বাংলাদেশে সুশাসন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং জনগণের জন্য একটি 'উজ্জ্বল ও আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ' গড়ে তোলার বৃহত্তর সুযোগ সৃষ্টির প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকায় রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং শাসন ও উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।’
মিলার বলেন, ইউএসএআইডির প্রতিনিধিদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ২০০ মিলিয়ন ডলারের একটি উন্নয়ন চুক্তি সই করেছে, যা বাংলাদেশে সুশাসন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং জনগণের জন্য একটি উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে বৃহত্তর সুযোগ তৈরিতে সহায়তা করবে। ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ইউএসএআইডি বাংলাদেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে 'অর্থবহ সম্পর্কের' ভিত্তি: পররাষ্ট্র সচিব
নতুন এই সহায়তা বাংলাদেশকে তার জনগণের জন্য আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত ও গণতান্ত্রিক পথ নির্ধারণে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশের জনগণের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক সুযোগ, আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং গণতান্ত্রিক শাসন জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
রবিবার বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করে মার্কিন প্রতিনিধি দল।
মার্কিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রেন্ট নেইম্যান, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু, ইউএসএইডের এশিয়া বিষয়ক উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কাউর এবং সহকারী মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ।