ব্যবসা
রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্কলারশিপসহ ও আনুষঙ্গিক খরচ
উচ্চতর স্তরে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ব্যবহারিক দক্ষতার সমন্বিত অভিজ্ঞতা অর্জিত হয় উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি থেকে শুরু করে কলা ও মানবিক প্রতিটি বিষয়ে উন্নত ডিগ্রি লাভের সঙ্গে যুগপৎভাবে সমৃদ্ধ হয় ব্যক্তি ও পেশা জীবন। বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর মতো রাশিয়াও এই অভিজ্ঞতার প্রতিশ্রুতি রয়েছে প্রত্যেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীদের কাছে। শুধু সংখ্যার দিক থেকে নয়, রুশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নের বিষয়গুলো বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রেও অনন্য। চলুন, রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য অধ্যয়ন ও স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও স্কলারশিপসহ সামগ্রিক সুবিধাগুলো জেনে নেওয়া যাক।
রাশিয়ায় কেন পড়তে যাবেন
বিশ্বের প্রথম সারির শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাশিয়ান শিক্ষা পাঠ্যক্রম। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত ডিগ্রিগুলো বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধ বহুজাতি কোম্পানিগুলোতে রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা ইন্টার্ন ও স্নাতকদের ব্যাপকভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
কিউএস বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ শতকে (৮৭) থাকা রুশ বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম লোমোনোসভ মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি।
দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নের বিষয় সংখ্যা যেমন বেশি, তেমনি যথেষ্ট বৈচিত্র্যও রয়েছে অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে। সব মিলিয়ে ৪০০টিরও বেশি অধ্যয়নের ক্ষেত্রে ৬৫০ টিরও বেশি বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ফেলোশিপ করার ব্যবস্থা রয়েছে দেশটিতে।
রাশিয়া ঐতিহাসিকভাবে ব্যালে নৃত্য, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, চিত্রকলা এবং সাহিত্যের মতো শিল্পে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য সুপরিচিত। তাই যারা সৃজনশীল বিষয়ে ক্যারিয়ার গঠনে ইচ্ছুক তাদের জন্য রাশিয়া উত্তম গন্তব্য।
আরো পড়ুন: জার্মানির আউসবিল্ডুং: যোগ্যতা, সুযোগ-সুবিধা ও আবেদন পদ্ধতি
রাশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাহিদাসম্পন্ন কোর্সের তালিকা
.
বিশ্ব জুড়ে বহুল সমাদৃত শীর্ষ ১০টি রুশ বিশ্ববিদ্যালয়:
• লোমোনোসভ মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি
• সেন্ট পিটার্সবার্গ ইউনিভার্সিটি
• বাউম্যান মস্কো স্টেট টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি
• পিপল্স ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া
• কাজান ফেডারেল ইউনিভার্সিটি
• হায়ার স্কুল অফ ইকোনমিক্স
• মস্কো ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি
• টমস্ক স্টেট ইউনিভার্সিটি
• নভোসিবিরস্ক স্টেট ইউনিভার্সিটি
• ন্যাশনাল রিসার্চ নিউক্লিয়ার ইউনিভার্সিটি এমইপিএইচএল (মস্কো ইঞ্জিনিয়ারিং ফিজিক্স ইনস্টিটিউট)
আরো পড়ুন: জাপানে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
রাশিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নের জন্য জনপ্রিয় কয়েকটি বিষয়:
• শিল্প, সাহিত্য, নৃত্য, সঙ্গীত এবং চিত্রকলা
• বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
• বিজনেস স্টাডিজ
• মেডিকেল সায়েন্স
• মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞান
• ইতিহাস
আরো পড়ুন: ইতালিতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
রাশিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
রুশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তির আবেদন গ্রহণের প্রধান মৌসুম হচ্ছে ফল সেমিস্টার। এ ক্ষেত্রে আবেদনের সময় থাকে আগের বছরের ডিসেম্বর থেকে জুলাই পর্যন্ত। ভর্তির যাবতীয় কার্যক্রম শেষে ক্লাস শুরু হয় সেপ্টেম্বরে।
কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাস তথা স্প্রিং সেমিস্টারেও ক্লাস শুরু করে থাকে। স্প্রিংয়ের জন্য আবেদনের সময়সীমা থাকে অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই দুই মৌসুমের বাইরে রাশিয়ায় রোলিং ইন্টেকও রয়েছে, যেখানে সারা বছর ধরেই চলে কোর্সে নিবন্ধন। আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যাদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণে বেশ কালক্ষেপণ হয়ে যায়, তাদের জন্য এই ইন্টেকটি যথেষ্ট উপকারে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজস্ব অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন জমা নেয়। এর জন্য আবেদনকারীদের তাদের নির্বাচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। এই অ্যাকাউন্টেই দরকারি নথিপত্র আপলোডসহ আবেদন জমা করা যায়।
নথি যাচাইয়ের প্রথম ধাপে উতড়ে গেলে শিক্ষার্থীকে অনলাইন পরীক্ষা বা সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়। এই শেষ ধাপে কৃতকার্য হলেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ভর্তির নির্দেশনা দিয়ে প্রথম সেমিস্টারের ফি প্রদান করতে বলে। ফি পরিশোধের পরেই শিক্ষার্থীকে মনোনীত করা হয় ইনভাইটেশন বা অফার লেটারের জন্য। এই লেটারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ইস্যূ করে মূলত রাশিয়ান ফেডারেশনের ফেডারেল মাইগ্রেশন সার্ভিস।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
• পাসপোর্ট (কমপক্ষে ২০ মাসের মেয়াদসম্পন্ন)
• সদ্য তোলা ছবি: (আকার- ৩ দশমিক ৫ x ৪ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার)
• শিক্ষাগত যোগ্যতার নথিপত্র: স্নাতকের জন্য উচ্চ বিদ্যালয়ের সনদ ও মার্কশীট; স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতকের প্রশংসাপত্র ও গ্রেডশীট
• মেডিকেল ডকুমেন্টস
• ভাষার দক্ষতা পরীক্ষার স্কোর: আইইএলটিএস ৬ দশমিক ৫ বা টোফেল ৯২ (প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর করে)
• স্টেটমেন্ট অফ পার্পাস
• সিভি ও মোটিভেশনাল লেটার
• পিএইচডি জন্য গবেষণা প্রস্তাব
• লেটার অফ রিকমেন্ডেশন (এলওআর)
যে নথিগুলোর ভাষা ইংরেজি নয় সেগুলো জাতীয়ভাবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ এবং নোটারাইজ করে নিতে হবে।
আরো পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
রাশিয়ায় পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার সম্ভাব্য খরচ
বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যয়নের বিষয় এবং প্রোগ্রামের স্তরের ভিত্তিতে পড়াশোনার খরচে যথেষ্ট তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। কিস্টোন অনুসারে, প্রতি বছর রাশিয়ায় স্নাতক ডিগ্রির জন্য সম্ভাব্য খরচ ২ লাখ ২০ হাজার থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার রুবল। এটি ২ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৩ থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৭ টাকার সমতূল্য। মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য বার্ষিক বাজেট ২ লাখ ৪০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৫০ হাজার রুবল পর্যন্ত। বাজেটটি ২ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৭ থেকে ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫৭ টাকার সমান। বার্ষিক খরচ ৭২ হাজার থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার রুবল (৮৮ হাজার ৬৪৯ থেকে ৩ লাখ ৭ হাজার ৮১০ টাকা) স্নাতকোত্তর কোর্সের জন্য।
রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে জীবনযাত্রার খরচ ভিন্ন রকম। লিপস্কলার অনুসারে, প্রধান কয়েকটি শহরের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ (বাড়ি ভাড়া ছাড়া) নিম্নে দেওয়া হলো:
• মস্কো: ৫৬ হাজার ৫০০ রুবল (৬৯ হাজার ৫৬৫ টাকা)
• কাজান: ৪৩ হাজার ৪০০ রুবল (৫৩ হাজার ৪৩৬ টাকা)
• সেন্ট পিটার্সবার্গ: ৫০ হাজার ১৪৮ রুবল (৬১ হাজার ৭৪৪ টাকা)
• নোভোসিবিরস্ক: ৪৪ হাজার ৩২২ রুবল (৫৪ হাজার ৫৭১ টাকা)
• কালিনিনগ্রাদ: ৪৩ হাজার ২৫৭ রুবল (৫৩ হাজার ২৬০ টাকা)
বাসস্থানের ক্ষেত্রে মস্কো অপেক্ষা কাজান বা ইয়েকাটেরিনবার্গের মতো ছোট শহরগুলোতে ভাড়া যথেষ্ঠ সাশ্রয়ী। উপরন্তু, ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের তুলনায় অধিক ব্যয়বহুল। ডর্মিটরিগুলোর ভাড়া মাসে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার রুবল (৬১৬ থেকে ৬ হাজার ১৫৬ টাকা) পর্যন্ত হতে পারে।
নাম্বিও ডাটাবেজ অনুসারে, শহরের প্রাণকেন্দ্রে ১ বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া পড়তে পারে মাসে ২২ থেকে ৯৪ হাজার ৩৯ রুবল। পরিমাণটি ২৭ হাজার ৮৭ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৪ টাকার সমতূল্য। সেখানে শহর থেকে একটু দূরে একই অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া ১৫ থেকে ৫৪ হাজার ৮৩০ রুবল (১৮ হাজার ৪৬৯ থেকে ৬৭ হাজার ৫০৯ টাকা)।
আরো পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
রাশিয়ায় স্কলারশিপের সুবিধা
দীর্ঘকালীন অধ্যয়নের ব্যয়ভার বহনের জন্য সবচেয়ে উপযোগী হচ্ছে রাশিয়ান সরকারি বৃত্তি। এর আওতায় নির্বাচিত প্রোগ্রামের পুরো সময়কালের জন্য ফ্রিতে পড়াশোনা করা যায়।
তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যা ও গণিত অ্যাডভান্সমেন্ট ফাউন্ডেশন ‘বেসিস’ নামক বৃত্তিটি প্রদান করে থাকে মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি। তবে অর্থায়ন হয়ে থাকে রাশিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে। এই তহবিলের পরিমাণ মাসে ২৫ থেকে ৬০ হাজার রুবল (৩০ হাজার ৭৮১ থেকে ৭৩ হাজার ৮৭৪ টাকা)।
টমস্ক পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ৫০ হাজার রুবল (৬১ হাজার ৫৬২ টাকা)।
আরো পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ
জিইউভিএম থেকে ইস্যু করা পারমিট নিয়ে শিক্ষার্থীদেরা অধ্যয়নকালে খণ্ডকালীন চাকরি করতে পারে। তবে এর জন্য অবশ্যই পূর্ব নির্ধারিত অধ্যয়ন প্রোগ্রামে নিযুক্ত থাকতে হবে।
পারমিট অনুসারে আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার বাইরে প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা করে সপ্তাহে ২০ ঘণ্ট কাজের অনুমতি পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণেই বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরগুলো ছাত্রদের জন্য বিভিন্ন ধরণের কাজের সুযোগ রাখে।
জীবনযাত্রার খরচের মতো কাজের ঘণ্টা প্রতি পারিশ্রমিকও শহর ভেদে ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। লিপস্কলার অনুযায়ী রাশিয়ার জনপ্রিয় কয়েক খণ্ডকালীন চাকরির ঘণ্টা প্রতি গড় রেট নিম্নরূপ:
• ইংরেজি ভাষা শিক্ষক: ৮৫৭ থেকে ৪ হাজার ৪৩২ রুবল (১ হাজার ৫৫ থেকে ৫ হাজার ৪৫৭ টাকা)
• হসপিটালিটি স্টাফ: ৫০০ থেকে ১ হাজার রুবল (৬১৬ থেকে ১ হাজার ২৩১ টাকা)
• খুচরা বিক্রয় সহকারী: ৪৪৩ থেকে ১ হাজার রুবল (৫৪৫ থেকে ১ হাজার ২৩১ টাকা)
আরো পড়ুন: সুইডেনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
পরিশিষ্ট
রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধ্যয়নের বিষয়ের সঙ্গে বসবাসের শহর নির্বাচনকেও বিবেচনায় আনা উচিত। এই প্রত্যেকটি বিষয় সামগ্রিকভাবে প্রভাব ফেলে পড়াশোনাসহ জীবনযাত্রার বাজেটের ওপর। অধ্যয়নকালে আর্থিক চাপকে অনেকটা কমিয়ে আনতে পারে স্কলারশিপ এবং খণ্ডকালীন চাকরি। শুধু তাই নয়, স্কলারশিপপ্রাপ্তি স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়াকে সহজতর করে তুলতে পারে। সর্বোপরি, ভর্তির আবেদন থেকে শুরু করে রাশিয়া যাওয়া পর্যন্ত পুরো যাত্রাকে সুগম করতে কাগজপত্রে যথার্থতা ও সময়সীমা মেনে চলা জরুরি।
৪৩৬ দিন আগে
এক মাস ধরে এমডি ছাড়া চলছে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংক
ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছাড়াই প্রায় এক মাস ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল)।
এসব ব্যাংকের এমডিদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি বাতিল করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়। জবাবে ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যানরা দ্রুত নতুন এমডি নিয়োগের জন্য অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ এবং রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল হুদা অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা যত দ্রুত সম্ভব এমডির শূন্য পদ পূরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: বিডিবিএল সোনালী ব্যাংকে এবং রাকাব বিকেবির সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে
বৈঠকে উপস্থিত একজন চেয়ারম্যান নিশ্চিত করেছেন যে, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এমডি নিয়োগের অনুরোধ করেছেন এবং অর্থ উপদেষ্টা তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
১৯ সেপ্টেম্বরের চিঠির পর থেকে এমডিদের আনুষ্ঠানিকভাবে পদ থেকে অপসারণ করেছে। যার ফলে ব্যাংকগুলো তাদের শীর্ষ নির্বাহীদের ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
৪৩৯ দিন আগে
অক্টোবরের প্রথম ১২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৮৬ মিলিয়ন ডলার
অক্টোবরের প্রথম ১২ দিনে ৯৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এতে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (১৪ অক্টোবর) পর্যন্ত একদিনে ৮.২২ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯০ কোটি ডলার
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকে ২৪৫.৫৭ মিলিয়ন রেমিট্যান্স এসেছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকেই এসেছে ৪৪.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অন্যদিকে ৪৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ৬৯৩.৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ৫টি বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকে ২.৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১.৯১ বিলিয়ন ডলার, আগস্টে ২.২২ বিলিয়ন ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২.৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ, বছরের ব্যবধানে ৮০.২ শতাংশ বৃদ্ধি
সেপ্টেম্বরের ২১ দিনে বাংলাদেশে ১.৬৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে
৪৪০ দিন আগে
মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষক দল চলে যাওয়ার পরপরই বনানীর বাজারে বাড়ল পণ্যের দাম!
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার পর্যবেক্ষক দল পর্যক্ষেণ শেষে চলে যাওয়ার পরই বনানী কাঁচাবাজারে আবারও বেড়েছে সবজি, মুরগি, গরুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।
পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন কাঁচা পণ্যের দাম ১৫ থেকে ৫০ টাকা কমে যায়, কিন্তু পর্যবেক্ষক দল বাজার ছাড়ার পর আবারও আগের বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুলতানা আক্তারের নেতৃত্বে বাজার পরিদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাচাঁবাজারে অভিযান, দোকানিকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা
বাজার পর্যবেক্ষণের সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাজার পরিদর্শনকালে দেখা যায়, বিভিন্ন দোকানে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, সোনালী মুরগি ২৮০ টাকা, ডিম প্রতি ডজন ১৬০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ২৮০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বাজার ছাড়ার পরপরই গরুর মাংসের দাম বেড়ে ৭৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা, সোনালী মুরগি ৩০০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি করতে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে এক ব্যবসায়ী বলেন, জরিমানা এড়াতে পরিদর্শনের সময় তারা মন্ত্রণালয়ের মূল্য তালিকা মেনে চলতে বাধ্য হন।
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারিত দাম মেনে চলার জন্য আমাদের সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু এই দামে বিক্রি করা মানে আমরা কেবল আমাদের খরচ মেটাতে পারি।’
জয়নাল আরও বলেন, ‘পাইকারি মূল্য বাধ্যতামূলকতার চেয়ে বেশি এবং এখানে আমাদের কোনও দোষ নেই। পাইকারি সিন্ডিকেট আগে ভাঙতে হবে। তা না হলে এ ধরনের পরিদর্শনে আমাদের মতো খুচরা ব্যবসায়ীদের অসুবিধায় পড়তে হবে।’
জয়নাল আবেদীন বলেন, বনানী কাঁচাবাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী পর্যবেক্ষক দলের পরিদর্শনের বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন, পরিদর্শনকালে 'উপযুক্ত' মূল্য প্রস্তুত ও প্রদর্শনের সুযোগ করে দেন তারা।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৬ দিন বন্ধ কুমিল্লার বিবির বাজার স্থলবন্দর
বাজার স্থিতিশীল করতে সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার
৪৪৪ দিন আগে
সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬.৭৮ শতাংশ: ইপিবি
পোশাক খাতে শ্রমিক অসন্তোষ সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২০ মিলিয়ন ডলার বেশি।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে রপ্তানি আয় পর্যালোচনা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ব্যাংক আলফালাহর অধিগ্রহণ শুরু করেছে ব্যাংক এশিয়া
তিনি বলেন, এনবিআর অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের মতে রিয়েল টাইম শিপমেন্টের তথ্যের ভিত্তিতে তারা তথ্য প্রস্তুত করেছেন।
তিনি বলেন, 'এখন থেকে আমরা প্রতি মাসের রপ্তানি আয়ের বিস্তারিত বিশ্লেষণ তুলে ধরব।’
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৫ দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়ে ১১ দশমিক ৩৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এটি ২০২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১০ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রথম চালানে ১২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি
৪৪৫ দিন আগে
ডিএসইতে ৯৮ পয়েন্ট বেড়েছে, লেনদেন হয়েছে ৩৭৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রড ইনডেক্সে (ডিএসই) ৯৮ পয়েন্ট বেড়ে বুধবার লেনদেন হয়েছে ৩৭৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
ডিএসই ব্রড ইনডেক্স ৯৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪২২ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক (ডিএসইএস) ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। শীর্ষ ৩০ কোম্পানিগুলোর ওপর নজর রাখা ডিএসই-৩০ ইনডেক্স ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে।
লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩২৭টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৩৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির।
ডিএসইতে দৈনিক লেনদেন হয়েছে ৩৭৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসের ৩৫৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার চেয়ে ২১ কোটি ২৩ লাখ টাকা বেশি।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ১৭৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ১৩৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন মোট ২০৪টি কোম্পানি লেনদেন করে। যার মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৫টির, কমেছে ৫৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির শেয়ার।
সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ক্রান্তিকাল পেরিয়ে সম্ভাবনার পথে শেয়ারবাজার: ডিএসইর চেয়ারম্যান
৪৪৫ দিন আগে
দুর্গাপূজার ছুটি: ১০ অক্টোবর সারাদেশে ব্যাংক বন্ধ
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এই ছুটির দিনে দেশের সব ব্যাংক বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত ৮ অক্টোবর দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১০ অক্টোবর দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এই ছুটি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নাফিজ সরাফতের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশনের মাধ্যমে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
মঙ্গলবার গভীর রাতে এই নোটিশের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো বন্ধ থাকার কথা জানানো হয়।
তবে সমুদ্রবন্দর, স্থলবন্দর ও বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপশাখা ও বুথ বিশেষ ব্যবস্থায় চালু থাকবে, যাতে এসব গুরুত্বপূর্ণ খাতে নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করা যায়।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার অংশ হিসেবে এই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তারল্য সংকটে ব্যাংকগুলো: সীমিত নগদ উত্তোলনের বিষয়ে হতাশ গ্রাহকরা
৪৪৬ দিন আগে
বাজার স্থিতিশীল করতে সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার
ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও দাম স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সীমিত সময়ের জন্য সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য-১ শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিদিন দেশে ডিমের চাহিদা ৫ কোটি পিস। বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে আনতে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ৫০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজকে ১ কোটি পিস, মেসার্স তাওসিন ট্রেডার্সকে ১ কোটি পিস, মেসার্স সুমন ট্রেডার্সকে ২০ লাখ পিস, আলিফ ট্রেডার্সকে ৩০ লাখ পিস, হিমালয়কে ১ কোটি পিস, মেসার্স প্রাইম কেয়ার বাংলাদেশকে ৫০ লাখ পিস ও মেসার্স জামান ট্রেডার্সকে ৫০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৩১৮৪০ ডিম আমদানি
আমদানির জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে-
(ক) দ্য ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর অ্যানিম্যাল হেলথের গাইডলাইন অনুযায়ী বার্ড ফ্লু মুক্ত জোনিং/কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের স্বপক্ষে রপ্তানিকারক দেশের কমপোনেন্ট অথরিটির জোনিং/কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের সার্টিফিকেট/ঘোষণা দাখিল করতে হবে।
(খ) আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকারের নির্ধারিত/ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া প্রদত্ত এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে।
(গ) সরকারের নির্ধারিত শুল্ক-কর পরিশোধ ও অন্যান্য বিধি-বিধান প্রতিপালন করতে হবে।
(ঘ) ডিম আমদানির প্রতি চালানের অন্যূন ১৫ (পনেরো) দিন পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানাতে হবে।
(ঙ) আমদানির অনুমতি পাওয়ার পরবর্তী ৭ দিন পরপর অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।
(চ) আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: বাজারের চেয়ে বেশি দামে ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া এবং ত্রুটিপূর্ণ নির্ধারণ প্রক্রিয়া শুভংকরের ফাঁকি
৪৪৭ দিন আগে
জার্মানির আউসবিল্ডুং: যোগ্যতা, সুযোগ-সুবিধা ও আবেদন পদ্ধতি
উদ্ভাবন এবং স্থায়িত্বের দিক থেকে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রসিদ্ধ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম জার্মানি। পরিবেশবান্ধব, তথ্য-প্রযুক্তি এবং উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে শেনজেন ভুক্ত দেশটি। ফলে বিস্তৃত পরিসরে চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে দক্ষ জনগোষ্ঠীর। এখানে যোগ্যতার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে শাস্ত্রীয় জ্ঞান এবং হাতে-কলমে কাজের অভিজ্ঞতাকে। শুধু তাই নয়, এই কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা রয়েছে দেশটিতে। তেমনি একটি ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার নাম আউসবিল্ডুং। এই সুযোগ গ্রহণে আন্তর্জাতিক চাকরিপ্রার্থীদের সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে ইউরোপীয় দেশটি। চলুন, আউসবিল্ডুং-এ আবেদনের যোগ্যতা, সুযোগ-সুবিধা, আবেদন ও ভিসা প্রক্রিয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
জার্মানির আউসবিল্ডুং কী
তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক জ্ঞান সমৃদ্ধ জার্মানির ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ কর্মসূচির নাম আউসবিল্ডুং। শিক্ষা ব্যবস্থায় তরুণ শিক্ষককেরা একই সঙ্গে স্কুলের ক্লাসরুম পাঠ্যক্রম এবং কর্পোরেট পরিবেশ দুই অভিজ্ঞতারই সম্মুখীন হন। এর নেপথ্যে যৌথভাবে কাজ করে দেশটির সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো।
হাতে-কলমে এই প্রশিক্ষণের সময়কাল সাধারণত কমপক্ষে ২ থেকে সর্বোচ্চ ৪ বছর পর্যন্ত। প্রার্থীরা নিজেদের দক্ষতা ও পছন্দ অনুযায়ী নির্দিষ্ট বিষয় নির্বাচন করতে পারেন। শুধুমাত্র জার্মান ভাষায় পাঠদান করা এই প্রোগ্রামে বিদেশি নাগরিকরা জার্মানদের মতো একই সুযোগ-সুবিধাসহ একটি নির্দিষ্ট জার্মান কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। এই চুক্তির জন্য বিদেশি প্রার্থীরা জার্মানির বাইরে থেকে ট্রেনিং কোম্পানি ঠিক করে আসতে পারেন অথবা জার্মানিতে এসেও কোম্পানির খোঁজ করতে পারেন।
আরো পড়ুন: জার্মান অপরচুনিটি কার্ড: বাংলাদেশ থেকে আবেদন পদ্ধতি ও বিস্তারিত
জার্মানির আউসবিল্ডুং কাদের জন্য
বয়স, একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড এবং দেশ নির্বিশেষে যেকোনো ব্যক্তি আউসবিল্ডুং-এ অংশ নিতে পারেন। তবে যারা জার্মানিতে গিয়ে ট্রেনিংয়ের জন্য কোম্পানি খুঁজতে চান তাদের অবশ্যই অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর বয়সি হতে হবে। জার্মানির বাইরে থেকে যারা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আসবেন, তাদের ক্ষেত্রে বয়সের এই বাধ্যবাধকতা নেই।
তবে এই প্রোগ্রামে নিবন্ধিত হওয়ার প্রধান শর্ত হচ্ছে জার্মান ভাষা দক্ষতা। সিইএফআর (কমন ইউরোপীয়ান ফ্রেমওয়ার্ক অব রেফারেন্স) অনুযায়ী ন্যূনতম যোগ্যতা লেভেল বি১।
দ্বিতীয়ত, যারা একাডেমিক শিক্ষাক্ষেত্রে কমপক্ষে ৯ বা ১০ বছর অতিবাহিত করেছে, তারা এই প্রোগ্রামে নিবন্ধিত হতে পারবে। এক্ষেত্রে তাদের সনদপত্র বা মার্কশিটগুলো অবশ্যই জার্মান একাডেমিক যোগ্যতার সমতূল্য হতে হবে। এর জন্য জেডএবি (সেন্ট্রাল অফিস ফর ফরেন এডুকেশন) (https://zab.kmk.org/en/app/zeugnisbewertung) থেকে শংসাপত্রগুলোর মূল্যায়ন বা তুলনামূলক বিবৃতি নিতে হবে।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
জার্মানির আউসবিল্ডুংয়ের সুবিধা
এই দ্বৈত শিক্ষাপদ্ধতিতে প্রশিক্ষণার্থীরা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক ভাতা পান। এর পরিমাণ সাধারণত প্রতি মাসে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ ইউরো বা ১ লাখ ৫ হাজার ৪১৬ থেকে ১ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫ টাকার (১ ইউরো = ১৩১ দশমিক ৭৭ টাকা) মতো। এর কমবেশি হওয়াটা নির্ভর করে মূলত নিয়োগকর্তা, কোম্পানির শহর এবং প্রশিক্ষণের বিষয়ের ওপর। নিয়োগকর্তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বাসা ভাড়া বাবদ আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে।
জার্মানির বাইরে থেকে কোম্পানি ঠিক করা অথবা জার্মানিতে পৌঁছে ট্রেনিং কোম্পানি খোঁজা; উভয় ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত পৃথক খণ্ডকালীন চাকরি করার সুযোগ রয়েছে। এমনকি সর্বোচ্চ ২ সপ্তাহ পর্যন্ত ট্রায়াল জবও করা যাবে।
আর কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে আসার পর পুরো ট্রেনিং প্রোগ্রামের সময়কালের জন্য দেওয়া হবে রেসিডেন্ট পারমিট।
এর বাইরে অতিরিক্ত উপযোগিতা হিসেবে রয়েছে ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ শেষে চাকরির সম্ভাবনা। প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করার পর সংশ্লিষ্ট কোর্সের ওপর ভিত্তি প্রায় ২ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ ইউরোর (৩ লাখ ১৬ হাজার ২৪৯ থেকে ৪ লাখ ৬১ হাজার ১৯৭ টাকা) মাসিক বেতনের কাজ পাওয়া যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, বিশেষত নার্সিং পেশা। তথ্য ও প্রযুক্তির ক্রমশ অগ্রসর হওয়ায় উচ্চ চাহিদা রয়েছে দক্ষ আইটি (ইনফরমেশন টেকনোলজি) পেশাদারদের। সবচেয়ে আকর্ষণীয় পেশা হচ্ছে নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এবং সফ্টওয়্যার ডেভেলপার। এছাড়াও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে ইলেক্ট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল এবং অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মানির নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এর স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিকাশের জন্য শত শত দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়ছে। এই জনগোষ্ঠীর একটা বিরাট অংশের যোগান দাতা হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে এই আউসবিল্ডুং।
তাছাড়া প্রোগ্রামের পরীক্ষাগুলোতে সাফল্যের সঙ্গে কৃতকার্য হওয়ায় পর প্রশিক্ষণের কোম্পানিতেই থাকছে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ। এমনকি উচ্চশিক্ষায় আগ্রহীরা এই ফলাফল নিয়ে জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি হতে পারবেন।
সর্বসাকূল্যে, এই কার্যক্রমে অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদে একটি উচ্চ মান সম্পন্ন জীবনযাত্রার দেশে বৈধভাবে বসবাসের সম্ভাবনা।
আরো পড়ুন: তুলনামূলক কম দামে বিমানের টিকিট কেনার কৌশল
জার্মানির আউসবিল্ডুং-এ আবেদন পদ্ধতি
এই ভোকেশনাল প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকরা প্রধাণত দুই ভাবে আবেদন করতে পারেন।
এক, বাংলাদেশে থেকেই আউসবিল্ডুংয়ের জন্য জার্মান কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া। অতঃপর ট্রেনিং-এ অংশগ্রহণের জন্য এন্ট্রি ভিসায় আবেদন করা।
দুই, জার্মানিতে পৌঁছে ভোকেশনাল ট্রেনিং কোম্পানি খোঁজার জন্য নির্ধারিত এন্ট্রি ভিসায় আবেদন করা।
বাংলাদেশ থেকে আউসবিল্ডুংয়ের জন্য জার্মান কোম্পানি খোঁজার উপায়
জার্মানিতে আন্তর্জাতিক চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরণের জব পোর্টাল রয়েছে। এগুলোতে প্রশিক্ষণের জন্য আবেদন করা যায়। এই সাইটগুলোর অধিকাংশই জার্মান ভাষার।
যেমন-
• সরকারি জব প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে-
• ফেডারেল এম্প্লয়মেন্ট এজেন্সির জব সাইট (https://www.arbeitsagentur.de/jobsuche/)
• সিভিল সার্ভিসের জন্য,
• https://www.service.bund.de/Content/DE/Stellen/Suche/Formular.html
• https://karriere.bund.de/
• সাধারণ জব সাইট:
(https://www.make-it-in-germany.com/en/working-in-germany/job-listings)
• আঞ্চলিক সরকারি পোর্টাল:
(https://www.thaff-thueringen.de/thueringer-stellenboerse/stellenboerse)
বেসরকারি জব পোর্টাল
স্টেপস্টোন (https://www.stepstone.de/en/)
• মনস্টার (Monster.de)
• এছাড়াও সরাসরি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেয়েও আবেদন করা যেতে পারে। যেমন-
• জার্মান রেলওয়ে কোম্পানি ডয়েচে বাহ্ন:
(https://jobs.deutschebahngroup.careers/en_US/jobsGlobal/SearchJobs)
• আলডি নর্থ অ্যান্ড সাউথ:
• https://www.aldi-nord.de/karriere/
• https://karriere.aldi-sued.de/
• রিটেইল টেইন কোম্পানি লিড্ল (https://jobs.lidl.de/)
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের মধ্যে রয়েছে-
• ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন:
(https://www.awo-mittelrhein.de/en/awo/careers-portal/vacancies-and-job-offers/)
• ডায়াকোনি: (https://www.diakonie.at/jobplattform/offene-stellen)
এছাড়াও এই সাইটগুলোর নিউজলেটারে সাবস্ক্রাইব করে রাখা যেতে পারে। এতে করে বিভিন্ন সময়ে স্বনামধন্য কোম্পানিগুলোর নতুন জব পোস্টগুলো সম্পর্কে জানা যাবে।
আরো পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
আউসবিল্ডুং-এর জন্য আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
• ইউরোপাস ফর্ম্যাট (https://europass.europa.eu/en/create-europass-cv) অনুযায়ী টেবিল আকারে সিভি (একাডেমিক শিক্ষাগ্রহণ বা চাকরি করার সময়গুলোতে মাঝে দীর্ঘকালীন কোনো বিরতি থাকা যাবে না। যদি এক মাসের বেশি সময় ধরে চাকরি না করা হয়, তাহলে তার স্বপক্ষে উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করতে হবে।)
• এক পৃষ্ঠার কভার লেটার বা মোটিভেশন লেটার: যোগাযোগ ও দক্ষতার তথ্যসহ প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে
• পূর্ববর্তী কর্মসংস্থান থেকে কাজের রেফারেন্স বা পূর্ববর্তী নিয়োগকর্তাদের নিকট থেকে সুপারিশের চিঠি কিংবা নিদেনপক্ষে পূর্ববর্তী নিয়োগকর্তাদের যোগাযোগের তথ্য (কোম্পানির নাম, ফোন নাম্বার, ই-মেইল ঠিকানা ও প্রার্থীর পদবি)
• মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট: সংযুক্তিতে থাকবে জেডএবি থেকে মূল্যায়ন বা তুলনামূলক বিবৃতি (এই নথিপত্র যদি বাংলা ভাষায় থাকে তবে সেগুলোর জার্মান বা ইংরেজি যেকোনো ভাষায় প্রত্যয়িত অনূদিত সংস্করণ জমা দিতে হবে)
• জার্মান ভাষা দক্ষতার প্রমাণ (সিইএফআর অনুযায়ী ন্যূনতম বি১)
• সম্পূর্ণ পূরণকৃত তথ্য সুরক্ষা ঘোষণা ফর্ম
আরো পড়ুন: ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট কী? কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়কাল
আবেদনসহ যাবতীয় নথি পাঠানোর পর অন্তত এক সপ্তাহের মধ্যে কোম্পানির পক্ষ থেকে ই-মেইলের মাধ্যমে অনলাইন সাক্ষাৎকারের দিনক্ষণ জানানো হবে।
আবেদনের কাগজপত্র যাচাই এবং সাক্ষাৎকারের পর চূড়ান্ত নিয়োগের সিদ্ধান্ত আসতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। এর মাঝে ১ থেকে ২ সপ্তাহ অপেক্ষা করে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা বা পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে ই-মেইল ফলোআপ করা যেতে পারে।
আউসবিল্ডুং-এর জন্য ভিসার আবেদন
দীর্ঘকালীন এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের জন্য জার্মানির যে ভিসাটি পেতে হবে তা হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদী টাইপ-ডি বা ন্যাশনাল ভিসা। ট্রেনিংয়ের জন্য কোম্পানি ঠিক করা হোক বা না হোক; উভয় ক্ষেত্রেই এই ভিসায় আবেদন করতে হবে। এই এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ ৯০ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত থাকে। তাই জার্মানিতে পৌঁছে কোম্পানি খোঁজার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯ মাস পাওয়া যাবে।
জার্মানির আবেদন পোর্টাল ভিআইডিইএক্সয়ের টাইপ-ডি ভিসার আবেদন ফর্মের লিঙ্ক: https://videx-national.diplo.de/videx। এটি পূরণের পর তা প্রিন্ট করে আবেদনকারী তা নিজে সই করবেন।
আরো পড়ুন: জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
আউসবিল্ডুং ভিসার আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
• আবেদনকারীর সইকৃত এবং সম্পূর্ণরূপে পূরণকৃত আবেদন ফর্ম
• জার্মানিতে পৌঁছার দিন থেকে পরবর্তী কমপক্ষে ১২ মাসের মেয়াদ সম্পন্ন বৈধ পাসপোর্ট: বিগত ১০ বছরের মধ্যে ইস্যুকৃত হতে হবে এবং তাতে ভিসার সীল যুক্ত করার জন্য কমপক্ষে ২টি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে)
• সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (বিগত ৬ মাসের বেশি পুরাতন হওয়া যাবে না)
• প্রদানকৃত তথ্যের সুরক্ষার্থে সই করা সম্মতির ঘোষণাপত্র:
(https://dhaka.diplo.de/bd-en/service/visa-einreise/-/2669542)
• স্বাস্থ্য বিমা: (ভিসা সংগ্রহের সময় এই প্রমাণ দেখাতে হবে) প্রশিক্ষণের সম্পূর্ণ সময়কালের জন্য ন্যূনতম ৩০ হাজার ইউরো (৩৯ লাখ ৫৩ হাজার ১১৭ টাকা)
• অথবা, একটি সরকারি জার্মান স্বাস্থ্য বিমার প্রমাণ: জার্মান স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর পক্ষ থেকে একটি চিঠি এবং সঙ্গে প্রথম ৩ সপ্তাহের একটি স্বাস্থ্য ও ভ্রমণ বিমা
• পূর্ণ ঠিকানাসহ জার্মানিতে বাসস্থানের প্রমাণ: (কোনো পরিবারের সঙ্গে থাকা হলে তাদের পক্ষ থেকে লিখিত আমন্ত্রণপত্র, অথবা হোটেল বুকিং)
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে থেকে জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার উপায়
ভোকেশনাল ট্রেনিং-এ যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যে কাগজগুলো প্রয়োজন হবে
• জার্মানিতে একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধীনে প্রশিক্ষণের চুক্তিপত্র
• আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ: প্রতি মাসে কমপক্ষে ৯০৩ ইউরো (১ লাখ ১৮ হাজার ৯৮৯ টাকা)। অন্তত প্রথম বছরের তহবিলের (১০ হাজার ৮৩৬ ইউরো বা ১৪ লাখ ২৭ হাজার ৮৬৬ টাকা) ব্লক অ্যাকাউন্ট। কোম্পানিরে পক্ষ থেকে প্রাপ্ত ভাতা প্রমাণ হিসেবে দেখানো যাবে। তবে তা অপর্যাপ্ত হলে বাকি অর্থ ব্লক অ্যাকাউন্টে দেখাতে হবে।
ভোকেশনাল ট্রেনিং কোম্পানি খোঁজার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যে নথি সংযুক্ত করতে হবে
• মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট: শংসাপত্র জার্মানি মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা কর্তৃক স্বীকৃত কিনা তার জন্য জেডএবি থেকে তুলনামূলক বিবৃতি
• বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩৫ বছর
• জার্মানিতে জীবনযাত্রার খরচ ও রিটার্ন ফ্লাইটের পর্যাপ্ত তহবিল: জীবনযাত্রার খরচ বাবদ মাসে কমপক্ষে ১ হাজার ২৭ ইউরো (১ লাখ ৩৫ হাজার ৩২৮ টাকা) করে অন্তত প্রথম বছরের জন্য ১২ হাজার ৩২৪ ইউরো (১৬ লাখ ২৩ হাজার ৯৪১ টাকা)
আরো পড়ুন: ইতালিতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং এবং ইন্টারভিউ
জার্মান দূতাবাসের ওয়েবসাইটে (https://dhaka.diplo.de/bd-en/service/kontakt-formular) যোগাযোগের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
এখানে প্রথম ই-মেইলের ফিরতি ই-মেইল হিসেবে সব নথি জমা দিতে বলা হবে। অতঃপর পরবর্তীতে আরও একটি ই-মেইলের মাধ্যমে সাক্ষাৎকারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হবে। অ্যাপয়েন্টমেন্টের দিন ভিসার সবগুলো কাগজপত্রের হার্ড কপি সাথে নিয়ে যেতে হবে।
জার্মান দূতাবাসের ঠিকানা: ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানির দূতাবাস, ১১ মাদানী এভিনিউ, বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক ইনক্লেভ, ঢাকা-১২১২।
ভিসা ফি এবং ভিসাপ্রাপ্তির সময়
আউসবিল্ডুংয়ের জন্য ভিসা প্রক্রিয়াকরণ খরচ ৭৫ ইউরো (৯ হাজার ৮৮৩ টাকা)। মূলত দেশ থেকে জার্মান কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে এই ধরণের এন্ট্রি ভিসার কাজ খুব দ্রুত হয়ে যায়। সাধারণত এক সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ দিন লাগতে পারে।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
জার্মানিতে পৌঁছে চূড়ান্ত রেসিডেন্ট পারমিট সংগ্রহ
এন্ট্রি ভিসা নিয়ে জার্মানি পৌঁছে প্রথম কাজ হচ্ছে রেসিডেন্স রেজিস্ট্রেশন অফিসে যেয়ে জার্মানিতে প্রার্থীর বাড়ির ঠিকানা নিবন্ধন করা। তারপর স্থানীয় ভিসা অফিসে রেসিডেন্ট পারমিটের আবেদনের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। এটিই সেই পারমিট, যার মাধ্যমে আউসবিল্ডুংয়ের পুরো সময়টাতে জার্মানিতে থাকার অনুমতি পাওয়া যাবে।
ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের সঙ্গে আগে থেকে চুক্তি না করে জার্মানি এলে বাড়ির ঠিকানা নিবন্ধনের পরপরই শুরু করে দিতে হবে কোম্পানি খোঁজা। কেননা রেসিডেন্ট পারমিট আবেদনের প্রথম শর্তই হচ্ছে আউসবিল্ডুংয়ের চুক্তিপত্র।
এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রেসিডেন্ট পারমিট নেওয়া অপরিহার্য। এই পারমিট সংগ্রহের জন্য খরচ হতে পারে ১০০ ইউরো (১৩ হাজার ১৭৭ টাকা)।
শেষাংশ
জার্মানির আউসবিল্ডুং বা ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা তত্ত্বীয় জ্ঞান ও হাতে-কলমে শিক্ষার এক কার্যকর সমন্বয়। বাংলাদেশের দক্ষ কর্মীদের মানোন্নয়নের জন্য তো বটেই, অদক্ষ নাগরিকদের জন্যও এটি এক যুগান্তকারি সম্ভাবনা। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি পারিশ্রমিক লাভের এই সুযোগ অর্জন করার প্রথম শর্ত হলো জার্মান ভাষা শিক্ষা। বাকি থাকে জার্মান কোম্পানির কাছ থেকে প্রশিক্ষণের চুক্তিপত্র গ্রহণ। বাংলাদেশে থাকা অবস্থাতেই এটি সম্ভব হলে ভিসাসহ পুরো প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে যায়। বিশেষ করে জার্মানিতে পৌঁছে কোম্পানি খোঁজার বিড়ম্বনা থাকে না।
আরো পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
৪৪৭ দিন আগে
সপ্তাহের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে।
বাজারের প্রাথমিক তথ্য থেকে জানা যায়, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩.৪৯ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায়, সকাল ১১টার মধ্যে ৫ হাজার ৩৮২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস নামে পরিচিত শরিয়াহভিত্তিক সূচকও ৩ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ১ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এ সময়ে এক্সচেঞ্জটিতে মোট ৮৯ কোটি ৯৫ লাখ শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৪৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ১৪৫টি কোম্পানির পতন হয়েছে এবং ৭৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
৪৪৮ দিন আগে