এদিন বিকালে পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় দেন।
রায় অনুসারে, অস্ত্র মামলায় দুজনকে ২০ বছরের এবং বুলেট উদ্ধারের ঘটনায় আইনের একটি ধারায় আরও ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর এ মামলার রায়ের জন্য আজকে দিনটি ধার্য করেছিল আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) উপপরিদর্শক আরিফুজ্জামান ২৯ জুন মামলার চার্জশিট জমা দেন। পরে ২৩ আগস্ট মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ মামলায় সাক্ষী হিসেবে ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
গ্রেপ্তারের একদিন পর ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিমানবন্দরে পাপিয়া ও সুমনের দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় র্যাব।
অভিযানে তাদের কাছ থেকে প্রায় আড়াই লাখ টাকার জাল নোট এবং বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়।
এ দম্পতির রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলের প্রেসিডেন্ট স্যুট ও ইন্দিরা রোডের দুটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
দামি ফ্ল্যাট ছাড়াও পাপিয়া ও তার স্বামী ছাত্রলীগের সাবেক নেতার নরসিংদীতে প্রায় ২ কোটি টাকার আরও দুটি ফ্ল্যাট এবং দুটি প্লট এবং বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল গাড়ি আছে।
তাদের বিরুদ্ধে করা তিনটি মামলার মধ্যে অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে শের-ই-বাংলা নগর থানায় দুটি এবং অন্য মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা হয়েছে।
গত ৪ আগস্ট পাপিয়া এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।