সম্প্রতি প্রয়াত শিল্পস্রষ্টা কালিদাস কর্মকারকে উৎসর্গ করা ২২ দিনের এ প্রদর্শনী মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে গ্যালারি কসমসে শুরু হয়েছে।
গ্যালারি কসমসের পরিচালক তাহমিনা এনায়েত, নির্বাহী সহকারী পরিচালক রুমেসা মেইলক্স, কসমস গ্রুপের পরিচালক মাসুদ জামিল খান, ড্রাগন সেঞ্চুরি (সিঙ্গাপুর) এর পরিচালক অ্যালেইন ড্যামব্রন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের সভাপতি ড. মিজানুর রহমান ফকির ও শিল্পী আফরোজা জামিল কঙ্কা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
তাহমিনা এনায়েত বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো এ ধরনের প্রদর্শনীর উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রাচ্যকলার উত্থানের জন্য নতুন সুযোগ করে দেয়া।’
কালিদাস কর্মকারের স্মৃতিচারণ করে মাসুদ জামিল খান বলেন, ‘আমাদের প্রিন্টমেকিং স্টুডিও কসমস-আতেলিয়ার৭১ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কালিদাস কর্মকারের দিকনির্দেশনায়। তিনি ছিলেন একজন কিংবদন্তি শিল্পী ও দেশের প্রাচ্যকলার আজীবনের শুভাকাঙ্ক্ষী এবং সেই সাথে কসমস গ্যালারির জন্য এক দেবদূত।’
এ প্রদর্শনী আয়োজনের জন্য গ্যালারি কসমসকে ধন্যবাদ জানান ড. মিজানুর রহমান ফকির।
অনুষ্ঠানে কালিদাস কর্মকারের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রদর্শনীতে ২৫ জন শিল্পীর ২৫টি প্রাচ্যের শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে।
অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন- নাছরিন বেগম, ইলহাম হক খুকু, রুবিনা আক্তার, আফরোজা জামিল কঙ্কা, নাসিমা খানম, দিলরুবা লতিফ রোজি, ত্রিবেদী গোপাল চন্দ্র, ড. মিজানুর রহমান ফকির, ড. সুশান্ত কুমার আধিকারী, মো. আবদুল আজিজ, ফাহমিদা খাতুন, মলয় বালা, কান্তিদেব অধিকারী, জাহাঙ্গীর আলম, সুমন বৈদ্য, মো. নাজমুল হক বাপ্পী, ইস্কিন্দার মির্জা, তানজিমা তাবাসসুম এশা, অমিত নন্দি, মো. নাজমুল হাসান, নাহিদা নিশা, একেএম গোলাম উল্লা নিশান, সামিনা জামান, শাহনাজ আক্তার পিঙ্কি এবং ফাহমিদা হক মাহি।
প্রদর্শনী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।