বাগেরহাটের কচুয়ায় পুলিশের এক উপপরিদর্শকে (এসআই) কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় প্রধান আসামিসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বুধবার রাতে পিরোজপুরের সদর উপজেলার কলাখালী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দু’টি ম্যাগজিন ও আট রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার খুলনা র্যাব-৬ এর পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার দুই আসামি হলেন- বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার সন্মানকাঠি গ্রামের ইতরুপ শেখের ছেলে মেহেদী হাসান ওরফে জুয়েল শেখ (২৭) এবং তার সহযোগী একই উপজেলার পাশ্ববর্তী চরসোনাকুড় গ্রামের মহাসিন মোল্লার ছেলে রুবেল মোল্লা (২৮)।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে এসআইকে কুপিয়ে জখম
এদের মধ্যে জুয়েল পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় দায়ে করা মামলার প্রধান আসামি বলে পুলিশ জানায়।
খুলনা র্যাব-৬ এর পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত রবিবার রাত ৮টার দিকে বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার এসআই রবিউল ইসলাম সন্মানকাঠি এলাকায় মাদক উদ্ধার এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে অভিযানে যায়। মেহেদী হাসান জুয়েল নামে এক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করার সময় সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে জুয়েল আরও চার-পাঁচজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে ধারালো রামদা নিয়ে ওই এসআইকে কুপিয়ে আহত করে।
এতে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় কচুয়া থানায় একটি মামলা করা হয়। ওই মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে র্যাব সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের মামলায় জেল হাজতে এসআই
র্যাবের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা মামলার প্রধান আসামিসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দু’টি ম্যাগজিন এবং আট রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
আসামিদের থানায় হস্তান্তরের প্রস্ততি চলছে বলেও জানানো হয়।
কচুয়া থানার এসআই রবিউল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় ওই থানার এসআই মো. ফেরদৌস আলী বাদি হয়ে প্রধান আসামি জুয়েলের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত পরিচয়ের পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, আসামি ধরতে গেলে এসআই রবিউল ইসলামের ওপর হামলা চালানো হয়। আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার হাতে এবং পায়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। রবিউল ইসলাম বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনায় জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান চলছে।