এছাড়া, একই সময় রেলপথে ১৫টি দুর্ঘটনায় ১৪ এবং নৌপথে ৪১টি দুর্ঘটনায় ৮০ জন নিহত হয়েছেন।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক এবং অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সংগঠনটি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, আগস্ট মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৬৭ জন চালক ছিলেন। আর ৬৩ জন নারী, ৩৪ জন শিশু, ছয়জন শিক্ষক, তিনজন চিকিৎসক, পাঁচজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, একজন প্রকৌশলী ও একজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
আগস্টে সংগঠিত দুর্ঘটনার ২৮.৯৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২১.৬১ শতাংশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ১৬.১২ শতাংশ বাস, ৮.৭৪ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৯.৭৭ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৭.৭১ শতাংশ নছিমন-করিমন, ৭.০৩ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাসের দুর্ঘটনা ছিল।
মোট দুর্ঘটনার ৫২.৮৩ শতাংশ গাড়ি চাপা দেয়া, ২৭.৮৩ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ ও ১৩.৯১ শতাংশ খাদে পড়ে যাওয়া ছিল।
পরিসংখ্যানে দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট দুর্ঘটনার ৪৮.৯৬ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৮.৮৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে ও ১৪.৬৯ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়।
সারা দেশে সংঘটিত দুর্ঘটনার ৫.১৫ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ২.০৬ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.২৫ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে ঘটেছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘ লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও জাতীয় মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক উঠে আসায় এবং বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। মোটরসাইকেলের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি ও বেপরোয়া চলাচল সড়ক নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাড়াঁচ্ছে।’
এছাড়াও সড়ক নিরাপত্তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি এবং জবাবদিহির অভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছে। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস পদ্ধতি ঢেলে সাজানো ব্যতীত সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।