মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে সকাল ৬টার দিকে এমাজউদ্দীন আহমদ মারা যান বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত সচিব অমর চন্দ্র মিস্ত্রি।
তিনি জানান, প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন রাত আড়াইটার দিকে তার এলিফেন্ট রোডের বাসায় বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পরে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অমর বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর অধ্যাপক এমাজউদ্দীন ভালো বোধ করছিলেন। কিন্তু ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বমি হওয়ার পর সকালের দিকে তিনি ‘ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’-এ আক্রান্ত হন এবং পরে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ উপাচার্যের প্রথম জানাজা জুমার নামাজের পর কাটাবন ঢাল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জানাজা আসরের নামাজের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
পরে তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এমাজউদ্দীন আহমদ ১৯৩৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মালদা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর থেকে ১৯৯৬ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
গবেষণা ও সৃজনশীল লেখার জন্যে দেশ-বিদেশে সম্মানিত হয়েছেন এমাজউদ্দীন। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৯৯২ সালে একুশে পদক পান তিনি। বিএনপিপন্থী ‘শত নাগরিক’ জাতীয় কমিটির আহ্বায়কও ছিলেন এমাজউদ্দীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির অন্য অনেক নেতা।
পৃথক শোক বার্তায় মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান তারা।