প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি সভায় যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জনে খুব কার্যকর হবে।’
জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা জানান, সরকার জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন করছে যা বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য।
‘তবে করোনাভাইরাসের কারণে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে…এটি কেবল আমাদের জন্য নয়, পুরো বিশ্বের জন্য,’ বলেন তিনি।
জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে পাশে দাঁড়ান: সেনাবাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী
সরকার দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে সক্ষম জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বাড়ছে এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য বাংলাদেশ সকল মানদণ্ড পূরণ করেছে।’
‘কিন্তু করোনাভাইরাস সব কিছু স্থবির করে দিয়েছে,’ বলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরো বিশ্ব যেখানে পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়েছিল, বাংলাদেশ সীমিত আকারে হলেও সেখানে তার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা: আর্থিক প্রণোদনা পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
‘তবে আমরা হয়ত আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি,’ বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, গত অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮.২ শতাংশ। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্ব অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ায় বাংলাদেশও কিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে এবং সে সময় কেটে গেছে।
‘সবাই ঝুঁকি নিয়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজ করছে, ফলস্বরূপ আমরা উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি,’ বলেন তিনি।
হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
পর পর তিনবার আওয়ামী লীগ সরকারকে নির্বাচিত করার জন্য দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলেই দেশের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিতে সক্ষম হয়েছে সরকার।
ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ ছাড়াও সরকার পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এসব লক্ষ্য এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে আমাদের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার দরকার ছিল। ষষ্ঠ এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়ন করেছি এবং আজ আমরা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য আমরা পর্যায়ক্রমে উন্নয়ন পর্ব এগিয়ে নিয়ে যাব।’
এ সময়ের মধ্যে সরকারের আরও কিছু পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার প্রয়োজন হবে বলেও উল্লেখ করেন সরকার প্রধান।
সহযোগিতার মাধ্যমে আঞ্চলিক উন্নয়ন চান প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বা অন্য যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সঠিকভাবে প্রণয়ন করা হলে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’