দুর্নীতির দায়ে বিচারকি আদালতের দেয়া দণ্ড ও সাজা (কনভিকশন অ্যান্ড সেন্টেন্স) স্থগিত চেয়ে আবেদন খারিজের রায়ে মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত আসে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুর্নীতির দায়ে বিচারিক আদালতের দেয়া দণ্ড ও সাজা মওকুফ চেয়ে আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার করা আবেদন খারিজ করে এমন পর্যবেক্ষণ দেন।
আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, নিম্ন আদালতে দুই বছরের বেশি দণ্ড হলে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
তবে আপিল বিভাগে দণ্ড স্থগিত ও জামিন হলেই কেবল অংশ নিতে পারবে।
আদালতের এমন পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আগামী একাদশ জাতীয় সংসদে অংশ নিতে পারবেন না বলে মনে করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কী না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদকের এই আইনজীবী বলেন, ‘না তিনি পারবেন না’। কারণ উনি সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) এর আওতায় পড়েছেন।
দুদক আইনজীবী আরও বলেন, আজকের এখন পর্যন্ত হাইকোর্ট যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, সেই পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।