তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনার এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের কৃষকরাও বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি। এটি মোকাবিলায় সরকার কৃষিখাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভর্তুকিসহ নানা প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। এ বছর কৃষকের ক্রয় ক্ষমতা ও আর্থিক স্বচ্ছলতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হাইব্রিড ধান বীজ, ভুট্টা বীজ ও সবজি বীজসহ অন্যান্য বীজে কম মুনাফা অর্জন করার জন্য সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) নিয়ে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি বীজ কোম্পানিগুলোকেও কৃষক ও কৃষির সেবায় এগিয়ে আসতে হবে।’
সোমবার নিজ সরকারি বাসভবন থেকে করোনা পরিস্থিতিতে ‘বিভিন্ন ফসলের বীজ উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ ও বিপণন নিরবচ্ছিন্ন রাখা’ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে অনলাইন সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং সকলের সহযোগিতার ফলে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের অসহনীয় দুর্যোগের মধ্যেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বোরো ফসল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বোরোর মতো আউশেও ভালো ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মৌসুমি ফল ও শাকসবজি বাজারজাতে এখন তেমন সমস্যা নেই বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মোটামুটি ভালো দামেই কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারছে। পাশাপাশি, আমসহ মৌসুমী ফলেরও ভালো দাম পাচ্ছেন তারা।’
দেশের এই ক্রান্তিকালে আসন্ন আমন মৌসুমে উৎপাদন বাড়ানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, আমন ধান আবাদের ক্ষেত্র বোরোর চেয়ে বেশি হলেও উৎপাদন অনেক কম। উচ্চফলনশীল জাতের গুণগতমানসম্পন্ন বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদনশীলতা ১৫-২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা সম্ভব। স্থিতিশীল খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য গুণগতমানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতে কৃষি মন্ত্রণালয় সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
সভায় জানানো হয়, এবারই সরকার প্রথম বীজে ভর্তুকি প্রদান করেছে এবং কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বিএডিসি’র ১৯ হাজার ৫০০ মে. টন আমন ধানবীজ চাষী পর্যায়ে বিক্রির জন্য ২০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।
এ অনলাইন সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আরিফুর রহমান অপু, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, অতিরিক্ত সচিব (বীজ) আশ্রাফ উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোলসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।