খেলাধুলা
শুরুতে এগিয়ে গিয়েও লিভারপুলে বিধ্বস্ত এসি মিলান
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে গোল করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিল এসি মিলান। তবে গোলমুখে লিভারপুলের পরাক্রমের সঙ্গে পেরে ওঠেনি তারা; ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে তাই শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে পাওলো ফনসেকার শিষ্যদের।
ইতালির সান সিরো স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচেই লিভারপুলের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে এসি মিলান। এর ফলে দারুণ জয়ে ইউরোপের এলিট প্রতিযোগিতায় লিভারপুল ক্যারিয়ার শুরু করলেন কোচ আর্নে স্লট।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিকের গোলে এগিয়ে যায় মিলান। তবে ২৩ ও ৪১তম মিনিটে দুই ডিফেন্ডার ইব্রাহিমা কোনাতে ও ভার্জিল ফন ডাইকের গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে লিভারপুল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৬৭তম মিনিটে ডমিনিক সোবসলাইয়ের গোলের পর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
বলের দখলে এসি মিলান প্রতিপক্ষকে সমানে সমান টক্কর দিলেও গোলের সুযোগ তৈরিতে স্পষ্ট পার্থক্য গড়ে লিভারপুল। তাদের মোট ২৪টি শটের ১২টি লক্ষ্যে ছিল, অপরদিকে আটটি শট নিয়ে তার মাত্র দুটি লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ হয় মিলান।
আরও পড়ুন: নবাগত ইপসউইচকে হারিয়ে লিভারপুলে ‘স্লট অধ্যায়’ শুরু
এদিন ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে ওঠে এসি মিলান, তবে গোলমুখ থেকে বল ক্লিয়ার করেন ভার্জিল ফন ডাইক। তবে এর দুই মিনিট পরই ম্যাচে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
তৃতীয় মিনিটে ডান পাশ দিয়ে পাল্টা আক্রমণে উঠে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যান মিলানের মার্কিন স্ট্রাইকার ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিক। আক্রমণে উঠে বক্সের সামান্য বাইরে থেকে দূরের পোস্ট বরাবর জোরালো শট নেন তিনি। শটটিতে এত গতি ছিল যে লিভারপুল গোলরক্ষক আলিসন বেকার চেষ্টা করার আগেই মুহূর্তের ব্যবধানে তা জালে জড়িয়ে যায়।
৪৬৭ দিন আগে
রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে লড়াই করেও হারল স্টুটগার্ট
ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমানে লড়াই চালিয়ে গেল স্টুটগার্ট। এমনকি পিছিয়ে পড়েও দারুণ গোলে সমতায় ফিরে জয় খুঁজছিল দলটি, কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের চিরায়ত শেষের আক্রমণে আর পায়ের নিচে মাটি পেল না তারা। ফলে লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো জার্মান ক্লাবটিকে।
মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে সেবাস্তিয়ান হোয়েনেসের শিষ্যদের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের প্রথমার্ধ আটকে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রিয়ালকে এগিয়ে নেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এরপর ৬৮তম মিনিটে স্টুটগার্টকে সমতায় ফেরান ডেনিস উনডাভ। তবে ৮৩তম মিনিটে আন্টোনিও রুয়েডিগার এবং যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিষেক ম্যাচেই গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন এন্দ্রিক।
তবে স্কোরলাইন দেখে ম্যাচজুড়ে কী হয়েছে, তা বোঝার উপায় নেই।
এদিন বল দখলের লড়াইয়ে রিয়ালের চেয়ে এগিয়ে ছিল স্টুটগার্ট (৫২ শতাংশ)। গোলে শট নেওয়ায়ও রিয়ালকে (৮টি) টক্কর দিয়েছে দলটি (৭টি)। তবে ম্যাচজুড়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। তার নৈপুণ্যের কারণেই বড় জয় পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে উল্টো হারতে হয়েছে স্টুটগার্টকে।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ড্র: আবারও বায়ার্নের সামনে বার্সা, লিভারপুলকে পেল রিয়াল
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ওঠে স্টুটগার্ট। দ্বিতীয় মিনিটে ইয়ামি লেভেলিংয়ের পোস্টঘেঁষা নিচু শট প্রতিহত করেন থিবো কোর্তোয়া। এর দুই মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে আঙ্গেলো স্টিলারের বুলেট শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
পরের মিনিটে স্টুটগার্টের ফরাসি মিডফিল্ডার এনসো মিলোতের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। একাদশ মিনিটে লেভেলিংয়ের আরও একটি জোরালো শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান কোর্তোয়া।
ত্রয়োদশ মিনিটে প্রথম গোলে শট নেয় রিয়াল মাদ্রিদ।আক্রমণে উঠে জোরালো শট নেন এমবাপ্পে, তবে বল সরাসরি গোলরক্ষকের কাছে চলে যায় বল। পরের মিনিটে মিলোতের আরও একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন কোর্তোয়া। এ সময় দারুণ একটি বাঁকানো শট নেন স্টুটগার্টের এই মিডফিল্ডার, কিন্তু বল ক্রসবারের কোণা দিয়ে ঢোকার মুখে হাত প্রসারিত করে কোনোমতে বল বাইরে বের করে দিয়ে রিয়ালকে পিছিয়ে পড়া থেকে বাঁচান দলটির অভিজ্ঞ গোলরক্ষক।
৩১তম মিনিটে রদ্রিগোর ক্রসে বক্সের মধ্যে থেকে হেডারে লক্ষ্যভেদ করার চেষ্টা করেন অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি, কিন্তু ঝাঁপিয়ে তা ঠেকিয়ে দেন স্টুটগার্ট গোলরক্ষক আলেকজান্ডার নুইবেল।
দুই মিনিট পর স্টুটগার্টের এক ডিফেন্ডার বক্সের মধ্যে থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে আন্টোনিও রুয়েডিগারকে ফাউল করে বসেন, ফলে পেনাল্টি পায় রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ভিএআর রিভিউয়ের পর পিচ সাইড মনিটরে রিপ্লে দেখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন রেফারি।
এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় স্টুটগার্ট। কিন্তু স্টিলারের দেওয়া ক্রসে বক্সের মাঝ থেকে হেডার দিয়েও বল লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন উনডাভ।
এরপর আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি না হলে জাল অক্ষত রেখেই বিরতিতে যায় দুই দল।
প্রথমার্ধে রিয়ালের ওপর চোখ রাঙায় সেবাস্টিয়ান হোয়েনেশের শিষ্যরা। শুধু বল দখলেই রিয়ালের (৪৬ শতাংশ) চেয়ে এগিয়ে ছিল না তারা, প্রথমার্ধে আক্রমণেও তাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল ক্লাবটি। মোট ১৮টি শটের ৯টি লক্ষ্যে ছিল স্টুটগার্টের, অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদ প্রথমার্ধে মোট ১৫টি শট নেয়, যেখানে তাদেরও ৯টি শট লক্ষ্যে ছিল।
৪৬৭ দিন আগে
বাংলাদেশকে মজা নিতে দিন: রোহিত
পাকিস্তানের মাটিতে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করে ভারতের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই তাই আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় রয়েছে টাইগাররা।
এই সিরজ নিয়ে আত্মবিশ্বাস ঝরেছে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠেও। ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলে জয় তুলে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
তবে এ নিয়ে মোটেও ভাবছেন না ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
আরও পড়ুন: ভারত সফরে বাংলাদেশের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না সৌরভ
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে মঙ্গলবার চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করেন রোহিত। এসময় সাংবাদিকরা শান্তর সিরিজ জয়ের ইচ্ছার প্রসঙ্গটি তার সামনে উত্থাপন করেন।
এ বিষয়ে রোহিতের জবাব, এর আগে ইংল্যান্ডও ভারতে এসে একই ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল। প্রতিপক্ষ দল কী বলল, তা নিয়ে চিন্তিত নয় টিম ইন্ডিয়া।
‘সব দলই ভারতকে হারাতে চায়। ভারতকে হারানোর মধ্যে আলাদা মজা আছে। তাদেরও (বাংলাদেশ) মজা নিতে দিন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ফোকাস থাকবে ম্যাচ জেতায়। অন্য দল আমাদের নিয়ে কী বলল, তা আমাদের ভাবলে চলবে না।’
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য দল ঘোষণা বাংলাদেশের
তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সিরিজকে মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছেন না ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। এমনকি, এই সিরিজটি নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রস্তুতি নয় বলেও পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি।
‘বাংলাদেশ সিরিজ গুরুত্বপূর্ণ নয় বলছেন? অথচ আমরা যদি না জিতি, তখন দেখবেন কথা শুরু হয়ে যাবে- আমরা কীভাবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হারলাম, কেন আমাদের হারা উচিত ছিল না ইত্যাদি।’
আরও পড়ুন: ভারত টেস্ট থেকে ছিটকে পড়লেন শরিফুল
৪৬৭ দিন আগে
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বাড়াল আইসিসি
ক্রিকেটে নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করতে এবার অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছে আইসিসি। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বাড়িয়ে এখন পুরুষ ক্রিকেটারদের সমান করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বাড়িয়ে ৭.৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজয়ী দল পাবে ২.৩৪ মিলিয়ন ডলার যা গত আসরের ১ মিলিয়ন ডলার প্রাইজমানির দ্বিগুণের বেশি। আর রানার-আপ দল পাবে ১.১৭ মিলিয়ন ডলার, গত যা আসরে ছিল অর্ধেকেরও কম (৫ লাখ ডলার)।
এছাড়া সেমিফাইনাল খেলা অপর দুই দল পাবে ৬ লাখ ৭৫ হাজার ডলার করে, ২০২৩ আসরের চেয়ে (২ লাখ ১০ হাজার) যা তিন গুণেরও বেশি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে সরে আমিরাতে গেল নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
১০ দলের এই প্রতিযোগিতায় গ্রুপ পর্বে প্রতিটি জয়ের জন্য দেওয়া হবে ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার। গত আসরে দেওয়া ১৭ হাজার ৫০০ ডলারের চেয়ে এই অঙ্ক ৭৮ শতাংশ বেশি।
গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া দলগুলোও খালি হাতে ফিরবে না। গ্রুপে তৃতীয় ও চতুর্থ হওয়া দলকে ২ লাখ ৭০ হাজার ডলার করে দেওয়া হবে। আর পঞ্চম স্থানে থাকা দল পাবে ১ লাখ ৩৫ হাজার ডলার। পাশাপাশি টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ১০ দলের প্রত্যেককেই ১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ ডলার করে পুরস্কৃত করা হবে।
বিবৃতিতে আইসিসি বলেছে, নারী ক্রিকেটকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং ২০৩২ সালের মধ্যে এর বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে আইসিসির নেওয়া কৌশলগত পদক্ষেপের অংশ।
এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতায় এখান থেকে টুর্নামেন্টটি আমিরাতে সরিয়ে নিয়েছে আইসিসি। ৩ অক্টোবর শারজায় বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের।
আরও পড়ুন: ভারতকে হারিয়ে প্রথম এশিয়া কাপের শিরোপা জিতল শ্রীলঙ্কার মেয়েরা
সূচিতে একটি পরিবর্তনও এনেছে আইসিসি। ৫ অক্টোবর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচটি বিকাল ৪টার পরিবর্তে মাঠে গড়াবে রাত ৮টায়। এছাড়া ওই দিন অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কার লড়াই রাত ৮টার বদলে হবে বিকাল ৪টায়।
১৫ অক্টোবর শেষ হবে গ্রুপ পর্বের খেলা। এরপর ১৭ ও ১৮ অক্টোবর মাঠে গড়াবে দুই সেমি-ফাইনাল। আর ২০ অক্টোবর হবে ফাইনাল। দুবাই ও শারজাহতে হবে পুরো টুর্নামেন্ট।
৪৬৭ দিন আগে
ফুটবলাররা ধর্মঘটে নামতে বেশি দেরি নেই: ঠাঁসা সূচি প্রসঙ্গে রদ্রি
ফুটবলের ঠাঁসা সূচির কারণে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে খেলোয়াড়দের। অতিরিক্ত পরিশ্রমের প্রভাব পড়ছে তাদের শরীরেও, একের পর এক চোটে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন খেলোয়াড় থেকে কোচ- সবাই। এবার এ প্রসঙ্গে কার্যত হুমকি দিলেন ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড রদ্রি।
কাজের চাপ যে হারে বাড়ছে, তাতে ফুটবলারদের ধর্মঘটে নামতে বেশি দেরি নেই বলে মনে করেন সিটি ও স্পেন জাতীয় দলের এই অধিনায়ক।
সব মিলিয়ে ৬৩টি ম্যাচ খেলে ১৪ জুলাই ইউরোর ফাইনাল ম্যাচের মাধ্যমে গত মৌসুম শেষ করেছেন রদ্রি।
চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরম্যাটের কারণে ম্যাচ আরও বেড়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে পরিবর্তিত ফরম্যাটের ক্লাব বিশ্বকাপ, উয়েফা নেশন্স লিগ ও বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। সব মিলিয়ে গত মৌসুমের চেয়ে এ মৌসুমে ফুটবলারদের ব্যস্ততা আরও বেশি।
আরও পড়ুন: রদ্রির ব্যালন দ’র নিশ্চিত হয়ে গেছে
এর ফলে ফুটবলাররা কি তাহলে ধর্মঘটে নামতে পারে- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে রদ্রি বলেন, ‘আসলে আমরা এর থেকে (ধর্মঘট) বেশি দূরে নেই। এটা বুঝতে তো সমস্যা হওয়ার কথা নয়! আমার মনে হয়, যেকোনো ফুটবলারকে আপনি এই প্রশ্ন করলে একই উত্তর পাবেন।’
‘এটি রদ্রির মন্তব্য নয়, সব ফুটবলারদের সাধারণ মতামত এটি। আর যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের (ধর্মঘটে নামা ছাড়া) আর কোনো উপায় থাকবে না। আমার সত্যিই তাই মনে হয়।’
২৮ বছর বয়সী এই কন্ট্রোলিং মিডফিল্ডার বলেন, ‘আমি জানি না, (এ বিষয়ে ভবিষ্যতে) কী হতে চলেছে, তবে এর ভুক্তভোগী তো হচ্ছি আমরাই।’
২০১৯ সালে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে ক্লাব ফুটবলের প্রায় সব প্রতিযোগিতায় খেলার কারণে রদ্রির গেম টাইম এমনিতেই বেড়ে গেছে। ক্লাব বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ঘরোয়া লিগ মিলিয়ে একেক মৌসুমে গড়ে অর্ধশতাধিক ম্যাচ খেলে থাকেন তিনি। চলতি মৌসুমে তা বেড়ে সর্বোচ্চ ৮৫টি ম্যাচ খেলতে হতে পারে তার।
আরও পড়ুন: রেকর্ড চতুর্থবার শিরোপা জিতে নবযুগের সূচনা করল স্পেন
অর্ধশতাধিক ম্যাচই একজন ফুটবলারের জন্য বেশি বলে মনে করেন রদ্রি, সেখানে ৮০টির বেশি ম্যাচ খেলা একেবারেই অমানবিক বলে মনে করেন তিনি।
‘দেখুন, ৪০-৫০টি ম্যাচে একজন খেলোয়াড় তার সেরাটা দিতে পারে। এরপর তার পারফরম্যান্স ধরে রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেখানে আমাদের প্রতি মৌসুমে ৬০-৭০টি করে ম্যাচ খেলা লাগে। আর এ বছর তা ৭০-৮০ ম্যাচে গিয়ে দাঁড়াবে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় (একটি ক্লাব) কতদূর যাবে, তার ওপর নির্ভর করছে ফুটবলারদের খেলার পরিমাণ। আমার কাছে এটি অত্যন্ত বেশি বলে মনে হয়।’
উল্লেখ্য, ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগ জয়ের পর স্পেনের হয়ে ইউরো জিতে এবারের ব্যালন দ’র জয়ের অন্যতম ফেভারিট হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন রদ্রি।
৪৬৭ দিন আগে
জিরোনায় বড় জয়ে মধুর প্রতিশোধ বার্সেলোনার
শুনতে অস্বাভাবিক মনে হলেও নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে গত তিন ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি বার্সেলোনা। এর মধ্যে সবশেষ দুটি ম্যাচেই তারা হেরেছে ৪-২ ব্যবধানে। তবে বড় ব্যবধানে জিতে সেই হারের ক্ষতে প্রলেপ দিল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
কাতালুনিয়ার এস্তাদি মন্তিলিভিতে রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকালে গত মৌসুমে অসাধারণ পারফর্ম করে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়া জিরোনার বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় পেয়েছে বার্সেলোনা।
গত মৌসুমে এই স্টেডিয়ামেই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে ক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার গৌরব অর্জন করে কোচ মিচেলের শিষ্যরা। ২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারির পর থেকে এই মাঠে জয়বঞ্চিত ছিল বার্সেলোনা। ওই ম্যাচে পেদ্রির একমাত্র গোলে তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করেছিল ‘ব্লাউগ্রানা’ খ্যাত দলটি।
তবে আজকে জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক লামিন ইয়ামাল। এছাড়া একটি করে গোল করেন গত দলবদলের মৌসুমে বার্সায় ফেরা মিডফিল্ডার দানি অলমো এবং চোটের কারণে দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরা পেদ্রি। এছাড়া জিরোনার একমাত্র গোলটি করেন ক্রিস্তিয়ান স্তুয়ানি।
এদিন দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা চ্যালেঞ্জ জানালেও ম্যাচজুড়ে আধিপত্য ধরে রাখে বার্সেলোনা। ম্যাচজুড়ে ১৭টি শট নেয় তারা যার আটটি লক্ষ্যে ছিল। অন্যদিকে, ৯টি শটের পাঁচটি লক্ষ্যে রেখেও একটির বেশি গোল পায়নি স্বাগতিকরা।
আরও পড়ুন: বার্সার দায়িত্ব নিয়ে শিরোপা জিততে বদ্ধপরিকর ফ্লিক
ম্যাচের শুরু থেকেই জিরোনাকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। এর ফল তারা পেয়ে যাচ্ছিল প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই।
ষষ্ঠ মিনিটে ক্ষিপ্র আক্রমণে উঠে প্রতিপক্ষের বক্সের মধ্যে একের পর এক পাসের পর জোরালো শট নেন একপ্রকার ফাঁকায় থাকা লামিন ইয়ামাল, কিন্তু ওই শটে জিরোনা গোলরক্ষক পাওলো গাস্সানিগাকে তেমন কোনো পরীক্ষাতেই ফেলতে পারেননি ১৭ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। ফলে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় বার্সা।
ম্যাচের ষোড়শ মিনিটে কর্নার থেকে আসা ক্রসে হেডারে লক্ষ্যভেদ করার চেষ্টা করেন লেভানডোভস্কি, তবে বল সরাসরি গোলরক্ষকের কাছে চলে যায়। পরের মিনিটে জিরোনার মিগেল গুতিয়েরেসের নিচু শট ঠেকান বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন।
ম্যাচের ২৩তম মিনিটে বাঁ পাশ ধরে এগিয়ে গিয়ে বক্সে ঢুকেই বুলেট গতিতে শট হানেন বার্সা উইং ব্যাক আলেহান্দ্রো (আলেক্স) বালদে, কিন্তু তার সেই শট ক্রসবারের বেশ বাইরে দিয়ে চলে যায়।
তবে ম্যাচের আধঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর বার্সেলোনাকে আর আটকে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা।
৩০তম মিনিটে গোলরক্ষকের ছোট পাস ধরে সামনে এগোচ্ছিলেন জিরোনা ডিফেন্ডার দাভিদ লোপেস। বক্সের বাইরে বের হতেই হঠাৎ ছুটে গিয়ে তার কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নেন লামিন। এরপর মাঝ বরাবর একটু এগিয়ে গিয়ে জোরালো শটে বল ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন তিনি।
৪৬৯ দিন আগে
এমবাপ্পের বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটতে প্রস্তুত পিএসজি
প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ের (পিএসজি) সঙ্গে বেতন নিয়ে সমস্যা সমাধানে ফরাসি ফুটবল লিগের গভর্নিং বডির (এলএফপি) মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এবার তার বিরদ্ধে আইনি লড়াই করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে লিগ ওয়ানের ক্লাবটি।
বুধবার দুই ঘণ্টার শুনানির পর কমিশনের এ প্রস্তাবকে পিএসজি স্বাগত জানালেও ফরাসি অধিনায়ক সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
ফ্রান্সের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকৃতি জানানোর পর গত বছর ক্লাবের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়া ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড পিএসজির কাছ থেকে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ইউরো (৬০.৭৩ মিলিয়ন ডলার) চাইছেন।
ফরাসি ফুটবল লিগের আইনি কমিশন এমবাপ্পেকে যে পরামর্শ দিয়েছে, তা হচ্ছে- হয় কর্মসংস্থান আদালতে যান অথবা ক্লাবের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসা করে ফেলুন। তবে কমিশনের মীমাংসার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন এমবাপ্পে।
আরও পড়ুন: বকেয়া অর্থ নিয়ে পিএসজির সঙ্গে আপস চান না এমবাপ্পে
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে তার প্রতিনিধিরা বলেছেন, ‘কমিশন এ বিষয়ে (পিএসজির সঙ্গে) মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয়। তবে এমবাপ্পের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ মধ্যস্থতা করতে গেলেই পাওনা অর্থের পরিমাণ কমে যাবে।’
এরপর বিষয়টির সমাধানে এখন আইনি পদক্ষেপ ছাড়া আর বিকল্প নেই বলে জানিয়েছে কমিশন।
কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেহেতু বিষয়টির সমাধানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার আইনগত অধিকার কমিশনের নেই, তাই এখন অন্য আইনি ফোরামে দুই পক্ষের লড়াই করা উচিৎ। আর এ বিষয়ে সমস্ত তথ্য উপস্থাপন করতে প্রস্তুত পিএসজি।
তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এমবাপ্পের প্রতিনিধিদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে পিএসজির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্যারিসে অসাধারণ সাতটি বছর কাটানোর সময় এমবাপ্পে বারবার প্রকাশ্যে ও ক্লাব কর্তাদের কাছে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, অবশ্যই তার সম্মান করা উচিত।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের বেতন-বোনাস আটকে দিয়েছে পিএসজি
পিএসজির দাবি, ক্লাবের কাছে এমবাপ্পের কোনো অর্থ পাওনা নেই। ২০২৩-২৪ মৌসুমের শুরুতে তাকে যখন স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়, তখন পুনরায়ে স্কোয়াডে ফিরতে তিনি তার (পাওনা) বোনাস ত্যাগ করেন।
তবে এখন এমবাপ্পে ক্লাবের এই দাবি না মানায় এবং কমিশনের মীমাংসার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতেই গড়াতে চলেছে।
৪৭১ দিন আগে
আনচেলত্তির ‘কৌতুকে’ ভড়কে গিয়েছিলেন বেলিংহ্যাম
বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে ঝলক দেখিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর থেকেই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে চলেছেন ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম। লস ব্লাঙ্কোসদের জার্সিতে প্রতিটি ম্যাচে আলো ছড়িয়ে চলেছেন তিনি।
তবে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে পথচলার শুরুর দিকে কোচ কার্লো আনচেলত্তির ‘কৌতুক’ বুঝতে না পেরে মানসিকভাবে ধাক্কা খেয়েছিলেন এই ফুটবলার।
২০২৩ সালের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ডর্টমুন্ড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে আসেন বেলিংহ্যাম। নতুন মৌসুমের শুরুতে সে বছরের আগস্ট মাসে দ্বিতীয় সারির ইংলিশ ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের হয়ে রথারহ্যামের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে জোড় গোল করেন তার ভাই জোব বেলিংহ্যাম। সেসময় জুডকে নিয়ে রসিকতা করেন আনচেলত্তি।
আরও পড়ুন: মৌসুমের শুরুতেই বেলিংহ্যামকে হারাল রিয়াল মাদ্রিদ
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ডকুমেন্টারি সিরিজ ‘আউট অব দ্য ফ্লাডলাইটের’ প্রথম পর্বে ওই ঘটনা তুলে ধরেন বেলিংহ্যাম।
২১ বছর বয়সী এই ফুটবলার বলেন, ‘আমরা বের হচ্ছি, এমন সময় আনচেলত্তি আমার কাছে এসে বললেন- আমরা ভুল খেলোয়াড়কে দলে ভিড়িয়েছি। তখন আমি তাকে বললাম- আপনি মজা করছেন, তাই না? তিনি বললেন- না, আমি সত্যিই ওকে (জোব) নিয়ে আসব (মাদ্রিদে)। আমি তখন বললাম- আচ্ছা, তা ওকে কোথায় খেলাবেন? সঙ্গে সঙ্গে আনচেলত্তির জবাব- কেন তোমার জায়গায়!’
‘শুনে তো আমি ভড়কে গিয়েছি। তবে সবশেষে তিনি হেসে দিলেন, আর আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। মনে মনে বললাম- যাক আজকে আর চাপ নেই।’
তবে সত্যি সত্যি নিজের ওপর চাপ বাড়তে দেননি জুড। ওইদিন লা লিগায় আলমেরিয়ার বিপক্ষে রিয়ালের ৩-১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে তিনিও জোড়া গোল করেন।
আরও পড়ুন: ব্যালন দ’র: ভিনিসিউস, বেলিংহ্যামকে ফেভারিট মনে করেন না কারভাহাল
রিয়ালের জার্সিতে প্রথম মৌসুমে লা লিগায় ক্লাবটির হয়ে সর্বোচ্চ (১৯) গোল করেন বেলিংহ্যাম। রিয়াল মাদ্রিদকে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন এই ফুটবলার।
৪৭১ দিন আগে
বিলিয়ন ছাড়াল রোনালদোর অনুসারী
রেকর্ড কিছুতেই যেন পিছু ছাড়তে চায় না ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। এইতো সেদিন ৯০০ গোলের অনন্য কীর্তি গড়লেন তিনি। এবার মাঠের বাইরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ফুটবলের এই মহাতরকা।
বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সব প্ল্যাটফর্ম মিলিয়ে এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি অনুসারীর মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এই পর্তুগিজ সুপারস্টার।
বৃহস্পতিবার রাতে নিজেই এ সংবাদ জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেছেন রোনালদো, যেটি ইংরেজি ‘১ বি’ আকৃতির মধ্যে তার ফুটবল ক্যারিয়ারের অসংখ্য স্মৃতির সমন্বয়ে গঠিত। ছবিটির শিরোনাম তিনি দিয়েছেন, ‘১ বিলিয়নের স্বপ্ন, একটি যাত্রা।’
আরও পড়ুন: পর্তুগালের জয়ের রাতে ইতিহাস গড়লেন রোনালদো
আল নাসর অধিনায়কের ইনস্টাগ্রামে ৬৩৮ মিলিয়ন, ফেসবুকে ১৭০ মিলিয়ন ও এক্সে রয়েছে (সাবেক টুইটার) ১১৩ মিলিয়ন অনুসারী। এছাড়া সম্প্রতি খোলা তার ইউটিউব চ্যানেল ‘ইউআর রোনালদো’ দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৬০ মিলিয়নের বেশি সাবস্ক্রাইবার অর্জন করেছে।
মাইলফলক স্পর্শ করার পরে অনুসারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ৩৯ বছর বয়সী এই তারকা।
ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা ইতিহাস গড়েছি- ১ বিলিয়ন অনুসারী! এটি একটি সংখ্যার চেয়েও বেশি- এটি খেলা ও এর বাইরেও আমাদের অভিন্ন আবেগ, উদ্যম ও ভালোবাসার প্রমাণ।’
বিশেষ এই মুহূর্তে নিজের শৈশবে ফিরে গেছেন ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সেরাদের অন্যতম এই তারকা।
‘মাদেইরার সড়ক থেকে শুরু করে বিশ্বের বড় বড় মঞ্চ, সবখানে আমি আমার পরিবার ও আপনাদের জন্য খেলেছি। এখন আমরা ১০০ কোটি মানুষ একত্রিত হয়েছি।’
আরও পড়ুন: হাজার গোলের মাইলফলক ছুঁতে চান রোনালদো
সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রোনালদো আরও লিখেছেন, ‘আমার প্রতিটি পদক্ষেপে, সমস্ত উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে আপনারা আমার সঙ্গে ছিলেন। এটি আমাদের যাত্রা এবং আমরা দেখিয়েছি যে, একসঙ্গে আমরা যা অর্জন করতে পারি তার কোনো সীমা নেই। আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য, সমর্থন ও আমার জীবনের অংশ হওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’
চলতি মাসের শুরুতে ইতিহাসের প্রথম পুরুষ ফুটবলার হিসেবে অফিশিয়াল ম্যাচে ৯০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন রোনালদো। অবশ্য এখানেই থামতে চান না তিনি। হাজার গোলের মাইলফলক স্পর্শ করার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড।
পাঁচবার ব্যালন দ’র জয়ী এই তারকা আরও বলেন, ‘সেরাটা আসতে এখনও বাকি, আমরা একসঙ্গে চেষ্টা চালিয়ে যাব, জিতব এবং ইতিহাস গড়ব।’
আরও পড়ুন: অবসরের বিষয়ে আগে কাউকে কিছু জানাবেন না রোনালদো
৪৭১ দিন আগে
লিওনেল মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব: ইয়ামাল
একজন শুধু বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার নয়, গোটা ফুটবল ইতিহাসের মতভেদে সর্বকালের সেরা ফুটবলার; অন্যজন তারই পথ ধরে উঠে আসছেন বার্সেলোনার জার্সিতে। তবে বাঁ পায়ে সৌন্দর্য ছড়ানো, ড্রিবলিংসহ ফুটবলের অন্যান্য শৈলীতে দুজনের মধ্যে মিল পাওয়া যায় অনেক। তাই দ্বিতীয়জনকে এরইমধ্যে ফুটবলের আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রা লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছেন অনেকেই।
তবে মেসির সঙ্গে নিজের তুলনা শুনতে ভালো লাগলেও তার উচ্চতা যে অনন্য পর্যায়ে, তা স্বীকার করে নিজেকে স্বকীয় ফুটবলার হিসেবে দেখতে চান বলে জানিয়েছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ প্রতিভা লামিন ইয়ামাল।
জন্মের পর মাত্র ছয় মাস বয়সে লিওনেল মেসির সঙ্গে ফটোশুটে অংশগ্রহণের সুযোগ পান লামিন। এরপর মেসির মতোই লা মাসিয়া ফুটবল অ্যাকাডেমিতে বেড়ে উঠে বার্সেলোনার জার্সিতে পেশাদার ফুটবলে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন তিনি।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে সিনিয়র ফুটবলে নাম লেখানোর পর থেকে যেখানেই খেলছেন, একের পর এক রেকর্ড নিজের নামে করে নিচ্ছেন গত জুলাইতে ১৭ বছরে পা দেওয়া এই উইঙ্গার।
বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষেকের দিন ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ (১৫ বছর ২৯০ দিন) ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। এরপর স্পেন জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেই দেশটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলারদের অন্যতম বনে যান তিনি। তার চেয়ে কম বয়সে লা রোহাদের জার্সিতে মাঠে নেমেছেন মাত্র চারজন খেলোয়াড়।
গত বছরের অক্টোবরে গ্রানাদার বিপক্ষে প্রথম জালের দেখা পেয়ে লা লিগার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে (১৬ বছর ৮৭ দিন) গোল করার কীর্তি গড়েন এই তরুণ প্রতিভা। এরপর ২০২৪ সালের ইউরো আসরেও চোখধাঁধানো পারফরম্যান্স উপহার দেন বাঁ পায়ের এই প্রতিভাবান ফুটবলার। টুর্নামেন্টের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ড গড়ার পর স্পেনকে রেকর্ড চতুর্থবার ইউরোপসেরার মুকুট পরাতে রাখেন বড় অবদান। একটি গোল ও চারটি অ্যাসিস্টে টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার আগে টুর্নামেন্টটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ গোল ও অ্যাসিস্টদাতার স্বীকৃতি অর্জন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পেলের রেকর্ড ভেঙে একগাদা রেকর্ডে লামিন ইয়ামাল
বাঁ পায়ের কারুকাজে ফুটবল বিশ্বকে এখন থেকেই মাতানো শুরু করেছেন এই উইঙ্গার। তার খেলা দেখে তাই তরুণ লিওনেলের সঙ্গে অনেক মিল খুঁজে পান ফুটবলপ্রেমীরা। তাই তো এখন থেকেই তাকে মেসির উত্তরসুরী হিসেবে বিবেচনা করা শুরু করেছেন অনেকে।
তবে বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা ফুটবলারের সঙ্গে নিজেকে তুলনায় টানতে নারাজ লামিন।
স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল ‘আন্তেনা ত্রাই’কে তিনি বলেন, ‘আমাকে ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়, বিষয়টি মন্দ লাগে না। তবে মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব।’
ছোটবেলায় মেসির সঙ্গে ফটোশুট নিয়ে এসময় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাব তিনি দেন কিছুটা মজার ছলেই-
‘দেখুন, তিনি তার কিছু ক্ষমতা আমাকে দিয়েছেন। তবে আমার নিজের এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে।’
আরও পড়ুন: বিরল কীর্তিতে রোনালদোর পাশে বসলেন ইয়ামাল
কোচ শাভি এরনান্দেসের হাত ধরে পেশাদার ফুটবলে হাতেখড়ি হওয়ার পর থেকে লামিনের পারফরম্যান্স গ্রাফ যে গতিতে উপরে উঠছে, তাতে তিনি যে বড় বড় ফুটবল ক্লাবের নজরে আছেন, সে কথা জানেন তিনি। তবে কখনও বার্সেলোনা ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে চান না এই তরুণ ফরোয়ার্ড।
তিনি বলেন, ‘আশা করি আমাকে কখনোই বার্সেলোনা ছাড়তে হবে না। এখানেই আমি কিংবদন্তি হতে চাই।’
৪৭১ দিন আগে