নতুন অর্থবছরের দ্বিতীয় একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সভায় যোগ দেন। একনেকের অন্য সদস্যরা রাজধানীর এনইসি ভবন থেকে যুক্ত ছিলেন।
সভা শেষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) আমরা পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের আটটি প্রকল্প বৈঠকে উত্থাপন করি এবং সব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ১০ হাজার ১০২ কোটি ৩ লাখ টাকা। সরকারের তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে ১০ হাজার ৬৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং বাকি ৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার তহবিল থেকে নেয়া হবে।’
আটটি প্রকল্পের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দুটি করে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুত বিভাগের একটি করে দুটি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষকদের হাওর ও উপকূলীয় অঞ্চলে যথাক্রমে ৭০ শতাংশ এবং ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে কৃষিজমি সরবরাহ করবে।
তিনি বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
এম এ মান্নান জানান, প্রকল্পটির অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষি মেশিনগুলোর গুণগত মান পরীক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে স্থানীয় মেশিনগুলো উন্নতমানের হয়।
প্রকল্পের প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রযুক্তি ((কম্বাইন হারভেস্টার, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, পাওয়ার থ্রেসার, ড্রায়ার, পাওয়ার উইডার, পাওয়ার স্প্রেয়ার, পটেটো ডিগার, মেইজ শেলার) সংগ্রহের পাশাপাশি বিতরণ করার গ্রামীণ যান্ত্রিক, কৃষি প্রশিক্ষণ প্রদান কর্মকর্তা, কৃষক এবং উদ্যোক্তা।
প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হলো, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির সরবরাহ ও ব্যবহার বৃদ্ধি করে ফসলের ১০-১৫ শতাংশ অপচয় রোধ এবং চাষাবাদে ৫০ শতাংশ সময় ও ২০ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় করা, সমন্বিতভাবে সমজাতীয় ফসল আবাদ করে কৃষি যন্ত্রপাতির ৫০ শতাংশ কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করা, কৃষি উৎপাদন ব্যয় হ্রাসকরণ এবং ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা, যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে পোস্ট হারভেস্ট ব্যবস্থাপনায় নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা, এবং ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দারিদ্রতা হ্রাসকরণ।
ভোজ্যতেলের স্থানীয় চাহিদা মেটাতে এবং এ ক্ষেত্রে আমদানি ব্যয় হ্রাস করার লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২৭৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার তেল বহনকারী ফসলের বর্ধমান উৎপাদন নামে আরও একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে একনেক।