কিন্তু গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে বাজেভাবে হার এবং সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে হারের কারণে চিন্তার ভাজ পড়ে টাইগার শিবিরে।
ফাইনাল খেলা নিয়ে শংকায় পড়া বাংলাদেশ সুপার ফোরের পরপর দুই ম্যাচে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানকে হারিয়ে আগের দুই আসরের ফাইনালিস্টের মতোই ফিরে আসে।
দুবাইয়ে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় ফাইনালে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের মুখোমুখি হবে মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
কাগজে-কলমে ভারত অনেক শক্তিশালী। অন্যদিকে বাংলাদেশ শিবিরে রয়েছে ইনজুরির মিছিল। ইনজুরির কারণে দলে নেই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। তার অভাব পুরো টুর্নামেন্টেই ভালোভাবেই টের পেয়েছে বাংলাদেশ।
এখন পর্যন্ত ওপেনিংয়ে ভালো কিছু করে দেখাতে পারেনি তার বদলী হিসেবে খেলতে নামা ব্যাটসম্যানরা। প্রথমে নাজমুল হোসেন শান্তকে দিয়ে চেষ্টা করা হলেও তিন ম্যাচের কোনোটিতেই দুই অংকের ঘর ছুঁতে পারেননি তিনি।
অন্যদিকে সৌম্য সরকারকে সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নামানো হয়। তিনিও আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হন। এদিকে ইনজুরির কারণে দলে নেই অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
এতো সমস্যার মধ্যে থাকা বাংলাদেশ দলকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না ভারতের সহঅধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। কারণ তিনি জানেন, টাইগার দলে রয়েছেন এমন কিছু অভিজ্ঞ ও তরুণ তুর্কী যারা যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন।
এই আসরে দুর্দান্ত খেলছেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। শ্রীলংকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে দলের বিপর্যয়ে হাল ধরে খেলেন ৯৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। এছাড়া টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মাদ মিঠুনও রয়েছেন দারুণ ছন্দে। দলের প্রয়োজনে যার ব্যাট সব সময় কথা বলে সাইল্যান্ট কিলার খ্যাত ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও আছেন ফর্মে। বল হাতেও তার কারিশমা দেখিয়েছেন।
বল হাতে মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান এবং অধিনায়ক মাশরাফি তো রয়েছেনই।
ধাওয়ানের কথায়, ‘যদিও পাকিস্তান ফাইনালে নেই, কিন্তু এটা আমাদের কোনো পরিবর্তন আনবে না।’ ‘আমরা বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিচ্ছি না। আমি মনে করি তারা দারুণ ছন্দে রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ সব দিক দিয়ে উন্নতি করেছে।’