প নেই। কারণ আমাদের এসএমই খাত সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে থাকে।
অর্ন্তবর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার দ্রুত এ সংস্কার কার্যক্রম লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্ন করবে, বেসরকারিখাতের পক্ষ থেকে এটি আমরা আশা করছি।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে যদি সরকার প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়, তাহলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরও আশাবাদী হবেন এবং বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
নীতির ধারাবাহিকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদী সহায়ক কর কাঠামো প্রাপ্তি সাপেক্ষে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে উৎসাহিত হন। সেক্ষেত্রে হঠাৎ মাঝপথে কর কিংবা শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত উদ্যোক্তাদের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে যা মোটেই কাম্য নয়। এর ফলে স্থানীয় বিনিয়োগের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগও বাধাগ্রস্ত হয় এটি মোটেই কাম্য নয়।
এলডিসি উত্তোরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে আমরা অর্থনৈতিকভাবে মোটামুটি সঠিক পথেই এগোচ্ছিলাম। তবে কোডিভ মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা, স্থানীয় রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনসহ আর্থিক খাতে তারল্য সংকটের ফলে এলডিসি উত্তরণ মোকাবিলার প্রস্তুতি বেশ বাধাগ্রসস্ত হয়েছে। এমতাস্থায় বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমরা কতটা প্রস্তুত তা নির্ধারণে সরকারি-বেসরকারি ও অন্যান্য অংশীজনদের মাঝে বিশদ আলোচনার ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: শিল্পে গ্যাসের মূল্য ও শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে: ডিসিসিআই
বিষয়টি যদি পেছানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভত হয়, তবে দেশের সার্বিক অর্থনীতির কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার এলডিসি উত্তরণে আরও কিছুটা সময় নিতে পারে এবং এ লক্ষ্যে সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্তের কোনো বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।
তবে ২০২৬ সালে আমাদের এলডিসি উত্তরণ হলে এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি খাতকে সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবেও তিনি মনে করিয়ে দেন।
এমনিতেই আমাদের জিডিপিতে করের অবদান বেশ কম। এরূপ পরিস্থিতিতে বিদ্যমান অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছসাধনের কোনো বিকল্প নেই বলে মত প্রকাশ করেন ডিসিসিআই সভাপতি। পাশাপাশি সরকারকে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
এইসঙ্গে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করা এবং এডিপি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার পাশাপাশি সময় মতো প্রকল্প সমাপ্তিতে নজরদারি বাড়ানোর ওপর জোরারোপ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী ও সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
৩৫১ দিন আগে
কেএফসি নিয়ে এলো নতুন হট ন্যাশভিল যিঙ্গার
দেশে প্রথমবারের মতো গ্রাহকদের জন্য কেএফসি নিয়ে এলো দুর্দান্ত স্বাদে ভরপুর আমেরিকান ফ্লেভারে তৈরি হট ন্যাশভিল যিঙ্গার। এই বার্গারটি সুস্বাদু টক-ঝাল স্বাদের সংমিশ্রনে তৈরি, ভোক্তাকে যা আমেরিকার শহর ন্যাশভিলের অনন্য স্বাদের অভিজ্ঞতা দেবে।
মজাদার এই ন্যাশভিল যিঙ্গারে রয়েছে— নরম তুলতুলে সাড়ে ৪ ইঞ্চির ক্যারামেলাইজড বান, পেঁয়াজ, লেটুস, টমেটো, ক্যাপসিকাম ও ঝাঁঝালো হ্যালাপেনো, চিজ এবং ক্রিস্পিচিকেনফিলে, যার প্রতিটি বাইটে রয়েছে ঝাঁল ও মচমচে স্বাদের অসাধারণ কম্বিনেশন।
ভোক্তারা দেশের যেকোনো স্থানের কেএফসি আউটলেট থেকে এই আইটেমটির স্বাদ নিতে পারবেন।
এ ছাড়াও নিজেদের পছন্দ ও সুবিধা অনুযায়ী ডাইন-ইন, টেকঅ্যাওয়ে, অনলাইন অর্ডার, কল ফর ডেলিভারি এবং কেএফসি অ্যাপেও এই আইটেমটি অর্ডার করা যাবে।
৩৫২ দিন আগে
বিনিয়োগকারীদের বাজার বিমুখের ব্যাখ্যা দিল বিএসইসি
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বর্তমান পুঁজিবাজারে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা ও বিগত সময়ে লটারির মাধ্যমে খোলা বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট বাতিলের ফলে গেল আট বছরে বিও অ্যাকাউন্ট কমেছে বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে।বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম জানান, দেশের পুঁজিবাজারে আইপিও শেয়ার বরাদ্দের ক্ষেত্রে পূর্বে প্রচলিত লটারি সিস্টেমে নামে-বেনামে, নিবাসী-অনিবাসী ব্যক্তিরা একাধিক বিও আকউন্ট খুলে লটারিতে আবেদন করতেন। কিন্তু পরবর্তীতে কমিশন ২০২১ সালে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে আইপিও শেয়ার বরাদ্দে লটারি সিস্টেম বাতিল করে আনুপাতিক শেয়ার বণ্টনের পদ্ধতি চালু করে।‘এতে আগের তুলনায় শেয়ার প্রাপ্যতার হার কমে যায়। নামে-বেনামে খোলা বিও হিসাবের বার্ষিক হিসাব ফি পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকায় অধিকাংশ বেনামি বিও হিসাব বন্ধ করে দেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে বাজারে সক্রিয় বিও হিসাবের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।’এছাড়া সরকারি সিকিউরিটিজের (সঞ্চয়পত্র, ট্রেজারি বিল, ট্রেজারি বন্ড ইত্যাদি) মুনাফার হার ঊর্ধ্বমুখী এবং ঝুঁকিমুক্ত হওয়ায় অপেক্ষাকৃত ঝুঁকিপূর্ণ পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগকারীদের অনেকে দূরে সরে গেছেন। অনেকে আবার পুঁজিবাজার থেকে কাঙ্ক্ষিত মুনাফা অর্জন করতে না পারার কারণেও হতাশ হয়ে বাজার ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানায় বিএসইসি।বিগত এক বছরে ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচক কমেছে প্রায় এক হাজার। এ প্রসঙ্গে বিএসইসি জানায়, বিগত কয়েক বছরে পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেনের নিন্মমুখী প্রবণতার কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তাদের কষ্টার্জিত টাকা ঝুঁকিপূর্ণ এ খাতে বিনিয়োগে করছেন না। এছাড়া পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা কমে যাওয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন।এর বাইরে পারিপার্শ্বিক অস্থিতিশীল বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনৈতিক অবস্থা, কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা ও দীর্ঘমেয়াদী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মুনাফা কমে যাওয়ার প্রভাবও বিও অ্যাকাউন্ট কমার পেছন দায়ী বলে মনে করে বিএসইসি।তবে ইতিবাচক বার্তা দিয়ে রেজাউল বলেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা কমলেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে, যা পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক।বর্তমান কমিশনের সংস্কারমূলক কার্যক্রমের ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং আগামীতে বিও হিসাবের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রত্যাশা এ কর্মকর্তার।প্রসঙ্গত গত আট বছরে পুঁজিবাজার থেকে ১২ লাখ বিনিয়োগকারী মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে পুঁজিবাজারে অর্থলগ্নিকারীদের বিনিফিশিয়ারি ওউনার (বিও) অ্যাকাউন্ট কমতে কমতে ২০২৪ এ এসে অবস্থান করছে সর্বনিম্নে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ঢাকার পুঁজিবাজারে মোট বিও অ্যাকাউন্ট ছিল ২৯ লাখ ২৯ হাজার ১৮৯টি, যা ২০২৪ সালে কমে হয়েছে ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৯৫২। এতে করে আট বছরে ১২ লাখ ৬৪ হাজার ২৩৭ জন বিনিয়োগকারী হারিয়েছে পুঁজিবাজার। ২০২৩ সালে বাজারে বিও অ্যাকাউন্টধারী ছিলেন ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ১০৪ জন। সে হিসাবে এক বছরে বিনিয়োগকারী কমেছে ৯০ হাজারেও বেশি।
৩৫৩ দিন আগে
শিল্পে গ্যাসের মূল্য ও শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে: ডিসিসিআই
সম্প্রতি শিল্প ও ক্যাপটিভের প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ টাকা ও ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা বাড়িয়ে দ্বিগুণের বেশি করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন— পেট্রোবাংলা। এছাড়া প্রায় ৪৩টি পণ্যের ওপর ভ্যাট ও শুল্ক দ্বিগুণ করার উদ্যোগের পাশাপাশি মোটরসাইকেল, রেফ্রিজারেটর, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি), কম্প্রেসার প্রভৃতি শিল্পের আয়কর ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এ ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে দেশের সামগ্রিক ব্যবসায়িক কার্যক্রমের পাশাপাশি স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
ডিসিসিআইয়ের আশঙ্কা, এসব সিদ্ধান্ত আরোপ করা হলে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এতে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাবে, মূল্যস্ফীতি বাড়বে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে দীর্ঘমেয়াদি কর সুবিধার পাশাপাশি নীতি ধারাবাহিকতার প্রতিশ্রুতি রক্ষার মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখা আবশ্যক বলে পরামর্শ দিয়েছে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: এসি, মোটরসাইকেল ও ফ্রিজ শিল্পে দ্বিগুণ করের বোঝা
ডিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত না করেই দাম দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধির প্রস্তাব নিঃসন্দেহে দেশের শিল্প খাতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ব্যবসার খরচ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।
ডিসিসিআই মনে করে, বর্তমান পরিস্থিতিতে গ্যাসের এমন মূল্যবৃদ্ধির প্রয়াস সামগ্রিক বিনিয়োগের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে, নতুন শিল্প স্থাপনের সম্ভাবনা কমাবে এবং বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের ব্যবসা পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করবে। ফলে রপ্তানিমুখী শিল্পের উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতাকে দুর্বল করে তুলবে এবং স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ হ্রাস করবে।
এ ছাড়াও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিদ্যমান নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে মোটরসাইকেল, রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার ও কম্প্রেসার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর করের হার দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত উদ্বেগজনক। উল্লিখিত খাতগুলোতে প্রতিশ্রুত কর সুবিধা ২০৩২ সাল পর্যন্ত বহাল থাকার কথা থাকলেও তা হঠাৎ করে যে পরিবর্তন করা হলো, তা বিনিয়োগের জন্য একটি নেতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব এবং বিভিন্ন পণ্যের ওপর ভ্যাট ও করের হার বৃদ্ধি সামগ্রিক অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে, সেইসঙ্গে আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হ্রাস করবে।
তাই ডিসিসিআই মনে করে, দেশে একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বিদ্যমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার, বেসরকারিখাতসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।
এমতাবস্থায় দেশের অর্থনীতির সামগ্রিক অগ্রগতির কথা বিবেচনায় রেখে, পেট্রোবাংলা প্রস্তাবিত শিল্পখাতে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগ পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই। সেইসঙ্গে ব্যবসা পরিচালন ব্যয় ও মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ কমানোর লক্ষ্যে এই মুহূর্তে ভ্যাট ও করের হার বাড়ানোর উদ্যোগটি পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
৩৫৩ দিন আগে
পুঁজিবাজার থেকে মুখ ফেরাল ১২ লাখ বিনিয়োগকারী
গেল আট বছরে পুঁজিবাজার থেকে ১২ লাখ বিনিয়োগকারী মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ২০১৬ সাল থেকে পুঁজিবাজারে অর্থ লগ্নিকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট কমতে কমতে চলতি বছরে এসে অবস্থান করছে সর্বনিম্নে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ঢাকার পুঁজিবাজারে মোট বিও অ্যাকাউন্ট ছিল ২৯ লাখ ২৯ হাজার ১৮৯টি, যা ২০২৪ সালে কমে হয়েছে ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৯৫২। এতে করে আট বছরে ১২ লাখ ৬৪ হাজার ২৩৭ জন বিনিয়োগকারী হারিয়েছে পুঁজিবাজার।২০২৩ সালে বাজারে বিও অ্যাকাউন্টধারী ছিলেন ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ১০৪ জন। সে হিসাবে এক বছরে বিনিয়োগকারী কমেছে ৯০ হাজারেও বেশি।বিনিয়োগকারীরা বলছেন, পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল হওয়ায় তারা বাজারে বিনিয়োগে আস্থা হারাচ্ছেন। অনেকে মার্জিন ঋণের খপ্পরে ফোর্স সেলের শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে ছেড়েছেন বাজার।পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারী তারেক মাহমুদ বলেন, প্রতিনিয়ত বিনিয়োগকারীরা টাকা হারাচ্ছেন। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী আসার মূল আগ্রহ আর্থিক লাভের জন্য। কিন্তু লাগাতার লোকসান হওয়ায় এখন আর কেউ ভরসা পাচ্ছেন না।মার্জিন ঋণ প্রসঙ্গে আরেক বিনিয়োগকারী আলতাফ হোসেন বলেন, বাজারে আগ্রহ ছিল বলেই অনেকে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু দেদারসে শেয়ারের দাম কমতে থাকায় মার্জিন ঋণের খপ্পরে পড়েন তারা। একদিকে মাঝারি বা খারাপ মানের শেয়ারের দাম কমায় টান পড়ছে ঋণের টাকায়, অন্যদিকে ফোর্স সেল হওয়ায় বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ভালো শেয়ারও। এতে করে সর্বস্বান্ত হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের।ব্রোকারেজ হাউসগুলো ঘুরে দেখা যায়, নেই সেই চিরচেনা কর্মচাঞ্চল্য। শাখা পরিচালকরা বলেন, আগে শেয়ার বেচাকেনায় গমগম করতো হাউসগুলো। শুধু হাউসে না, অনেক প্রবাসী বিনিয়োগকারীও মুঠোফোনে যুক্ত থাকতেন, বেচাকেনা করতেন শেয়ারের।ব্রোকারেজ হাউসের করুণ দশা প্রসঙ্গে গ্লোবাল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শাখা ব্যবস্থাপক আসাদ লিটন বলেন, নতুন করে আর কেউ বিনিয়োগে আগ্রহ পাচ্ছেন না। সবাই চাচ্ছেন বাজার থেকে টাকা তুলে নিতে। অনেকে লোকসান দিয়ে হলেও বাজার থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন। যারা তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে বাজার ছাড়ছেন, তাদের আর ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্যবস্থা না নিলে আগামীতে পুরো বাজার স্থায়ী ধসের মুখে পড়বে বলে শঙ্কা করেন তিনি।বিনিয়োগকারীদের বাজার বিমুখতা প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত বিএসইসির টাস্কফোর্সের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, মূল সমস্যা বিনিয়োগকারীরা বাজারে লেনদেনে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন না। অনেক বিও অ্যাকাউন্ট বহুদিন ধরে অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। অনেকে আবার অ্যাকাউন্টের টাকা তুলে বাজার থেকে চলে গেছেন। সব মিলিয়ে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের ভরসা কমে গেছে।বিনিয়োগকারীদের অনেকের অভিযোগ কমিশন কারসাজিকারীদের গণহারে জরিমানা করায় বাজার আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। গত বছর আগস্টে নতুন কমিশন দায়িত্ব নিয়ে ১২টি কোম্পানির শেয়ার কারসাজির কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৭২০ কোটি টাকার ওপর জরিমানা করেছে। এরমধ্যে শুধু বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার কারসাজিতে চার ব্যক্তি ও পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা করে বিএসইসি।বাজারে বিএসইসির করা জরিমানার প্রভাব প্রসঙ্গে হেলাল বলেন, 'এখন যা জরিমানা হচ্ছে তার বেশিরভাগই আগের কমিশনের। কারসাজির ৯৮ শতাংশ বিচার তারা করেননি, যা বর্তমান কমিশনকে এসে করতে হচ্ছে। অপরাধীদের সাজা না দিলে বাজারে শৃঙ্খলা ফিরবে না।'ডিএসইসির লেনদেন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শুধু বিও অ্যাকাউন্ট না গত এক বছরে ডিএসইসির প্রধান সূচক কমেছে ১ হাজার পয়েন্টের বেশি। এর বাইরে ঢাকার বাজার মূলধন হারিয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা।
৩৫৩ দিন আগে
এসি, মোটরসাইকেল ও ফ্রিজ শিল্পে দ্বিগুণ করের বোঝা
ফ্রিজ, রেফ্রিজারেটর, মোটরসাইকেল, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) ও কমপ্রেশার উৎপাদনকারীদের ওপর করপোরেট আয়করের হার দ্বিগুণ করা হয়েছে। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছর থেকে এসব পণ্য উৎপাদনকারীদের ওপর ২০ শতাংশ পর্যন্ত আয়কর বসাতে পারবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।জাতীয় রাজস্ব কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ও মোটরসাইকেল উৎপাদনকারীদের ২০৩২ সাল পর্যন্ত এই সংশোধিত আয়কর দিতে হবে।মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ২০২৫-২৬ করবর্ষ থেকে নতুন হারে আয়কর ধার্য হবে; অর্থাৎ চলতি অর্থবছরে এ ধরনের শিল্পের যে আয় হবে, তার ওপর এই বাড়তি কর দিতে হবে।দেশীয় ও বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নির্ভরতা কমিয়ে আনার পাশাপাশি রাজস্ব সংগ্রহ ও সক্ষমতা বাড়াতে জোর দিচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ইলেকট্রনিক পণ্য ও মোটরসাইকেল উৎপাদনকারীদের ওপর কর বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত এসেছে।২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন দেয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এই ঋণ দিতে বেশ কিছু শর্তারোপ করা হয়েছিল। সে সময় বাংলাদেশের কর ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি।চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাড়তি ১২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে বলেছিল আইএমএফ। ভর্তুকি কমিয়ে আনতে একটি সমন্বিত কৌশল বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছিল তারা। বিদ্যুৎ ও সার খাতের বকেয়ারও সুরাহা করতে বলা হয়েছিল আইএমএফের শর্তে।বৈশ্বিক সর্বনিম্ন কর-জিডিপির অনুপাত বাংলাদেশে। ব্যাপক কর সুবিধার কারণে সরকারকে আর্থিক ঘাটতির মুখে পড়তে হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এক লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা কর সুবিধা দিয়েছে সরকার।২০০৯ সালের জুলাই থেকে ফ্রিজ, রেফ্রিজারেটর ও মোটরসাইকেল উৎপাদনকারীদের কর সুবিধা দেওয়া শুরু করে এনবিআর। প্রথমে ১২ বছরের জন্য পাঁচ শতাংশ হারে করপোরেট আয়কর নির্ধারণ করে প্রতিষ্ঠানটি।পরবর্তীতে এই কর সুবিধা আরও বাড়ানো হয়। কিন্তু ২০২০-২১ অর্থবছরে এসব পণ্যের ওপর আয়কর বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে স্থানীয় উৎপাদিত পণ্যকে এগিয়ে নিতে সরকার এই প্রণোদনা দিয়ে আসছে সরকার।
৩৫৪ দিন আগে