কৃষি যান্ত্রিকীকরণ
জাপানে ইয়ানমারের কারখানা পরিদর্শন কৃষিমন্ত্রীর, বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
কৃষিযন্ত্র তৈরির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ইয়ানমার-এর কারখানা পরিদর্শন ও প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে জাপান সফররত কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
শুক্রবার সকালে টোকিও থেকে ওকায়ামার ইনামিতে ইয়ানমার এগ্রিবিজনেস কারখানায় পৌঁছান কৃষিমন্ত্রী। সেখানে তিনি কম্বাইন হারভেস্টার, ট্রাক্টর, ট্র্যান্সপ্লান্টারসহ বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র তৈরির কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
এছাড়া, গ্রিনহাউজে বিশেষায়িত ফসল যেমন আম, পেঁপে, স্ট্রবেরি প্রভৃতির গবেষণার বায়ো-ল্যাব কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
ইয়ানমারকে বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্র তৈরির আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে শ্রমিক সংকট আরও বাড়বে, একইসঙ্গে কৃষিযন্ত্রের চাহিদাও বাড়বে এবং বিশাল বাজার তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ইয়ানমারের কৃষিযন্ত্রের সুনাম আছে, চাহিদাও। কাজেই, ইয়ানমার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে,কারখানা স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র তৈরি করলে অনেক লাভবান হতে পারবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ রয়েছে এবং সরকার সবরকম সহযোগিতা প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: তরুণরাই বাংলাদেশে ‘স্মার্ট এগ্রিকালচারের’ নেতৃত্ব দেবে: কৃষিমন্ত্রী
ইয়ানমারের প্রেসিডেন্ট মাসাদা স্যান এ সময় জানান, বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। সামনের বছর থেকে এসিআই’র সহযোগিতায় বাংলাদেশে কম্বাইন হারভেস্টার ও রাইস ট্র্যান্সপ্লান্টার তৈরির কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এছাড়া, বাংলাদেশে স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ইয়ানমারের স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি দিয়ে সহযোগিতার বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হবে জানায় ইয়ানমার কর্তৃপক্ষ।
এ সময় ইয়ানমারের প্রেসিডেন্ট মাসাদা স্যান, গ্লোবাল মার্কেটিং পরিচালক উয়েদা স্যান, শিমিগ স্যানসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, এসিআই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ দৌলা, এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট এফএইচ আনসারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
বহুমুখী সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খাদ্য ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সরকার বহুমুখী পল্লী সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করবে।
বুধবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাতটি উদ্যোগের উদ্বোধনের পাশাপাশি তিন দিনব্যাপী প্রথম জাতীয় ভূমি সম্মেলন-২০২৩ এ প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা বহুমুখী পল্লী সমবায় ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিচ্ছি, যা প্রাথমিকভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গ্রহণ করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা এবং ভূমি সেবার ডিজিটাইজেশনের ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে ২৯ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলমান এই সম্মেলনে।
সম্মেলনের অন্যান্য উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে নাগরিক, সরকারি সংস্থা ও স্টেকহোল্ডারদের ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করা, ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা এবং ভূমি সম্পর্কিত বিদ্যমান আইন ও প্রবিধান সম্পর্কে ধারণা দেওয়া।
প্রধানমন্ত্রী যে সাত উদ্যোগের উদ্বোধন করবেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতিস্তম্ভ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গুচ্ছগ্রাম কমপ্লেক্স।
অবশিষ্ট ছয় উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ, স্মার্ট ল্যান্ড ম্যাপ, স্মার্ট ল্যান্ড রেকর্ডস, স্মার্ট ল্যান্ড পিডিয়া, স্মার্ট ল্যান্ড সার্ভিস সেন্টার ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস।
শেখ হাসিনা বলেন, পরিকল্পিত সমবায় ব্যবস্থার আওতায় ফসলের একটি অংশ জমির মালিকদের কাছে, এক অংশ নিয়োজিত শ্রমিকদের কাছে এবং এক অংশ সরকারের কাছে যাবে।
তিনি উল্লেখ করেন যে সরকার জমি সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এর অংশটি ব্যবহার করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে সমবায় মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা এটাই চাই।’
আরও পড়ুন: রমজানে আন্দোলনের ডাক দেয়ায় বিএনপিকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
ঝালকাঠিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ‘কম্বাইন্ড হারভেস্টার’ মেশিন
ঝালকাঠি জেলায় সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় কৃষক পর্যায় ক্রয় করা কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন মাঠ পর্যায়ে কৃষকের ধান কর্তন করছে। এই মেশিনের সাহায্যে ঘণ্টায় ১ একর জায়গার ধান কর্তন, মাড়াই-ঝাড়াই হয়ে বস্তাভর্তি করা যায়।
৩ বছর আগে
পশ্চিমা বিশ্বের মতো উন্নত হবে বাংলাদেশের কৃষি: মন্ত্রী
বাংলাদেশের কৃষিও পশ্চিমা বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশের কৃষির মতো উন্নত ও আধুনিক হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ৫০ শতাংশ ও হাওর-উপকূলীয় এলাকায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদেরকে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষিতে নতুন অধ্যায় সূচিত হলো, কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিপ্লব ঘটবে। বাংলাদেশের কৃষিও পশ্চিমা বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশের কৃষির মতো উন্নত ও আধুনিক হবে।’
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতে বেসরকারি শিল্পোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে কৃষকের মাঝে ‘কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র’ বিতরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ১০-১৫ বছর আগেও বাংলাদেশের কৃষি ছিল সনাতন পদ্ধতির। চাষাবাদ, মাড়াইসহ সব কাজ মানুষকে শারীরিকভাবে করতে হতো। লাঙলে চাষ হতো। এখন যন্ত্রের মাধ্যমে জমি চাষ ও ফসল মাড়াই হচ্ছে। কিন্তু ধান কাটা ও রোপণ মানুষকেই করতে হচ্ছে। এতে ফসল উৎপাদনে খরচ অনেক বেশি ও সময় সাপেক্ষ। সেজন্য বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে গত ১২ বছর ধরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে আগাম জাতের বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করলেন কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে কৃষিতে সরকারের মূল লক্ষ্য হলো কৃষিকে আধুনিকায়ন ও লাভজনক করা। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষিকে আধুনিকায়ন ও লাভজনক করতে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। এই প্রকল্প হলো তার অনন্য উদাহরণ। এর মাধ্যমে কৃষি লাভজনক হবে ও গ্রামীণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা যায়।’
এ সময় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষিতে বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলেই কৃষিতে আজকের সাফল্য অর্জিত হয়েছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছর সরকার দ্রুততার সাথে ভর্তুকির মাধ্যমে ধান কাটার যন্ত্র দিয়েছিল, ফলে হাওরের ধান সফলভাবে ঘরে তোলা সম্ভব হয়েছিল। সরকার এ বছরও কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ ধান কাটার যন্ত্র বিতরণ করছে। আশা করি, এবারও সফলভাবে ধান ঘরে তোলা যাবে।’
আরও পড়ুন: ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রে যৌথ কৃষি প্রকল্পে সহযোগিতার প্রস্তাব ঢাকার
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, ‘৪৮ লাখ হেক্টর জমির বোরো ধানের পুরোটা যন্ত্র দিয়ে কাটতে পারলে ৫ হাজার ২৭১ কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হতো।’
উল্লেখ্য, ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০ -২১ অর্থবছর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫২ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হবে। চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরে এ প্রকল্পের অধীনে সারা দেশে ৫০০টি উপজেলায় ১৬১৭টি কম্বাইন হারভেস্টার, ৭০১টি রিপার, ১৮৪টি রাইস ট্রান্সপ্লান্টারসহ মোট ৫ হাজার ৭৭৬টি বিভিন্ন ধরণের কৃষিযন্ত্র কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে হাওরে ধান সফলভাবে কাটার জন্য ৫১০টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ২৩১টি রিপার বিতরণ করা হচ্ছে।
৩ বছর আগে
একনেক সভায় ১০১০২ কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মঙ্গলবার দেশে ফসলের উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করার লক্ষ্যে ভর্তুকিযুক্ত মূল্যে কৃষি মেশিন সরবরাহের জন্য সমন্বিত ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মাধ্যমে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণসহ প্রায় ১০ হাজার ১০২ কোটি টাকা ব্যয়ে আটটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
৪ বছর আগে