দক্ষিণ এশিয়া
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তঃসম্পর্ক জোরদারে এফএও মহাপরিচালকের গুরুত্বারোপ
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক ড. চু ডংইউ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম কর্তৃক জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে ড. চু ডংইউ এসব মন্তব্য করেন।
তিনি দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার আওতায় বাংলাদেশকে সুবিধা গ্রহণ এবং দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ার দেশসমূহের সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের আন্তঃসম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে এফএও ও ইআরডির ৪ প্রকল্প চুক্তি সই
রাষ্ট্রদূত ইসলাম এফএও-এর স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার জন্য এবং বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত এফএও-কে আরও দক্ষ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মহাপরিচালকের গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
৪৫ বছরের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে, কৃষি পরিবেশ, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এফএও-এর প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা স্থায়ী প্রতিনিধি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যা কবলিত কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করল এফএও
রাষ্ট্রদূত ইসলাম কান্ট্রি প্রোগ্রামিং ফ্রেমওয়ার্ক ২০২২-২০২৬ এর আলোকে বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য এফএও-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এফএও সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি ‘কাউকেই বাদ দেওয়া হবে না’ এর ভিত্তিতে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূলে আগামী দিনে বাংলাদেশ এবং এফএও উভয়েই একত্রে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আল আমিন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মিস আয়েশা আক্তার, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মো. আশফাকুর রহমান এবং এফএও-র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এফএও'র নতুন প্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন ড. শি
৯ মাস আগে
বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার যাত্রা শুরু
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে কর্মরত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের ঐক্য সংগঠন বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম) আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
প্রাথমিক কার্যক্রম শুরুর এক বছর পর শনিবার (২২ জুলাই) থেকে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার অন্যতম কণ্ঠস্বর হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করা, বাংলাদেশের সাংবাদিকতার পেশাগত উন্নতি সাধন এবং সাংবাদিকদের সামগ্রিক সামাজিক নিরাপত্তা ও ক্রান্তিকালে জরুরি আর্থিক সহায়তা নিশ্চিতে কাজ - এই তিনটি প্রাথমিক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিজেআইমের প্রতিষ্ঠা।
আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ এবং কার্যক্রম শুরুর এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিজেআইএম ২২ জুলাই থেকে ধানমণ্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে ‘থার্ড আই: উইটনেসিং আওয়ার টাইম’- শিরোনামে একটি সপ্তাহব্যাপী চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
একই সঙ্গে 'থার্ড আই’ নামক একটি স্যুভেনির ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হয়। ম্যাগাজিনটিতে সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে বিভিন্ন দল, মত, সংগঠন ও সাংবাদিকদের লেখা ও ছবি থাকছে। প্রদর্শনীটি সকলের জন্য উন্মুক্ত।
আরও পড়ুন: উন্নত সাংবাদিকতার লক্ষ্যে ইএমকে-বিজেএস ফেলোশিপ চালু
এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন ২০১৭ সালে রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারানো সমকাল পত্রিকার সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলের স্ত্রী নুরুন নাহার খাতুন ও তার দুই ছেলে-মেয়ে।
অনুষ্ঠানে নুরুন নাহার খাতুন আজও তার স্বামী হত্যার বিচার না পেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি সমাজের প্রতি সাংবাদিক সমাজের দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনারা আপনাদের কলম থামাবেন না।’
বিজেআইএমের আয়োজনের অংশ হিসেবে আগামী ২৫, ২৭, ২৮ ও ২৯ জুলাই আলিয়ঁস ফ্রঁসেজেই সমসাময়িক বিষয় নিয়ে চারটি প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।
সেগুলোয় আলোচক হিসেবে থাকবেন বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মুন্নী সাহা, আল-মাসুম মোল্লা, ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদ, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, সাইমুম রেজা তালুকদার, সম্পাদক নুরুল কবীর, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আয়েশা কবীর, বিকেএমইএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, অধ্যাপক শাহাব এনাম খানসহ আরও অনেকে।
আলোচনায় স্বতঃস্ফূর্ততা ও অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্যানেলগুলো অফ-দ্য-রেকর্ড রাখা হয়েছে। প্যানেলে অংশগ্রহণ করতে চাইলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, নির্দেশনা বিজেআইএমের ফেসবুক পেইজে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৯ পেলেন সাংবাদিক-লেখক শাহনাজ মুন্নী
সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নতির জন্য বিজেআইএম ইতোমধ্যে এডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টারের ব্যক্তিপর্যায়ে স্মল গ্রান্ট ফাণ্ডের মাধ্যমে ৪০ জন পেশাদার সাংবাদিকের জন্য একটি ফেলোশিপ পরিচালনা করছে। সাংবাদিকতার জরুরি সাতটি বিষয় নিয়ে সিনিয়র সাংবাদিক-প্রশিক্ষকরা সেখানে প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন।
বিজেআইএমের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হিসেবে রয়টার্সের সাংবাদিক স্যাম জাহান এবং সদস্য সচিব হিসেবে আল জাজিরার সাংবাদিক ফয়সাল মাহমুদ বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন।
পেশাদার সাংবাদিকদের এই সংগঠনটির নির্বাহী সদস্য হিসেবে আছেন ইরাবতী পত্রিকার মুক্তাদির রশিদ, ইপিএ ফটো সংস্থার মনিরুল আলম, গার্ডিয়ান পত্রিকার রেদওয়ান আহমেদ, ও বার্তা সংস্থা এএফপির মুহাম্মদ আলী মাজেদ।
সংগঠনটির অন্য সদস্যরা হলেন আল-জাজিরার তানভীর চৌধুরী, এএফপি ব্যুরো প্রধান শফিকুল আলম, নিউইয়র্ক টাইমসের সাইফ হাসনাত, এএফপি ফ্যাক্টচেক সম্পাদক কদরউদ্দিন শিশির, আল জাজিরা প্রযোজক সোলায়মান হোসেন শাওন, বেনার নিউজের শরীফ খিয়াম, এএফপি ফটোসাংবাদিক মুনীর উজ জামান, ডয়চে ভেলে একাডেমির প্রশিক্ষক মাকসুদা আজিজ, আনাদলু এজেন্সির নাজমুস সাকিব রাফসান, টিআরটি ওয়ার্ল্ড-এর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, আরব নিউজের শিহাব সুমন, চায়না ডেইলি অনলাইনের উপ-সম্পাদক শামীম আশরাফ, ম্যাট্রিক্স ইমেজের ফটোসাংবাদিক আবীর আবদুল্লাহ, সোপা ইমেজ এর ফটোসাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন, থার্ড পোলের রফিকুল ইসলাম মন্টু, ব্লুমবার্গ সাংবাদিক নাজমুল আহসান, জুমা প্রেসের ফটোসাংবাদিক কেএম আসাদ এবং এএফপিতে কাজ করা শামসুদ্দিন ইলিয়াস।
আরও পড়ুন: ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১১ সাংবাদিক
১ বছর আগে
স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩: দক্ষিণ এশিয়ায় ইউএস-বাংলার অনন্য স্বীকৃতি
স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ এ বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি বিমানসংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দক্ষিণ এশিয়ার এয়ারলাইনগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে।
২০১৪ সালের ১৭ জুলাই যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশের বিমান পরিবহন শিল্পে একের পর এক অনন্য নজির স্থাপন করে চলেছে। অর্জন করেছে বিভিন্ন সাফল্যের মাইলফলক।
স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন স্টার রেটিং ১৯৯৯ সালে শুরু হয়েছিল এবং এটি মানসম্পন্ন অর্জনের মর্যাদাপূর্ণ, দীর্ঘতম প্রতিষ্ঠিত ও অনন্য চিহ্ন এবং এয়ারলাইন এক্সিলেন্সের একটি বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক, পেশাদার অডিট বিশ্লেষণ ও এয়ারলাইন পণ্য এবং ফ্রন্ট-লাইন সেবার মানগুলোর মূল্যায়নের পরে পুরস্কৃত করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্যাংকক ভ্রমণে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আকর্ষণীয় প্যাকেজ
এয়ারলাইন স্টার রেটিংগুলো অডিট অফিস দ্বারা একটি এয়ারলাইনের মানের মানের বিশদ, পেশাদার বিশ্লেষণের পরে প্রদান করা হয়। মানগুলোর একটি সাধারণ রেটিং ৫০০ থেকে ৮০০টির মধ্যে পণ্য এবং সেবা মূল্যায়ন আইটেমের বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে। এটি এয়ারলাইনের এয়ারপোর্ট সেবা এবং সমস্ত প্রযোজ্য কেবিন এয়ারক্রাফট-এর ওপর ভিত্তি করে অনবোর্ড স্ট্যান্ডার্ডগুলোকে বিবেচনা করে থাকে৷
১৯৯৯ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী এয়ারলাইনের সেবা ও মানের ওপর অ্যাওয়ার্ড দেয় স্কাইট্র্যাক্স। স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ডসের জন্য কোনো এয়ারলাইনকে আবেদন করতে হয় না, কোনো ফি দিতে হয় না, বিজয়ী এয়ারলাইন্সকে পুরস্কার ইভেন্টে যোগদানের জন্য কোনো অর্থও দিতে হয় না। আর এসব কারণে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ডসকে বলা হয় ‘এভিয়েশন শিল্পের অস্কার’।
আরও পড়ুন: শাহ আমানতে নেপাল এয়ারলাইন্সের জরুরি অবতরণ
মালদ্বীপে বাংলাদেশের সেরা এয়ারলাইন্স এর পুরস্কার পেল ইউএস-বাংলা
১ বছর আগে
শত দেশের হাজার চলচ্চিত্র নিয়ে ৩য় সিনেমাকিং চলচ্চিত্র উৎসব ফেব্রুয়ারিতে
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মর্যাদাবান সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (সিআইএফএফ) ৩য় অধিবেশন ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার সিআইএফএফ প্রতিষ্ঠাতা ও উৎসব পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, উৎসবটি হওয়ার কথা ছিলো ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে, পরবর্তীতে সময় পরিবর্তন করা হয়।
মনজুরুল ইসলাম মেঘ বলেন, ৩য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শতদেশের হাজার চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা করছে, ১০০০ চলচ্চিত্রের প্রযোজক ও পরিচালককে ইতোমধ্যেই আমরা ইমেইলের মাধ্যমে সিলেকশনের বিষয়ে নিশ্চিত করেছি।
মেঘ আরও জানান, বিভিন্ন দেশের ডেলিগেটরা এইবার অংশগ্রহণ করবে, সেইভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। পৃথিবীর বড় বড় উৎসবের পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো আমাদের উৎসবে জমা পড়েছে, আমরা সে সব চলচ্চিত্র সেন্সর করে বাংলাদেশের দর্শকদের দেখাতে চাই। এই অধিবেশনের আয়োজনটা বড়, এর আগে এশিয়া মহাদেশের কোন চলচ্চিত্র উৎসবে হাজার চলচ্চিত্র সিলেকশন হয়নি। আমরা এই রেকর্ড গড়তে চাই। তাই সুন্দর আয়োজনের জন্য আমাদের কিছু বাড়তি সময় প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ২য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ১২১টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিলো। সিআইএফএফ অধিবেশন দক্ষিণ এশিয়ায় অনুষ্ঠিত উৎসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেশ অংশগ্রহণ করা চলচ্চিত্র উৎসবের রেকর্ড গড়ে এবং বাংলাদেশে সর্বকালে সবচেয়ে বেশি দেশের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক উৎসবের খেতাবপ্রাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: কসমস ফাউন্ডেশনের প্রদর্শনীতে আলেকজান্দ্রু পোটেকা ও নিপার শিল্পকর্ম
উৎসব পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ জানিয়েছেন, দেশের সবচেয়ে বড় মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়ন করায় ৩য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব উৎসর্গ করা হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। এই উৎসবের মাধ্যমে শতাধিক দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলীদের কাছে পদ্মা সেতু তুলে ধরা হবে। এইবার উৎসবের থিম সাজানো হয়েছে পদ্মা সেতু।
উৎসব পরিচালক জানান, ২য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে চারটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এইবারের উৎসবে আন্তর্জাতিক সেমিনারের পাশাপাশি, মাস্টারক্লাস, ওপেন ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও আগামী মার্চ মাস থেকে নিয়মিত প্রত্যেক মাসে আট বিভাগে আটটি বিভাগীয় চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র নিয়ে স্পেশাল উৎসব।
উল্লেখ্য, বাংলা চলচ্চিত্র সারাবিশ্বে পরিচিত করতে এবং বিভিন্নি দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশের দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দিতে ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে ২০২০ সালে থেকে নিয়মিতো এই উৎসবের আয়োজন করে আসছে ঢাকা ফেস্টিভাল।
১ম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২০ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে উৎসর্গ করা হয়েছিলো।
২য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১ এ বিশ্বের ১২১ টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিলো, উৎসর্গ করা হয়েছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের’।
আরও পড়ুন: আলোকচিত্র প্রদর্শনী 'প্রত্যাশা: অভিবাসীদের আশা' শুরু মঙ্গলবার
ঢাকায় ১৯তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনালের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
হালদা নদীতে বিপন্ন ডলফিন, রক্ষার উদ্যোগ নেই
দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র চট্টগ্রামের হালদা নদী। বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ নামেও পরিচিত প্রকৃতির বিস্ময়কর সৃষ্টি ‘হালদা নদী’ বিশ্বের একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী, যেখান থেকে সরাসরি রুই জাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়।
এই হালদায় বসবাসকারী গাঙ্গেয় ডলফিন (প্লাটানিস্টা গাঙ্গেটিকা) বাংলাদেশের একটি বিপন্ন প্রজাতির স্বাদু পানির স্তন্যপায়ী প্রাণি। হালদা নদীকে ডলফিনের ‘অভয়াশ্রম’ হিসেবেই ধরা হয়। অথচ এই অভয়াশ্রমই অনিরাপদ হয়ে উঠেছে ডলফিনের জন্য। পাঁচ বছর ধরে এই নদীতে প্রাণ হারাচ্ছে মিঠাপানির অতি বিপন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীটি।
স্থানীয় ভাষায় উতোম কিংবা শুশুক নামে পরিচিত মিঠাপানির এই প্রাণী হচ্ছে গাঙ্গেস বা গাঙ্গেয় ডলফিন। সাধারণত দূষণমুক্ত পরিষ্কার পানিতে গাঙ্গেয় ডলফিনের বিচরণ। কিন্তু মানবসৃষ্ঠ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের প্রভাবে হালদার জলজ পরিবেশ ডলফিনের জন্য ক্রমশ অনিরাপদ হয়ে উঠছে যা পরিবেশ ও হালদা জন্য সামগ্রিক অশনিসংকেত বলে মনে করছেন হালদা বিশেষজ্ঞরা।
আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট সাত প্রজাতির ডলফিন পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রধান গাঙ্গেয় ডলফিন। তবে দেশে বিপন্ন প্রাণী হিসেবে আইইউসিএনের লাল তালিকাভুক্ত এটি। স্তন্যপায়ী এই প্রাণীটি সাধারণত দেশীয় মিঠা পানির নদীতে পাওয়া যায়।
হালদা বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) লাল তালিকাভূক্ত (অতি বিপন্ন প্রজাতি) জলজ প্রাণী হলো ডলফিন। বিশ্বের বিভিন্ন নদীতে বিপন্ন প্রজাতির ডলফিন আছে মাত্র এক হাজার ১০০টি। এর মধ্যে শুধু হালদাতেই ছিল ১৭০টি। গত চার বছরে হালদায় ৩৯টি ডলফিন মারা গেছে। এর মধ্যে চলতি বছরে প্রাপ্ত মৃত ডলফিনের সংখ্যা ৬ টি। এরমধ্যে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত তিনটি উদ্বার করা হয়েছিল গত জুলাই মাসে।
আরও পড়ুন: ফেনীর অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন বছরের পর বছর ধরে বাক্সবন্দী
সর্বশেষ মৃত ডলফিনটি (৩৯ তম) উদ্ধার করা হয়েছে গত ৩রা নভেম্বর-২০২২। হাটহাজারীর পুরাতন হালদা নদীর দক্ষিণ বাড়িঘোনা উত্তর মসজিদের পাশে খালের ধারে আটকে ছিল। উদ্ধার করা ডলফিনটির শরীরের বিভিন্ন অংশ পচে যাওয়ায় মৃত্যুর কারণ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। একের পর এক এ জলজ প্রাণীর মৃত্যু হলেও যেন দেখার কেউ নেই।
হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলামের মতে প্রতিনিয়ত হালদা নদী ও এর শাখাখালের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন ধরনের জাল,বঁড়শি ও বিষ ব্যবহার করে অবৈধভাবে মাছ ধরা হচ্ছে। এসব অবৈধজাল হালদায় ডলফিন মৃত্যুর অন্যতম কারণ। পাশাপাশি ডলফিনের বয়সবৃদ্ধি, খাদ্যের অভাব, দুষণ, পানির গুণাবলি পরিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পৃক্ত। হালদার বাস্ততন্তুকে ডলফিনের নিরাপদ আবাসস্থল করতে প্রশাসনের পাশাপাশি হালদা সম্পৃক্ত সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি সূত্র জানা গেছে, নৌযানের প্রপেলার, বালু–পাথর পরিবহনের ইঞ্জিনচালিত নৌকা–বাল্কহেড ও বালু তোলার যন্ত্র ড্রেজারের আঘাত, দূষণ, লবণাক্ততা এবং জালে আটকে ডলফিন মারা যাচ্ছে।
তারা জানায়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯টি ডলফিন মারা গেছে।
২ বছর আগে
বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প থেকে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া উপকৃত হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে; ২০১৫ সালে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী অর্থনীতি রয়েছে।
তিনি বলেন, গত এক দশকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মা সেতু, রেল সংযোগ, পায়রা সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু প্রকল্প, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এবং আরও অনেক মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। এসব প্রকল্প থেকে শুধু বাংলাদেশই লাভবান হবে না, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া উপকৃত হবে।
শুক্রবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের বারানাসির ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন সেন্টারে ‘পিএম গতি শক্তি মাল্টিমোডাল ওয়াটারওয়েজ সামিট-২০২২’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ এবং আয়ুর্বেদ, ইয়োগা ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানী, সিদ্ধাহ, হোমিওপ্যাথি (এ ওয়াই ইউ এস এইচ-আয়ুষ) মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১১-১২ নভেম্বর-২০২২ ভারতের উত্তরপ্রদেশের ভারানাসিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ এবং আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সরবানান্দ সনোয়ালের আমন্ত্রণে প্রতিমন্ত্রী সম্মেলনে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর রিজিওনাল শিপিং হাব-এ পরিণত হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে সংযুক্ত থাকতে চাই। সড়ক, নৌ ও আকাশ পথের মাধ্যমে আমাদের যোগাযোগ আরও শক্তিশালী হবে। আমরা বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংযোগ প্রকল্প-১ গ্রহণ করেছি। এর মাধ্যমে আমরা সাব-রিজিওনে একটি নির্বিঘ্নে যোগাযোগ করতে পারব। সে লক্ষ্যে আমরা ট্রান্সশিপমেন্ট, ট্রানজিট এবং সব ধরনের পণ্য ও কার্গোর আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য শুরু করেছি।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) এর অধীনে বাংলাদেশ-ভারত নৌপথে বাণিজ্য শুরু হয়েছিল। পিআইডব্লিউটিটি’র অধীন ১০টি রুট চালু রয়েছে; যার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য সমৃদ্ধ হয়। ভবিষ্যতে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য আমাদের নদীপথগুলোকে আরও কাজে লাগানোর অপেক্ষায় আছি। আমাদের দেশে অধিকাংশ এলাকায় রেলপথ রয়েছে। ভারতে বিশ্বের দীর্ঘতম রেলপথ রয়েছে। আমরা আমাদের সকল উৎস থেকে বেনিফিট পেতে চাই এবং সেজন্য দক্ষ ও টেকসই যোগাযোগের পথ প্রশস্ত করতে চাই।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা তিনি কৃতঞ্জচিত্তে স্মরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমাদের দেশের শরণার্থীদের সাহায্য ও সহযোগিতার জন্য ভারতের জনগণের প্রতি কৃতঞ্জতা জানান। তিনি ৩০ লাখ বাঙালি শহীদ ও ভারতের সৈনিকদের সর্বোচ্চ ত্যাগের কথা স্বীকার করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারতের বস্ত্র, বাণিজ্য, শিল্প, কনজ্মুার্স অ্যাফেয়ার্স, খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রবিউশন মন্ত্রী পিযুষ গোয়াল, ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ এবং আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সরবানান্দ সনোয়াল, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ, ভারতের বন্দর, নৌ ও জলপথ সচিব ড. সঞ্জীব রঞ্জন, ভারতের ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় বন্দোপাধ্যায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ভারতের ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় বন্দোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি ১২ নভেম্বর সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ: ফোকাস অন রিজিওনাল কানেক্টিভিটি’- বিষয়ক বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণাঞ্চলে আরেক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক মানের নদীবন্দর স্থাপন করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানায় নৌ চলাচল ব্যাহত: সীমাহীন দুর্ভোগে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানার জন্য যানজটের কারণে রবিবার থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং চলমান এসএসসি টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা সময়মতো যেতে পারছে না পরীক্ষা কেন্দ্রে।
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের কাপ্তাই উপজেলার জেটিঘাট, শহীদ শামসুদ্দিন ঘাঁট, বিলাইছড়ি উপজেলার কেংড়াছড়ি, বিলাইছড়িসহ হ্রদের অনেক স্থানে তীব্র কচুরিপানার যানজটে পণ্য পরিবহন ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
এছাড়া সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে কাপ্তাই হ্রদের আশেপাশে বসবাসকারী শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীরা।
পরীক্ষার্থী আনন্দ তনচংগ্যা, সুবির চাকমা, মিনতি চাকমা জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও কাপ্তাই হ্রদে ধেয়ে এসেছে কচুরিপানার জঞ্জাল। মাত্র তিন মিনিটের গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগছে তিন ঘন্টা। আবার মাঝপথে ইঞ্জিন চালিত বোট বা লঞ্চের তেল ফুরিয়ে বিপাকে পড়ছি আমরা।
নৌযান চালক শাহ আলম ও দুলাল জানান, কচুরিপানা যানজট পাড়ি দিতে গিয়ে ইঞ্জিনের পাখা ভেঙ্গে সীমাহীন দুর্ভোগে ভুগতে হচ্ছে আমাদের। গত এক সপ্তাহ যাবৎ কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন এলাকা থেকে কচুরিপানা আপস্টিম জেটিগেটে এসে জড়ো হচ্ছে। যার ফলে আইল্যান্ড এলাকা থেকে জেটিঘাট ২ থেকে ৩ মিনিটের জায়গায় পৌঁছাতে নৌযানের সময় লাগছে ২ থেকে ৩ ঘন্টা।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, কক্সবাজারের জেলেদের মুখে হাসি
২ বছর আগে
আজ মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু
দীর্ঘ তিন মাস ১৭ দিন বন্ধ রাখার পর বুধবার (১৭ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে বৃহত্তর কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ। কার্প জাতীয় মাছের বংশবিস্তারের লক্ষ্যে প্রতিবছর তিন মাসের জন্য পহেলা মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ থাকে। তবে এবছর কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানির অভাবে মাছের বংশবিস্তার সুষ্ঠুভাবে না হওয়ায় মাছ আহরণের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ১৫ দিন বৃদ্ধি করে জেলা প্রশাসন।
এদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর বুধবার মধ্যরাত থেকে জেলেরা মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। রাতেই জেলেরা হ্রদে মাছ শিকার করে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) জেলার সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণ ঘাটে মাছ নিয়ে যেতে শুরু করবে। এই নিয়ে জেলেদের কর্মচাঞ্চল্য বেড়েছে বিএফডিসি ঘাটে।
ব্যবসায়ীদের আশা করছে, এবছর আশানুরূপ মাছ শিকার করা সম্ভব হবে। নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার খবরে জেলেদের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি। তাই জেলে পলল্লীগুলোতে চলছে মাছ ধরার সব ধরনের প্রস্তুতি।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন রাঙ্গামাটির ব্যবস্থাপক লে.কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানান, কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রজনন ও কার্প জাতীয় মাছের বংশ বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস মাছ শিকার ও বাজারজাত বন্ধ থাকে। কিন্তু এ বছর পাহাড়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় হ্রদের পানি বাড়েনি। তাই মাছের ডিম ছাড়ার সুবিধার্থে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা আরও ১৫ দিন বাড়ানো হয়। তবে বর্তমানে হ্রদে পানির পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ছে। এতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে ১৭ আগস্ট বুধবার থেকে আহরণ শুরু হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গত বছর কাপ্তাই হ্রদ থেকে ১৭ হাজার ৮৭০ মেট্রিক টন মৎস্য আহরিত হয়, সেখান থেকে রাজস্ব আদায় হয় ১১ কোটি ৬৮ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা। ২০২২ সালে পোনা অবমুক্ত করা হয় ৬৪ মেট্রিক টন। প্রত্যাশিত পরিমাণে মাছ আহরণের মাধ্যমে গতবারের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মাছ ধরা শুরু, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পেয়ে খুশি বরগুনার জেলেরা
বন্যায় ভেসে গেছে ৮ কোটি টাকার মাছ-চিংড়ি-কাঁকড়া
২ বছর আগে
হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ, রেকর্ডের সম্ভাবনা
দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ।
মঙ্গলবার রাত ১২ টার পর হালদা নদীর কাগতিয়ার মুখ থেকে গড়দুয়ারা নয়াহাট পর্যন্ত বিভিন্ন নৌকার ডিম সংগ্রহকারীরা ‘নমুনা ডিম’ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, মঙ্গলবার কয়েক দফা বৃষ্টি হওয়ায় ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। এরপরও এদিন মা মাছগুলো পুরোদমে ডিম ছাড়েনি।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে অনলাইনে বিচার শুরু, হালদা নদীর ডলফিন রক্ষার নির্দেশ
তবে এবার মা মাছ রক্ষায় হালদা নদীতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করায় ডিম সংগ্রহে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন রাত ১ টার দিকে হালদায় নমুনা ডিম ছাড়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হালদা নদীর নয়াহাট এলাকায় বিভিন্ন নৌকার ডিম সংগ্রহকারীরা জানিয়েছে তারা প্রতি জালে ১০০-১৫০ গ্রাম পর্যন্ত ডিম পেয়েছেন। তারা মা-মাছের আনাগোনা দেখছেন।
আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত হালদা নদী রক্ষায় ১১ সুপারিশ
তিনি আরও বলেন, যেহেতু নমুনা ডিম ছেড়েছে মা-মাছ, সেহেতু এসব মাছের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ যাতে মা-মাছ শিকার করতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে।
ডিম থেকে রেণু ও পোনা তৈরির জন্য হ্যাচারিগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জীব বৈচিত্র রক্ষায় হালদা নদীর ৮ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা
উল্লেখ্য, সাধারণত চৈত্র থেকে বৈশাখ মাসে অমাবস্যা, পূর্ণিমা ও অষ্টমী তিথিতে প্রবল পাহাড়ি ঢল ও শীতল আবহাওয়ায় হালদা নদীতে কার্প জাতীয় মাছ ডিম ছাড়ে। নমুনা ডিম মা মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের জন্য প্রস্তুতির আভাস। অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলেই মা মাছ ডিম ছাড়বে।
হালদা নদী থেকে ২০১৮ সালে ২২ হাজার কেজি এবং ২০১৯ সালে ১০ হাজার কেজি ডিম আহরণ করা হয়। আর ২০২০ সালে ২৫ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ করে রেকর্ড করেছে ডিম আহরণকারীরা।
উপজেলার উত্তর মাদার্শা এলাকার মাছুয়াঘোনা বাসিন্দা মাহবুবুল আলম বলেন, বজ্রসহ প্রবল বৃষ্টিতে হালদায় মা মাছের ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আমরা রাত ৯টা থেকে ডিম সংগ্রহ করার জন্য হালদা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করেছিলাম। কিন্তু এদিন মা মাছগুলো পুরোদমে ডিম ছাড়েনি। কিছু নমুনা ডিম ছেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বজ্রসহ বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সাধারণত মা মাছগুলো ডিম ছাড়ে। অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলে শিগগির মা মাছগুলো পুরোদমে ডিম ছাড়বে।’
৩ বছর আগে
দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে নরওয়েকে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার নরওয়েকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় সহজে পৌঁছে যেতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিশেষত আইসিটি এবং পাট খাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
৩ বছর আগে