আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের সমর্থন চেয়েছে কসোভো। বাংলাদেশও কসোভোয় বিনিয়োগ ও ব্যবসার সুযোগ চেয়েছে।
গত বুধবার কসোভোর প্রেসিডেন্ট ড. ভিয়োসা ওসমানি সাদ্রিয়েঁর কাছে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করার পর তাদের মধ্যে একটি একান্ত বৈঠক হয়। বৈঠকে তাদের মাঝে কোভিড -১৯ সংকট ও দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি সম্পাদনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সাথে কাতারের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
এ সময় রাষ্ট্রদূত কসোভোর প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছে দেন।
প্রেসিডেন্ট ড, ভিয়োসাও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গণে নতুন দেশ হিসেবে কসোভোর প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনে তাঁর প্রত্যাশ্য ব্যক্ত করেছেন।
কসোভোর রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দুই দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো ফলপসু এবং মজবুত করা সম্ভব। এছাড়া উভয় দেশ চলমান কোভিড -১৯ অতিমারি সংকট এবং ভ্যাকসিন ইস্যু, বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন সম্ভাবনা, দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি সম্পাদন, কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টের ভিসার প্রক্রিয়া সহজিকরণ, দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং ফলপ্রসু সংযোগ বিষয়ে উভয়পক্ষ মতবিনিময় করেন।
রাষ্ট্রদূত স্বাধীনতার জন্য কসোভো ও বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের একই রকমের ত্যাগ স্বীকার ও মুক্তি সংগ্রামের বিষয় উল্লেখ করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে কীভাবে বাংলাদেশের জনগণ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে তা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীন বিশ্বস্ত অংশীদার: প্রধানমন্ত্রী
কসোভো’র প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের আশ্বাস জানিয়ে তিনি বলেন , কসোভোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশ সবসময়ই প্রস্তুত আছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত ও অভূতপূর্ব সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়েও রাষ্ট্রদূত কসোভোর প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন।
বৈঠক শেষে কসোভোর প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।