নিউ জিল্যান্ডের ডুনেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে ১৭ ডিসেম্বর থেকে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।
তিন ম্যাচের এই সিরিজে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে সৌম্য সরকারকে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি করেছিলেন বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ কিউইদের সঙ্গে ওয়ানডেতে জয়ী হলেও, নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জয় এখনও অধরাই রয়ে গেছে।
সিরিজটি বাংলাদেশকে তাদের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় লেখার নতুন এনে দিয়েছে।
তবে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি টাইগারদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: নিউ জিল্যান্ডকে ১৩৭ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ
ইনজুরিতে ভুগছেন সাকিব, একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
এছাড়া বিভিন্ন কারণে তামিম ও মাহমুদউল্লাহও বাদ পড়েছেন।
নিউ জিল্যান্ড দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পাশাপাশি, বাংলাদেশকে তাদের নিজ দেশের তুলনায় দেশটির ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গেও লড়াই করতে হবে।
শান্ত অবশ্য অনাকাঙ্ক্ষিত আবহাওয়া নিয়ে তেমন কোনো উদ্বেগ আছে বলে মনে করছেন না।
তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এটি কারো নিয়ন্ত্রণে নেই। এই চ্যালেঞ্জগুলো থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ নিউ জিল্যান্ডে সিরিজ জিততে বদ্ধপরিকর হবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস তার।
নিউ জিল্যান্ডে আগের সফরগুলোর কথা স্মরণ করে, শান্ত সাদা বলে সিরিজ জয় করতে না পারার আক্ষেপের কথা স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত
তবে বর্তমান দলের সক্ষমতা নিয়ে আশাবাদী তিনি।
শান্ত বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই দলের কাছে নিউ জিল্যান্ডকে তাদের ঘরের মাঠে হারানোর প্রয়োজনীয় সামর্থ্য আছে। আমরা সবাই বিশ্বাস করি এবার আমাদের ভিন্ন ফলাফল হবে।’
সিরিজে সৌম্যকে অন্তর্ভুক্ত করা বাংলাদেশের কৌশলে একটি উল্লেখযোগ্য মাত্রা যোগ করেছে।
শান্ত সৌম্যের ভূমিকার কথা, বিশেষ করে সাকিবের অনুপস্থিতিতে তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
শান্ত ব্যাখ্যা করেছেন, ‘যেহেতু সাকিব এই সিরিজে নেই, তাই সৌম্যর বোলিং আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। টিম ম্যানেজমেন্ট এই বিষয় বিবেচনা করে তাকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।’
এই সিরিজের আগে নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশ আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫ তে ১৭টি ওয়ানডেতে ম্যাচে স্বাগতিক ও স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল। এর মধ্যে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুধু একটি জয় পেয়েছিল।
আশা করা হচ্ছে আসন্ন সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে তাদের আখ্যান নতুন করে লেখার সুযোগ করে দেবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা