তিনি আশা প্রকাশ করেন, নিজেদের মধ্যকার সহযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও বেঁচে থাকা এবং জীবনমানের উন্নতির বিভিন্ন বিষয়ে শিখতে ও এক সাথে কাজ করতে সহযোগিতা করবে।
গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশন (জিসিএ)-এর ভার্চুয়াল কনসাল্টেশন সভায় বৃহস্পতিবার বক্তব্য দেন ড. মোমেন।
ঢাকার দক্ষিণ এশিয়ার জিসিএর আঞ্চলিক কার্যালয়ের কৌশলগত নীতি নির্ধারণ এবং চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়েছিল।
ড. মোমেন ঢাকায় জিসিএর আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সমর্থন দেয়ায় তাদের প্রশংসা করেন।
প্যারিস চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক অভিযোজন লক্ষ্য ও অংশীদারিত্বকে শক্তিশালীকরণে জিসিএকে অবদান রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
অভিযোজন বিষয়ে বাংলাদেশের অর্জিত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জিসিএ এবং সিভিএফ উভয়ের পাশে থাকার ব্যাপারে বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তৈরি হওয়া বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে সবচেয় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চল হলো দক্ষিণ এশিয়া এবং এর প্রভাব মোকাবিলায় বৃহত্তর ও ব্যাপক অভিযোজনমূলক ব্যবস্থা নেয়া না হলে অত্র অঞ্চলের সব দেশের মাথাপিছু জিডিপি ক্ষতির মুখোমুখি হবে।
এর কার্যক্রমকে গতিশীল রাখতে ‘গ্লোবাল হাব অন লোকালি লিড অ্যাকশন’ গড়ে তোরার আহ্বান জানান ড. মোমেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনও এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য জিসিএর অগ্রাধিকারের উপর জোর দিয়েছেন।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের ফোকাল পয়েন্টস এবং বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউকেএফসিডিও এবং জাইকার মতো বিভিন্ন উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতিনিধিরা এ আলোচনায় অংশ নেন এবং এ লক্ষ্যে জিসিএ ঢাকা কার্যালয়কে বিস্তৃত কর্মসূচি নেয়ার সুপারিশ করেন।