ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)।
শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এর অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আছে যারা ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো প্রতারণার সাথে জড়িত। তারা বাজারের দামের চেয়ে কম দামে গ্রাহকদের পণ্য দিবে বলে প্রতারণা করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তদন্ত চলছে এবং তদন্তের পর এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান ৩ দিনের রিমান্ডে
হাফিজ বলেন, ‘আমরা চাই দেশে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সমৃদ্ধ হোক।’
ইভ্যালির গ্রাহক আরিফ বাকের প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনসহ কোম্পানির কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। এরপর বৃহস্পতিবার ( ১৬ সেপ্টেম্বর) মোহাম্মদের বাসায় অভিযান চালিয়ে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) অহিদুল ইসলাম জানান, টাকা আত্মসাত ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অপরাধ শাখা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ইভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের দ্বারা পরিচালিত সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার জন্য ২৭ আগস্ট বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একটি সাধারণ চিঠির মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিভাগ ইভ্যালির দ্বারা ‘প্রতারণা’ করার অভিযোগ পেয়েছে গ্রাহকদের কাছ থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ হচ্ছে, তারা ভোক্তাদের প্রতিষ্ঠানটির ই-ওয়ালেটে টাকা জমা দিতে বাধ্য করত, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
আরও পড়ুন: ই অরেঞ্জের মালিক সোনিয়াসহ ৩ জন কারাগারে
১৮ আগস্ট ই-অরেঞ্জের গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম গুলশান থানায় অন্য ৩৭ জন গ্রাহকের উপস্থিতিতে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। এই ৩৭ জন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন।