ব্যবসা
শাকসবজি ও ডিমের দাম কিছুটা কমলেও সন্তুষ্ট নয় ভোক্তারা: ইউএনবি’র বাজার সমীক্ষা
গত সপ্তাহের তুলনায় দেশের বাজারে শাক-সবজি, ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও চালের দাম কিছুটা কমেছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এখনো অনেক বেশি বলে ক্রেতাদের অসন্তোষ কমেনি।
তারা জানান, কয়েক সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিমের দাম ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ক্রমান্বয়ে ১৬৫ টাকা হয়েছে। তবে এখন ডিমের দাম কিছুটা কমে প্রতি ডজন ১৫০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।
পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরা, কাঁচা মরিচ ও অন্যান্য মসলার দামেরও একই অবস্থা।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আলাউদ্দিন দেওয়ান নামে এক সরকারি কর্মচারী ইউএনবিকে বলেন, দাম বেশি হওয়ায় তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্ধেক কিনছেন।
স্বল্প বেতন পাওয়া মানুষকে পরিবারের খরচ মেটাতে লড়াই করতে হচ্ছে। তাই তাকে ডিম, মাছ, মাংস ও অন্য বেশি দামের জিনিস কেনা কমাতে হচ্ছে।
শুক্রবার বাজার করতে গিয়ে একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে বেসরকারি কোম্পানির নির্বাহী আলমগীর হোসেনের।
তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচ, বাবা-মায়ের ওষুধের খরচ, বাড়ি ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল আগের থেকে বেড়ে যাওয়ায় নিয়মিত খরচের তালিকা থেকে অনেক আইটেম বাদ দিতে হয়েছে। কারণ আমার আয় একই আছে।’
দেখা যায়, কারওয়ান বাজারে শুক্রবার সবজির দাম কিছুটা কমেছে। যদিও সবজি ও মাছের দাম বাজারের গুণগত মান ও এলাকাভেদে ভিন্ন।
কারওয়ান বাজারে শুক্রবার প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শিম ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, টমেটো ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, গাজর ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, আলু ৪০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।
আরও পড়ুন: ডিমের দাম বৃদ্ধির পেছনে বাজার অব্যবস্থাপনা
ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
শুধুমাত্র বিনোদন প্রদানের ভনিতায় আবির্ভূত ইউটিউব নামটি এখন দিনযাপনের অর্থ। তাই একে ঘিরে মৌলিক চাহিদার কথা চিন্তা করাটা যুগের সহজাত ধারণা। মুঠো ভরা তথ্যের ওপর সামাজিক মাপকাঠির নির্ভরশীলতা তথ্যকে পরিণত করেছে পণ্যে। আর এরই নিরীখেই শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে প্রজন্মের সেরা ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব কেন্দ্রিক পেশাগুলো। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ভিডিও, আর তার প্রধান কাঁচামালের যোগান দেয় স্ক্রিপ্ট রাইটাররা। তাই ইউটিউব ভিডিওর স্ক্রিপ্ট রাইটিং এবং এর প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের নিবন্ধ। চলুন, এই সৃজনশীল পেশার নানা দিক সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
স্ক্রিপ্ট রাইটিং কী
স্ক্রিপ্ট রাইটিং বা পান্ডুলিপি লিখন হলো ভিডিওর মাধ্যমে দেখানোর জন্য নির্ধারিত তথ্যগুলো নির্দিষ্ট নিয়মে লেখা। প্রতিটি দৃশ্যে ক্রমান্বয়ে যা যা দেখানো, শোনানো এবং বোঝানো হবে, তার সামগ্রিক লিখিত রূপ হচ্ছে স্ক্রিপ্ট।
পাঠ্য, স্থির চিত্র, ও চলচ্চিত্রসহ যাবতীয় কন্টেন্টের সংমিশ্রণ স্পষ্টভাবে লেখা হয় এতে। মুলত ছকে বাঁধা লেখাগুলো অনুসরণ করেই চূড়ান্ত ভাবে নির্মাণ করা হয় কন্টেন্ট।
এর আরেক নাম চিত্রনাট্য বা স্ক্রিনরাইটিং, যেটা সাধারণত মুভি বা মঞ্চ নাটকের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এর পরিধি টিভি নাটক, গেমস, তথ্যচিত্র পর্যন্ত বিস্তৃত। এমনকি রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্যও লেখা হয়ে থাকে পান্ডুলিপি।
আরও পড়ুন: হ্যাকারদের থেকে সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার
ভিডিও স্ক্রিপ্টের প্রয়োজনীয়তা
প্রতিটি তথ্যের উপস্থিতি
একটি পূর্ণাঙ্গ স্ক্রিপ্ট আপনার চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলোকে সুসংগঠিত করতে পারে। এতে করে পূর্ব পরিকল্পিত ও প্রাসঙ্গিক কোনও তথ্য বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
গুছিয়ে কথা বলা
আগে থেকে একটি স্ক্রিপ্ট ভালভাবে সম্পন্ন হয়ে গেলে সেটার ওপর সময় নিয়ে কথা বলার চর্চা করা যায়। এভাবে চূড়ান্ত ভিডিওর সময় নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কথা বলার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে কন্টেন্টের গুণগত মানোন্নয়নের পাশাপাশি কথা বলা রেকর্ডিং-এও সময় কম প্রয়োজন হয়।
সময়ের হিসাব
একটি নিক্ষুত স্ক্রিপ্টে প্রতিটি দৃশ্যে নির্ধারিত কথাগুলো বলার জন্য সময় নির্দিষ্ট করা থাকে। প্রতিটি দৃশ্য আলাদা করে রেকর্ড করার সময় পুনঃ পুনঃ অনুশীলনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়টি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এতে করে পুরো কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের বেলায়ও সময়ের হেরফের হয় না।
ধারাবাহিকতা বজায়
যে কোন কন্টেন্টের ক্ষেত্রেই একটি সুস্পষ্ট কাঠামো তার গুণগত মান বৃদ্ধির পরিচায়ক। ভিডিওর ক্ষেত্রেও এর স্ক্রিপ্ট বিভিন্ন ফুটেজ, শব্দ, স্থিরচিত্র, ও স্পেশাল ইফেক্ট সহ প্রতিটি বিষয়ের মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণতা নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
ইউটিউব ভিডিওর জন্য স্ক্রিপ্ট রাইটিং
বর্তমান সময়ে সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেকটা এগিয়ে ইউটিউব। নাটক-সিনেমার মানের জন্যও এখন গুরুত্ব দেয়া হয় লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারকে, যেগুলো মুলত এই প্ল্যাটফর্মের প্যারামিটার।
নেটিজেনদের উদ্দেশ্য করে এখন মুক্তি দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের কন্টেন্ট। তাই সঙ্গত কারণেই এগুলোর জন্য স্ক্রিপ্ট রাইটারদের চাহিদা বাড়ছে। শুধুমাত্র ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম নির্ভর লেখালেখিই পরিণত হয়েছে স্বতন্ত্র এক পেশায়।
নিউজ ও পাবলিশিং কোম্পানি, তথ্যচিত্র নির্মাতা, ব্লগার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ব্র্যান্ড প্রোমোশনের জন্য তৈরি করছে ইউটিউব চ্যানেল। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাচ্ছে পান্ডুলিপি লেখকদের চাহিদা।
ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
সৃজনশীলতা
সৃজনশীলতা হলো সম্পূর্ণ অভিনব ধারণার অবতারণা করা। অন্যান্য চ্যানেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক চ্যানেল মালিকের নতুন নতুন কন্টেন্ট বানানোর প্রবণতা থাকে। আর তখনি তাদের সরণাপন্ন হতে হয় পান্ডুলিপি লেখকদের। নতুন ধারণা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্ট রাইটারদের খেয়াল রাখতে হবে যে, বিষয়বস্তু দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারছে কিনা। প্রকৃতপক্ষে, এই চিত্তাকর্ষণের জায়গাতেও তাদেরকে সৃজনশীল হতে হবে।
আরও পড়ুন: গুগলে কীভাবে চাকরি পেতে পারেন
গবেষণা ও বিশ্লেষণ
তথ্য হচ্ছে স্ক্রিপ্টের মুল জীবনী শক্তি। তাই লেখকদের সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিশ্লেষণী ক্ষমতা কাজে লাগাতে হবে। তথ্যের নির্ভরযোগ্য উৎস খুঁজে বের করা, অতঃপর সেই তথ্যের পুঙ্ক্ষানুপুঙ্ক্ষ যাচাইও এই দক্ষতার অন্তর্ভূক্ত।
গল্প বলা
এটি এমন এক দক্ষতা যা প্রতিটি লেখকেরই থাকা আবশ্যক। লেখা পড়েই যদি কোন পাঠকের গল্প শোনার অনুভূতি সৃষ্টি হয়, তাহলেই কন্টেন্ট সফল হওয়ার অর্ধেক কাজ হয়ে যায়। বাকিটুকু থাকে কারিগরির জায়গাতে। জটিল রকেট সায়েন্স থেকে শুরু করে বিপণন বিজ্ঞাপন সবকিছুই চিত্তাকর্ষক করে তোলা যায় সুনিপুণ গল্প বলার মাধ্যমে।
সংলাপ তৈরি
পান্ডুলিপি মানেই সংলাপ আকারে পুরো ধারা বর্ণনা করা। ইউটিউবের শর্ট ফিল্ম থেকে শুরু করে মনোলগ পর্যন্ত সবকিছু হবে কথোপোকথন আকারে। এটি স্ক্রিপ্ট রাইটারদের মূল হাতিয়ার, কারণ এর মাধ্যমে একটি দৃশ্য কতটুকু প্রাণবন্ত তা ফুটে উঠে।
প্রুফরিডিং ও রিরাইটিং
যে কোন লেখা শেষ হওয়ার পর প্রতিটি লেখকের উচিত তা কয়েকবার পড়ে দেখা। এ সময় ব্যাকরণজনিত নানা ছোট খাটো ভুল ধরা পড়ে। অনেক কষ্ট করে একটি পান্ডুলিপি শেষ করার পরেও ক্লায়েন্টের কাছে তা নির্ভুলভাবে পরিবেশন না করা গেলে সব কষ্টই বৃথা। অনেক ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট নতুন শর্ত জুড়ে দিলে সামগ্রিক লেখায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিবর্তন আনতে হয়। তাই লেখককে রিরাইটিং-এ দক্ষ হওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন: ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষে সফল সবজি বিক্রেতা
ধৈর্যশক্তি
যে মাধ্যমের জন্যই হোক না কেন; পুরো একটি পান্ডুলিপি শেষ করা বেশ ধৈর্য্যের কাজ। প্রথমত সৃজনশীল এই কাজে জোর-জবরদস্তির কোনও সুযোগ নেই। এরপর শেষ করার পর পুনরায় তার মান যাচাই করাতেও যথেষ্ট অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। তাই লেখার কাজে ধৈর্য্যশীলতার কোনও বিকল্প নেই।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে শুল্ক অব্যাহতি বেড়েছে ১৭.৬৪ শতাংশ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের দাম কমার কারণে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যবসাগুলো ৬১ হাজার ৩২ কোটি টাকা শুল্ক অব্যাহতি পেয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংগঠনের নেতারা বলছেন, কিন্তু, যেসব ক্ষেত্রে শুল্ক অব্যাহতি রয়েছে ব্যবসায়ীরা প্রকৃতপক্ষে তাদের পণ্য অভ্যন্তরীণ বাজারে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করেন এবং মোটা অঙ্কের মুনাফা করেন।
এনবিআর প্রজ্ঞাপন ও বিশেষ বিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রক আদেশের (এসআরও) মাধ্যমে আমদানি শুল্কে এ অব্যাহতি দিয়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন ইউএনবিকে বলেন, শুল্ক অব্যাহতি পেলেও ব্যবসায়ীরা স্থানীয় বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম কমায়নি।
তিনি এটিকে সরকারের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থার ব্যর্থতা এবং বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসার সিন্ডিকেশন বলে অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন: বাজেটে বিদেশ থেকে আনা স্বর্ণের জন্য বিদ্যমান শুল্ক দ্বিগুণ করার প্রস্তাব
শুল্ক অব্যাহতি অর্থবছর ২২-এর তুলনায় অর্থবছর ২৩-এ ৯ হাজার ১৫২ কোটি টাকা বা ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়েছে। ওই বছর শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয় ৫১ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।
অংশীজনরা মনে করেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং স্থানীয় ব্যবসার সুরক্ষার জন্য অব্যাহতি বৃদ্ধি বাজারে বড় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেনি।
মূলধনী সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক অব্যাহতির একটি বড় অংশ দেওয়া হয়েছে। এ খাতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ৯ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। এরপর ডিফেন্স স্টোরের জন্য ৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা অব্যাহতি পান ব্যবসায়ীরা।
২০২৩ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আমদানি-রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। আর অর্থবছর শেষে কর আদায় হয়েছে ৯২ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা।
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করলে এবং অব্যাহতি না দিলে এনবিআর ১৮ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ঘাটতির সম্মুখীন হতো।
আরও পড়ুন: শুল্ক সমস্যা অমীমাংসিত রেখেই বাংলাদেশে আদানির বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
২০২৩ অর্থবছরে মূলধনী সরঞ্জাম আমদানিতে ৯ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা, ভোজ্যতেল আমদানিকারকরা ৩ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা, কাঁচামাল আমদানিকারকরা ১ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা, মোবাইল প্রস্তুতকারক ২ হাজার ২৪১ কোটি টাকা এবং ডিফেন্স স্টোর ৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা শুল্ক অব্যাহতি পেয়েছে।
এ ছাড়া পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি ৮২৭ কোটি টাকা, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৪ হাজার ৪১ কোটি টাকা, বিভিন্ন খাতে ৯ হাজার ৫০ কোটি টাকা (বিশেষ), ত্রাণ পণ্যে ৪০৫ কোটি টাকা, বিভিন্ন সময়ে ৫ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা শুল্ক রেয়াত হিসেবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে শুল্ক অব্যাহতির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা। এ খাতে ২০২২ অর্থবছরে অব্যাহতির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ৩১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তামাবিলসহ তিন শুল্কস্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ
এফবিসিসিআই এর সভাপতি হলেন মাহবুবুল আলম
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মাহবুবুল আলম।
সোমবার (১৪ আগস্ট) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বাধীন নতুন পরিচালনা পর্ষদের (২০২৩-২৫) কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ২০২১-২৩ এর পরিচালনা পর্ষদ।
নতুন পরিচালনা পর্ষদের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সমিতির সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী।
অনুষ্ঠানে মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই। আজ থেকে আমরা সবাই এক। আমাদের কথা এবং দাবিও হবে এক। দিন শেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা ব্যবসায়ী। বেসরকারি খাতের সুরক্ষা এবং বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।'
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই -এর নতুন সভাপতি মাহবুবুল আলম
মাহবুবুল বলেন, সবার সহযোগিতা নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। বিশেষ করে জেনারেল বডি মেম্বার ছাড়া চলতে পারে না এফবিসিসিআিই। তাই এফবিসিসিআইকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে চাই। পুরাণ ঢাকায় একটা লেয়াজু অফিস প্রস্তুত করাসহ রাজধানী ঢাকায় একটি ওয়ার্লড ট্রেড সেন্টার করতে চাই, যা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে করেছি আমরা।
গুলশানে এফবিসিসিআই এর শাখা অফিস খুব শিগগিরেই চালু করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এফবিসিসিআই এর বিদায়ী সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, শুরুতেই আমি নতুন বোর্ডকে স্বাগত জানাই। আপনারা আগামীর বাংলাদেশে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি ব্যবসায়ীকে নেতৃত্ব দেবেন।
২০২৩-২৫ এর পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে ৪০ জন করে মোট ৮০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং ছয়জন সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হন ১৯৮৩ সালে। গত প্রায় চার দশকে কমোডিটি ট্রেডিং থেকে শুরু করে ব্যাংক ও আর্থিক পরিষেবা, পর্যটন সহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন তিনি। বর্তমানে ৯টি খাতে ১৭টি ব্যবসা উদ্যোগ রয়েছে মাহবুবুল আলমের।
ব্যবসা-বাণিজ্যে অনবদ্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরুপ মাহবুবুল আলমকে কমার্সিয়ালি ইমপর্ট্যান্ট পার্সন- সিআইপি (বাণিজ্য ও শিল্প) পুরষ্কারে ভূষিত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন থেকে “সার্টিফিকেট অব মেরিট” পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই নির্বাচন: সম্মিলিত ১৫, ঐক্য প্যানেলের ৮ পরিচালক নির্বাচিত
বাংলাদেশকে ২ প্রকল্পে ৪৯০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ দেবে এডিবি
বাংলাদেশে দু’টি প্রকল্প বাস্তবায়নে ৪৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
সোমবার রাজধানীতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও এডিবি পৃথক দু’টি ঋণ চুক্তি সই করেছে। ইআরডি সচিব শরিফা খান এবং এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ আবাসিক মিশন) এডিমন গিন্টিং ঋণ চুক্তিতে সই করেন।
এই ঋণ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য ১৯০ মিলিয়ন ডলার এবং আরবান গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোগ্রামের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাবে।
গ্রামীণ যোগাযোগ উন্নয়ন প্রকল্পটি (দ্বিতীয় অতিরিক্ত অর্থায়ন) বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো- প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো উৎপাদনশীল কৃষি এলাকায় প্রবেশ করতে গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ যোগাযোগের উন্নয়ন করা। একই সঙ্গে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার সঙ্গে গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামোকে সব ধরনের আবহাওয়ার মানদণ্ডে উন্নীত করা এবং কার্যকর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশীজনদের সক্ষমতা জোরদার করা।
নগর শাসনব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর।
কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো- পরিকল্পিত অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই নগরায়ন, উন্নত নগর শাসন এবং উন্নত অবকাঠামো অর্জন। বাস্তবায়নের সময়কাল হচ্ছে জুলাই ২০২৩ থেকে জুন ২০২৮ পর্যন্ত।
উভয় ঋণ পরিশোধের সময়সীমা থাকবে ৫ বছরের অতিরিক্ত সময়সহ ২৫ বছর। রেয়াতি ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ২ শতাংশ।
সাইবার হামলা ঠেকাতে সতর্ক অবস্থায় ব্যাংকগুলো
সাইবার হামলা মোকাবিলায় সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১১টি নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে সব বাণিজ্যিক ব্যাংক উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
সাইবার হামলা ঠেকাতে কী করা উচিত, তা জানিয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওই চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, ব্যাংকের সব কার্যক্রম সুরক্ষিত রাখতে কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা পাওয়ার পর এমটিবি হুমকি রোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সমস্ত আমানত এবং অন্যান্য লেনদেন নিরাপদ ও সুরক্ষিত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ১৫ অগাস্টকে লক্ষ্যবস্তু করে সাইবার হামলার আশঙ্কা
ব্র্যাক ব্যাংকের সিইও সেলিম আরএফ হুসাইনও সাইবার হামলা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে একই ধরনের মতামত দেন। যে কোনো বিপর্যয় এড়াতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়, হ্যাকারদের একটি গ্রুপ বাংলাদেশে সাইবার হামলার হুমকি দিয়েছে এবং সম্ভাব্য হামলার তারিখ ১৫ আগস্ট।
এই হুমকির জবাবে সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সিআইআরটি) সাইবার নিরাপত্তায় সতর্কতা জারি করে।
গত ৭ আগস্ট সিআইআরটি'র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাইবার হামলায় স্টেট ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার (সিআইআই), ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে। ক্ষুদ্র বা মাঝারি সাইবার হামলা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে পূর্ব প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
সাইবার হামলা প্রতিরোধে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১১টি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ২৪ ঘণ্টাই নেটওয়ার্ক অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, যাতে কেউ ডেটা অপসারণ করতে না পারে। সাইবার হামলা কমাতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার সতর্কতা জারি
এ ছাড়া নেটওয়ার্কে অনিরাপদ কার্যকলাপ শনাক্ত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে ওপেন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি প্রজেক্টের (ওডব্লিউএএসপি) সর্বশেষ গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
সাইবার হামলা এড়াতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু পরামর্শ দিয়েছে সিআইআরটি।
তারা এইচটিটিপি/এইচটিটিপিএস ইনকামিং ট্র্যাফিক বিশ্লেষণ করতে এবং ক্ষতিকর অনুরোধ ও ট্র্যাফিক প্যাটার্ন ফিল্টার করতে ফায়ারওয়্যাল স্থাপন করছে। ডিএনএস, এনটিপি ও নেটওয়ার্ক মিডলবক্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলো সুরক্ষিত এবং ব্যবহারকারীর ইনপুট যাচাই করা হচ্ছে।
এতে ওয়েবসাইটের ব্যাকআপ রাখার জন্যও বলা হয়। পাশাপাশি এসএসএল ও টিএলএস এনক্রিপশনযুক্ত ওয়েবসাইটগুলোতে এইচটিটিপিএস বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে: আইজিপির প্রতি রাষ্ট্রপতি
মিরপুরে বিজিএমইএ হাসপাতালের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
মিরপুরের মিল্কভিটা রোডে বিজিএমইএ হাসপাতালের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিজিএমইএ'র জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) হাসপাতালের নির্মাণ কাজটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, মিরপুরের মিল্কভিটা রোডে দু’টি বেসমেন্টসহ ১৫০ শয্যার বিজিএমইএ হাসপাতালটি নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে নির্মাণাধীন বিজিএমইএ হাসপাতালের নিচতলায় বিজিএমইএ'র মিরপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির
বিজিএমইএ'র এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রতি মাসে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ শ্রমিক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, মিরপুর হাসপাতাল সম্পর্কিত বিজিএমইএ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মো. জাহানদার রশীদ জুয়েল, মিরপুর হেলথ সেন্টার ও স্কুল সম্পর্কিত বিজিএমইএ’র স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুলতান আহমেদ এবং বিজিএমইএ শ্রম কল্যাণ ও শিক্ষা সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আহাদ আনসারী। এছাড়াও মিরপুর এলাকার গার্মেন্টস শিল্প উদ্যোক্তা, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আরএমজি শিল্পের উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের নীতিগত সহায়তা চান বিজিএমইএ সভাপতি
জুলাইতে বাংলাদেশের অপ্রচলিত বাজারে আরএমজি রপ্তানি ২৩.৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরএমজি রপ্তানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই মাসে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে ৭২৯ দশমিক শূন্য ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। যা ২০২২-২৩ অর্থ-বছরের জুলাইতে ছিল ৬৮৫ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিজিএমইএ -এর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাসে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে আমাদের পোশাক রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের ১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ইইউ অঞ্চলের কিছু বড় বাজারে আমাদের রপ্তানি বেড়েছে। এর মধ্যে স্পেনে ৩৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ফ্রান্সে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ, ইতালিতে ৩৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ২৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এবং পোল্যান্ডে ১৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৭ম বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ২৬-২৮ অক্টোবর
এক চিঠিতে মহিউদ্দিন রুবেল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য জার্মানিতে আমাদের রপ্তানি বছরে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির মুখোমুখি হয়েছে এবং তা ৫১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে ফিনল্যান্ড, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া, মাল্টা এবং স্লোভাকিয়াতে রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
২০২৩ অর্থ-বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাজ্য বছরে রপ্তানি ২৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭৫ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একইভাবে কানাডায় বছরে রপ্তানি ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১২৮ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭৪ দশমিক ৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপানে ৪৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ৫৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ভারতে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে রপ্তানি ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ মে মাসে ৪.০৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে
খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করা যাবে আরও ৬ মাস
ব্যবসায়ীরা প্যাকেটজাত সয়াবিন তেলের শতভাগ বাজারজাত করার জন্য এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় সরকার আরও ৬ মাস খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির অনুমতি দেবে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, উক্ত ৬ মাসের পর বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খোলা সয়াবিন তেলের বিপণন নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একটি সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করে। সোমবার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সয়াবিন লিটারে কমল ৫ টাকা, কার্যকর রবিবার
সভায় ব্যবসায়ীরা জানান, তারা খোলা সয়াবিন তেলের বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত হলেও এখন তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শতভাগ প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল বাজারজাত করতে প্রস্তুত নন।
সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় করে সচেতনতা তৈরি করে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করতে চাই।’
তিনি শতভাগ প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল বাজারজাতকরণের সক্ষমতা অর্জনের বিস্তারিত পরিকল্পনাসহ ৭ দিনের মধ্যে কোম্পানিগুলোর কর্মপরিকল্পনা দিতে ব্যবসায়ীদের বলেন।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৭ টাকা
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়াতে চান পরিশোধনকারীরা
এফবিসিসিআই-আইসিসির বৈঠক: ভারতের স্বাস্থ্য খাতের উদ্যোক্তাদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান
ভারতের স্বাস্থ্য খাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নেতারা। একই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোল্ড চেইন অবকাঠানো নিয়ে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহও প্রকাশ করেন তারা।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) এর মধ্যে বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বাংলাদেশে সফররত আইসিসির ৪৩ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। আইসিসি এর প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনটির মহাপরিচালক রাজিভ সিং।
এসময় বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই -এর নতুন সভাপতি মাহবুবুল আলম
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার বাণিজ্য অনেক ভালো অবস্থানে আছে। দিন দিন দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। যা দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব আরও বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য একটি লাভজনক, টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব কৃষিব্যবস্থা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কোল্ড চেইন অবকাঠামো উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে; যা এ খাতের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এ ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
বৈঠকে আইসিসি মহাপরিচালক রাজীভ সিং বলেন, ভারতে অনেক দক্ষতাসম্পন্ন লোকবল রয়েছে; যারা জ্বালানি খাত নিয়ে কাজ করে। তারা তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সঙ্গে শেয়ার করতে চায়। এ ছাড়াও বাংলাদেশের জ্বালানির চাহিদা মেটাতে ভুটান ও নেপালে উৎপন্ন বিদ্যুৎ পরিবহনের ক্ষেত্রে সঞ্চালন লাইন সরবরাহে কাজ করতে পারে ভারতের ব্যবসায়ীরা।
এ ছাড়া, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মসলা ও শাকসবজি উৎপন্ন হয়; যা বাংলাদেশে রপ্তানি করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এফবিসিসিআইর পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী তার বক্তব্যে ভারতের স্বাস্থ্য খাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, হাফেজ হারুন, আক্কাস মাহমুদ, মহাসচিব রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান, দুই দেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি, মসলা, শাকসবজি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, হর্টিকালচার ইত্যাদি খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই নির্বাচন: সম্মিলিত ১৫, ঐক্য প্যানেলের ৮ পরিচালক নির্বাচিত