অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমে স্বচ্ছতা আনতে আর্থিক নিরীক্ষার পাশাপাশি ব্যয় নিরীক্ষা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)।
আইসিএমএবি সভাপতি মো. মামুনুর রশীদ বলেন, প্রতিবেশী ভারতসহ বিভিন্ন দেশে এটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
শনিবার বাজেট পরবর্তী সংস্থাটির প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ বছর ভ্যাট আইনে অনেক বাস্তব ও ব্যবসা-বান্ধব পদক্ষেপ নেয়া হলেও ব্যবসা সহজ, স্বচ্ছ ও রাজস্ব বাড়াতে সিএমএ অন্তর্ভুক্ত করে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই
একটি সঠিক ও স্বচ্ছ অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমের জন্য এবং রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য, অ্যাকাউন্টিং স্টেটমেন্টে সিএমএ দ্বারা প্রত্যয়িত পণ্য বিক্রির মূল্য থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মামুনুর রশীদ।
আইসিএমএবি সভাপতি বলেন, যদি ইনপুট আউটপুট সহগ (মুসক ৪.৩)সিএমএ দ্বারা প্রত্যয়িত হয়, তাহলে সঠিক মূল্যে ভ্যাট সংগ্রহ করা হবে। সিএমএ-এর সার্টিফিকেশন নিশ্চিত করবে কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্র ছাড়া পণ্যের মূল্যের পুনঃনিরীক্ষার প্রয়োজন হবে না।
তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে এই বিশাল বাজেট অর্জন করা সরকারের জন্য একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ, তবে এটি অসম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেটের কয়েকটি কর প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করা দরকার: ড. আতিউর
সভাপতি বলেন, প্রবীণ নাগরিক যাদের আয়ের একমাত্র উৎস হলো পেনশন এবং সঞ্চয়পত্রের সুদ তাদের রিটার্ন দাখিল থেকে অব্যাহতি দেয়া উচিত।
তিনি খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি নিরাপত্তা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা, শিল্পায়ন, ব্যবসা সম্প্রসারণ ও পুঁজিবাজার উন্নয়ন, গার্মেন্টস খাতের বিশেষ সুবিধা, পরিবহন শিল্প ও বিমান শিল্পের বিশেষ সুবিধার জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।
আইসিএমএবি সভাপতি বলেন, সবাই শেয়ার বাজার বোঝে না, তাই ডিপিএসের সীমা ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লাখ ২০ হাজার টাকা করা উচিত।