বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানান তার ছেলে ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহমুদ হোসেন।
তিনি এক ছেলে এবং আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মোজাম্মেল হোসেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি বাগেরহাট-১ এবং বাগেরহাট-৪ আসন থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
১৯৪০ সালের ১ আগস্ট জন্ম নেয়া আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নামাজে জানাজা শেষে তার মরদেহ বাগেরহাটে নেয়া হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু বলেন, জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সমানে রাখা হবে।
শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে দুপুর ২টার দিকে মোজাম্মেলে হোসেনের আরেকটি নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার কোচুবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এদিকে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাগেরহাট-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হোসেন মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে জাতি এক বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হারাল। স্পিকার মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা ও তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এছাড়াও মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এবং চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।