করোনা মহামারিতে কোয়ারেন্টাইনে থাকায় বিশেষ দিনটি একাই কাটাতে হচ্ছে ফুটবল মাঠের নব্বই মিনিটের জাদুকরকে।
আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস প্রদেশের লানুস শহরের এক দরিদ্র পরিবারে ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর জন্ম হয় ম্যারাডোনার। বাবা-মায়ের তিন কন্যা সন্তানের পর জন্ম হওয়া ম্যারাডোনা বেড়ে ওঠেন ভিয়া ফিওরিতোতে। শৈশবেই ফুটবলের প্রেমে পড়েন তিনি।
মাত্র আট বছর বয়সে আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের যুব দলে যোগদান। জাদুকরী পায়ের নৈপুণ্যে ফুটবল সংগঠকদের নজরে আসতে বেশি সময় লাগেনি তার। তারপর বোকা জুনিয়র্সকে আর্জেন্টাইন লিগ জিতিয়ে মাত্র ২১ বছর বয়সেই কাতালান জায়ান্ট বার্সেলোনায় নাম লেখান ম্যারাডোনা।
আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের হয়ে ১৯৭৭ সালে অভিষেক হয় ম্যারাডোনার। ১৯৮৬ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে অনেকটা একক প্রচেষ্টায় আর্জেন্টিনাকে স্বপ্নের বিশ্বকাপ জেতান তারকা এ ফুটবলার। বিশ্বকাপের ওই আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করা তার গোলটিকে ‘হ্যান্ড অব গড গোল’ বা শতাব্দীর সেরা গোল হিসেবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। পরের ১৯৯০ বিশ্বকাপেও আর্জেটিনাকে ফাইনালে তুলে নিয়ে এসেছিলেন ফুটবলের জীবন্ত এ কিংবদন্তী। পরে ডোপ টেস্টে পজেটিভ হলে ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা খড়গ নেমে আসে তার ওপর। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরে এলেও ম্যারাডোনাকে তার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসতে দেখা যায়নি।
কিছু শিরোপা আর ফুটবলের চোখ ধাঁধানো সব মুহূর্ত উপহার দেয়া এ আর্জেন্টাইনের ক্যারিয়ারের ভালো মুহূর্তগুলো মূলত ১৯৯৪ বিশ্বকাপেই শেষ হয়ে যায়। ফুটবলকে বিদায় জানানোর আগে ২১ বছরের ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা ৬৭৯ ম্যাচে ৩৪৬ গোল করেছেন।
খেলোয়াড় জীবনের পরবর্তী সময়ে কোচ হিসেবে আর্জেন্টিনা দলের দায়িত্ব নেন ম্যারাডোনা। তবে কোচিংয়ে ততটা সফল হতে পারেননি ফুটবলের এ জাদুকর।