তিনি বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের ন্যায়সঙ্গত অধিকার বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় আশ্রয়, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছেন।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইন্দিরা গান্ধী স্মরণে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পরপরই গ্রেপ্তার করা হলে ইন্দিরা গান্ধী প্রথম বিশ্বনেতা যিনি এর প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি সীমান্ত খুলে দিয়ে প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেন। তিনি বাঙালিদের পূর্ণ মর্যাদা ও নাগরিক অধিকার দিয়ে বাংলাদেশ ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেন।’
মন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রের সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল। ইন্দিরা গান্ধী সারা পৃথিবীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশকে সমর্থন করেন। বাংলাদেশের জনগণ মহান মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধীর অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে।
ইন্দিরা গান্ধী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যেখানে দাঁড়িয়ে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সৈন্য ফেরত নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেখানে ‘ইন্দিরা মঞ্চ’ নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
এছাড়া, ভারতীয় মিত্রবাহিনীর স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সালাউদ্দীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।