শুক্রবার নিজের বাসভবন থেকে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আমাদেরও ভয় ছিল। বড় ঝড় হলে ভাসানচরকে বোধ হয় ভাসিয়ে নিয়ে যাবে- এমন আশঙ্কা থাকলেও তেমন কিছু হয়নি।’
তিনি বলেন, ভাসানচরের চারপাশে দুটি শক্ত বাঁধ রয়েছে। এর একটি ১০-১২ ফুট এবং অন্যটি ৩৩ ফুট উচু।
অতি-উদ্বিগ্ন কূটনীতিকদের সম্পর্কে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে ড. মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ নিয়ে কারও কোনো চিন্তা নেই। আমাদের ইউরোপীয় বন্ধু দেশ ও তাদের রাষ্ট্রদূতদের চিন্তা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে নিয়ে যাদের আমরা ওখানে রেখেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তরিত করার সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে দাতা সংস্থাগুলোর বিরোধিতা জনগণের স্বার্থে নয়।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের আমরা ভাসানচরে নিলে রাখাইনে তারা যে ধরনের কাজ করত সে ধরনের কাজ করতে পারবে। সেখানে তারা মাছ ধরা, কৃষিকাজ করা এবং গরু, ছাগল, ভেড়া ও হাঁস-মুরগি লালন পালনের মতো অর্থনৈতিক কাজ করতে পারবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভাসানচরে প্রচুর খোলামেলা ও সুন্দর জায়গা রয়েছে। সেখানে অর্থনৈতিক বিভিন্ন কাজ করার সুযোগ আছে।’
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় ৫০০ জেলে ভাসানচরে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভাসানচর সুন্দর রিসোর্টের মতো জায়গা। এটি একটি সুন্দর দ্বীপ এলাকা। সেখানে স্বচ্ছ পানির হ্রদ রয়েছে। এ ভাসানচর যদি ইতালি বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হত তাহলে বিশ্বজুড়ে থাকা লোকেরা সেখানে আনন্দ করতে যেতেন।’