চলতি বছরের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে ৫ আগস্ট সাভারে পুলিশের গুলিতে নিহত নবম শ্রেণির ছাত্র আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা বুলবুল কবিরের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী এম এইচ তানিম এ অভিযোগ দায়ের করেন। সিয়াম গুলিতে আহত হওয়ার দুইদিন পর মারা যান।
মামলার অন্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো. হারুন অর রশিদ।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা
অভিযোগে অজ্ঞাতনামা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি, পুলিশ ও র্যাবের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া তাদের সংগঠনগুলো এবং তা সহযোগী সংগঠনগুলোকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে মামলায়।
অভিযোগে বলা হয়, উল্লেখিত ব্যক্তিদের নির্দেশে কোটা সংস্কার ও পরে হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শান্তিপূর্ণ, নিরস্ত্র শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ও স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে এই সহিংসতা চালানো হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিরা বিক্ষোভকারীদের আংশিক বা সম্পূর্নরুপে নির্মূল করার চেষ্টা করেছিল। আর এভাবে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়।
অভিযোগে ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারের অন্য নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্যের বিষয়টিও উঠে এসেছে। যাদের উসকানিতেই সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন , আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘দমন’ করার জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট ছিল এবং কারফিউ চলাকালীন দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রোজিনা ইসলাম ও মান্নার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হবে: আইন উপদেষ্টা