সরকার মাতৃমৃত্যুর হার অনেকাংশে হ্রাস করতে পেরেছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্যকে সামনে রেখে, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বৃদ্ধি, গর্ভকালীন জটিলতার ব্যবস্থাপনা ও প্রয়োজনীয় জরুরি প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘ডিমান্ড সাইড ফাইনান্সিং মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কিম’ চালু করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
দেশের প্রতিটি হাসপাতালেই মাতৃপ্রসূতির ব্যবস্থা করেছে সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৫৯টি জেলা হাসপাতাল, ৬৮টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ১৩২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সমন্বিত জরুরি প্রসূতি সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মাতৃস্বাস্থ্য সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি বছর ২৮ মে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’ পালনের ঘোষণা দেন। এরথেকে দেশে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
বর্তমান সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনবল নিয়োগ, নতুন হাসপাতাল নির্মাণ, শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ঔষধপত্র সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলেন জানান তিনি।
‘জাতিসংঘের সাধারণ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ৩ হাজার জন প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ (ধাত্রী) তৈরির লক্ষ্যে মিডওয়াফারি চালু করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৬শ’ নার্স ছয় মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে সার্টিফাইড মিডওয়াইফ এর সনদ পেয়েছেন। এরা সবাই উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করছেন,’ যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আসাদূল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।