তাসকিন বর্তমানে স্কিল ট্রেনিং ক্যাম্পে থাকা জাতীয় দলের সাথে রয়েছেন।
তাসকিন ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন। পরের বছর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় তার, যে ম্যাচে তিনি পাঁচটি উইকেট নিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি টাইগার ভক্তদের জন্য এক বড় প্রত্যাশার নাম হয়ে ওঠেন। তবে ২৫ বছর বয়সী এ পেসার তার নৈপুণ্য ধারাবাহিক রাখতে ব্যর্থ হন।
পাশাপাশি তাসকিনকে বেশ কয়েকটি ইনজুরির সাথেও লড়াই করতে হয়েছে, যা শেষ পর্যন্ত তাকে ভালো খেলতে বাধাগ্রস্ত করেছে। তবে এ পেসার বলেন, আগের থেকে উন্নতি হয়েছে এবং এখন আরও ভালো খেলতে আশাবাদী।
মঙ্গলবার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমকে তাসকিন বলেন, ‘বোলার হিসেবে আমি অনেক উন্নতি করেছি। তবে দিন শেষে খেলোয়াড়দের উন্নতির শেষ নেই। আমি যদি বিশ্বমানের বোলার হতে চাই তবে আমাকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমি জানি আমি এখন পর্যন্ত যা করেছি এটাই শেষ নয়, কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
‘এটা সত্যিই ভালো লাগছে যে আমরা আবার একসাথে হয়েছি। আমরা সব সময় একটি পরিবারের মতো এবং দলের সদস্য হিসেবে আমি তাদের সাথে সব সময় থাকার প্রত্যাশা করি। যাই হোক, আমি ভালো বোলিং শুরু করেছি এবং আমার ছন্দ ফিরে পাচ্ছি। আমি কোচের সাথে অ্যাকুরেসি, পেস, সিম পজিশন নিয়ে কাজ করছি। আশা করি ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে পারব,’ বলেন তিনি।
তাসকিন এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে ৩২ ওয়ানডে, ১৯ টি-টুয়েন্টি এবং পাঁচটি টেস্টে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং যথাক্রমে ৪৫, ১২ এবং সাত উইকেট শিকার করেছেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেট ম্যাচে তিনি ভালো করলেও এখনও দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেননি।
এদিকে, শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য বিভাগ ঘোষিত কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে আসন্ন সিরিজটি এখনও অনিশ্চিত হয়ে আছে। তবে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বিসিবি।