খেলাধুলা
দলীয় ঐক্য ও তারুণ্যের চমকে ফ্রান্সকে বিদায় করে ফাইনালে স্পেন
পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে নিষ্প্রভ থাকার পর সেমিফাইনালে অবশেষে জ্বলে উঠল ফ্রান্স। শুরুতেই গোল করে সমালোচকদের দাঁতও ভেঙে দিল। তবে স্পেনের ভ্রাতৃপ্রতিম ফুটবলের সামনে আক্রমণের পর আক্রমণ করে আর একবারের জন্যেও রক্ষণের লাল তালা ভাঙতে পারলেন না এমবাপ্পে-দেম্বেলেরা।
অপরদিকে, আসরজুড়ে দলীয় পারফরম্যান্স, ক্ষিপ্র গতি আর প্রতিভার জোরে দুর্দান্ত ফ্রান্তের সঙ্গে সমানে টক্কর দিয়ে গেল স্পেন। মাঝে চার মিনিটে দুই গোল করে ব্যবধান গড়ে দিলেন দুই স্প্যানিশ তরুণ। একজন ১৬ বছরের স্কুলপড়ুয়া লামিন ইয়ামাল, অপরজন ২৬ বছর বয়সী লাইপসিগের প্রতিভাবান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার দানি অলমো।
ফলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সেমিফাইনালে এসে অবশেষে নিজেদের মেলে ধরলেও স্পেনের ‘ব্যান্ড অব ব্রাদার্সের’ কাছে হার স্বীকার করে নিয়ে বাড়ির পথ ধরতে হয়েছে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যদের।
আরও পড়ুন: সুন্দর ফুটবলের মধ্যে দিয়েই জিততে চায় স্পেন: দে লা ফুয়েন্তে
মঙ্গলবার রাতে মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনা স্টেডিয়ামে ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের স্পেন।
এদিন ম্যাচের নবম মিনিটেই কিলিয়ান এমবাপ্পের বাড়ানো দারুণ এক ক্রসে হেড দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন ফ্রান্সের রাঁদাল কোলো মুয়ানি।
৫৩৭ দিন আগে
সুন্দর ফুটবলের মধ্যে দিয়েই জিততে চায় স্পেন: দে লা ফুয়েন্তে
নিজেদের খেলোয়াড়ি পরিচয় ধরে রেখেই ফ্রান্সের মোকাবিলা করে ফাইনালে উঠতে চান বলে জানিয়েছেন স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে।
৬৩ বছর বয়সী এই কোচের ছোঁয়ায় বদলে গেছে স্পেনের ফুটবল শৈলী। ছোট ছোট পাসের তিকিতাকার পরিবর্তে এখন বল নিয়েই আক্রমণে ওঠার দর্শনে বিশ্বাসী তার দল। এই কাজে সাফল্য পেতে যা দরকার, শিষ্যদের মাঝে দারুণভাবে সেই ভাতৃত্ববোধের বিকাশ করেছেন তিনি।
দলীয় পারফর্ম্যান্সে মুগ্ধ করে দেওয়ায় চলতি ইউরো আসরের শুরু থেকেই প্রশংসা কুড়াচ্ছে স্পেন। ফুটবলপাড়ায় দলটিকে অনেকে ডাকছেন ‘ব্যান্ড অব ব্রাদার্স’ নামে। স্পেনের খেলোয়াড়দের মুখেও সতীর্থদের একে অপরের পাশে থাকার প্রত্যয় ঝরেছে বারংবার।
অন্যদিকে, রক্ষণশীল আর ধারহীন ফুটবল খেলায় প্রবল সমালোচনায় পড়েছে দিদিয়ের দেশমের ফ্রান্স। ওপেন প্লে থেকে এখন পর্যন্ত কোনো গোল আদায় করতে পারেনি তার দল। পেনাল্টি ও আত্মঘাতী গোলের কল্যাণে সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠেছে গেছে ফ্রান্স।
তবে সেমিফাইনালের আগে প্রতিপক্ষের প্রতি এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে নারাজ দে লা ফুয়েন্তে।
আরও পড়ুন: স্বর্গীয় ফুটবল উপহার দিয়েও নিয়তি মানতে হলো জার্মানির
মঙ্গলবার রাত একটায় ইউরোর সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামছে ফ্রান্সও স্পেন।
এসময় নিজের দলের ইতিবাচক পরিবর্তনের কথাও স্বীকার করেছেন তিনি।
ম্যাচের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে দে লা ফুয়েন্তে বলেন, ‘স্পেন বর্তমানে একটি চোখ-ধাঁধানো দল- তা আমি অস্বীকার করব না। এটিই আমাদের ডিএনএ। তবে দিনশেষে জয়টাই বড়। আমরা অবশ্যই খেলতে চাই, তবে বাস্তবতার নিরিখে আমরা সবদিক বিবেচনা করি।’
‘আমরা এমন এক গেমপ্ল্যান তৈরি করি যা আমাদের জিততে সগযোগিতা করে। তবে সুন্দর ও আনন্দদায়ক ফুটবলের কথা মাথায় রেখেই আমরা খেলার মডেলটি দাঁড় করাই।’
‘ফলাফল পাওয়ার জন্যই নজরকাড়া ফুটবল খেলার চেষ্টা করি আমরা। এই পর্যায়ে (ফাইনালে উঠতে) ফলাফলটিই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমেই দিনশেষে আপনার কাজের বিচার ও মূল্যায়ন হবে।’
আরও পড়ুন: বিরল কীর্তিতে রোনালদোর পাশে বসলেন ইয়ামাল
অপরদিকে, নিজের দলকে সমালোচনার জন্য সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন ফ্রান্স কোচ দেশম।
তিনি বলেছেন, যাদের কাছে ফ্রান্সের ফুটবল বিরক্তিকর মনে হয়, তাদের অন্য কিছুর প্রতি নজর দেওয়া উচিৎ।
সমালোচকদের সঙ্গে একমত নন দে লা ফুয়েন্তেও। তিনি বলেন, ‘আমি (ফ্রান্স দলে) যা দেখি, তা হচ্ছে- দলটির সামর্থ্য। ফ্রান্সে খুব উঁচুমানের খেলোয়াড় রয়েছে। দল হিসেবেও তারা দুর্দান্ত।’
‘তারা যা (যেভাবে খেলতে) চায়, তা দেখে আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। তবে আমি কখনও বিরক্ত হই না।’
সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একাদশের গুরুত্বপূর্ণ তিন খেলোয়াড়কে পাচ্ছেন না স্প্যানিশ কোচ। লাল কার্ড ও দুই ম্যাচে দুই হলুদ কার্ড দেখে ফ্রান্সের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না রক্ষণ সামলানো দানি কারভাহাল ও রবিন লে নরমান্দ। এছাড়া হাঁটুর চোটে ছিটকে গেছেন মাঝমাঠে প্রাণভোমরা পেদ্রিও।
আরও পড়ুন: ক্রুসের ফাউলে ইউরো শেষ পেদ্রির
তাছাড়া, কোয়ার্টার ফাইনালের হাড়ভাঙা খাটুনির পর শারীরিক সক্ষমতা ফেরাতেও যথেষ্ট সময় পায়নি দলটির খেলোয়াড়রা। এ বিষয়ে দে লা ফুয়েন্তে বলেন, ‘ভ্রমণ, মানসিক চাপ ও খেলা বিবেচনায় ছেলেরা মোটামুটি তরতাজা হয়ে উঠেছে। তবে তারা এ ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে অভ্যস্ত, ফলে তারা সেভাবেই মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
৫৩৭ দিন আগে
বিদেশি ক্রিকেট লিগগুলোতে যেমন খেলছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর আসন্ন ভবিষ্যতে কোনো খেলার সময়সূচি নির্ধারিত না হওয়ায় লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) ও মেজর লিগ ক্রিকেটসহ (এমএলসি) কিছু বিদেশি লিগের খেলায় দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের।
শ্রীলঙ্কায় এলপিএলে খেলছেন ব্যাটার তৌহিদ হৃদয় ও পেসার তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে এমএলসিতে খেলছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
ডাম্বুলা সিক্সার্সের হয়ে দুই ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তৌহিদ। তবে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১ রান করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে আর ব্যাট করার সুযোগ পাননি। এর আর একাদশে জায়গা হয়নি তার।
কলম্বো স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলা তাসকিন তার প্রথম দুই ম্যাচে তিন উইকেট পেলেও বেশ খরুচে বোলিং করেন তিনি।
অন্যদিকে ডাম্বুলা সিক্সার্সের হয়ে খেলা মুস্তাফিজ ৪ ম্যাচে ৫ উইকেট নিলেও ৭ জুলাই নিজের শেষ ম্যাচে দিয়েছেন ৫৩ রান।
এমএলসিতে লস অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলছেন সাকিব। দুই ম্যাচে ৫৩ রান করার পাশাপাশি নিয়েছেন ১টি উইকেট। এমএলসিতে অংশ নেওয়া একমাত্র বাংলাদেশি খেলোয়াড় তিনি।
এমএলসির পর কানাডায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের সঙ্গে যোগ দেবেন সাকিব।
৫৩৮ দিন আগে
মুশতাকের দীর্ঘমেয়াদি স্পিন বোলিং কোচ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় বিসিবি
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মুশতাক আহমেদকে দীর্ঘদিনের জন্য স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
গণমাধ্যমের সঙ্গে শেষ আলাপকালে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন, তারা মুশতাকের চুক্তি দুই বছরের জন্য নবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তবে মুশতাকের আরও চুক্তি রয়েছে।
সোমবার(৮ জুলাই) সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, মুশতাকের আরও কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ কারণে কবে তিনি দীর্ঘ সময়ের জন্য বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন তা অনিশ্চিত।
আরও পড়ুন: স্ট্রোকে আক্রান্ত নাফিস ইকবালকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়েছে
নিজামউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, 'বাংলাদেশে আসার আগে তার কিছু চুক্তি সই হয়েছে। ইংল্যান্ড বোর্ড ও অন্যদের সঙ্গে তার চুক্তি আছে। মুশতাকের সঙ্গে আমাদের চুক্তি ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত।’
যখনই মুশতাককে পাওয়া যাবে তখনই সার্ভিস নিশ্চিত করার ব্যাপারে আশাবাদী বিসিবি। নিজামউদ্দিন চৌধুরী আরও জানান, তাকে আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ করতে মুশতাকের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দুই মাসের চুক্তিতে চলতি বছরের এপ্রিলে বিসিবিতে যোগ দেন মুশতাক। তার সংক্ষিপ্ত মেয়াদে, তিনি দলের স্পিন-বোলিং বিভাগের উন্নয়নে সহায়তা করেন। মনে করা হয় বিশ্বকাপে রিশাদ হোসেনের চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ২ টেস্ট খেলতে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর চূড়ান্ত
৫৩৮ দিন আগে
আবেগী পোস্টে ফুটবলকে বিদায় জানালেন ক্রুস
কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে হেরে ইউরোর চলতি আসর থেকে ছিটকে যাওয়ার দুই দিন পর ফুটবলকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় বলে দিলেন জার্মানি ও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা টনি ক্রুস।
রবিবার ইনস্টাগ্রামে ক্রুস লেখেন, ‘তাহলে এ পর্যন্তই! তবে বিশ্রামে যাওয়ার আগে গত ১৭ বছরে কী কী ঘটেছে তা উপলব্ধির চেষ্টা করার আগে, আমি যেমন সেভাবেই আমাকে গ্রহণ করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানানোর সুযোগটি মিস করতে চাই না।’
এসময় ভক্ত, ক্লাব, কোচ ও সতীর্থদের পাশাপাশি বন্ধুবান্ধব ও পরিবারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বলেন, ‘বাচ্চারা বাবার জন্য গর্বিত- এর চেয়ে দেখার মতো ভালো আর কিছু হতে পারে না।’
আরও পড়ুন: স্বর্গীয় ফুটবল উপহার দিয়েও নিয়তি মানতে হলো জার্মানির
রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখ মিলিয়ে ছয়টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চারটি লা লিগা, তিনটি বুন্দেসলিগা, তিনটি জার্মান কাপ ও একটি কোপা দেল রে শিরোপা জিতেছেন ২০১৪ সালের বিশ্বকাপজয়ী ক্রুস।
ইউরোর চলমান আসর শেষেই যে অবসরে যাবেন, ঘোষণা তিনি দিয়েছিলেন মে মাসেই। ফলে শুক্রবার রাতে জার্মানির জার্সিতে স্পেনের বিপক্ষে খেলা ১১৪তম ম্যাচটিই তার শেষ ম্যাচ।
বিদায়ী বার্তাটি তিনি শেষ করেছেন এভাবে- শেষ, তবে (এখানেই সবকিছু) শেষ নয়। ফুটবলকে ধন্যবাদ! তুমি সুন্দর একটি খেলা। আর… স্বাগত! বিদায়!
৫৩৯ দিন আগে
হেরে ব্রাজিল কোচ বললেন, আরও সময় প্রয়োজন
উরুগুয়ের কাছে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র দলের আরও উন্নতি করার জায়গা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। এখন বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তার দল পূর্ণ মনোযোগ দেবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, বিভিন্ন দিকে উন্নতি করার কাজ চলছে।
শনিবার সকালে শেষের ২০ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলেও ব্রাজিলকে আটকে রাখে উরুগুয়ে। এরপর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ম্যাচটি জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে মার্সেলো বিয়েলসার শিষ্যরা।
শুধু এই ম্যাচটি নয়, টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই নিজেদের জাত চেনাতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে ব্রাজিল। গ্রুপ পর্বে শুধু প্যারাগুয়েকে পরাজিত করে তারা। এছাড়া বাকি দুই ম্যাচ ড্র করে নকআউট পর্বে উঠলেও উরুগুয়ের বিপক্ষেও নিজেদের ছায়া হয়ে ছিল ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে হেরে ব্রাজিলের বিদায়, সেমিফাইনালে উরুগুয়ে
দলের এই বাজে পারফরম্যান্সের পুরোটা দায় নিজের কাঁধে নিয়ে দরিভাল বলেন, ‘বর্তমানে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ সংষ্কার ও পুনর্নিমাণের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এই দলটিকে আমি মাত্র আট ম্যাচে কোচিং করানোর সুযোগ পেয়েছি। আর এই (সংস্কার) প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই আমাদের এখন যেতে হবে।’
‘আমাদের সামনে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সে বিষয়ে আমরা সচেতন। তবে (নকআউট পর্বে) হারের বিষয়টি অপ্রত্যাশিত ছিল। আমরা যেভাবে আশা করেছিলাম, সেভাবে হয়নি।’
‘কিন্তু আমি আবারও বলছি, আমাদের উন্নতি করার অনেক জায়গা রয়েছে, আর এগুলো ভেতর দিয়ে চলেই আমাদের বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে হবে। এই মুহূর্তে আমরা (কনমেবল বাছাইয়ে) ষষ্ঠ অবস্থানে, এ নিয়ে আমরা মোটেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি না।’
আরও পড়ুন: পেনাল্টিতে সাফল্যের রহস্য জানালেন দিবু মার্তিনেস
এসময় উরুগুয়ে কোচের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘তিনি (বিয়েলসা) যেভাবে নিজের দর্শন দিয়ে দলটিকে প্রভাবিত করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসার।’
‘আমি মনে করি, এই উরুগুয়ে দলের একটি নির্দিষ্ট (খেলার) প্যাটার্ন আছে, খুব দারুণ একটি প্যাটার্ন। তারা বেশ কিছুদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করছে। শুরুতে তাদেরও কিছু সমস্যা ছিল, তবে সেগুলো তারা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। এখন তারা দারুণ ফল অর্জন করছে।’
‘আমরাও এ ধরনের অর্জন করব, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে নিজেদের (ভুলগুলো) শুধরে নিতে আমাদের কিছুটা সময় দরকার।’
তিনি বলেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরুতে আমাদের কিছু সমস্যা ছিল। তবে আমি মনে করি, আমরা প্রচুর ভুল সংশোধনও করেছি। তবে যেটুকু সময় আমরা পেয়েছি, তার মধ্যে এত দ্রুত সবকিছু গুছিয়ে ওঠা আমাদের জন্য কঠিন। তবে ভবিষ্যতে আশা করি, আরও সময় পাব।’
৫৩৯ দিন আগে
৭ মিনিটের কমলা ঝড়ে উড়ে গেল তুরস্ক
প্রথমে গোল পেয়ে দ্বিতীয়বার সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন জাগিয়েছিল চলতি ইউরো আসরে চমক জাগানো তুরস্ক। তবে ৭ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে তাদের সে স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস।
শনিবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে তুরস্ককে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে নেদারল্যান্ডস।
সর্বশেষ ২০০৪ সালে ইউরোর সেমিফাইনাল খেলেছিল ডাচরা। ২০ বছর পর আবারও সেমিফাইনালে লড়বে তারা। অন্যদিকে, ১৬ বছর পর শেষ ষোলো উৎরে গিয়েও কোয়ার্ট ফাইনালে ব্যর্থ হলো তুরস্ক।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে এবারও কপাল পুড়ল সুইসদের, সেমিতে ইংল্যান্ড
এদিন ম্যাচের প্রথম ত্রিশ মিনিটে দুই দলের কেউই তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। এরপরই আক্রমণের ধার বাড়ায় তুরস্ক। এসময় বেশ কয়েকটি আক্রমণে ডাচদের বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করে তারা। তবে সেসব আক্রমণ একের পর এক সফলতার সঙ্গে রুখে দিলেও ৩৫তম মিনিটে গিয়ে আরাধ্য গোল পেয়ে যায় তুর্কিরা।
৫৪০ দিন আগে
পানামাকে উড়িয়ে সেমিফাইনালে ‘দুর্দান্ত’ কলম্বিয়া
হামেস রদ্রিগেজের পুনরুত্থানের পর হারতে যেন ভুলেই গেছে কলম্বিয়া! একের পর এক ম্যাচ জিতে চলেছে তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে পানামাকে উড়িয়ে টানা ২৭ ম্যাচ অপরাজিত রইল নেস্তর লরেন্সোর শিষ্যরা।
রবিবার (৭ জুলাই) ভোর চারটায় কোপা আমেরিকার তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে পানামাকে ৫-০ গোলে পরাজিত করেছে কলম্বিয়া।
এক গোল ও দুটি অ্যাসিস্ট করে ম্যাচের নায়ক হামেস রদ্রিগেজ। এ নিয়ে চলতি আসরে একটি গোলের পাশাপাশি পাঁচটি অ্যাসিস্ট হয়ে গেল ৩২ বছর বয়সী কলম্বিয়া অধিনায়কের। কোপা আমেরিকার ইতিহাসে কোনো ম্যাচের প্রথমার্ধে তিন গোলে অবদান রাখা প্রথম ফুটবলারও তিনি।
তবে স্কোরলাইন দেখে ম্যাচের চিত্র পাওয়া দুস্কর। কলম্বিয়ার সঙ্গে পুরো ম্যাচজুড়ে সমানে লড়ে গেছে পানামা। কলম্বিয়ার ৫২ শতাংশ সময় কলম্বিয়ার পায়ে বল থাকলেও ৪৮ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রেখেছিল তারা।
এছাড়া ম্যাচজুড়ে মোট ১৪টি শট নেয় পানামা, যার তিনটি লক্ষ্যে ছিল। তবে মাত্র ৭টি শট নিয়ে পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পেরে সবগুলোতেই সফল কলম্বিয়া।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে হেরে ব্রাজিলের বিদায়, সেমিফাইনালে উরুগুয়ে
এদিন ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই দলকে এগিয়ে নেন কলম্বিয়া ফরওয়ার্ডে জন করদোবা। কর্নার থেকে হামেস রদ্রিগেজের পাঠানো ক্রসে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের বাধা ঠেলে ওপরে উঠে দারুণ এক হেডারে গোলের খাতা খোলেন তিনি।
পাঁচ মিনিট পরই পেনাল্টি পায় কলম্বিয়া। ত্রয়োদশ মিনিটে গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের জন আরিয়াসকে অপ্রয়োজনীয় ফাউল করে বসেন পানামা গোলরক্ষক অরলান্দো মাসকেরা। এরপর রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রদ্রিগেজ।
ম্যাচের অষ্টাদশ মিনিটে গোলের সুযোগ তৈরি করে পানামা, তবে ভাগ্যের ফেরে গোলবঞ্চিত হয় তারা। ৩০ গজ দূর থেকে ফ্রি কিকের ক্রসে হেডার দেন রদেরিক মিলার। তবে বল গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। পাঁচ মিনিট পর আরও একটি সুযোগ তৈরি করে তারা।
এরপর দুই দলই দারুণ আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয়। তবে ৪১তম মিনিটে আরও এক গোল খেয়ে বসে পানামা। হামেস রদ্রিগেজের অসাধারণ একটি পাস বক্সের মধ্যে ধরে অনায়াসে তা গোলে পরিণত করেন লিভারপুলের লুইস দিয়াস।
এর ফলে গোল শোধে মরিয়া পানামাকে হতাশ করে ম্যাচটি একপ্রকার নিজেদের করে নিয়ে বিরতিতে যায় কলম্বিয়া।
৫৪০ দিন আগে
টাইব্রেকারে হেরে ব্রাজিলের বিদায়, সেমিফাইনালে উরুগুয়ে
এলোমেলো ফুটবলে গতবারের ফাইনালিস্ট ব্রাজিলকে যেন চেনাই গেল না! ম্যাচজুড়ে উরুগুয়েকে গোল করতে না দিলেও টাইব্রেকারে গিয়ে হারল তারা। এর ফলে সেলেসাউদের কাঁদিয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে উঠে গেল মার্সেলো বিয়েলসার শিষ্যরা।
যুক্তরাষ্ট্রের আলেজায়ান্ট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে ব্রাজিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ ম্যাচটি টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতেছে উরুগুয়ে।
নির্ধারিত সময়ের শেষের প্রায় ২০ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলেও ব্রাজিলকে আটকে রাখে উরুগুয়ে। তবে নিজেরাও গোল করতে না পারায় গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিট। এরপর কোপার নিয়ম অনুযায়ী সরাসরি টাইব্রেকারে চলে যায় ম্যাচ।
টাইব্রেকারে ব্রাজিলের প্রথম শটটিই ঠেকিয়ে দেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক সের্হিও রচেত। এরপর দগলাস লুইসের তৃতীয় শটটি পোস্টে লেগে ফিরে আসে। অপরদিকে, উরুগুয়ের হোসে মারিয়া হিমেনেসের চতুর্থ শটটি ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসন বেকার ঠেকিয়ে দিলেও ফেদেরিকো ভালভার্দে, রদ্রিগো বেন্তাঙ্কুর, জর্জিয়ান দে আরাসকায়েতা ও মানুয়েল উগার্তে পান জালের দেখা। ফলে ৪-২ ব্যবধানে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেন আরাউহো-ভালভার্দেরা।
এদিন বল দখলের লড়াইয়ে আধিপত্য (৬০ শতাংশ) বিস্তার করলেও গোলের সুযোগ তৈরিতে বেশ পিছিয়ে ছিল দরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা। উরুগুয়ের ১১টি শটের বিপরীতে তাদের শট ছিল ৭টি। এরমধ্যে অবশ্য ব্রাজিলের তিনটি শট লক্ষ্যে থাকলেও উরুগুয়ের ছিল মাত্র একটি।
তবে লাতিন আমেরিকার ফুটবলের বৈশিষ্ট্য বজায় ম্যাচে মোট ৪১টি ফাউল করেছে দুইদল, যার মধ্যে উরুগুয়ের ২৬টি।
আরও পড়ুন: মেসির পেনাল্টি মিসের পর দিবুর কীর্তিতে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের ছায়া হয়ে ছিল নান্দনিক ফুটবলের দেশ ব্রাজিল। অন্যদিকে, শুরু থেকেই সেলেসাউদের রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা শুরু করে উরুগুয়ে। তবে বেশ কয়েকবারের চেষ্টায় তারা সফল না হলে পরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে উঠতে শুরু করে ব্রাজিল।
ম্যাচের ত্রয়োদশ মিনিটে বাঁ পাশে ফ্রি কিক থেকে রাফিনিয়ার নেওয়া শট রক্ষণ দেওয়ালে লেগে বাইরে চলে যায়। এর পাঁচ মিনিট পরই কর্নার থেকে পাওয়া বলে দূরপাল্লার জোরালো শট নেন ফাকুন্দো পেলিস্ত্রি। তবে মার্কিনিয়োসের মাথায় লেগে তা গোলপোস্টের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
খেলার আধঘণ্টা হওয়ার কিছুক্ষণ আগে গোলের ভালো সুযোগ তৈরি করে ব্রাজিল। তবে ডি বক্সের মধ্যে বল পেয়েও শট না নিয়ে রাফিনিয়ার উদ্দেশ্যে বল বাড়ান এন্দ্রিক। আর সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন উরুগুয়ের এক ডিফেন্ডার।
ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে দুঃসংবাদ পায় উরুগুয়ে। চোট পেয়ে চোখের জলে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন উরুগুয়ের বার্সেলোনা ডিফেন্ডার রোনালদ আরাউহো। চিকিৎসা নিয়ে মাঠে ফিরলেও খেলা আর চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। এরপর তার বদলি হিসেবে দলটির রক্ষণ সামলাতে নামেন আতলেতিকো মাদ্রিদের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার হোসে মারিয়া হিমেনেস।
খেলা ফের শুরু হওয়ার পরপরই গোলের সুযোগ তৈরি করে উরুগুয়ে। তবে বক্সের ভেতরে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে সতীর্থের পাওয়া ক্রসটি গোলের বাইয়ে দিয়ে হেড দেন দারউইন নুনিয়েস।
পরের মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে প্রতিপক্ষে বক্সে ঢুকে পড়েন রাফিনিয়া। এরপর তার ডান পায়ের জোরালো শট বাঁ দিয়ে ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক রচেত।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে রাফিনিয়ার আরও একটি শট থামান রচেত। দুই দল মিলিয়ে এই দুটি শটই প্রথমার্ধে লক্ষ্যে ছিল।
৫৪০ দিন আগে
ইংল্যান্ড-সুইজারল্যান্ড: ম্যাচজুড়ে যা হলো
প্রথমার্ধের সাদামাটা ফুটবলের পর দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাাঁড়াল সুইজারল্যান্ড। বিশ মিনিট ধরে ইংল্যান্ডকে চাপে রেখে গোল পায় তারা, কিন্তু বুকায়ো সাকা সমতায় ফেরানোর পর টাইব্রেকারে পিকফোর্ডের সেইভে শেষ হাসি হেসেছে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরাই।
এর ফলে গতবারের মতো এবারও কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে মুরাত ইয়াকিনের শিষ্যদের।
পুরো ম্যাচে ইংল্যান্ডের ১৩টি শটের বিপরীতে ১১টি শট নেয় সুইজারল্যান্ড, যার তিনটি করে লক্ষ্যে ছিল। বল দখলেও লড়াইয়ে ইংল্যান্ড সামান্য (৫২%) এগিয়ে থাকলে সমানে লড়াই করেছে সুইসরা।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে এবারও কপাল পুড়ল সুইসদের, সেমিতে ইংল্যান্ড
এদিন কৌশলে পরিবর্তন এনে কিরান ট্রিপিয়ার ও বুকায়ো সাকাকে অবস্থান পরিবর্তন করে মাঠে নামান গ্যারেথ সাউথগেট। এর মধ্যে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে প্রথম সযোগ তৈরি করে ইংল্যান্ডই। ডান দিকে দিয়ে দ্রুত উঠে বক্সের বাইরে থেকে কাইল ওয়াকারকে পাস দেন সাকা। ওয়াকার সেখান থেকে শট নিলেও সুইজারল্যান্ডের ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার মানুয়েল আকাঞ্জি শটটি ফিরিয়ে দেন।
এর পরের মিনিটে আক্রমণে ওঠে সুইজারল্যান্ড। বাঁ দিকে দিয়ে আক্রমণে যাওয়া ডান এনডয়েকে নিষ্ক্রিয় করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তরুণ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কোবি মাইনু। পরের মিনিটে সুইজারল্যান্ডের আরও একটি আক্রমণ ইংলিশ ডিফেন্সে প্রতিহত হয়। এবার সুইসদের হেডার বক্সের ভেতর থেকে ফেরান এস্টন ভিলার ইংলিশ ডিফেন্ডার এজরি কনসা।
এসময় সুইজারল্যান্ড আক্রমণে উঠলেই দুই/তিন স্তরের রক্ষণ তৈরি করছিল ইংল্যান্ড। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড আক্রমণে উঠলে দলটির ফুটবলারদের জায়গা কমিয়ে সেসব আক্রমণ নিষ্ক্রিয় করছিল সুইজারল্যান্ড।
ম্যাচের ২০তম মিনিটে ডেকলান রাইসের দূরের একটি ভালো শট ঠেকিয়ে দেন সুইস ডিফেন্ডাররা। ১৬তম মিনিটে কোবি মাইনুর জোরালো শট সুইস রক্ষণে প্রতিহত হয়। এরপর প্রতিপক্ষের ডি বক্সের মধ্যে চ্যালেঞ্জের পর পড়ে গিয়ে পেনাল্টি দাবি করেন হ্যারি কেইন। তবে তবে আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি দানিয়েল অরসাতো।
১৭তম মিনিটে আরও একবার একক নৈপুণ্যে আক্রমণে ওঠেন মাইনু, তবে তাও এগিয়ে এসে লুফে নেন ইয়ান জমার।
১৯তম মিনিটে সুইজার্যলান্ডের আক্রমণ ইংলিশ রক্ষণে প্রতিহত হয়। এরপর ২১তম মিনিটে ডান দিকে বক্সের মধ্যে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস ধরে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করেই গোলমুখে ক্রস দেন সাকা, তবে সেখানে নিজেদের কেউ না থাকায় আক্রমণটি বৃথা যায়।
২৫তম মিনিটে ভিড়ের মাঝ থেকে সুযোগ পায় সুইজারল্যান্ড। তবে শেষ বেলায় জন স্টোনস সেটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেন। এরপর বেশকিছু সময় ইংল্যান্ডের ডি বক্সের সামনে বল নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকেন সুইসরা।
২৮তম মিনিটে প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেদ করে ছয় গজ বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন সাকা, তবে সেখান থেকে শট নিলে সুইজারল্যান্ডের একজন ডিফেন্ডার দলকে বিপদমুক্ত করেন।
এরপর বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে ফের আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে সুইজারল্যান্ড। তবে কয়েক মুহূর্ত পর ফের বল দখলে নিয়ে আক্রমণে ওঠে ইংল্যান্ড।
এসময় খেলা কিছক্ষণের জন্য ঝিমিয়ে যায়। দুই দলই মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যস্থ হয়ে পড়ে।
এরপর ৪৫তম মিনিটে সাকার প্রচেষ্টায় একটি ভালো আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। তবে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষণে কাটা পড়ে সে আক্রমণ। পরের মিনিটে দ্রুতগতিতে পাল্টা আক্রমণে গিয়েছিল সুইজারল্যান্ড, তবে ইংল্যান্ডের ডি বক্সের ভেতরে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে তারা। ফলে স্কোরবোর্ডে কোনো পরিবর্তন আনতে না পেরেই বিরতিতে যায় দুই বল।
৫৪০ দিন আগে