অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মাদ রেজা নাফার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক আজাদ রহমান।
প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ইরানি ভিজিটিং প্রফেসর ড. কাযেম কাহদুয়ী।
অনুষ্ঠানে গজলশিল্পীদের সাথে সুরের মূর্ছনায় মঞ্চ মাতান বিশিষ্ট বংশীবাদক আরিফুর রহমান।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাহিত্য ও সংগীত অনুরাগীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত রেজা নাফার বলেন, বাংলার ব্যাপারে হাফিজের বিশেষ ভালোবাসা ছিল। ‘আমরা গর্ববোধ করছি যে বাংলাদেশের অনেক মানুষের সাথে ফারসি সম্পর্ক রয়েছে। তারা হৃদয়ে ফারসিকে সংরক্ষণ করেছেন।’
বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২ হাজার ছাত্রছাত্রী ফারসি ভাষায় শিক্ষালাভ করছেন বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আজাদ রহমান বলেন, হাফিজের জন্ম ১৩১৫ সালে। আর তিনি মারা গেছেন ১৩৯০ সালে। ‘অর্থাৎ প্রায় ৭০০ বছর ধরে তার রচনা আমাদের মধ্যে রয়েছে। তিনি অসাধারণ গজল রচনা করেছেন। সাদীর হাত ধরে গজল এসেছে আর হাফিজ প্রচুর মিষ্টি গজল রচনা করেছেন।’
প্রেমের বাণী শোনানো হাফিজকে কেবল বাংলা বা উপমহাদেশের জন্য নয়, বরং সারা বিশ্বের জন্য প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।