বাণিজ্য সম্প্রসারণ
উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে বাংলাদেশিদের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশে সুশাসন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং জনগণের জন্য একটি 'উজ্জ্বল ও আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ' গড়ে তোলার বৃহত্তর সুযোগ সৃষ্টির প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকায় রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং শাসন ও উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।’
মিলার বলেন, ইউএসএআইডির প্রতিনিধিদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ২০০ মিলিয়ন ডলারের একটি উন্নয়ন চুক্তি সই করেছে, যা বাংলাদেশে সুশাসন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং জনগণের জন্য একটি উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে বৃহত্তর সুযোগ তৈরিতে সহায়তা করবে। ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ইউএসএআইডি বাংলাদেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে 'অর্থবহ সম্পর্কের' ভিত্তি: পররাষ্ট্র সচিব
নতুন এই সহায়তা বাংলাদেশকে তার জনগণের জন্য আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত ও গণতান্ত্রিক পথ নির্ধারণে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশের জনগণের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক সুযোগ, আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং গণতান্ত্রিক শাসন জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
রবিবার বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করে মার্কিন প্রতিনিধি দল।
মার্কিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রেন্ট নেইম্যান, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু, ইউএসএইডের এশিয়া বিষয়ক উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কাউর এবং সহকারী মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ।
আরও পড়ুন: জাতি পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান ইউনূস
৩ মাস আগে
ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন মাত্রা যোগ করবে: বিমানমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ‘ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এই ফ্লাইট বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা, উন্নয়ন ও ক্রমবর্ধমান কানেক্টিভিটির নিদর্শন।’
তিনি বলেন, ‘এই ফ্লাইট চালুর ফলে আমাদের দেশের জনগণ, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা সরাসরি বেইজিংয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়া পর্যটনসহ অন্যান্য ব্যবসার ক্ষেত্রেও এর সুফল পাওয়া যাবে।’
বুধবার (১০ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার চায়নার ঢাকা-বেইজিং-ঢাকা রুটে সরাসরি ফ্লাইট উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করলে সমবায় সমিতিকে সহযোগিতা করা হবে: বিমানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘যারা উন্নয়ন চায় না তারা কানেক্টিভিটি নিয়ে অসত্য বলে। তারা দেশকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চায়। তারা ভুলে যায় কানেক্টিভিটি মানেই উন্নয়ন, কানেক্টিভিটি মানেই বাণিজ্য। যত বেশি কানেক্টিভিটি বাড়বে, এ দেশের জনগণ ও ব্যবসায়ীরা তত বেশি সুবিধা পাবেন।’
ফারুক খান বলেন, ‘বর্তমানে চীনের কুনমিং ও গুয়াংজুতে সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে। বুধবার এয়ার চায়নার ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট চালু হলো। আগামী ১৫ জুলাই একই রুটে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালু হবে। ভবিষ্যতে চীনের আরও নতুন নতুন গন্তব্যে ঢাকা হতে সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে। সংযোগ আরও বাড়বে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স লিউ ইউয়ান, আরভিং গ্রুপের চেয়ারম্যান এইচ ভি এম লুৎফর রহমান, এয়ার চায়নার কান্ট্রি ম্যানেজার আন মিং প্রমূখ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায়: বিমানমন্ত্রী
সরাসরি বিমান যোগাযোগ বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে ভূমিকা রাখবে: বিমানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
বাণিজ্য সম্প্রসারণে নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত
নেপালের কাকরভিটা স্থলবন্দর থেকে কীভাবে সরাসরি বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে যুক্ত হওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী দামোদার ভান্ডারি।
শনিবার নেপালের স্থানীয় এক হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া তারা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেও স্থলপথে বাংলাবান্ধা ও কাকরভিটার মধ্যে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: নেপাল-ভুটানের সঙ্গে সংযোগ সহজ করবে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর: স্পিকার
প্রতিমন্ত্রী শনিবার সকালে নেপালের 'কাকরভিটা স্থলবন্দর' পরিদর্শন করেন। কাকরভিটা থেকে ভদ্রাপুর বিমানবন্দর দিয়ে কাঠমান্ডুতে পৌঁছেন। কাকরভিটা স্থলবন্দর বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে ৩৭ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এই ৩৭ কিলোমিটার ভূখণ্ড ভারতের অংশ। ভারতের ৩৭ কিলোমিটার ভূমি সরাসরি ব্যবহার করে কীভাবে নেপাল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই রুটটি সরাসরি ব্যবহারে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল একসঙ্গে কাজ করবে।
এসময় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাউদ্দিন রোমান চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালনা বোর্ডের খণ্ডকালীন সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম হাসান আলী উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল পঞ্চগড় জেলার 'বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর' দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ী স্থলবন্দর হয়ে ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্ত পরিদর্শনে যান।
ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্তে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ফুন্টসিলিংএর গভর্নর কারমি জারমি। ফুন্টসিলিং সীমান্ত থেকে তারা 'পাসাখা স্থলবন্দর' পরিদর্শনে যান। তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাবান্ধা থেকে ভুটানের ফুন্টসিলিঙ সীমান্ত এলাকার দূরত্ব ১৪২ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: নেপাল-বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী: বাকৃবিতে নেপাল রাষ্ট্রদূত
৮ মাস আগে
‘বাণিজ্য সম্প্রসারণে যৌথভাবে কাজ করবে এফবিসিসিআই ও সিডাব্লিউইআইসি’
বাংলাদেশ ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে বাণিজ্য সম্প্রসারণে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডাব্লিউইআইসি) যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিডাব্লিউইআইসির চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ডের সম্মানে আয়োজিত এক প্রীতি নৈশভোজে সিডাব্লিউইআইসির প্রতি এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআইয়ের বিদেশি বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান হলেন ওয়াহিদ রায়হান
আফ্রিকাসহ কমনওয়েল্থভুক্ত দেশগুলোতে টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষি পণ্যের রপ্তানি সম্প্রসারণে সিডাব্লিউইআইসি’র সহযোগিতাও চেয়েছে এফবিসিসিআই।
মাহবুবুল আলম বলেন, শিল্পের বহুমুখীকরণ, রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এই মাইলফলক ২০৪১ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হওয়ার জন্য ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের যে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে আমরা সঠিক পথে আছি বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা এবং কমনওয়েলথ বিজনেস ফোরামে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের ব্যবসা খাত, জাতীয় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সম্ভাবনা তুলে ধরতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্যের দ্বার উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে সিডাব্লিউইআইসি। বিশেষ করে টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষিতে আমাদের সক্ষমতা তুলে ধরতে সিডাব্লিউইআইসির সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই।
মাহবুবুল আলম করেন, আমরা প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং উদ্ভাবন, আইটি, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যসেবা এবং ফার্মাসিউটিক্যাল এবং এসএমই খাতসহ নানা ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারি।
আরও পড়ুন: ডাল্টন জহির এফবিসিসিআইয়ের সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত
সিডব্লিউইআইসি চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ড তার বক্তব্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে এর প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, সবাই বলছে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এ রুপান্তরিত হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা দেখে আমি বলতে পারি নির্দিষ্ট সময়ের ১০ বছর আগে অর্থাৎ ২০৩১ সালের মধ্যে দেশটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রুপান্তরিত হবে।
কমনওয়েলথভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য জোরদার ও সম্ভাবনাময় খাতগুলো নিয়ে এফবিসিসিআই এর সঙ্গে সিডাব্লিউইআইসি কাজ করতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, শমী কায়সার, মো. মুনির হোসেন, কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন এমবিই, এফবিসিসিআই পরিচালক সুজীব রঞ্জন দাশ, মহাসচিব মো. আলমগীর এবং ব্যবসায়ী নেতারা।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সাল পর্যন্ত রপ্তানি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার আহ্বান এফবিসিসিআইয়ের
১০ মাস আগে
বাংলাদেশে গম রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে আলোচনা
বাংলাদেশে গম রপ্তানির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মান্টিটস্কি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে এ আগ্রহের কথা জানান রাষ্ট্রদূত।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর অফিসে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও গম রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
সাক্ষাৎকালে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে।’
রাশিয়াকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী বন্ধু বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বের দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত: হাছান মাহমুদকে ল্যাভরভ
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে রাশিয়া ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।’
এ সময় দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় খাদ্য মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে গম রপ্তানির আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ সময় খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেনসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিইসিসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন
নির্বাচনকে 'অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সফল' বললেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও রাশিয়ার পর্যবেক্ষকরা
১১ মাস আগে
মালয়েশিয়ার সেলানগর রাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে হালাল বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী
লাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য, বিশেষ করে হালাল বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়ার সেলানগর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের সম্পদ ও বিনিয়োগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘এমবিআই সেলানগর’।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ এ খাস্তগীর প্রতিষ্ঠানটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার পুয়ান হাজাহ নোরিতা বিনতি মো. সিদেক-এর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তাদের অফিসে সাক্ষাৎকালে তারা এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-দ. কোরিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০২২ সালে রেকর্ড ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ এ খাস্তগীর প্রতিনিধিদলের নিকট বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র এবং বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার চমৎকার কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক তুলে ধরেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের গৃহীত কর্মসূচির বর্ণনা দেন। তিনি জানান, বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত।
তিনি আরও বলেন, সরকার কর্তৃক দেশে যোগাযোগের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকল্পে আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ, বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ সম্বলিত ১০০টি ইকনোমিক জোন ও ৩৯ টি হাইটেক পার্ক স্থাপন এবং সরকার গৃহীত বিনিয়োগবান্ধব নীতিকৌশলের কারণে বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আজ পরিচিতি লাভ করেছে।
তিনি এমবিআই সেলানগর-এর মাধ্যমে সেলানগর রাজ্যের ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দকে বাংলাদেশে বিভিন্ন সম্ভাবনাময় সেক্টর যেমন হালাল, ওষুধ, পোশাক, ডিজিটাল অর্থনীতি, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, কৃষি ইত্যাদি বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
এমবিআই সেলানগর-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মুসলিমপ্রধান দেশ হওয়ায় বাংলাদেশকে হালাল পণ্যের একটি সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে উল্লেখ করেন।
হালাল পণ্য ও সেবার গুনগত মান নিশ্চিত ও সনদ প্রদানের লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী হালাল ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠার ওপর এমবিআই সেলানগর-এর প্রতিনিধিদল গুরুত্বারোপ করেন। এক্ষেত্রে তারা ডেপুটি হাইকমিশনার-এর প্রস্তাবিত এমবিআই সেলানগর-এর উদ্যোগ বাংলাদেশে হালাল করিডর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বৈশ্বিক হালাল বাজারে প্রবেশের বিষয়ে আগামীতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে মতামত প্রকাশ করেন।
এই প্রেক্ষাপটে উভয় দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ বিকাশে বাংলাদেশ হাইকমিশন হতে সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদানের বিষয়ে প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করা হয়।
এ সময় ‘হালাল ইন্টারন্যাশনাল সেলানগর’-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার তুয়ান হাজি মাত গাজালি বিন আবদ রাকিম, সেলানগর হালাল হাবের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল স্পেকট্রাম-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ রাজিফ আবদুল ওয়াহাব, হেড অব কর্পোরেট স্ট্র্যাটেজি, এমবিআই রাজা নর ইজাহ বিন্তি রাজা জাফর, জনাব মুহাম্মদ সাইরিল শওকত আলী, ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স, কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স এবং হালাল ইন্ডাস্ট্রি এক্সকো অফিস, সেলানগর এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আগ্রহী ইইউ: অ্যাম্বাসেডর
১ বছর আগে
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে সম্মত বাংলাদেশ-মেক্সিকো
বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে উভয় দেশ একসাথে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
মেক্সিকোর স্বাধীনতার ২০০ বছর উদযাপন উপলক্ষে সম্প্রতি দেশটিতে সফরকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং মেক্সিকোর বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক উপমন্ত্রী লুজ মারিয়া ডি লা মোরা স্যানচেজের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সম্মতি প্রকাশ করা হয়।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেক্সিকোর উপমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দুদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মেক্সিকোর উপমন্ত্রী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে মেক্সিকো সিটিতে বাণিজ্য বিষয়ক সেমিনার ও প্রদর্শনী আয়োজনের প্রস্তাব করেন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে বলে তার সম্মতি প্রকাশ করেন।
এসময় মিয়ানামারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বহুপাক্ষিক বিভিন্ন প্লাটফর্মে অব্যাহতভাবে সমর্থন প্রদানের জন্য মেক্সিকো সরকারের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
পড়ুন: অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রায় ৮ লাখ টিকা আসছে শনিবার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই এবং মেক্সিকোর শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন সিওএমসিই’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন লুজ মারিয়া ডি লা মোরা স্যানচেজ।
তিনি উল্লেখ করেন, এ সমঝোতা স্মারক উভয় দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই দু’দেশের মধ্যে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে যা অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক। উভয় দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সভায় বাংলাদেশ-মেক্সিকো চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী এবং বিজয় দিবস উদযাপনের সমাপনী অনুষ্ঠানে মেক্সিকোর সামরিক প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত আমাদের বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি উভয় দেশের মধ্যে নিয়মিত ফরেন অফিস কনসালটেশন অনুষ্ঠানের ওপর জোর দেন।
মেক্সিকো সফরকালে সেদেশের ইবেরো-আমেরিকান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী স্মারক বক্তব্য দেন যা ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ সরাসরি সম্প্রচার করে এবং ২ হাজার সাত শতাধিক শিক্ষার্থী এ অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
পড়ুন: জেনেভায় গ্লোবাল ফান্ড ম্যানেজমেন্ট টিমের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বৈঠক
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ চায় ঢাকা
এসময় তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ‘এসডিজি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির বিষয় উল্লেখ করে বলেন, দারিদ্র দূরীকরণ, ধরিত্রী সুরক্ষা এবং সকলের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের গৃহীত কার্যকর পদক্ষেপের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ইবেরো-আমেরিকান ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান শাহরিয়ার আলম। অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে তার বক্ত্যব্যের জন্য ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে ‘সার্টিফিকেট অভ রিকগনিশন’দেয়া হয়।
এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মেক্সিকোর শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ ভ্রমণ, বিশেষ করে বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান যেমন, বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি সামরিক কন্টিনজেন্ট এবং সাংস্কৃতিক দলসহ এই উদযাপনে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। একইসাথে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী এবং বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে মেক্সিকোর সামরিক প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত আমাদের বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।
৩ বছর আগে
কাতার-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর
বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রদত্ত সুবিধাদির কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
কাতারের রাজধানী দোহায় কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোলতান বিন সাদ আল মুরাইখির সাথে বৈঠককালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
সোমবার (৯ আগস্ট) দোহার বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দু’দেশের চ্যাম্বার্স অব কমার্স এবং অন্যান্য পর্যায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে ওয়েবিনার আয়োজনের প্রস্তাব করলে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সম্মতি প্রকাশ করেন।
কাতার থেকে এল.এন.জি আমদানির জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এসময় তিনি কাতারের উন্নয়নে বাংলাদেশি কর্মীদের ভূঁয়সী প্রশংসা করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মীসহ নানা পর্যায়ের কর্মী নিয়োগের বিষয়েও আলোচনা হয়।
শাহরিয়ার আলম করোনা মোকাবিলায় কাতার সরকারের সফলতাসহ সাম্প্রতিক সময়ে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকারের সুরক্ষায় কাতার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন। তিনি মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়ে কাতারের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। আগামী সেপ্টেম্বরে দোহায় দু’দেশের মধ্যে ফরেন অফিস কন্সালটেশন অনুষ্ঠানের বিষয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শাহরিয়ার আলম দু’দেশেরে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন। কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও ফরেন অফিস কন্সালটেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে সেদেশের আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন এবং দু’দেশের জন্য সুবিধাজনক সময়ে উচ্চ পর্যায়ে সফর বিনিময়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত জসীম উদ্দিন এবং মহাপরিচালক এফএম বোরহান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলা: বাংলাদেশকে আরও ১১.৪ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
কোভিড-১৯: ইন্দোনেশিয়ায় ওষুধ পাঠাল বাংলাদেশ
ভারতের উপহার ৩০ অ্যাম্বুলেন্স পেট্রাপোল বন্দরে
৩ বছর আগে