তিনি বলেন, ‘জনগণের সহযোগিতা ব্যতীত সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা কষ্টসাধ্য। তাই দেশের এই অনন্য বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত দ্বীপটি রক্ষায় সরকারের বিধিনিষেধ প্রতিপালনে আমি সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।’
শুক্রবার সেন্টমার্টিন রক্ষায় করণীয় নির্ধারণে সেন্টমার্টিন মেরিন পার্ক সেন্টারে আয়োজিত বিশেষ মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী প্রতি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু-সহিষ্ণু উন্নয়ন করেছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
সভায় উপস্থিত সবাই পরিবেশমন্ত্রীর আহ্বানে সেন্টমার্টিন দ্বীপ রক্ষায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
উপস্থিত জনপ্রতিনিধি সেন্টমার্টিন রক্ষায় প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সরকারি বিধিনিষেধ ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
পরিবেশমন্ত্রী সেন্টমার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি দ্বীপে কচ্ছপের ছানা অবমুক্ত করেন এবং একটি নারিকেল গাছের চারা রোপণ করেন।
আরও পড়ুন: সরকার দেশের গ্রামগুলোকে শহরে পরিণত করছে: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহাম্মদ, 'সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতিবেশগত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জীববৈচিত্রের উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ' প্রকল্পের পরিচালক সোলায়মান হায়দার, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরী, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।